সারা আলি খান যে ভাবে সুঠাম দেহের অধিকারী
অনলাইন ডেস্ক : সারা আলী খানের জন্ম নবাব পরিবারে। তার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা সাইফ আলি খানের মেয়ে তিনি। মা অমৃতা সিংও ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তবে তারা দুজন ভিন্ন ধর্মের অনুসারী।

এই সারা একদিকে যেমন তারকাজুটির কন্যা আবার অন্যদিকে নিজেও একজন তারকা অভিনেত্রী। অনেকেই মনে করেন, তারকাদের জীবন ভীষণ সুখের। তবে যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এমনই প্রশ্ন শুনে একটি সাক্ষাৎকারে সহাস্য অভিনেত্রী সারা আলি খান জানিয়েছিলেন, তার জীবন ভীষণ দুঃখের। কারণ, খাওয়ার তালিকায় দুধ, চিনি, কার্বোহাইড্রেট থাকেই না। উল্টো তার দিন শুরু হয় হলুদ এবং পালংশাক ভেজানো ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে।
তবে সারার মতো ডায়েট মানলে তার মতো চেহারা পাওয়াও সম্ভব বলছেন খ্যাতনামা পুষ্টিবিদ সুমিত শর্মা। সমাজিক মাধ্যমে প্রভাবী সুমিত ওজন কমানোর কৌশল নিয়ে মাঝেমধ্যেই পরামর্শ দেন। তিনিই বলছেন, ‘কী খেতে হবে এবং কখন খেতে হবে, জানলেই মেদ ঝরানো সহজ হয়ে যায়।’ দু’মাসে নায়িকার মতো ছিপছিপে শরীর পেতে সকাল থেকে রাত, কোন সময় ডায়েট কেমন হওয়া উচিত বললেন তিনি।
সকালের নাস্তা: সকালের খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেন পুষ্টিবিদেরা। সেই খাবারে ফাইবার, প্রোটিন থাকা ভীষণ জরুরি। সুমিতের পরামর্শ, সকালের খাবারে অঙ্কুরিত ছোলা, মটর, তার সঙ্গে বিভিন্ন রকম বাদাম, নারকেল, টাটকা সবজি এবং ফল রাখা উচিত।
দুপুরের খাবার: দুপুরের খাবারে পরিমিত ভাতের সঙ্গে এক বাটি ডাল রাখতে বলছেন তিনি।
রাতের খাবার: রাতের খাবারে রুটির সঙ্গে একেক দিন একেক রকম সবজি।
একই সঙ্গে মনে করাচ্ছেন মধ্যাহ্ন বা নৈশ ভোজের আগে একবাটি স্যালাড খাওয়ার কথা। স্যালাড ওজন কমানোর জন্য যা অত্যন্ত জরুরি। তবে সুমিত নিরামিষ ডায়েটের পরামর্শ দিলেও সারার দৈনন্দিন খাবার ডিম, মাংস থাকেই। সারা স্বাস্থ্য সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন। নিয়মিত শরীরচর্চা এবং প্রাণায়ামও করেন।