আপনি কী যথেষ্ট পরিমাণে কানাডীয়?
কানাডীয় মূল্যবোধের ওপর একটি আলোচনা
॥ লিসা ইভান্স ॥
কানাডার কথা ভাবলে খুব দ্রুতই কিছু ছবি আপনার মনের পর্দায় ভেসে উঠবে: লাল মেপল পাতা, অশ্বারোহী পুলিশ, বীভার, শক্তিশালী মূজ, একটি হকিস্টিক, মেপল সিরাপ এবং কফিপ্রেমিকদের ভুললে চলবে না তাদের প্রিয় ডাবল ডাবল। কিন্তু এগুলো কেবলই প্রতীক। কানাডার মূল্যবোধের প্রসঙ্গে কী বলা যায়? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রায়শ আসতে পারে শান্তি, সমতা ও স্বাধীনতার প্রসঙ্গ।
ভ্যাঙ্কুভারে বসবাসকারী ফটোগ্রাফার টমি জাবলান ১০ বছর আগে কানাডায় এসেছিলেন অভিবাসী হিসাবে। তিনি সদ্য নাগরিকত্ব পেয়েছেন এবং কানাডিয়ান হওয়ার অর্থ কী তা জানার জন্য তাকে পড়তে হয়েছে। জাবালান হেসে বললেন, ‘‘নাগরিকত্ব পাবার আগে আমি কানাডীয় প্রতীকের ওপর একটি গোটা বই পাই। আমরা সবাই একই শপথ গ্রহণ করি, রাণীর প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ হই।’’ নাগরিকত্বের অনুষ্ঠানে সারা বিশ্ব থেকে আসা লোকেদের সঙ্গে কানাডীয় হতে পেরে জাবালান ছিলেন গর্বিত। তবে তিনি মনে করেন যে, কানাডীয় হওয়ার মূল যে মূল্যবোধ সেটি হলো অন্যদের প্রতি ‘‘সহনশীলতা”।
তবে এটি এক ধরণের ভাগ্যের পরিহাস যে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়টি আরও কঠোর করার যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেটি কানাডীয় হওয়া বলতে যা বোঝায় তাকে সঙ্কীর্ণ করে তুলবে বলে মনে হয়।
নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে:
৬ ফেব্র“য়ারি কানাডার নাগরিকত্ব ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস আলেক্সান্ডার কানাডার নাগরিকত্ব জোরদারের আইন যা বিল সি-২৪ নামেও পরিচিত সেটি প্রকাশ করেন। এই আইন হলো ১৯৭৭ সালের পর কানাডার নাগরিকত্বের আইনে আমূল সংস্কারের প্রথম পদক্ষেপ। আলেক্সন্ডার যখন বলছেন যে, এই আইন কানাডার নাগরিকত্বের মূল্যবোধকে সুরক্ষা দেবে, তখন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক এবং অভিবাসন নীতি নিয়ে কর্মরত ও গবেষণারত ব্যক্তিদের তরফ থেকে কিছু উদ্বেগের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। তারা বলেন, আইনে পরিবর্তনের অর্থ হলো, কানাডা সরকার তার অতীতের খোলা-দুয়ার নীতি ও বহুসংস্কৃতির নীতি থেকে সরে আসছে এবং কানাডীয় হওয়া বলতে যা বোঝায় তাকে সঙ্কীর্ণতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আইনে অন্যতম বড় পরিবর্তন হলো নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক কানাডায় বসবাসরত ব্যক্তিদের জন্য অপেক্ষার সময় বাড়ানো। আগের নিয়মে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনকারীকে চার বছর অপেক্ষা করতে হতো এবং এর মধ্যে তিন বছর টানা কানাডায় বসবাস করতে হতো। তাতে আবেদনকারীকে কতদিন পর্যন্ত কানাডায় সশরীরে অবস্থান করতে হবে তার কোনও উল্ল্লেখ ছিলো না। নতুন আইনে আবেদনকারীদেরকে