জীবনের বহু রং
সাইদুল হোসেন
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
(চার)
মানুষের চরিত্র বদলায় না
Marcos Cicero (43 BC) of the Roman Empire wrote this amazing wisdom.
1.The Poor Work and work
2. The Rich Exploit the poor
3. The Soldier Protects both
4. The Tax Payer Pays for all three
5. The Banker Robs all four
6. The Lawyer Misleads all five
7. The Doctor Bills all six
8. The Goons Scare all seven
9.The Politician Lives happily on account of all eight
Written in 43 BC but valid even today, 2000 years later (year 2024)
(পাঁচ)
EUTHANASIA
AND ASSISTED SUICIDE
The Current Debate
Edited by Ian Gentles (1995)
কথাগুলোর সহজ-সরল ইংরেজী অনুবাদটা হবে [আমার জ্ঞানানুসারে] Mercy-killing of a terminally ill patient by his/her physician to end his/her physical and mental pain/suffering quickly [Euthanasia]. Here the physician decides the killing and method thereof. Euthanized to end suffering quickly.

But in case of Assisted Suicide [স্বেচ্ছামৃত্যু], ঃthe decision to end life and the method thereof come from the patient and his/her close relations, the doctor helps by assisting in ending the life in a professional manner. Purpose is the same: Quick end of the painfull life.
উক্ত বইটা পড়লাম। স্পর্শকাতর, জটিল প্রসংগ এবং আরো বেশী জটিল আলোচনা সংশ্লিষ্ট specialistদের। বহু কিছুই বোধগম্য হলো না। তবে শেষকথা যা বুঝলাম সেটা হলো এই যে দু’টি বিষয়ই legally very controversial. তবে দেশেদেশে বিষয় দু’টিকে প্রাচীন ধর্মীয় বিশ্বাসকে বর্জন করে আর্থ-সামাজিক ও রাষ্টীয় স্বার্থের সংগে সংগতি রেখে, আবেগ বা emotionকে প্রাধান্য না দিয়ে, বাস্তবতাটা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে জনগণ প্রস্তুত। এতে ৩টি সমস্যার সহজ সমাধান হবে-
১. Terminally ill অর্থাৎ চিকিৎসা করালেও অথবা আরো ওষুধ খাওয়ালেও বেঁচে থাকার অযোগ্য রোগীরা তাদের রোগযন্ত্রণা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবে;
২. নিকটাত্মীয়রাও মুক্তি পাবে আর্থিক ব্যয়ভার থেকে এবং worries and anxieties থেকে;
৩. চিকিৎসাখাতে সরকারী medical expenses কমবে, অন্য রোগীদের জন্য hospital beds পাওয়া সহজ হবে। ডাক্তার এবং নার্সেরা নিরাময়যোগ্য রোগীদের অধিক সাহায্য করতে পারবে।
বিষয় দু’টির প্রতি বিশ্বের প্রধান প্রধান ধর্মগুলি বিরোধিতা পোষণ করে।
“Euthanasia and assisted suicide raise legal, ethical and social questions that are both complex and disturbing.” For more than 30 years now the Netherlands has tolerated active euthanasia. The subjects are still being debated in the USA and Canada.
CP 24 TV news (Toronto) of December 12, 2024, showed that as many as 15,343 patients received medical assistance to die from the Canadian government in 2023, an increase of 15.8% over 2022.
কয়েক বছর আগে TV news-এ দেখেছিলাম যে ১০৪ বছরের একজন আমেরিকান ডাক্তার ইউরোপের Netherlands-এ গিয়ে স্বেচ্ছায় ডাক্তারের সাহায্য নিয়ে এক ক্লিনিকে আত্মহত্যা করেছেন। কি কারণ?
