কানাডায় একসঙ্গে ২৫ স্ত্রী! সন্তানের সংখ্যা ১৪০!
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : কানাডার জনবিচ্ছিন্ন বহুগামী সম্প্রদায়ের দু’জন সাবেক ধর্মীয় নেতাকে একাধিক স্ত্রী রাখার দায়ে সোমবার দোষী সাব্যস্ত করেছে একটি আদালত। ফলে কানাডায় বহুগামিতার সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে সম্ভবত আরেকটি লড়াই দেখা যাবে।
ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি শেরি অ্যান ডোনেগান ৬০ বছর বয়সী উইনস্টন ব্ল্যাকমোর এবং ৫৩ বছর বয়সী জেমস ওলারকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, সাক্ষ্যপ্রমাণে এটা স্পষ্ট যে ব্ল্যাকমোর একই সময়ে ২৫ নারীকে বিয়ে করেছেন আর তার ১৪০ সন্তান রয়েছে। আর ওলার করেছেন ৫ নারীকে। তারা দু’জনই বাউন্টিফুলের একটি ক্ষুদ্র সম্প্রদায়ের নেতা ছিলেন।
ব্ল্যাকমোর বলেছেন, ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে তিনি এতগুলো স্ত্রী রেখেছেন। তার আইনজীবী বলেছেন, তার মক্কেলকে দণ্ড দেয়া হলে তিনি কানাডার বহুগামী আইনের সাংবিধানিক দিক নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। রায়ের পর ব্ল্যাকমোর বলেন, আমার অপরাধ এই যে আমি ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করেছি। আমি কখনোই আমার ধর্মকে অস্বীকার করিনি।
গত শতাব্দির নব্বইয়ের দশকে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়। কানাডার আইন অনুসারে তাদের সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। ব্ল্যাকমোর ও ওলার লেটার ডে সেইন্টস নামের গোড়া খ্রিস্টানদের একটি শাখার অনুসারী, যেখানে বহু বিবাহ বৈধ। এদের প্রধান ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ-অ্যারিজোনা সীমান্তে। চলতি বছরের শুরুতে ১২ দিনব্যাপী এই বিচার প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্য দেন মরমোন সম্প্রদায় সম্পর্কে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ, এ মামলার তদন্তকাজে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কর্মকর্তারা এবং উইনস্টন ব্ল্যাকমোরের সাবেক স্ত্রী জেন ব্ল্যাকমোর। জেন ২০০৩ সালে কানাডার ওই সম্প্রদায় ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। এ মামলার বিচারক শেরি অ্যান ডোনেগান জেন ব্ল্যাকমোরকে খুবই বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য সাক্ষী হিসেবে প্রশংসা করেন। এপি /যুগান্তর।