কানাডার আলবার্টায় স্বাধীনতা আন্দোলন!
খুরশিদ আলম
আলবার্টা কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি প্রদেশ। জনসংখ্যা প্রায় অর্ধ কোটি। খনিজ, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে এই অঞ্চলে। বলা চলে কানাডার অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি এই প্রদেশটি। কিন্তু সুখ নেই এখানকার অনেকের মনে। কারণ, তারা মনে করছেন কেন্দ্রীয় সরকার তাদেরকে যথাযথ মর্যাদা দিচ্ছে না। স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়েও কেন্দ্রীয় সরকার তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছে না। আর এ কারণে তারা আলাদা হয়ে যেতে চাচ্ছেন কানাডা থেকে। একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসাবে তারা তাদের নিজেদের ভাগ্য গড়ে তুলবেন এরকম স্বপ্নই এখন দেখছেন তারা। আর এই স্বপ্ন অতি সম্প্রতি বেশ উজ্জীবিত করে তুলেছে তাদেরকে। বিশেষ করে চতুর্থবারের মত লিবারেল পার্টি অব কানাডা ক্ষমতায় আসার পর। তাদের বিশ্বাস, লিবারেল পার্টি তাদের ভাল চায় না। তাই নিজেদের ভাগ্য নিজেদেরকেই গড়ে তুলতে হবে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান Angus Reid পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে আলবার্টার অধিবাসীদের মধ্যে শতকরা ৩৬ জনই চান কানাডা থেকে আলাদা হয়ে যেতে। পাশাপাশি প্রদেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ‘ইউনাইটেড কনজারভেটিভ পার্টি’র সমর্থকদের মধ্যে এই হার শতকরা ৬৫ জন।
কানাডা থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার বিষয়ে সমর্থনের এই হার মোটেও উপেক্ষা করার মত নয়। এখন যদি একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয় তবে হয়ত দেখা যাবে আলবার্টার অধিকাংশ অধিবাসী কানাডা থেকে আলাদা হয়ে যাবার পক্ষে ভোট দিবেন। অথবা ব্যাপারটি এমন নাও হতে পারে। আলবার্টার প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল স্মিথ অবশ্য দাবি করে আসছেন তিনি কানাডা থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পক্ষে নন। তবে ড্যানিয়েলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড তার সেই দাবিকে খুব একটা সমর্থন করছে না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, তার দল সম্প্রতি একটি বিল উত্থাপন করেছে যেটি পাশ হলে গণভোট আয়োজনের পথ আরো সুগম হবে।

প্রস্তাবিত বিলে বলা হয়েছে গণভোট আয়োজনের জন্য জনগণের পক্ষ থেকে পিটিশন করতে হলে ৬০০,০০০ স্বাক্ষর সংগ্রহের যে বিধান রয়েছে সেটি কমিয়ে ১৭৭,০০০ করা হবে। বিলটি এখনো পাশ হয়নি। হলে ১৭৭,০০০ টি স্বাক্ষর সংগ্রহ করা কঠিন কাজ হবে বলে মনে হয় না বর্তমান পরিস্থিতিতে। সে ক্ষেত্রে গণভোটের আয়োজন করা হবে তাও নিশ্চিত বলা যায়। ড্যানিয়েল ইতিমধ্যে বলেছেন ২০২৬ সালে তিনি গণভোটের আয়োজন করতে চান।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ডুয়েন ব্র্যাট ধারণা করছেন যে ২০২৬ সালে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে এবং এটি আলবার্টাবাসীদের মধ্যে তীব্র বিভেদ সৃষ্টি করবে। তিনি বিশ্বাস করেন যে এই বিষয়টি ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড কনজারভেটিভ পার্টি-তে ফাটল তৈরি করবে। তিনি আরো বলেন, কেউ কেউ ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকায় যোগ দিতে চান। তবে দলের আরেকটি অংশ বলছে যে ‘আলাদা হয়ে যাব’ এটি আমাদের শোনা সবচেয়ে বড় বোকামি। আমাদের উদ্বেগ ট্যাক্সের বিষয়ে এবং আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রভিন্সিয়াল ‘ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি’ (এনডিপি) কে কিভাবে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার যায়, কানাডা থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নয়,” ব্র্যাট সিটিনিউজকে এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য যে, কানাডাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসাবে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কিছুদিন ধরেই। তিনি দাবি করে আসছেন এটা নাকি কানাডার জনগণও পছন্দ করেন। আর এটি কার্যকর হলে কানাডা হবে একটি দুর্দান্ত অঙ্গ রাজ্য। ট্রাম্প গত কয়েকমাস ধরে কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে একজন গভর্নর হিসাবে আখ্যায়িত করে আসছিলেন তার বিভিন্ন বক্তব্যে।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, কানাডার জন্য চরম অবমাননাকর ট্রাম্পের এই দাম্ভিকতা পূর্ণ আহ্বানে সাড়া দিয়ে কিছু মানুষ সত্যি সত্যি চাচ্ছেন কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হিসাবে দেখতে! এবং এই কানাডিয়ানদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। একটি জরিপে দেখা গেছে যে কানাডিয়ানদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এই ধারণার প্রতি উন্মুক্ত। এবং আরেকটি জরিপে দেখা গেছে প্রায় সমান শতাংশ আমেরিকানও এই একীভূতকরণের পক্ষে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘লেগার’ এর এক জরিপে দেখা গেছে কানাডার জনসংখ্যার শতকরা ১৩ জন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দিতে আগ্রহী। আর Abacus Data এর গবেষণায় দেখা গেছে শতকরা ৩০ জন কানাডিয়ানই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দিতে ইচ্ছুক।
আরো দেখা গেছে রাজনৈতিকভাবে যারা রক্ষণশীল বা কনজারভেটিভ আদর্শে বিশ্বাসী তাদের মধ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হওয়ার নতজানু নীতি বেশী কার্যকর। অর্থাৎ রাজনৈতিক বিশ্বাস এখানে একটি ভূমিকা রাখছে। এই কনজারভেটিভ আদর্শে বিশ্বাসীদের মধ্যে মার্কিনীদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ২৫%।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন চরম রক্ষণশীল আদর্শে বিশ্বাসী ব্যক্তি। আর আলবার্টায় ক্ষমতাসীন বর্তমান দলটিও কনজারভেটিভ আদর্শে বিশ^াসী। সুতরাং আলবার্টার ক্ষমতাসীন রাজনীতিকদের মধ্যে ট্রাম্পের প্রতি একটা আত্মিক বা মনোগত টান থাকাটাই স্বাভাবিক। এখন যদি আলবার্টার বেশিরভাগ মানুষ গণভোটে আলাদা হয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় দেন তবে পরিস্থিতি চরম জটিল আকার ধারণ করবে তাতে সন্দেহ নেই। ট্রাম্প তখন এখানে নাক গলাবেন এবং নানারকম উস্কানি দিবেন আলবার্টাকে আলাদা হয়ে যাওয়ার বিষয়ে। প্রয়োজনে তিনি হয়ত সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দিতে পারেন আলবার্টার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীর দিকে। আটবার্টার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি স্থল সীমান্তও রয়েছে।
এদিকে ট্রাম্পের রাজনৈতিক দল ‘রিপাবলিকান পার্টি’র নামের সাথে প্রায় হুবহু মিল রেখে আলবার্টায় নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশও ঘটেছে যার নাম ‘রিপাবলিকান পার্টি অফ আলবার্টা’। এদের যাত্রা শুরু হয় গত ২০২২ সালে। তখন অবশ্য এর নাম ছিল ‘ব্যাফেলো পার্টি অব আলবার্টা’। তবে গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই দলটির নাম বদল করে রাখা হয় ‘রিপাবলিকান পার্টি অব আলবার্টা’। এই দলের নেতা হলেন ক্যামেরন ডেভিস। ইতিপূর্বে তিনি ‘ইউনাইটেড কনজারভেটিভ পার্টি’র সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। আলবার্টার স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমমনা আরেকটি দল ‘ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টি’ও এগিয়ে এসেছে এবং রিপাবলিকান পার্টি অফ আলাবার্টার সাথে জোট বেধেছে।
