অবৈধভাবে কানাডার সীমান্ত অতিক্রমকারীদের মধ্যে প্রায় সত্তর ভাগই রাজনৈতি আশ্রয় পাচ্ছেন

নভেম্বর ৩, ২০১৭

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধভাবে কানাডার সীমান্ত অতিক্রম করে যারা কানাডায় আসছেন তাদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৭০ জনই রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ করছেন, যদিও অনেকেই মনে করেন সীমান্ত অতিক্রম করে যারা আসছেন তারা সত্যিকারের শরণার্থী নন এবং তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ারও প্রয়োজন নেই। সম্প্রতি ইমিগ্রেশন এন্ড রিফিউজি বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত ডাটা থেকে এই তথ্য জানা যায়। খবর দি স্টার.কম এর।

মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতা গ্রহনের পর গত জানুয়ারী থেকে এ পর্যন্ত কানাডার বিভিন্ন অরক্ষিত সীমান্ত পথ দিয়ে প্রবেশ করা ১৫ হাজারেরও বেশী অবৈধ প্রবেশকারীকে আটক করে আরসিএমপি। আর মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে আসা ১০,৭৯০ জন রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীর মধ্যে রিফিউজি বোর্ড ৫৯২ (৫.৪%) জনের ফাইল প্রসেস করেছে। যাদের ফাইল প্রসেস করা হয়েছে তাদের মধ্যে ৪০৮ জনের (৬৯%) বা আবেদন গৃহীত হয়েছে। ১৪১ জনের আবেদন প্রত্যাখান করা হয়েছে। বাকি ৪৩ জনের আবেদন হয় পরিত্যাক্ত হয়েছে বা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গত ২১ আগষ্ট যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা একজন শরণার্থী মুখমুখি হন কানাডার সীমান্তে কর্তব্যরত আরসিএমপি’র একজন কর্মকর্তার। ছবি : কানাডিয়ান প্রেস

গত বছরের তুলনায় অবৈধভাবে কানাডার সীমান্ত অতিক্রমকারী রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদনপত্র গ্রহনের হার চলতি বছর বেশী। গত বছর এই হার ছিল ৬৩%। যদিও সাধারণ কানাডিয়ানদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন এরা সত্যিকারের শরণার্থী নন এবং তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ারও প্রয়োজন নেই, কিন্তু শিক্ষাবিদ এবং শরণার্থী আইনজীবীগণ বলছেন ইমিগ্রেশন এন্ড রিফিউজি বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত ডাটা থেকে এটি প্রমানিত হচ্ছে যে, অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারী এই শরণার্থীদের সুরক্ষা পাওয়ার বৈধ প্রয়োজন রয়েছে।  কুইন্স ইউনিভার্সিটির ইমিগ্রেশন এ্যান্ড রিফিউজি ল প্রফেসর শেরী আইকেন বলেন, গৃহীত আবেদন পত্র এটাই প্রকাশ করছে যে, তথাকথিত এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার মধ্যে সত্যতা রয়েছে। আমি মনে করি কানাডার রিফিউজি সিস্টেম কাজ করছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, খুব কম সংখ্যক প্রার্থীর ফাইল প্রসেস করা হয়েছে। কারণও রয়েছে এর। প্রফেসর শেরী বলেন, কানাডার রিফিউজি বোর্ডে কর্মকর্তা কর্মচারীর ঘাটতি রয়েছে।