জব এজেন্সীর বিরুদ্ধে কথা বলায় চাকরী হারালেন সেই এঞ্জেল রেইয়েজ
জুলাই ১১, ২০১৫
প্রবাসী কন্ঠ ডেস্ক : টরন্টোর জব এজেন্সীগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলায় চাকরী হারালেন এঞ্জেল রেইয়েজ। এঞ্জেল রেইয়েজ একজন ইমিগ্রেন্ট। বয়স ৬১। কাজ করতেন টরন্টোর একটি গার্বেজ রিসাইক্লিং প্লান্টে। প্রতিদিন ভোর ৩টায় শুরু হতো তার কাজ। সপ্তাহে ৫ দিন চলতো এই ভাবে। এই রুটিন চলে আসছিল গত ৫ বছরেরও বেশী সময় ধরে। ইউনিভারসিটি শেষ করা এই এল সালভাডরিয়ান ইমিগ্রেন্ট রিসাইক্লিং প্লান্টের এই কাজ পেয়েছিলেন একটি জব এজেন্সির মাধ্যমে। কিন্তু ৫ বছর পার হয়ে গেলেও তার কাজটি স্থায়ী হয়নি। বৃদ্ধি পায়নি বেতনও। একই অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা নিয়ে তার সহকর্মীরা (যারা স্থায়ী) বেতন পেতেন বেশী। কোন বেনিফিটও পেতেন না। সম্প্রতি এই দুঃখের কথাগুলো তিনি শেয়ার করেছিলেন টরস্টার নিউজ সার্ভিসের সাথে। (এ প্রতিবেদনটি অনুবাদ করে প্রকাশ করা হয়েছিল প্রবাসী কন্ঠ ম্যাগাজিনের গত সংখ্যায়)- তিনি বলেছিলেন, যদি নরকের কোন অস্তিত্ব থাকে তবে এই কর্মস্থলটিই হচ্ছে সেই নরক। আর তাতেই ক্ষেপে গেলেন তার নিয়োগ কর্তারা। মাত্র এক সপ্তাহ পরে তাকে একদিন বাড়ি চলে যেতে বলা হলো। গত এক মাসের উপরে তাকে আর কাজে ডাকা হচ্ছে না। তিনি কোন টারমিনেশন পে পাননি। কেন তাকে চাকরীতে ডাকা হচ্ছে না সে সম্পর্কেও স্পষ্ট করে কিছু বলা হচ্ছে না।
তিন সন্তানের জনক এঞ্জেল কানাডায় এসেছেন ১৯৯৩ সালে। এল সালভাডরে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করতে গিয়ে তিনি অপহরণের শিকার হয়েছিলেন এবং তাকে জেলও খাটতে হয়েছে। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস – কানাডার মত একটি দেশে এসে এঞ্জেল রেইয়েজ নিজেই দয়ামায়াহীন শোষণের শিকার হচ্ছিলেন এবং সে কথা মিডিয়ার সঙ্গে শেয়ার করার কারণে সেই চাকরীটিও হারালেন। এখন তার ভবিষ্যত অন্ধকার। এই বয়সে নতুন করে কোথায় গিয়ে চাকরী খুঁজবে?
গার্বেজ রিসাইক্লিং প্লান্টে ৫ বছরেরও অধিক সময় কাজ করার পরও মালিকপক্ষের নূন্যতম সহানুভূতি পেলনা এঞ্জেল। এখন রিসাইক্লিং প্লান্ট থেকে বলা হচ্ছে জব এজেন্সির কাছে যাও। এটি তাদের দায়িত্ব। অপর দিকে জব এজেন্সি বলছে রিসাইক্লিং প্লান্টে যাও। এটি তাদের দায়িত্ব। অর্থাৎ মূলত কেউই এখন এঞ্জেলের দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না। এই হলো কঠিন বাস্তবতা। জব এজেন্সির মাধ্যমে যার কাজ করতে যান তাদের ভাগ্যে জুটে এমনি ব্যবহার যদি কোন সমস্যা বা সংকট তৈরী হয়।