এদিকে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ফেডারেল নির্বাচনে পিয়ের পলিয়েভ এর নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি অব কানাডা’র পরাজয়ের পর, লিবারেল সরকারের নীতিতে হতাশ আলবার্টার শত শত বিচ্ছিন্নতাবাদী অধিবাসী প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টের সামনে সমাবেশ করেছেন। তাদের দাবি তারা কানাডা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চান।
তবে এবারই প্রথম নয় যে আলবার্টাবাসীরা সার্বভৌমত্বের জন্য চাপ দিচ্ছে। ১৯৮০ সালে পিয়ের ট্রুুডো সরকার কর্তৃক ‘ন্যাশনাল এনার্জি প্রোগ্রাম’ অনুমোদন করার পর তা নিয়ে আলবার্টায় ব্যাপক বিক্ষোভের সূচনা হয়েছিল। ঐ সময় বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবও উত্থান লাভ করেছিল। ‘ন্যাশনাল এনার্জি প্রোগ্রাম’ এর লক্ষ্য ছিল পেট্রোলিয়াম শিল্পের উপর কানাডিয়ান মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করা, জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং জ্বালানি রাজস্বে ফেডারেল সরকারের অংশ বৃদ্ধি করা।
সম্প্রতি আলাবার্টায় বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব আবারও ফিরে এসেছে। এবং আলবার্টার প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল স্মিথের সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য গণভোটে যাওয়ার পথ সহজ করে তুলেছে। স্মিথ বলেন, যদি আলবার্টাবাসীরা চান, তাহলে তার সরকার বিচ্ছিন্নতার উপর গণভোটের আয়োজন করবে।
কানাডার ন্যাশনাল পোস্ট তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ১৯৭৫ সালে ‘ক্যালগারি হেরাল্ড’ ২২১ জন ক্যালগারিয়ানের উপর একটি জরিপ চালিয়েছিল বিচ্ছিন্নতাবাদ নিয়ে তাদের কি ভাবনা তা জানার জন্য। ক্যালগারি শহরটি আলবার্টার দক্ষিণ অংশে অবস্থিত। সেদিন মাত্র ৮ জন বিচ্ছিন্নতাবাদের পক্ষে সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন। শতকরা হিসাবে তা ৩.৬%। অন্যদিকে ৭০ শতাংশেরও বেশি বলেছেন যে অটোয়াতে আলবার্টার রাজনীতিবিদদের গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়নি।
পরবর্তী পাঁচ বছরে অবশ্য পরিস্থিতি আরো কিছুটা বদলে যায় এবং বিচ্ছিন্নতাবাদ আরো বৃদ্ধি পায়। ১৯৮০ সালে কানাডাপন্থী প্রয়াত প্রকাশক মেল হার্টিগ একটি জরিপ পরিচালনা করেছিলেন যেখানে দেখা গিয়েছিল যে ১৪ শতাংশ আলবার্টাবাসী বিচ্ছেদকে সমর্থন করেছেন।
ন্যাশনাল পোস্ট আরো জানায়, ২০০২ সালে যখন তৎকালীন লিবারেল সরকারের প্রধানমন্ত্রী জন ক্রিটিয়েন জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কিয়োটো চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করছিলেন, তখন আলবার্টার সেই সময়কার প্রিমিয়ার রাল্ফ ক্লেইন সতর্ক করেছিলেন যে এটি আবার্টাকে বিচ্ছিন্নতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। ক্যালগারি হেরাল্ডের কলামিস্ট নাওমি ল্যাক্রিটজ তখন প্রিমিয়ার ক্লেইন এর তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।
