জিন প্রযুক্তির কারিশমা : ফিরল ১২ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত প্রাণী
অনলাইন ডেস্ক : প্রায় ১২ হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ‘ডায়ার উলফ’ নামে এক প্রজাতির বিশালদেহী নেকড়েকে আধুনিক জিন প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি কলোসাল বায়োসায়েন্সেস। কিন্তু বিজ্ঞানী মহলে প্রশ্ন উঠেছে এর সত্যতা নিয়ে। খবর সময় টিভি’র।
জীববিজ্ঞানের মতে, প্রাচীন পৃথিবীতে অনেক বড় বড় তথা বিশালদেহী প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব প্রাণীর অনেকেরই বিলুপ্তি ঘটেছে। যেমন ডাইনোসর ও ম্যামথ (বিশালদেহী এক প্রজাতির হাতি)। তেমনই একটি বিশেষ প্রজাতির প্রাণী ডায়ার উলফ।
জিন বিশেষজ্ঞ রলেন্সের মতে, ২৫ লক্ষ বছর আগে বংশগতির ধারায় জিনগত পৃথকীকরণ হয়েছিল দুই প্রজাতির নেকড়ের। ফলে এখনও অনেক জিনগত মিল রয়েছে তাদের।
তবে নেকড়ে নয়, ডায়ার উলফ ভ্রূণের ‘গর্ভধারিণী’ (সারোগেট মাদার) হিসাবে বেছে নেয়া হয় কুকুরকে। কলোসাল বায়োসায়েন্সেস-এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) বেন ল্যাম টাইম ম্যাগাজিনকে জানিয়েছেন, তাদের বিজ্ঞানীরা একটি ১৩ হাজার বছর পুরনো দাঁত এবং ৭২ হাজার বছর পুরনো খুলি থেকে ডায়ার উলফের ডিএনএ সংগ্রহ করেন।
এই তিন ডায়ার উলফ ছানা এখন দুই হাজার একরের একটি সুরক্ষিত এলাকায় বাস করছে, যার অবস্থান গোপন রাখা হয়েছে। এলাকাটিকে ‘চিড়িয়াখানা মানের’ ১০ ফুট উঁচু বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। তাদের সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তারক্ষী, ড্রোন ও সরাসরি ক্যামেরা নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিংহভাগ বিশ্লেষকই বলছেন, এগুলো কেবল ‘জিন বদলানো ধূসর নেকড়ে’। নিউজিল্যান্ডের ওতাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিওজেনেটিসিস্ট ড. নিক রলেন্সের মতে, ‘কলসাল আসলে কয়েকটা ধূসর নেকড়ে তৈরি করেছে, তবে তাদের মধ্যে ডায়ার নেকড়ের কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন, তাদের খুলি বড় এবং পশম সাদা। এরা আসলে হাইব্রিড।’