কানাডায় নারী অভিবাসীরা কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হন

মার্চ ৫, ২০১৪

প্রবাসী কন্ঠ ডেস্ক : বর্তমানে কানাডার প্রতি পাঁচজন নারীর মধ্যে একজনই অভিবাসী। ভ্যানকুভার ভিত্তিক মার্কেটিং কনসালটেন্ট জেনির মতো তাদের অনেকেই চাকুরিজীবি।

জেনি যখন চীন থেকে কানাডায় অভিবাসী হন তখন তার বয়স মাত্র ১৪ বছর। তিনি জানান, “ এসএফইউ থেকে আমি কম্পিউটার  বিজ্ঞানে গ্রাজুয়েশন করি”। “ আমার প্রথম চাকরী ছিল বোস্টন ভিত্তিক ফরচুন ৫০০ কম্পিউটার কম্পানিতে”। হাই-টেক কম্পানিতে কাজ করার পর ২০০০ সালে আত্ম কর্মসংস্থানের ব্যবস্থানের ব্যবস্থা করেন তিনি।

এ্যামি, কানাডায় এসেছেন স্কটল্যান্ড থেকে, ক্যারিয়ার গড়েছেন টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরে। তিনি জানান, “ কানাডায় ক্যারিয়ার গড়ার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। আর এই সুয্গেই আমাকে একজন অভিবাসী এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসেবে এখানে টেনে এনেছে”।

ইমারজেন্সি ফিজিশিয়ান হিসেবে পড়াশুনা শেষে ১৯৮১ সালে নিউজিল্যান্ড থেকে কানাডায় পারি জমান রুয়া। তিনি বলেন, “ মেডিসিন বিশেষ করে ইমারজেন্সি মেডিসিন ছিল আমার ক্যারিয়ারের জন্য ভাল”। “ এরফলে আমি একটি খণ্ডকালীন চাকরী পাই, যা আমার পরিবার ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজে দেয়”।

জেনি, এ্যামি এবং রুয়ার মতো হাজার হাজার নারী প্রতিবছর কানাডায় অভিবাসী হন। তাদেরকে প্রথমত একজন অভিবাসী দ্বিতীয়ত একজন নারী হিসেবে বিভিন্ন ধরণের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়। কানাডায় কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা, ক্যারিয়ার গঠণ এবং আত্মনির্ভরশীল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে এসব চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবেলা করতে হয়।

কানাডিয়ান ওমেন্স ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ডিরেক্টর অব রিসার্চ বারবারা গোসি’র মতে, কানাডায় অভিবাসীদের যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় তার মধ্যে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কানাডার বাইরে থেকে নেয়া ডিগ্রি’র স্বীকৃতি পাওয়া। নারী-পুরুষ সবাইকে এই সমস্যায় পড়তে হয়।

তিনি বলেন, “কানাডায় জন্মগ্রহণকারী নারী-পুরুষের তুলনায়  ২৪-৫৪ বছর বয়সী অভিবাসীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারীদের সংখ্যা বেশি”। “ অনেক ক্ষেত্রে কানাডায় বিদেশ থেকে প্রাপ্ত ডিগ্রি’র স্বীকৃতি দেয়া হয় না। ফলে বহু অভিবাসী সমস্যায় পড়েন”।

নিউজিল্যান্ডে ডিগ্রি নেয়ায় রুয়াকে এই সমস্যায় পড়তে হয়। তিনি বলেন, “একজন ডাক্তার হিসেবে অভিবাসী হওয়া কঠিন”। তিনি জানান, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া হাসপাতালে একজন ‘স্পেশালিস্ট ট্রেইনিং’ এর পদ পেতে তাকে পুনরায় মেডিকেল পরীক্ষা দিতে হয়েছে। বিভিন্ন সমীক্ষাও দেখা য়ায়, কানাডায় জন্মগ্রহণকারীদের তুলনায় নতুন অভিবাসীদের মধ্যে স্বল্প আয় ও বেকারত্বের হার বেশি। গোসি জানান, কানাডায় অভিবাসী হিসেবে আসার পর প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যে অন্তত চার বছরই প্রতি পাঁচ জন নতুন অভিবাসীর মধ্যে একজনের আয়-রোজগার থাকে বেশ কম”। “ এ কারণে, উচ্চ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অনেকেই নিজের ও পরিবারের প্রয়োজন মেটাতে স্বল্প বেতনের চাকরী করতে বাধ্য হয়”।