“আমার বয়স এখন ১০৪ বছর। অবিশ্বাস্য রকম দীর্ঘজীবন পেয়েছি আমি। পেশাগতভাবে আমি একজন ডাক্তার। পরিবারকে, সমাজকে যা দেয়ার সাধ্য ছিল আমি তা দিয়েছি। আমার মনে কোন অতৃপ্তি বা ক্ষোভ নেই। এখন দেহ-মন-মস্তিষ্ক অবসন্ন, আর কিছু দেয়ার সামর্থ্য নেই। কষ্টকর জীবনের বোঝা টানা অর্থহীন। তাই সজ্ঞানে আমি মৃত্যুবরণ করছি।”
(ছয়)
পোষা পশু-পাখির কথা
আজ থেকে ৩৪ বছর আগের কথা। আমাদের ছোটছেলের বস্ ছিলেন এক ইন্ডিয়ান পাঞ্জাবী। অফিস ছিল ব্রাম্পটনে। তার বসের পোষা একটা কুকুর ছিল যে ইংলিশ, হিন্দি এবং পাঞ্জাবী এই তিনটি ভাষাই বুঝতো এবং সেই অনুসারে আদেশ পালন করতো।
***
আমরা স্বামীস্ত্রী যে সিনিয়র সিটিজেন্স্ বিল্ডিংয়ে বাস করি, আমাদের ফ্লোরে একজন পড়শী হলো এক সাউথ আমেরিকান Spanish speaking মহিলা। সে একাকী বাস করে। তার সাথী বা companion হলো একটা পুরুষ বিড়াল। নাম Philip. মহিলা Spanish and English এই দু’টি ভাষাতেই communicate করে থাকেন- তিনি একজন bilingual person.
এর ফলে তার কুকুরটাও bilingual হয়ে গেছে। English and Spanish, দু’টি ভাষাই সে বুঝে এবং সেই অনুসারে আদেশ পালন করে থাকে, কোন ভুল করে না।
Philip আমাকে খুব পছন্দ করে।
সন্ধ্যার পর আমি রোজই আমার walker-এ ভর দিয়ে আমাদের ফ্লোরের করিডোরে কিছুক্ষণ হাঁটি। আমাকে দেখতে পেলেই সে দৌড়ে আমার কাছে আসে, আমার মুখের দিকে তাকায়, আমার দু’পায়ের ফাঁকে ওর মাথাটা ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ ঘুরাফেরা করে, নাক দিয়ে আমার জুতা এবং প্যান্টটা শুঁকে। ওর মালিক মহিলা ডাকলেই সে তার কাছে চলে যায়। আবার দৌড়ে আসে। সে আমাকে আমার এপার্টমেন্টের দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে বিদায় নেয়।
মহিলা কথা প্রসংগে একদিন আমাকে জানালো যে আমার কথা Philip-এর মনে পড়লেই সে আমার এপার্টমেন্ট পর্যন্ত হেঁটে আসে, দরজায় শুঁকে শুঁকে আমার গন্ধ নেয়, মুখ তুলে ভেতরে আমাকে দেখার চেষ্টা করে, তারপর নিজেদের এপার্টমেন্টের দিকে ফিরে যায়।
***
আমাদের এক পরিচিত লোক তিনটা বিড়াল পোষে। আদেশ-নির্দেশ দেয় ইংলিশে, ওরা তা বোঝে।
ওর ওয়াইফ একজন রাশ্যান। সে ওদেরকে রাশ্যান ভাষায় আদেশ-নির্দেশ দেয়। শুরুতে ওরা কিছুই বুঝতো না, মুখ তুলে তাকিয়ে থাকতো। বহুদিন এমনটা চলতে চলতে বিড়াল তিনটা রাশ্যান ভাষাটা এখন কিছুটা বুঝতে পারে, কখনো কখনো সঠিক সাড়া দেয়।
***
আমার ওয়াইফ আমাকে একদিন জানালো যে সে YouTube-এ একটা clip দেখেছে যেখানে একটা কাক বাংলা ভাষায় কথা বলছে। ঘটনার বিবরণটা এরকম-
বাংলাদেশের কোন এক গ্রামের একটা ছেলে আহত, দুর্বল একটা কাকের বাচ্চাকে পথ থেকে তুলে বাড়িতে নিয়ে আদর যত্ন করে পালতে লাগলো। কাকটা ক্রমশঃ সুস্থ-সবল হতে লাগলো; ঘরের বাইরে গেলেই ছেলেটা কাকটাকে ওর মাথার উপর বসিয়ে রাখে। ছেলেটা ওর সংগে সর্বক্ষণ নানা বিষয়ে কথা বলে, সেসব সে ঘাড় কাত করে শুনে। এমনটা চলতে চলতে হঠাৎ একদিন দেখা গেল যে কাকটা স্পষ্ট করে ছেলেটার নাম উচ্চারণ করছে। আশ্চর্যান্বিত হয়ে মাথা থেকে ওকে নামিয়ে হাতে নিয়ে ছেলেটা কাকটাকে জিজ্ঞাসা করলো, “বল তো আমার নাম কি?”
