সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে টরন্টোর এমন ১০টি মোড়
মার্চ ৯, ২০১৫
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক ; সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে টরন্টোর এমন ১০টি মোড়ের তালিকা গাড়ির চালক ও পথচারিদের বিস্মিত করতে পারে।
তালিকার শীর্ষে রয়েছে লেক শোর বুলেভার্ড ই এবং লোয়ার জার্ভিস স্ট্রিট মোড় যেখানে ২৩৯টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই মোড় দিয়ে প্রতিদিন গাড়ি চলে ২৪,৯৭২টি। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের তথ্যউপাত্ত ব্যবহার করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
তালিকায় নগর কেন্দ্রের বাইরের কয়েকটি মোড়ও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছে সেন্ট ক্লেয়ার অ্যাভিনিউ এবং ওল্ড ওয়েস্টন রোড, ইলেসমেয়ার রোড ও বেলামি রোড এবং লরেন্স অ্যাভিনিউ ই ও মিডল্যান্ড অ্যাভিনিউ।
সংঘর্ষের হার নির্ধারণের জন্য মোড়গুলোতে সংঘটিত দুর্ঘটনার মোট সংখ্যাকে সংশ্লিষ্ট মোড়ে সাধারণ কর্মদিবসে মোট কত গাড়ি চলাচল করে তার সঙ্গে মেলানো হয়েছে। আর এটি করা হয়েছে গত পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান হিসাব করে। এই হার হলো সংশ্লিষ্ট মোড় দিয়ে চলাচলকারী প্রতি ১,০০০ গাড়ির মধ্যে সংঘটিত সংঘর্ষের সংখ্যা।
টরন্টোর ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের ম্যানেজার মাইক ব্রাডি ব্যাখ্যা করে বলেন, “তালিকায় যেসব জায়গার নাম রয়েছে সেগুলিতে গাড়ি চলাচল করে অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি, দু’দিক থেকে বা সব দিক থেকে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে সেখানে জটিল বাঁক ফেরার ব্যবস্থা রয়েছে।” ব্রাডি বলেন, অবশ্য লেক শোর বুলেভার্ড ই এবং লোয়ার জার্ভিস স্ট্রিটের মোড়ে বিশেষ করে পেছন থেকে ধাক্কা মারার ঘটনা ঘটেছে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি, যা আসলে ঘটেছে চালকের অমনোযোগিতার কারণে, চালক সামনের গাড়িটিকে খুব কাছে থেকে অনুসরণ করছিলো একারণে এবং সড়কের অবস্থা বিবেচনা না করেই গাড়ি চালানোর কারণে।
তিনি বলেন, “লেক শোর এবং জার্ভিসে চালকদের ক্ষেত্রে ওই তিনটি কারণ কেন ঘটছে আমি তার ব্যাখ্যা দিতে পারি না।”
২০০৯ সালের মাঝামাঝির আগে অর্থাৎ এই মোড়ে সংঘর্ষ কমিয়ে আনার জন্য একটি নতুন সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু করার আগে লোয়ার জার্ভিস স্ট্রিট দিয়ে আসা চালকদেরকে পশ্চিমমুখি গার্ডিনার এক্সপ্রেসওয়েতে যাবার জন্য একটি জটিল বাঁক নিতে হতো। সেখানে সম্ভাব্য দ্বন্দ্ব এড়ানোর জন্য একটিমাত্র সঙ্কেত দেয়া ছিলো। সংঘর্ষের পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় সে, ওই বাঁকটি ছিলো সমস্যার কারণ এবং নগর কর্তৃপক্ষ সঙ্কেতের মাধ্যমে সমস্যাটির সমাধান করতে চেয়েছিলেন।
ব্রাডি বলেন, “সঙ্কেত দেয়ার মাধ্যমে আমরা সম্ভাব্য সংঘাত কমিয়ে আনতে পেরেছি।
অন্যান্য মোড়গুলো তেমন জটিল নয়। যেমন লরেন্স অ্যাভিনিউ ই এবং মিডল্যান্ড অ্যাভিনিউ তালিকাভুক্ত হয়েছে খুব সম্ভবত সেখানকার অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ এবং উভয় দিক থেকে বেশ কয়েকটি সংযোগ সড়ক এসে মিলিত হওয়ার কারণে।
ব্রাডি বলেন, “লরেন্স রোডটি মোড়ের ঠিক পশ্চিমে একটি রেলওয়ে করিডোর সৃষ্টি করে দেয়ার জন্য উঁচু হয়ে উঠে গেছে, সুতরাং উঁচু হয়ে যাওয়া ব্রিজটির সঙ্গে সঙ্কেতের নৈকট্য সংঘর্ষের ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে থাকতে পারে। দুর্ভাগ্যজনক যে, জ্যামিতিকভাবে এটি ঠিক করার মত অবস্থান সেখানে নেই।”
তালিকায় এসব মোড়ের অন্তর্ভুক্তির অর্থ এই নয় যে, এগুলোকে সার্বিকভাবে এড়িয়ে চলতে হবে, বলেন ব্রাডি। তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনার হারের যে সংখ্যা তাতে দশমিকের ঘরের পরের প্রথম সংখ্যার আগে বেশ কিছু শুন্য রয়েছে।
তিনি বলেন, “এগুলো হলো এমন জায়গা যেখানে সড়ক ব্যবহারকারীদেরকে হাঁটা, গাড়ি চালানো কিংবা সাইকেল চালানোর সময় পূর্ণ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ বিষয়ে কোনও বিতর্কের কারণ নেই। তবে মোড়গুলো প্রকৃতিগতভাবে তেমন বিপজ্জনক নয়।”
সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে এমন ১০টি মোড়:
১. লেক শোর বুলেভার্ড ইস্ট এন্ড লোয়ার জার্ভিস স্ট্রিট
২. লেক শোর বুলেভার্ড ইস্ট এন্ড ডন রোডওয়ে
৩. এলসমেয়ার এন্ড বেলামি রোড
৪. লরেন্স অ্যাভিনিউ ইস্ট এন্ড মিডল্যান্ড অ্যাভিনিউ
৫. সেন্ট ক্লেয়ার অ্যাভিনিউ এন্ড ওল্ড ওয়েস্টন
৬. শেপার্ড অ্যাভিনিউ এন্ড মর্নিংসাইড রোড
৭. ওয়েস্টন রোড এন্ড লরেন্স অ্যাভিনিউত
৮. এলসমেয়ার রোড এন্ড মর্নিংসাইড রোড
৯. ইজলিংটন অ্যাভিনিউ এন্ড এলবিয়ন রোড
১০. লেক শোর বুলেভার্ড ওয়েস্ট এন্ড স্পাডিনা অ্যাভিনিউ। -টরস্টার নিউজ সার্ভিস