স্ট্যাটিসটিকস কানাডা’র প্রতিবেদন বলছে, উচ্চশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও কানাডায় জন্মগ্রহণকারী নারীদের তুলনায় অভিবাসী নারীদের রোজগার তুলনামূলক কম থাকে। বিশ্বিবিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী নারীদের অনেকেই দেখা যায় বেকার আবার অনেকেই চাকরি খুঁজে বেড়ায়।এই সংখ্যা পুরুষ অভিবাসীদের মধ্যে তুলনামূলক কম। এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে আসা নারীদের মধ্যে এই সংখ্যা বেশি: এশিয়া থেকে আসা মাত্র ৬২.৭% এবং আফ্রিকা থেকে আসা ৩৮% নারী হয় চাকরি করছে অথবা চাকরি খুঁজছে।

তবে শ্রমবাজারের পার্থক্য ও ভিন্নতাই কর্মজীবী নারীদের ক্যারিয়ারের একমাত্র বাধা নয়। কাউন্সিল অব এজেন্সিস সার্ভিং সাউথ এশিয়ানস-এর নির্বাহী পরিচালক নিথান শাহ বলেন, “ এটা শুধুমাত্র বিশ্বাস বা আস্থার বিষয় নয়”। “ তার জন্মস্থান এবং বর্ণ পরিচয়ের কারণেও নারীরা বৈষম্যের শিকার হয় এবং নারীরা অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে কর্মক্ষেত্রে”।

জেনি বলেন, “ তোমাকে এটা বুঝতে হবে যে, তোমাকে তোমার কাজে খুবই দক্ষ হতে হবে। কারণ তোমাকে একইসাথে একজন নীরা এবং একজন ভিজিবল মাইনরিটি হিসেবে বিচার করা হবে। কাজেই আমি সব সময় সতর্ক থাকতাম।আমি জানতাম, নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হলে আমার পারফরমেন্স অনেক ভাল হতে হবে”।

নারীরা তার কর্মক্ষেত্রে আরো যেসব সম্ভাব্য বাধার সম্মুখিন হয় তা হচ্ছে, সাংস্কৃতিক পার্থক্য, পারিবারিক রীতিনীতি এবং কাজের সাথে প্রাত্যহিক জীবনের সমন্বয় করে চলা।

দুই সন্তানের জননী এমি জানান, প্রাত্যহিক কাজকর্মে তাকে প্রায়ই সবদিকে সমন্বয় করতে রীতিমত লড়াই করতে হয়।  তিনি বলেন, “আমি প্রায়ই দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করি। কিন্তু আমার বাচ্চারা আমার প্রথম অগ্রাধিকার, কাজেই আমাকে এমন একটা কাজের জায়গা খুঁজে বের করতে হয়, যা আমার জন্য সুবিধাজনক হবে”।  কেন্দ্রিয় আদালতের সাম্প্রতিক আদেশ হয়তো ভবিষ্যতে এ সমস্যাকে খানিকটা সহজ করবে।ওই আদেশে বলা হয়,  কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে “চাইল্ড কেয়ার” সুবিধা থাকা বাধ্যতামূলক। পুরো কানাডাজুড়েই অভিবাসী নারীরা কর্মক্ষেত্রে নানা ধরণের বাধার সম্মুখীন হয়। কিন্তু সমস্যাগুলো এমন নয় যে তা দূর করা সম্ভব নয়। এসব সমস্যা সমাধানের একটি উপায় হচ্ছে, কানাডা ও তার নিজ জন্মভূমির মধ্যে সাংস্কৃতিক পার্থক্যকে মেনে নেয়া।

জেনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই নারীদের দৃঢ়প্রত্যয়ী হতে উৎসাহিত করা হয় না। “ একজন নারী হিসেবে আমাদের মধ্যে অনেক সময় নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার প্রবণতা থাকে না এবং আমরা নিজেকে বাইরের জগৎ থেকে গুটিয়ে রাখি, বিশেষ করে আমরা যখন এমন একটা সংস্কৃতি থেকে আসি যেখানে নারী দৃঢ় প্রত্যয়ী হবে এমনটা প্রত্যাশা করা হয় না। প্রচলিত ধারণার বাইরে চিন্তার করতে আমাদেরকে উদ্যোগী হতে হবে এবং আমাদের নিজেদের কাজের ক্ষেত্রে আরেকটু দৃঢ় হতে হবে”।

