টরন্টোর রমরমা কন্ডো বাণিজ্যকে এগিয়ে নিচ্ছে অভিবাসীরাই
জানুয়ারী ১, ২০১৫
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : অভিবাসীরাই টরন্টোর কন্ডো বাণিজ্যের আকস্মিক বৃদ্ধিকে টিকিয়ে রেখেছে এবং চাহিদার কারণে সরবরাহ উৎসাহিত হচ্ছে। আবার অত্যধিক সরবরাহের কারণে নগরীর অনেক কন্ডো অবিক্রীত থেকে যাচ্ছে। যার ফলে কন্ডো ব্যবসায়ীদের ধারণা শেষ পর্যন্ত হয়তো ভুল হিসাবেই প্রমাণিত হবে।
আগের বছরের চেয়ে গত বছর অতিরিক্ত ২২,০০০ নন-পারমানেন্ট রেসিডেন্ট যোগ হয়েছে যার ফলে ২০১৩ সালে নন-পারমানেন্ট রেসিডেন্টের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭৪,০০০। এই সংখ্যা সাম্প্রতিক সময়ে অর্থাৎ ২০০৫ সালের পর কানাডায় আসা লোকেদের দ্বিগুণ।
এই মুহূর্তে কানাডার জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধির প্রায় ৭০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে অভিবাসীরা যাদের মধ্যে অর্ধেক কানাডায় আসে বাড়ি কেনার মত বয়স থাকতে থাকতে অর্থাৎ ২০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে।
অর্থনীতিকরা যখন আবাসনের চাহিদা বিষয়ে কথা বলেন তখন তারা ‘‘হাউসহোল্ড ফরমেশন’’ নামে একটি মেট্রিক ব্যবহার করেন। এটি হলো নিছক পরিবার গঠনের হারকে ব্যক্তিবিশেষ বা জনগণের বিভিন্ন গ্রুপ যেমন পরিবার তাদের বর্তমান বাসস্থান ছেড়ে অন্য কোথাও বসবাস করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে সেই হারের সঙ্গে মেলানো।
এই মুহূর্তে পরিবারগুলোর বাড়ি পাল্টানোর হার অবশ্যই বাড়তির দিকে। বিবেচনা করুন যে, গত বছর কানাডার ২০ থেকে ৪৪ বছর বয়সী গ্রুপের জনসংখ্যা বেড়েছে ১.১ শতাংশ। এটি খুব বড় কোনও সংখ্যা নয়, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটিই হলো গত প্রায় ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল হার যা যুক্তরাষ্ট্রের হারের চেয়ে ৭৫ শতাংশ বেশি। আর পরে এই ক্ষুদ্র আকারে বর্ধনশীল জনসংখ্যাই ছিলো ব্যাপকভাবে নতুন কানাডীয়দের দিয়ে গঠিতÑ আর টিএএল (ঞধষ) বলছে, কিছু কিছু সরকারি উপাত্তে যতটা বলা হয়েছে নতুন কানাডীয়দের সংখ্যা তার চেয়েও অনেক বেশি।
২০১১ সালের জনগণনায় বলা হয়েছে, ওই বছর নন-পারমানেন্ট রেসিডেন্টের সংখ্যা ৪০০,০০০ লাখের কাছাকাছি কিন্তু কানাডার নাগরিকত্ব ও অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের প্রদত্ত হিসাবের চেয়ে এই সংখ্যা ২০০,০০০-লাখেরও কম। ক্যালগেরি, মন্ট্রিয়েল ও ভ্যাংকুভারের মত শহরগুলিতে কন্ডো গড়ে উঠছে এবং শহরের ল্যান্ডস্কেপ পাল্টে দিচ্ছে। আর পশ্চিমাঞ্চলে চাকরির পরিমাণ বেশি হওয়ায় অভিবাসীরা দলে দলে এসব শহরে আসছে। ওয়ার্ক পারমিট রয়েছে এমন নন-রেসিডেন্টরা বাড়ি ভাড়া নেয় এবং কন্ডোতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা সৃষ্টি হওয়ায় বিশাল ভাড়াবাড়ির বাজার তৈরি হয়।
আর দীর্ঘমেয়াদি প্রবণতা হলো, ‘‘ইকো জেনারেশনের’’ প্রবণতা, অনেক মিশুর জন্মদানকারীরা এবং একইসঙ্গে দ্বিতীয প্রজন্মের অভিবাসীরা একটি গাড়ি কিনতেও বিলম্ব করে বা গাড়ি কেনা এড়িয়ে যায় এবং নগরীর বাইরে বাসবাসের পরিবর্তে নগরীতেই বসবাস করে। বড় বড় বাড়ির দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে হলেও শহরের বাইরে আসলে তেমনটা নয়। অবশ্য নগরীর ভেতরে ছোট ছোট কন্ডো দ্রুত বিক্রি হচ্ছে। -ক্যানইন্ডিয়া.কম