উপস্থিত সবাইকে অবাক করে দিয়ে কাকটা তৎক্ষণাৎ ছেলেটার নামটা বলে দিলো!
তারপর পরের প্রশ্ন“ : “তুই কে?”
উত্তর, “আমি কাক!”
একজনকে আংগুল উঠিয়ে দেখিয়ে বললো, “ও কে?”
কাকটা জবাব দিল, “ভাই!”
ক্রমে ক্রমে জানা গেল যে কাকটা আরো কিছু বাংলা শব্দ জানে এবং বলতে পারে।
(সাত)
আদমী
আদম থেকে আদমী।
“আদমী” কথাটা ফার্সী, অর্থ “মানুষ”। মূলতঃ আরবী ভাষার “আদম” কথাটা থেকে উদ্ভূত। ইসলাম ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ (আরবী ভাষায়) আল কুরআনে সর্বপ্রথম মানব (মানুষ) বা আদমকে মাটি থেকে সৃষ্টির কথা বর্ণিত আছে। আদম থেকেই তাঁর স্ত্রী হাওয়ার সৃষ্টির কথাও বলা আছে সেখানে।
২.০ ইহুদি এবং খৃষ্টানদের বাইবেলেও GOD বলেছেন যে Adam-কে তিনি সর্বপ্রথম মানব হিসাবে সৃষ্টি করেছিলেন dust থেকে এবং তার স্ত্রী Eve-কে তার বুকের হাড় (rib) থেকে এবং তাদের দু’জন থেকেই পৃথিবীর সর্বত্র তিনি মানুষ ছড়িয়ে দিয়েছেন। Adam এই দুনিয়াতে ৯৩০ বছর বেঁচেছিলেন।
৩.০ অন্যদিকে আদমীকে আরবী ভাষায় “ইনসান-”ও বলা হয়ে থাকে। তাঁর আল-কুরআনে আল্লাহ জানিয়েছেন যে তিনি ইনসান জাতি এবং জিন্ জাতিকে এই দুনিয়াতে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁরই ইবাদত করার উদ্দেশ্যে, অন্য কারো নয়। এবং এই ইনসান জাতির সর্বপ্রথম পুরুষই হলেন আদম। তাঁর অপর বৈশিষ্ঠ্য হলো এই যে তিনি একজন নবী (Prophet)ও ছিলেন। সর্বপ্রথম মানুষ এবং সর্বপ্রথম নবী- দুইই। এবং আদম ও তাঁর স্ত্রী হাওয়ার সন্তানেরাই হচ্ছে পৃথিবীর সর্বত্র বিচরণশীল মানুষেরা। এসব হচ্ছে ইসলামী শিক্ষা।
৪.০ ইনসান অর্থ মানুষ; ইনসানিয়াৎ হচ্ছে মনুষ্যত্ব। তাই আদমীকে দয়া-মায়া-স্নেহ-ভালোবাসা-ত্যাগ-সহনশীলতা-সহযোগিতা ইত্যাদি গুণ অর্জন করে/প্রদর্শন করে ইনসানও হতে হবে। শুধুমাত্র আদমী হলেই চলবে না। তবে স্মরণ রাখতে হবে যে মনুষ্যত্ব গুণটা নির্দিষ্ট কোন ধর্মের মাঝে আবদ্ধ নয়, এটা ব্যক্তিগত চরিত্র।
এই আদম কথাটা থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় নানা অর্থবোধক বেশ কিছু গল্পের এবং শব্দের সৃষ্টি হয়েছে। কিছু দৃষ্টান্ত।