ছয় বছরের সময়কালে চার বছর এদেশে অবস্থানের পর আবেদন করার সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে এবং একইসঙ্গে ওই চার বছরের মধ্যে অন্তত অর্ধেক সময় কানাডায় শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে এই যুক্তিতে যে, এটি নবাগত অভিবাসীদের কানাডার সমাজের সঙ্গে ভালভাবে মিশে যেতে সহায়ক হবে। ভাষার ক্ষেত্রে দক্ষতার বিষয়টিও কঠোর করা হয়েছে। আগের নিয়মে ১৮ থেকে ৫৪ বছর বয়সী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে ইংরেজি অথবা ফরাসী ভাষা জানা এবং কানাডার একটি ভাষাজ্ঞান পরীক্ষায় পাশ করার শর্ত ছিলো। ওই পরীক্ষায় তারা প্রয়োজনে একজন অনুবাদকের সাহায্য নিতে পারতেন। কিন্তু নতুন আইনে বয়সসীমা ১৪ থেকে ৬৪ করা হয়েছে এবং অনুবাদকের সাহায্য নেয়ার সুযোগ বাতিল করা হয়েছে। বিল সি-২৪ উত্থাপনকালে ক্রিস আক্সান্ডার বলেন, ‘‘আমাদের সরকার আশা করে যে, নতুন কানাডীয়রা গণতান্ত্রিক জীবনযাত্রা, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশীদার হবে। আর এগুলো নাগরিক হবার সঙ্গে সম্পর্কিত।’’
নতুন নীতির যে ভাষাভঙ্গি তাতে অভিবাসন বিষয়ে পণ্ডিতেরা উদ্বিগ্ন হয়েছেন। তাদের মতে, যে আইন সম্ভাব্য নাগরিকদেরকে কানাডীয় মূল্যবোধের প্রতি অধিকতর মনোযোগী হবার আহবান জানায় সেটি এমনই বার্তা দেয় যে, নবাগতরা যথেষ্ট কানাডীয় নয় বলে কানাডাবাসী উদ্বিগ্ন এবং কানাডার জাতীয় মূল্যবোধ কী এবং এই দেশের প্রতি আনুগত্য বলতে আসলে কী বোঝানো হয় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের একক কর্তৃত্ব রয়েছে।
তাহলে, কানাডীয় মূল্যবোধ বলতে সত্যিকার অর্থে কী বোঝায়?
মূল্যবোধের সংজ্ঞা:
২০১১ সালে পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত ডালহৌসির গবেষক হাওয়ার্ড রামোসের একটি জাতীয় জরীপে দেখা যায়, কানাডীয়রা লৈঙ্গিক সমতা, ধর্মের স্বাধীনতা এবং অন্যদের প্রতি সহিষ্ণুতাকে মূল্য দেয়। যেখানে ৯৭ শতাংশ কানাডীয় বলেন যে, এইসব মূল্যবোধ গ্রহণ করার বিষয়টি নাগরিকত্ব দেয়ার শর্ত হওয়া উচিৎ, সেখানে রামোস বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেন যে, ৯৬ শতাংশ অভিবাসীও এ বিষয়ে একমত এবং তারা এসব ‘কানাডীয় মূল্যবোধ’ গ্রহণ করে নিয়েছেন এবং ইতিমধ্যেই কানাডীয় সমাজে খুব ভালভাবে একীভূত হয়েছেন।
২০০৭ সালে জাম্বিয়া থেকে অভিবাসী হিসাবে কানাডায় আসা হেনরি ম্যালাচিটে বুসিলি বলেন, তিনি মনে করেন, সমতা ও শ্রদ্ধা হলো কানাডার মূল্যবোধ এবং অভিবাসীরা এসব মূল্যবোধ গ্রহণ করবে এমনটা সরকার আশা করতেই পারে। তিনি বলেন, ‘‘দেশের নৈতিক কাঠামো রক্ষার জন্য অভিবাসীদের অবশ্যই অভিন্ন আচরণের মান সমুন্নত রাখার ব্যাপারে সম্মত হতে হবে।’’ এরপরও তিনি সবসময় একথা বলেন যে, কানাডাকে যা অভিনবত্ব দিয়েছে তার একটি অংশ হলো এই বিষয়টি যে, অভিবাসীরা তাদের নিজস্ব ধ্যান-ধারণা ও মূল্যবোধ এদেশে নিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, ‘‘সাংস্কৃতিক পার্থক্যের প্রতি শ্রদ্ধাও কানাডীয় মূল্যবোধের একটি অংশ।’’