এমনকি ২০১৮-২০ সালেও, যখন ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, আলবার্টা, সাসকাচোয়ান এবং ম্যানিটোবাকে পৃথক করার পক্ষে ওকালতকারী ‘ওয়েক্সিট’ আন্দোলন উত্থানশীল ছিল এবং ম্যাভেরিক পার্টি (Maverick Party) গঠন করা হয়েছিল, তখনও বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনটি এতদূর এগোতে পারেনি। ম্যাভেরিক পার্টি কখনও কোনও আসন জিততে পারেনি এবং ২০১৯ বা ২০২৩ সালের নির্বাচনে কোনও প্রাদেশিক বিচ্ছিন্নতাবাদী দলেরই অর্থবহ প্রদর্শন ছিল না। মূলত ওয়েক্সিট কানাডা নামে পরিচিত ম্যাভেরিক পার্টি কানাডার তিনটি টেরিটরী এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, আলবার্টা, সাসকাচোয়ান ও ম্যানিটোবা প্রদেশের সার্বভৌমত্ব বৃদ্ধির পক্ষে ছিল।
২০১৯ সালে, Angus Reid Institute পরিচালিত এক জরিপে দেখা গিয়েছিল যে ৬০ শতাংশ আলবার্টার অধিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ‘ওয়েক্সিট’ এর সাথে যোগদানের ধারণার প্রতি উন্মুক্ত ছিলেন। তবে ঐ জরিপে Angus এর প্রশ্ন কিছুটা অস্পষ্ট ছিল। কারণ দেখা গিয়েছিল ThinkHQ Public Affairs সেই বছর আরেকটি জরিপ চালিয়েছিল এবং ঐ জরিপে একটি স্পষ্ট প্রশ্ন উপস্থাপন করা হয়েছিল – আপনি কি কানাডার সঙ্গে থাকার পক্ষে ভোট দেবেন নাকি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিবেন? তখন মাত্র ২৩ শতাংশ আলবার্টার নাগরিক বলেছিলেন যে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিবেন।
ন্যাশনাল পোস্ট আরো জানায়, অতি সম্প্রতি শেষ হওয়া ২০২৫ সালের ফেডারেল নির্বাচনের কিছুদিন আগে Angus Reid Institute কর্তৃক পরিচালিত জরিপে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন ২৫ শতাংশ বলে অনুমান করা হয়েছিল এবং যখন আলবার্টাবাসীদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে লিবারেলরা আবার সরকার গঠন করলে তারা কি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেবেন কিনা, তখন হ্যাঁ পক্ষের সংখ্যা ৩০ শতাংশে পৌঁছেছিল।
এখন প্রশ্ন করা যেতে পারে যে, আলবার্টার অধিবাসীদের এই আলাদা হয়ে যাওয়ার হুমকি আসলে কতটা গুরুত্ব বহন করে? তারা কি সত্যি সত্যি আলাদা হয়ে যাওয়ার মতো ক্ষমতা রাখে নাকি কেন্দ্র থেকে কিছু বাড়তি সুবিধা আদায়ের জন্য কয়েক বছর পর পর এই আলাদা হয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে?
অ্যাসোসিয়েশন ফর কানাডিয়ান স্টাডিজ এর সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে যে ৫২ শতাংশ কানাডিয়ান বিশ্বাস করেন আলবার্টাবাসীদের এই আলাদা হয়ে যাওয়ার হুমকিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। আর খোদ আলবার্টাতে এদের সংখ্যা ৬৩ শতাংশের মতো।
কিন্তু, অন্যভাবে বলতে গেলে, অন্তত Leger Marketing Inc. এর জরিপ অনুসারে, আলবার্টাবাসীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিকল্পটি এখনও এই যে, ৬৫ শতাংশ আলবার্টাবাসী কানাডা থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার ধারণাটির পক্ষে নন।
আলবার্টায় মুষ্ঠিমেয় কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী দল রয়েছে, যেমন ওয়াইল্ডরোজ ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টি অব আলবার্টা এবং ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টি অব আলবার্টা। সম্প্রতি এর সঙ্গে যোগ হয়েছে রিপাবলিকান পার্টি অব কানাডা। আলবার্টার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মূলত রক্ষণশীল রাজনৈতিক আদর্শের অনুসারী।
তবে আলবার্টার দুই প্রধান শহরের দুই মেয়র বলছেন বিচ্ছিন্নতাবাদ সংক্রান্ত সম্ভাব্য গণভোট হবে বিপজ্জনক একটি বিষয়। তারা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে আলবার্টার বিচ্ছেদ নিয়ে ক্রমবর্ধমান আলোচনারও সমালোচনা করেছেন। মেয়রদ্বয় আরো বলেছেন যে বিচ্ছিন্নতা বিষয়ক গণভোট তাদের স্থানীয় অর্থনীতির জন্য “বিধ্বংসী” হবে এবং এই সকল আলোচনা এমন একটি সময়কালে হচ্ছে যখন দেশটির ঐক্যের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা উচিত।