১. Adam’s Footprint (Adam’s Peak)
বাইবেল ও কুরআনের কাহিনী থেকে জানা যায় যে Eden-এ (আরবী জান্নাতে) জন্ম নেয়া Adam (আদম) God-এর (আল্লাহর) একটা আদেশ অমান্য করার শাস্তিস্বরূপ তাঁকে তাঁর স্ত্রী Eve (হাওয়া) কেসহ Earth-এ (পৃথিবীতে) নির্বাসিত করা হয়। জনশ্রুতি বা Legend অনুসারে পৃথিবীর যে স্থানে আদম সর্বপ্রথম তাঁর পা রেখেছিলেন সেই স্থানটা হচ্ছে ৭,৩৫৯ ফুট উঁচু একটা পাহাড় যা বর্তমানে শ্রীলংকার রত্নপুরা অঞ্চলে অবস্থিত। সেখানে মানুষের পায়ের ছাপের মত পাথরে গভীর একটা পদচিহ্ন রয়েছে যার পরিমাপ ৬৭ ইঞ্চি লম্বা এবং ১৮ ইঞ্চি প্রশস্ত। সেই পাথরটার উচ্চতা ১.৮ মিটার।
সেটার স্থানীয় [শ্রীলংকার Sinhalese ভাষায়] নাম হচ্ছে “শ্রী পাদা” (The Holy Foot) বৌদ্ধদের ধারণা এই যে সেটা মহাজ্ঞানী বুদ্ধের পায়ের ছাপ (Footprint). So that’s a Holy Place.
অন্যদিকে খৃষ্টান ও মুসলিমদের ধারণা মতে সেই পদচিহ্নটা হচ্ছে সর্বপ্রথম মানব আদমের। Adam’s Footprint.
২.Adam’s Bridge (RAM SETU/রাম সেতু)
ইন্ডিয়ার সর্ব দক্ষিণ রাজ্য তামিল নাডুর রামেশ্বরণ থেকে সাগরের উপর প্রায় ২২ মাইল দীর্ঘ পাথরের তৈরী একটি সেতু [বর্তমানে পানির তলায় ডুবন্ত] শ্রীলংকার পাম্বান শহরকে যুক্ত করেছে যার ঐতিহাসিক নাম হচ্ছে “রাম সেতু”। অপর নাম Pamban Bridge. হিন্দুদের ধারণা যে ঐ সেতুটি ৭০০০ বছর আগে তাদের ভগবান রাম তাঁর সৈন্যদের দ্বারা নির্মান করিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী সীতাকে লংকার রাজা রাবণের কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য।
অন্যদিকে জনশ্রুতি বা Legend অনুসারে মুসলিমদের মাঝে কিছু লোক বিশ্বাস করে বা বলে বেড়ায় যে প্রথম মানব নবী আদম জান্নাত থেকে বহি®কৃত হওয়ার পর শ্রীলংকায় অবতরণ করেন, অতঃপর সেই সেতু নির্মাণ করে [অথবা সেই সেতুর উপর দিয়ে হেঁটেহেঁটে] ভারতে পৌঁছান। সুতরাং সেই সেতু আদমের সেতু বা Adam’s Bridge.
