সেক্স এডুকেশন কারিকুলাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস বর্জন
অক্টোবর ১১, ২০১৮
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : অন্টারিওর প্রগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ সরকার কর্তৃক সেক্স এডুকেশন কারিকুলাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে অন্টারিওর প্রায় শতাধিক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী গত ২১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ক্লাশ বর্জন করে রাস্তায় নেমে আসে। “We the students do not consent”, “Education Saves live” প্রভৃতি বাণী সম্বলিত ব্যানার ও পোষ্টার হাতে তারা প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে। খবর কানাডিয়ান প্রেস এর।
তাদের এই প্রতিবাদের প্রতি সমর্থন জানান স্কারবরো সাউথওয়েস্ট রাইডিং এর এমপিপি (এনডিপি) ডলি বেগমও। ডলি বেগম এর অফিস থেকে প্রবাসী কণ্ঠ ম্যাগাজিনে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, তিনি তার সাবেক স্কুল সেটেক (Satec) হাই স্কুলে এসে প্রতিবাদমুখর ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমি খুবই গর্বিত যে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রিমিয়ার ফোর্ড ও তার সরকারের প্রতি এডুকেশন কারিকুলাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে এক শক্তিশালী বার্তা প্রেরণ করেছে।”
তিনি আরো বলেন, “এটি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয় যে, প্রায় দুই দশকের পুরানো একটি কারিকুলামে আমরা ফিরে যাব যেখানে সাইবার বুলিইং, সেক্সটিং, কনসেন্ট এবং জেন্ডার আইডিয়েন্টিটি নিয়ে কোন কথা নেই।”
এখন যারা বয়স্ক, যেমন প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড, তারা বেড়ে উঠেছেন এক ভিন্ন সময়ে। সেই সময়ের সঙ্গে এখনকার সময়ের মিল নেই অনেক ক্ষেত্রেই। সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুরই পরিবর্তন ঘটে। আর সে কারণে আমাদেরকে সেক্স এডুকেশনও আধুনিকীকরণ করতে হবে। এ কথা জানায় টরন্টোর ষোল বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী লুকা লিকনার। লুকা আরো বলে, সে তার ছোট দুই ভাইকে নিয়ে চিন্তিত। কারণ তারা হয়তো সেক্সটিং (অনলাইনে যৌন বার্তা ও ছবি আদানপ্রদান), সমলিঙ্গ সম্পর্ক ইত্যাদি সম্পর্কে কিছুই শিখবে না।
ফ্রাঙ্ক হং নামের আরেক গ্রেড টুয়েলভ এর শিক্ষার্থী বলে, এটি আমাদের কাছে এক ধরণের আতঙ্কজনক বিষয় যে আমাদের স্কুলগুলোতে আধুনিক কোন সেক্স এডুকেশন পড়ানোর ব্যবস্থা থাকবে না। কিছু অরক্ষিত ছাত্র-ছাত্রীর জন্য এটি জীবন-মরণ সমস্যা।