আলবার্টার রাজধানী এডমন্টন এর মেয়র অমরজিৎ সোহি সংবাদ সংস্থা দি কানাডিয়ান প্রেসকে বলেন, “এটি খুবই বিপজ্জনক আলোচনা, এটি আমাদের অর্থনীতির জন্য বিপজ্জনক আলোচনা। এটি আমাদের সামাজিক সংহতির জন্য বিপজ্জনক আলোচনা। এটি সম্প্রদায়গুলিকে ছিন্নভিন্ন করে দেবে।”
দি কানাডিয়ান প্রেস এর প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টির জয় এবং আলবার্টার প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল স্মিথের সরকারের একটি নতুন বিলের ফলে অসন্তোষ নতুন করে তীব্র আকার ধারণ করেছে।
উল্লেখ্য যে, কানাডার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে কোনও প্রদেশ একতরফা ভাবে দেশ থেকে আলাদা হতে পারে না। সম্পর্ক ছিন্ন করার পক্ষে গণভোটের রায় পেলে প্রদেশ এবং ফেডারেল সরকারকে কানাডার ফার্স্ট নেশন চুক্তি থেকে শুরু করে জাতীয় উদ্যানের মতো ফেডারেল জমির মালিকানাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। কানাডায় ‘ফার্স্ট নেশন চুক্তি’ হল আদিবাসী জনগণ এবং সরকার এর মধ্যে আইনি চুক্তি যা ভূমির অধিকার, সম্পদের ব্যবহার এবং অন্যান্য বাধ্যবাধকতার বিষয়গুলোকে সংজ্ঞায়িত করে। প্রিমিয়ার স্মিথ যদিও এই প্রশ্নগুলিতে আইনি পণ্ডিতদের উপর নির্ভর করেছেন, কিন্তু সাংবিধানিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে বিচ্ছিন্নতা আলোচনার জন্য কোনও রোডম্যাপ নেই।
এদিকে সমালোচকরা স্মিথের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তিনি এমন এক সময় বিচ্ছিন্নতাবাদের জ¦লন্ত আগুনে ইন্ধন জোগান দিচ্ছেন যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে দুই ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশের সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে।
এডমন্টন এর মেয়র অমরজিৎ কানাডিয়ান প্রেসকে বলেন, বিচ্ছিন্নতার প্রশ্নে গণভোট অনুষ্ঠিত হলে এই প্রভিন্স থেকে বিনিয়োগকারীরা অন্যত্র চলে যেতে পারে।
তিনি বলেন, “আমি ইতিমধ্যেই আলবার্টার রাজধানী এডমন্টনের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্যদের কাছ থেকে শুনতে পাচ্ছি যে তারা এই বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রশ্নটি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিচ্ছিন্নতাবাদ প্রশ্নে যদি একটি গণভোট হয়, তাহলে অবশ্যই আমাদের প্রভিন্স থেকে বিনিয়োগকারীরা সরে যাবে।”
ক্যালগারির মেয়র জ্যোতি গোন্ডেক কানাডিয়ান প্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, গণভোট আয়োজনের জন্য জনগণের পক্ষ থেকে পিটিশন করতে হলে ৬০০,০০০ স্বাক্ষর সংগ্রহের যে বিধান রয়েছে সেটি কমিয়ে ১৭৭,০০০ করার প্রস্তাব এই সময়ে বিভ্রান্তিকর যখন কানাডার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘এটি অনিশ্চয়তা তৈরি করে। এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার অভাব তৈরি করে। এটি একটি বিপজ্জনক খেলা।’
মেয়র জ্যোতি আরো বলেন, ‘এই প্রদেশের পৌরসভাগুলি অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গেছে। অতীতে এমনও আইন আমরা দেখেছি এবং অবাক হয়েছি যা আমাদের কাজ করার ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু তারপরও কখনও কোনও পৌরসভাকে এ কথা বলতে দেখা যায়নি, আমরা এই প্রভিন্সের সঙ্গে থাকতে চাই না, আমরা একটি স্বাধীন সত্তা হতে চাই। আমরা তা করি না কারণ আমরা জানি এটি টেকসই নয়। তাহলে এই আলবার্টা কীভাবে ভাবতে পারে যে কানাডার বাকি অংশ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া একটি ভালো ধারণা?’