সবই লোকপ্রিয় জনশ্রুতি, সেসবের সত্যতা খুঁজতে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
৩. আদমসুরাত (আরবী)
আরবী আদমসুরাত অর্থ হচ্ছে “মানুষের আকৃতি”।
এটা হচ্ছে মহাকাশে অবস্থিত সাতটি তারার একত্র অবস্থানের বর্ণনা যাকে আমরা “সপ্তর্ষিমন্ডল” নামে জানি। হিন্দুদের জোতিষ শাস্ত্র (Astronomy) অনুসারে সেই সাতটি তারার নাম ঃ মরীচি, অত্রি, অংগিরা, পুলস্থ্য, পুলহ, ক্রতু, বশিষ্ঠ- এরা ব্রম্মার মানসপুত্ররূপে খ্যাত সাত ঋষিশ্রেষ্ঠ। এটাকে কালপুরুষও বলা হয়।
ইংরেজীতে (Astronomy) এদের সমষ্টিগত নাম : the Great Bear or the Ursa Major.
Arab Astronomers এরই নাম দিয়েছেন “আদমসুরাত” কারণ তাঁদের দৃষ্টিতে রাতের অন্ধকারে আকাশে সেই সপ্তর্ষিমন্ডলটির আকার একটা আদম বা মানুষের আকৃতির মত বলেই মনে হয়। তাই সেটা “আদমসুরাত”।
৪. আদমশুমারী (ফার্সী)
শব্দার্থ অনুসারে বাংলা অনুবাদ হচ্ছে মানুষ শুমারী (অর্থাৎ গণনা) করা। প্রচলিত অর্থে কোন একটি দেশের কোন একটি নির্দিষ্ট সময়ে লোক গণনা ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ। ইংরেজীতে Census.
৫. আদমব্যাপারী
এক শ্রেণীর চতুর ব্যবসায়ী লোক যারা বিদেশে সফল/লাভজনক চাকরি অথবা অর্থোপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে দেশের যুবকশ্রেণী থেকে মোটা অংকের দালালীর অর্থের বিনিময়ে বিদেশে পাঠায় কিন্তু বহুক্ষেত্রেই cheating করে। ওরা বিদেশে গিয়ে প্রতিশ্রুত অনেক কিছুই পায় না। সর্বস্বান্ত হয়ে দেশে ফিরে আসে অথবা বিদেশেই প্রাণ হাতে নিয়ে ভিন্ন কোন সুযোগ খুঁজে। ওদিকে আদমব্যাপারী দালালেরা অন্যের কষ্টের দেয়া অর্থ দিয়ে বিত্তবান হয়ে সুখে দিন কাটায়।
৬. আদম ও ইনসান
মায়ের গর্ভ থেকে আদমী জন্ম নেয় বটে কিন্তু সংগে সংগেই সে ইনসান হয় না। বড় হয়ে শিক্ষাদীক্ষা ও উত্তম আচার-আচরণ শিখলে তবেই মনুষ্যত্বের গুণাবলীমন্ডিত ইনসান হওয়া সম্ভব।
একটা উর্দু গানে শুনেছিলাম স্ত্রী বলছে যে ওর স্বামীটা আদমী বটে কিন্তু ইনসান নয়, সে ওকে মারপিট-অত্যাচার করে। তাই সে সাধ্যমত তার স্বামীর সাথে নানা কায়দা-কস্রৎ করে যাচ্ছে যাতে তার খারাপ স্বভাবটা ছাড়িয়ে তাকে ইনসান বানাতে পারে।
অন্য এক হিন্দি মুভিতে দরিদ্র শ্রেণীর একটি নারীকে বলতে শুনলাম, “হামারা আদমীঠো বহুৎ আচ্ছা ইনসান হ্যায়, মুঝে পেয়ার কারতা হ্যায়”, অর্থাৎ ওর স্বামীটা খুব ভালো লোক, সে ওকে ভালোবাসে।
এখানে আদমী বলতে মানুষ নয়, স্বামীকে বুঝানো হয়েছে।
৭. জগজিৎ সিং ও চিত্রা সিংয়ের গাওয়া একটা গজলে একটা কলি আছে এরকম :
“আদমী আদমীকো কেয়া দেগা?