মন্ট্রিয়ল-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন ফর কানাডিয়ান স্টাডিজ-এর নির্বাহী পরিচালক জ্যাক জেডওয়াব বলেন, কানাডীয় মূল্যবোধ বলতে কী বোঝায় তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, ‘‘লোকেরা যখন মূল্যবোধ নিয়ে চিন্তা করে তখন তারা প্রায়শ অধিকার ও স্বাধীনতা সম্পর্কিত কানাডীয় সনদের মত বিষয়গুলোর কথাই ভাবে।’’ জেডওয়াব যদিও বলছেন যে, সকলের সমভাবে অংশীদারিত্ব থাকবে এমন একগুচ্ছ নীতিমালা বা জাতীয় মূল্যবোধ সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টাটা ভুল নয়, কিন্তু তিনি এব্যাপারে সতর্কও করেন যে, মূল্যবোধ সম্পর্কে কোনরকম জাতীয় বিতর্কের অবতারণা করা হলে তা হবে ভয়ংকর কাজ।
তিনি বলেন, ‘‘অন্যান্য যেসব স্থানে এধরণের বিতর্কের সৃষ্টি করা হয়েছে সেসব স্থানের দৃষ্টান্ত এবং সম্প্রতি কুইবেকের উদাহরণ অনুযায়ী এটি কোন সুস্থ কর্মকাণ্ড নয়।’’ জাডওয়াব কুইবেকের মূল্যবোধের সনদের বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার। সেখানকার ক্ষমতাসীন দল ‘পার্টি কুইবেকোইস’ মূল্যবোধের সনদ নামে প্রস্তাবিত বিল এনেছে। এই সনদে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত নাগরিকদের দৃষ্টিগ্রাহ্যভাবে নজর কাড়ে এমন ধর্মীয় প্রতীক যেমন, পাগড়ি, হিজাব, বড় ক্রস এবং গলার হার, কানের দুল, হাতের ব্রেসলেটের সঙ্গে ঝোলানো কোনও ধরণের ধর্মীয় অলংকার পরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
অন্য গবেষণায় দেখা গেছে, অভিবাসন ও নাগরিকত্বের আলোচনায় মূল্যবোধকে জড়িত করার বিষয়ে কানাডীয়দের মধ্যে মতৈক্যের অভাব রয়েছে। ফোরাম সার্চের ২০১৩ সালে পরিচালিত এক জরিপ থেকে জানা যায়, ৪৯ শতাংশ কানাডীয় মনে করেন, কানাডার কেবল সেইসব দেশ থেকে অভিবাসী নেয়া উচিৎ যেসব দেশ কানাডার মতই একই মূল্যবোধ ধারণ করে, অপরদিকে ৪৩ শতাংশ কানাডীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসী গ্রহণের পক্ষে মত দেন।
এই পরিসংখ্যান অনেক গবেষককে বিস্মিত করে। কারণ কানাডা দীর্ঘকাল ধরে অভিবাসী গ্রহণের ক্ষেত্রে বৈষম্যহীনতার নীতি এবং শিক্ষা ও কর্মঅভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যোগ্যতার ওপর নির্ভর করার জন্য আন্তর্জাতিক বিশ্বে প্রশংসিত হয়ে আসছিলো। অন্তত সেটিই ছিলো পয়েন্ট সিস্টেমের পেছনে মূল চিন্তা যা দক্ষতা ও শিক্ষাসহ বাস্তব যোগ্যতার ওপর গুরুত্ব দেয়। নীতির ক্ষেত্রে নতুন পরিবর্তনকে অনেকে দেখছেন অভিবাসনের নীতিতে বাস্তবতার নিরিখটিকে গুরুত্বহীন করে ফেলার সামিল হিসাবে যা কানাডার চলমান সাংস্কৃতিক উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পরিবর্তন :
এধরণের নতুন নীতি কী কানাডাকে বিদেশীদের সম্পর্কে অহেতুক ভীতির দিকে ঠেলে দেয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করছে?