বিচ্ছিন্ন হয়ে বা আলাদা হয়ে যাওয়ার ধারণাটি যে ভাল নয় এরকম কথা বলেছেন বিভিন্ন আদিবাসী বা ফার্স্ট নেশনস এর প্রধানগণও। তারা এর সমালোচনাও করেছেন। সমালোচনা করেছেন অন্টারিও প্রভিন্সের প্রিমিয়ার ড্যাগ ফোর্ডও। তিনি যদিও কনজারভেটিভ ঘরানার লোক তবুও ড্যানিয়েল স্মিথ এর পদক্ষেপকে ভাল চোখে দেখেননি। ড্যানিয়েলের নাম উল্লেখ না করেই সম্প্রতি তিনি বলেছেন, ‘কানাডা যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শুল্ক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে, তখন আমাদের ঐক্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার সময় এখন। এ কথা বলার সময় এখন নয় যে ‘ওহ, আমি দেশ থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছি’।
ড্যাগ ফোর্ডের এই মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে স্মিথ বলেন, ফোর্ডের সাথে তার দুর্দান্ত বন্ধুত্ব রয়েছে তবে তাদের উভয়ের শাসনের এলাকা এক নয়। ভিন্ন জুরিসডিকশন তাদের। তিনি বলেন, আমি তাকে কখনো বলবো না যে তিনি তার প্রদেশ কীভাবে পরিচালনা করবেন। তদ্রুপ আমিও আশা করব যে তিনি আমাকে বলবে না আমার প্রদেশ আমি কীভাবে পরিচালনা করবো।
উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি এক ডজনেরও বেশি ফার্স্ট নেশনসের প্রধানরা আলবার্টার রাজধানী এডমন্টনে একটি জরুরি সভা ডেকেছিলেন এবং পরে একটি সংবাদ সম্মেলনে প্রভিন্সটির বিচ্ছিন্নতার বিষয়ে যে কোনও আলোচনার নিন্দা জানিয়েছেন।
ফার্স্ট নেশনস এর প্রধানদের অনেকেই সতর্ক করে দিয়েছেন এই বলে যে, ক্রাউন সরকারের সাথে তাদের চুক্তিগুলি প্রদেশ গঠনের আগে থেকেই ছিল এবং সেই চুক্তিগুলিকে চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা আলবার্টার নেই।
আদিবাসী ‘পাইকানি নেশন’ (Piikani Nation) এর প্রধান ট্রয় নলটন বলেন,“আলবার্টায় বিচ্ছিন্নতার বাগাড়ম্বর এবং উন্মাদনা এই ভূমিতে, সমগ্র কানাডা জুড়ে উপকূল থেকে উপকূল পর্যন্ত আদিবাসী জাতিগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।”
তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, “আমরা কোথাও যাচ্ছি না। যদি আপনাদের মনে হয় যে ফার্স্ট নেশনস নিয়ে আপনাদের সমস্যা আছে, তাহলে আপনারা চলে যেতে পারেন।”
স্মিথ অবশ্য বলেছেন যে তিনি ফার্স্ট নেশনের সঙ্গে করা চুক্তিগুলি রক্ষা এবং সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কিন্তু কীভাবে তিনি তা করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তিনি আরো বলেছেন যে চুক্তির অধিকারগুলিকে ভোট দিয়ে বাতিল করা যাবে না এবং তিনি আশা করবেন যে, গণভোটে সেই অধিকারগুলিকে সম্মানিত করা হবে।
কানাডা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার বিষয়ে ভোটারদের কাছ থেকে তার কোন ম্যান্ডেট আছে কিনা জানতে চাইলে স্মিথ উল্লেখ করেন যে তার দল আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদকে সমর্থন করে না।
স্মিথের সম্ভাব্য গণভোট সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির মন্তব্য কি জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন কানাডিয়ানরা যখন একসাথে কাজ করে তখন কানাডা সর্বদা শক্তিশালী হয়।
এদিকে গত ২৩ মে প্রকাশিত এক জরিপে দেখা যাচ্ছে যে, অর্ধেকেরও বেশি কানাডিয়ান বুঝতে পেরেছেন কেন আলবার্টা কানাডা থেকে আলাদা হতে চায় – যদিও প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বলেছেন যে তারা চান না প্রভিন্সটি আলাদা হয়ে যাক।
জরিপটি পরিচালনা করে Leger survey. দেড় হাজারেরও বেশি কানাডিয়ানের উপর জরিপ চালিয়ে তারা দেখতে পেয়েছে যে ৫৫ শতাংশ কানাডিয়ান আলবার্টাবাসীদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার কারণটি বোঝেন। খবর দি কানাডিয়ান প্রেস এর।
অন্যদিকে শুধুমাত্র আলবার্টার বাসিন্দাদের বেলায় দেখা গেছে, তাদের ৭০ শতাংশই বুঝতে পেরেছেন কেন তাদের প্রদেশের লোকেরা কানাডা থেকে আলাদা হয়ে একটি স্বাধীন দেশ পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