জো দেগা ওহ খুদা দেগা।”
অর্থাৎ মানুষ মানুষকে দেবার কি অধিকার রাখে? দেবার মালিক তো একমাত্র আল্লাহ। যা দেবার তা আল্লাহই দিবেন।
৮. আদমী না পাজামা হালায়?
কোন বাংলাদেশী ঢাকায় জীবনের কিছুদিন কাটিয়েছেন পড়াশুনা অথবা চাকরি জীবনে অথচ পুরান ঢাকার বাসিন্দা কুট্টিদের রসিকতা শুনেননি এমন দৃষ্টান্ত খুব বিরল। আমি নিজেও দীর্ঘদিন পুরান ঢাকায় কাটিয়েছি আজ থেকে ৬০-৭০ বছর আগে। আমার কাছে প্রাইভেট পড়তো যে ছেলেরা ওদের বেশীর ভাগই ছিল কুট্টি, ওদের নিজস্ব ভাষাতেই ওরা কথাবার্তা বলতো। বহু রসিকতাও শুনেছি ওদের মুখে। তাছাড়া কুট্টি পাবলিক তো ছিলই চারপাশে।
আমার বর্তমান প্রবন্ধটার theme-এর সংগে খাপ খেয়ে যায় তেমন একটা ঢাকাইয়্যা কুট্টি রসিকতা বলেই লেখাটার ইতি টানবো।
আলোচনাকালে বক্তার কোন কথা পছন্দ না হলে ওদের বলতে শুনতাম : “কি কইতাচেন মিঞা? আপনে আদমী না পাজামা হালায়?”
(আট)
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এব্রাহাম লিংকন
[কিছু তথ্য]
ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
এব্রাহাম লিংকনের জীবনকাল ছিল ফেব্রুয়ারী ১২, ১৮০৯ – এপ্রিল ১৫, ১৮৬৫, এবং তিনি ১৮৬০-১৮৬৫ পর্যন্ত ৪ বছর কাল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি ছিলেন সেদেশের ১৬তম প্রেসিডেন্ট। তাঁর সংগ্রামী জীবনের উত্থান-পতন এবং প্রেসিডেন্ট হিসাবে U.S. Senate-এ তাঁর প্রথম ভাষণটাকে কেন্দ্র করে কিছু ঐতিহাসিক তথ্য বিভিন্ন সূত্র থেকে নীচে পরিবেশন করছি।
(প্রথম পর্ব)
Internet- থেকে সংগৃহীত একটা Motivational Speech-এর বাংলা অনুবাদ।
“এব্রাহাম লিংকনের বাবা ছিলেন পেশায় একজন জুতা তৈরীকারক মুচি। ১৮৬০ সনে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পর এব্রাহাম লিংকন U.S. Senate-এ তাঁর প্রথম ভাষণ দিতে উঠেছেন ঠিক সেই মূহুর্তে একজন ধনী অভিজাত Senator উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “মিঃ লিংকন, আপনি ভুলে যাবেন না যে আপনার বাবা আমাদের পরিবারের জন্য জুতা তৈরী করতেন।”
কথাটা শোনা মাত্র Senate-এর উপস্থিত সব সদস্য হো হো করে হেসে উঠলেন।
প্রেসিডেন্ট লিংকন সেই Senator-এর চোখে চোখ রেখে বললেন, “স্যার, আমি জানি যে আমার বাবা আপনাদের পরিবারের জন্য জুতা বানাতেন এবং এখানে উপস্থিত অন্য আরো অনেক Senator-এর পরিবারের জন্যও জুতা বানাতেন কারণ তাঁর মত উত্তম জুতা আর কেউ বানাতে পারে না; তিনি তাঁর সব আন্তরিকতা দিয়ে জুতা বানাতেন।”
“আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে চাই : তাঁর তৈরী কোন জুতা সম্পর্কে আপনার কোন অভিযোগ আছে কি? যদি থেকে থাকে তাহলে বলুন, আমি আপনাকে নূতন এক জোড়া জুতা বানিয়ে দেবো, আমি নিজের হাতে জুতা তৈরী করতে জানি। তবে আমার জানা মতে আমার বাবার হাতে তৈরী জুতা সম্পর্কে কেউ কোনদিন কোন অভিযোগ করেনি। জুতা তৈরী করার বিষয়ে বাবা ছিলেন একজন genius, বাবাকে নিয়ে আমি গর্বিত বোধ করি।”
তাঁর জবাব শুনে সমস্ত Senators অবাক! স্তব্ধ! এ-কি বললেন লিংকন!