তার মতে, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে তুমি কাকে চেন সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তিনি বলেন, “এটি সম্পূর্ণভাবেই ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিষয়”। “ তোমাকে সেই ধরণের ব্যক্তিগত যোগাযোগ গড়ে তুলতে হবে, যা তোমার কর্মক্ষেত্রে কাজে দেবে”। তিনি ফোরাম ফর ওমেন এন্টারপ্রেনারস-এর মতো নারী সংগঠনে যোগ দেয়া এবং সুযোগের সদব্যবহারের পরামর্শ দেন।  রুয়া তার কথাসাথে যোগ করে বলেন, “ শুদ্ধভাবে অফিসিয়াল ভাষায় কথার বলার দিকে মনযোগ দিতে হবে, শুরুতেই এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, তোমার পেশাগত যোগ্যতা কানাডার সাথে মানানসই কিনা এবং তোমাকে অভিবাসন নীতি অনুসারে কাজ করে যেতে হবে”। এ্যামি পরামর্শ দেন, একজন পরামর্শক খুঁজে নিতে। যার কাছ থেকে কানাডার শ্রম বাজার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। সেইসাথে মনে রাখতে হবে, লিঙ্গবাদ, বর্ণবাদ এবং যেকোন ধরণের বৈষম্য এখানে অবৈধ। এগুলো সহ্য করার কোন দরকার নেই”।

প্রতিবন্ধকতা রয়েছে একথা সত্যি, কিন্তু কানাডার শ্রম বাজারে অভিবাসী নারীদের বহু সুযোগও রয়েছে। গবেষণা বলছে, শ্রম শক্তির উন্নয়নে অভিবাসীদেরকেও এক সময় গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। গোসি’র মতে, “কানাডার নতুন অভিবাসীরা প্রতি বছর আমাদের অর্থনীতিতে শুধুমাত্র বিলিয়ন ডলার যোগ করবে তাই নয়, তারা আমাদের জাতিকে আরো শক্তিশালী করবে”। এ্যামি’র মতে,“সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অধ্যাবসায়ী ও কঠোর পরিশ্রম করা। যেসব নারী তাদের ক্যারিয়ারে সফল হতে চান, কানাডায় তাদের জন্য সুযোগের অভাব নেই।”

অন্টারিওতে ১লা জুন থেকে ন্যূনতম মজুরি বেড়ে ১১ ডলার হচ্ছে

রব ফারগুসন : স্কারবোরোর একটি সুপার মার্কেটের কর্মী বললো, ১লা জুন থেকে ন্যূনতম মজুরি ৭৫সেন্ট বেড়ে ১১ ডলার হলে তার পক্ষে আবারও ঘরে একটি টেলিফোন সংযোগ নেয়ার খরচ যোগানো সম্ভব হবে।

একটি রেস্টুরেন্টের মালিক বললেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী যে পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন তার ফলে তার প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা খাতে অতিরিক্ত ৩০হাজার ডলার যোগ করতে হবে এবং এর ফলে হয়তো সামারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী রাখা তার পক্ষে সম্ভব হবে না।

বোর্ডভিউ এভিনিউর হুইসলারস গ্রিল ও ম্যাকনেইল রুম বাঙ্কোয়েট-এর মালিক স্টিভ ম্যাসটোরাস বলেন, এটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি ব্যাপার।

্ওয়েইন সাংবাদিকদেও বলেন, তার সরকার গত চার বছরের মধ্যে প্রথম মজুরি বাড়ানোর ক্ষেত্রে শ্রমিক ও মারিকের স্বার্থের মধ্যে এক ধরণের ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। তিনি প্রতিশ্র“তি দেন যে, আগামী মাসে যখন আইন প্রণয়ন করা হবে তখন সেটি পাশ হলে সে আইনে ন্যূনতম মজুরিকে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হারের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে এবং সামনের বছরগুলোতে অন্ততঃ ছয় মাসের আগাম নোটিসে মজুরি বাড়ানো হবে।

