এ বছরের নির্বাচনকালে অভিবাসন নিয়ে ভীতি ছড়ানোর বিষয়ে কানাডীয়দের সতর্ক থাকতে হবে : জাস্টিন ট্রুডো
মার্চ 3, 2019
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : চলতি বছরের জাতীয় নির্বাচনের সময় অভিবাসন নিয়ে ভীতি ছড়ানোর বিষয়ে ভোটারদের সতর্ক থাকতে বলেছেন জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে এটি একটি জ্বলন্ত ইস্যু হয়ে উঠতে পারে। খবর কানাডিয়ান প্রেস এর।
গত ২৪ জানুয়ারী নিউ ব্রান্সউইকে এক সভায় বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী এই পূর্বাভাস দেন। ওই সভায় একজন সিরীয় তরুণী তার পরিবারকে কানাডায় আসার সুযোগ দেওয়ার জন্য ট্রুডোকে ধন্যবাদ জানান। তাসমিন আলী নামের ওই তরুণী অত্যন্ত ন¤্রস্বরে প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, “আমি সেই সুদূর সিরয়া থেকে এসেছি, আর আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।” মিরামিচির একটি স্কুলের মিলনায়তনের ওই সভায় উপস্থিত আড়াইশো মানুষের কাছে তসমিনের ওই বক্তব্য সহৃদয় প্রশংসা পেয়েছে।
ট্রুডো শ্রোতাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, তার লিবারেল দলের সরকারই ২০১৫-১৬ সালে ৪০ হাজার সিরীয় উদ্বাস্তুকে কানাডায় আশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, তার সরকার সিরীয়দের সাহায্য করতে পেরে আনন্দিত, তবে তাদের কানাডীয় সমাজে একাত্ম করে নেওয়ার কাজটি সফল করে তুলেছেন কানাডীয় সেইসব মানুষ যারা বিভিন্ন গীর্জা, কমিউনিটি, মহল্লা এবং পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তিনি বলেন, “যারা একটি উন্নততর জীবন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে তাদেরকে স্বাগত জানানোই হলো সেই কাজ যা এই জাতিকে গড়ে তুলেছে।”
কিন্তু ট্রুডোর আশাবাদী কণ্ঠ পাল্টে যায় যখন তিনি বলছিলেন যে, বর্তমান বিশ্ব অভিবাসন নিয়ে ক্রমবর্ধমান হারে ভীত, সঙ্কীর্ণমনা এবং উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে।
তনি বলেন, “আমরা যখন উদ্বেগের মুখোমুখি হই তখন সেই ভীতি ডামাডোলে পরিণত হওয়ার এবং ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকেÑ মানুষ ওই বিষয়ে আঙুল তুলে দেখায় এবং অভিযোগ উত্থাপন করে।”
ট্রুডো বলেন, এমন মানুষ আছে যারা অভিবাসন নিয়ে সারা কানাডায় ভীতি, অসহিষ্ণুতা ও একধরণের ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি অবশ্য কোনও ব্যক্তি বা গ্র“পের নাম উল্লেখ করেননি।
তিনি বলেন, “ কানাডা এবং বিশ্বজুড়ে অভিবাসনের বিরুদ্ধে যে কোনও ধরণের ভীতি, অসহিষ্ণুতা ও ভুল তথ্য ছড়ানোর ব্যাপারটি এমন যে এ বিষয়ে আমাদের সবারই দায়িত্ব হলো ইতিবাচক ও চিন্তাশীলতার সঙ্গে এগিয়ে আসা।”