অভিবাসন, বহু সংস্কৃতিবাদ ও জাতীয় পরিচয় সম্পর্কিত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এলকে উইন্টার কানাডার নাগরিকত্বকে যে ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে তা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, দ্বৈত নাগরিকরা সন্ত্রাসবাদী হামলায় জড়িত থাকলে বা ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে
প্রতারণার মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেয়ে থাকলে নতুন আইন অনুযায়ী সরকার তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারবে। আর এই নাগরিকত্ব হরণের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে আদালতের পরিবর্তে মন্ত্রীকে।
মিজ. উইন্টার যুক্তি দেখান যে, যে আইনে সম্ভাব্য নাগরিকদেরকে সম্ভাব্য প্রতারণাকারী হিসাবে গণ্য করা হয় সে আইন নিরাপত্তাহীনতা ও অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করতে পারে। তিনি আরেকটি বিষয়ে উদ্বিগ্ন যে, এই নীতি প্রণয়নে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা অন্যান্য জায়গার চেয়ে বিশেষ অঞ্চল ও সংস্কৃতিকে অভিযোজনের জন্য কম গ্রহণযোগ্য হিসাবে আলাদা করে চিহ্নিত করছে এবং এই বার্তা হয়তো বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা অভিবাসীদের জন্য কানাডার সমাজে সাফল্যের সঙ্গে একীভূত হওয়ার ক্ষেত্রে বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘আপনি যদি অন্যকে প্রতারণাকারী হিসাবে চিহ্নিত করেন তাহলে আপনি উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করছেন। এই নীতির ভাষাভঙ্গি নবাগত ও স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস সৃষ্টিতে সহায়ক নয়।’’
ভারত থেকে ১৯৭৮ সালে অভিবাসী হিসাবে কানাডায় আসা রনিকা সঞ্জয় বলেন, তিনি আশঙ্কা করছেন যে, নতুন আইন কানাডাকে বিদেশীদের ব্যাপারে অহেতুক ভীতিগ্রস্ত অন্যান্য দেশের কাতারে নিয়ে যেতে পারে। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘আমরা নিজ দেশে নানা অসুবিধার কারণে অনেক দেশ থেকে কানাডায় এসেছি বটে কিন্তু আমরা হঠাৎ করে নিজেদেরকে সংরক্ষণবাদী হিসাবে অনুভব করছি যা খুবই বিব্রতকর। আমরা কেন হুমকির মুখে? আমাদের সুরক্ষা প্রয়োজন অথবা বহি®কৃত হবো এমন কথা ছাড়া আমাদেরকে আর কী বলার বাকী রয়েছে?
রামোসও বলেছেন যে, তিনি উদ্বিগ্ন যে, বিল সি-২৪-এর ভাষা ভীতির সঞ্চার করছে। তার ভাষায়, ‘‘একটি ব্যাপারে শঙ্কা আছে যে, লোকেরা পাসপোর্ট কিনে নিচ্ছে, তারা ভাষা ঠিকমত শিখছে না, তারা এদেশের ভাষা জানে না, সুতরাং নাগরিকত্বের পরীক্ষায় ভাষা ও ইতিহাসের ওপর বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। কিন্তু আপনি যদি এই আইন প্রণয়নের আগের তথ্য উপাত্ত দেখেন তাহলে দেখতে পাবেন যে, কানাডা অভিবাসন ও ভাষা শিক্ষার অনন্য রেকর্ডের অধিকারী। সুতরাং এটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে যে কেন আমাদের একটি নতুন নীতির প্রয়োজন হলো এমন কিছু জিনিস অন্তর্ভুক্ত করার জন্য যা ইতিমধ্যেই রয়েছে?’’
এই নিবন্ধের জন্য সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় যদিও বিশেষজ্ঞরা স্বীকার করেন যে, কানাডার জন্য তার ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং তা রক্ষা করা জরুরী তবু তারা আমাদের মূল্যবোধÑ যার মধ্যে বহুসংস্কৃতিবাদও অন্তর্ভুক্তÑ রক্ষার নামে সংস্কৃতিকে আইনের আওতায় আবদ্ধ করার মাধ্যমে কার্যত বর্ণবাদ এবং বিদেশীদের প্রতি ভীতিকেই উস্কে দেয়ার ঝুঁকি নেয়া হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
রামোস বলেন, ‘‘সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধ হলো জীবন্ত অস্তিত্ব।’’ অভিবাসী দেশ হওয়ার অর্থ হলো পরিবর্তনকে স্বাগত জানানো। তিনি আরও বলেন, ‘‘মূল্যবোধের ওপর এই নতুন গুরুত্বারোপের কারণে আমার যেটা উদ্বেগের বিষয় সেটি হলো, এটি একটি জীবন্ত সংস্কৃতির পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বিদ্যমান গতিশীলতার বিষয়টি দেখতে পাচ্ছে না।’’
সৈজন্যে: কানাডিয়ান ইমিগ্রেন্ট
জুলাই ২৭, ২০১৪