একটি কফি হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি অন্টারিওর বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ এটা বুঝতে পারেন যে, ন্যূনতম মজুরিতে সংসার চালানো খুবই কঠিন এবং ন্যূনতম মজুরিতেও যেন জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহ করা যায় তার একটি সুষ্ঠু উপায় থাকার দরকার আছে।’’

‘‘এটি ন্যূনতম মজুরির একটি ন্যায্য সমন্বয় এবং এটি ব্যবসায়কে নিশ্চয়তা দেবে।’’দারিদ্র্য হঠাও আন্দোলনের কর্মী এবং ছাত্রদেও গ্র“প ও  ইউনিয়নগুলো বলছে, ন্যূনতম মজুরি ১১ ডলাওে উন্নীত করা হলেও তা দারিদ্র্য-সীমার চেয়ে ১৬ ভাগ নিচেই থাকবে। তারা ন্যূনতম মজুরি ১৪ডলার করার জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে।

২০১০ সালে সর্বশেষ ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর পর থেকে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিও পরিমাণ ৬ দশমিক৭ শতাংশ। আর এবার ঠিক সেই পরিমাণই মজুরি বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু তাতে খুশি নয় কানাডার ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিসনেস ফেডারেশন, অন্টারিও চেম্বার অব কামর্স এবং কানাডীয় রেস্টুরেন্ট ও ফুড সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

স্কারবোরো সুপারমার্কেটের কর্মী অ্যমিলিয়া হোয়াইটের একটি টিনএজ বয়সের ছেলে রয়েছে এবং তিনি ছেলেকে নিয়ে একা থাকেন। তিনি বলেন, এই বৃদ্ধির ফলে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা করে শ্রম দিয়ে তিনি বাড়তি ৩০ ডলার পাবেন। তিনি আরও বেশি মজুরি বাড়ানোর প্রত্যাশা করেন।

তিনি বলেন, ‘‘এটি আমার জন্য সহায়ক এবং এতে করে আমি আমার ঘরের টেলিফোন সংযোগ পুনর্বহাল করতে এবং অন্যান্য বিল পরিশোধে সমর্থ হবো। তবে এই মজুরিতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা জন্য খুবই কষ্টসাধ্য।’’

নায়াগ্রা জলপ্রপাত ও থমহিলে ১৩ ফেব্র“য়ারি উপনির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে এবং বসন্তে নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অবস্থায় ওয়েইন তার ন্যূনতম মজুরির সঙ্গে মূল্যস্ফীতির বিষয়টি সমন্বয়ের পরিকল্পনা সমর্থন করার জন্য বিরোধী দলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

এনডিপি নেতা আন্দ্রে হরওয়াথ কোন প্রতিশ্র“তি দেননি এবং কোন অঙ্ক উল্ল্লেখ না করে কেবল ন্যায্য ও যৌক্তিক নূ্যূনতম মজুরি নির্ধারণের কথা বলেছেন।

রক্ষণশীল দলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমালোচক জেন ম্যাককেনা বলেন, ন্যূনতম মজুরি বড়ানো হলে ‘‘যাদেরকে সাহায্য করার জন্য এটি বাড়ানো হবে ঠিক সেই লোকেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে কারণ তখন চাকরিদাতারা কম সময় কাজ করাবে এবং কম শ্রমিক নিয়োগ করবে।

অবশ্য অন্টারিও কনভেনিয়েন্স স্টোর অ্যাসোসিয়েশন এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছে। প্রধান নির্বাহী ডেভ ব্রায়ান বলেন, এর ফলে ভোগ্যপণ্যেও দাম বাড়বে না।

ব্রায়ান বলেন, ‘‘ক্ষুদ্র ব্যবসায় খুব দ্রুতই খাপ খাইয়ে নেয়… আমার মনে হয় এটি খুব বড় কোন বিষয় নয়। ন্যূনতম মজুরি ১৪ ডলারের চেয়ে ১১ ডলার করা অনেক বেশি ভাল। এটি শাস্তিদায়ক মনে হলেও ১৪ ডলার করলে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যেত।’’ চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ব্যবসায়, শ্রম ও অন্যান্য বিভাগের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে পেশ করা একটি রিপোর্টের পরই ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়।