জরিপে আরো দেখা গেছে যে, কনজারভেটিভদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ ভোটার বলেছেন যে তারা বিচ্ছিন্নতাবাদ আন্দোলনের পিছনের কারণগুলি বুঝতে পেরেছেন, তবে মাত্র ৪৮ শতাংশ লিবারেল সমর্থক একইভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
ড্যানিয়েল স্মিথ অবশ্য বারবার বলেছেন যে তিনি কানাডা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া সমর্থন করেন না। তাছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির সাথে আলবার্টার জন্য একটি নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার আশা করছেন। তিনি বলেছেন আলবার্টাবাসীরা হতাশ এই কারণে যে প্রদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ স্থলবেষ্টিত এবং এর তেল ও গ্যাস রপ্তানি প্রায় একচেটিয়াভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কম মূলে বিক্রি করা হয়।
Leger survey পূর্ব কানাডার নির্বাহী ভাইস-প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান ডালায়ার কানাডিয়ান প্রেসকে বলেছেন, জরিপটি ইঙ্গিত দেয় যে আলবার্টানদের প্রতি “সহানুভূতির একটি স্তর” রয়েছে মানুষজনের মধ্যে। তিনি আরও যোগ করেন যে, কানাডিয়ানরা
সম্ভবত মনে করেন না যে প্রদেশটি পৃথক হওয়া একটি ভাল ধারণা, কারণ এর ফলে পুরো দেশের জন্য এক ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।
শেষ কথা – আলবার্টা কি সত্যিই কানাডা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারবে? কানাডার আইন কি বলে? এ বিষয়ে ন্যাশনাল পোস্ট সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। নিচে তা তুলে ধরা হলো।
আলবার্টাকে কানাডা থেকে আলাদা হয়ে যেতে চাইলে প্রথম যে পদক্ষেপ নিতে হবে তা হলো, একটি গণভোটের আয়োজন করা। এটি ঘটতে পারে যদি প্রাদেশিক সরকার একটি গণভোটের আয়োজন করতে চায়, অথবা আলবার্টার Citizen Initiative Act এর অধীনে, যা যে কোনো আলবার্টার অধিবাসীকে পর্যাপ্ত সমর্থন পেলে তাদের উদ্বেগগুলি প্রাদেশিক গণভোটে উপস্থাপন করার অনুমতি দেয়।
আলবার্টার প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল স্মিথ বলেছেন যে তার সরকার এই ধরনের একটি গণভোট আয়োজন করবে, যদি তাদের যথেষ্ট সমর্থন থাকে। আর নাগরিকরা যদি এ বিষয়ে গণভোট আয়োজন করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে চায় তবে গত প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে যারা ভোট দিয়েছিলেন তাদের অন্তত ১০% লোকের স্বাক্ষর গ্রহণ করতে হবে। ২০২৩ সালে আলবার্টার সাধারণ নির্বাচনে ১.৮ মিলিয়ন আলবার্টান ভোট দিয়েছিলেন। সেই হিসাব অনুযায়ী যারা আলাদা হওয়ার জন্য গণভোট চান তাদেরকে প্রায় ১৮০,০০০ স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হবে।
তারপরের পদক্ষেপগুলো হবে Federal Clarity Act অনুসারে। এই আইনে বলা হয়েছে যে কানাডার কোন প্রদেশ একতরফাভাবে কানাডা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। যদি কোন প্রভিন্স বিচ্ছিন্ন হতে চায় তবে সেই প্রভিন্সকে ফেডারেল সরকার এবং বাকি প্রভিন্সগুলোর সাথে আলাদা হয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে হবে, কোনও ধরনের সাংবিধানিক সংশোধন এবং চুক্তির প্রসঙ্গ উঠলে তা মীমাংসা করতে হবে।
এছাড়াও বিচ্ছিন্নতার পক্ষে গণভোটের ফলাফল হতে হবে স্পষ্টভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ যা পরে বিচ্ছিন্নতার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য বাধ্যবাধকতা তৈরি করবে। দ্বিতীয়ত, গণভোটে জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নটি অবশ্যই “অস্পষ্টতামুক্ত” হতে হবে।
সবশেষে যদি দেখা যায় সবকিছুই সন্তুষ্টজনকভাবে এগিয়েছে- এবং সাথে Clarity Act এর অন্যান্য দিকগুলিও – এবং যদি শেষপর্যন্ত একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যায়, তাহলে আলবার্টা আলাদা হতে পারে। তবে আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অধ্যাপক এরিক অ্যাডামস বলেছেন যে এটি “অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে।”
খুরশিদ আলম
সম্পাদক ও প্রকাশক
প্রবাসী কণ্ঠ