Motivational Speaker-এর মতে এই ঘটনাটা থেকে শিক্ষণীয় বিষয়টা হলো এই যে-
কেউ অপমানসূচক কোন কথা বলে আপনাকে লোকচোখে হেয় করতে চেষ্টা করলে আপনি তাৎক্ষণিকভাবে রেগে গিয়ে তাকে গালাগালি করবেন না, পরিস্থিতিটা ভেবে নিয়ে যুক্তিপূর্ণ প্রতিউত্তর দেবার চেষ্টা করবেন। রেগে আত্মহারা হয়ে গেলে আবোলতাবোল কথা বলে আরো অধিক অপদস্থ হবেন। চাই আত্মসংযম ও স্থির বুদ্ধি। রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। Angry? You lose.
(দ্বিতীয় পর্ব)
ABRAHAM LINCOLN DIDN’T QUIT
Probably the greatest example of persistence is Abraham Lincoln. If you want to learn about somebody who didn’t quit, look no further.
এবার জেনে নিন আরো কিছু অবিশ্বাস্য ঘটনার সার-সংক্ষেপ যা তাঁর জীবনে ঘটেছিল। বাংলা অনুবাদ।
“দরিদ্র পিতামাতার ঘরেই তাঁর জন্ম হয়েছিল। আজীবন তিনি পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছেন নানা ক্ষেত্রে। তিনি একের পর এক আটটি ইলেকশনে হেরেছেন; বিজনেস করতে গিয়ে দু’বার ফেইল মেরেছেন (bankrupt হয়েছেন), nervous breakdown-এ ভুগেছেন।
“হাল ছেড়ে দিতে পারতেন বহুবারই কিন্তু তিনি তা করেননি এবং তা করেননি বলেই তিনি আমেরিকার greatest Presidentদের একজন হতে পেরেছিলেন।
“লিংকন ছিলেন একজন champion, তিনি কখনো পরাজয় স্বীকার করেননি। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে (১৮৬০) White House-এ নিজের স্থানটা পাকা করার journeyটা ছিল এরকম ঃ
১৮১৬ তাঁর পরিবারকে নিজেদের বাড়িটা ছাড়তে বাধ্য করা হয়। শ্রমিকের কাজ করে তিনি মা-বাবাকে সেই দুর্দিনে সাহায্য করেন।
১৮১৮ তাঁর মা মারা যান।
১৮৩১ বিজনেস করতে গিয়ে ফেইল মারেন।
১৮৩২ State legislature-এ election-এ পরাজিত হলেন।
১৮৩২ চাকরিচ্যুত হন। Law school-এ ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করলেন। বিফল হলেন।
১৮৩৩ এক বন্ধুর কাছ থেকে কিছু ডলার ধার নিয়ে একটা বিজনেস শুরু করলেন কিন্তু বছরের শেষে bankrupt হয়ে বিজনেস গুটাতে বাধ্য হলেন। সেই ঋণ শোধ করতে সময় লাগলো সুদীর্ঘ ১৭টি বছর।
১৮৩৪ State legislature- এ election-এ অংশগ্রহণ করলেন। এবারে জিতলেন।
১৮৩৫ যে নারীটিকে বিয়ে করবেন বলে engagement করলেন, সেই ভালোবাসার পাত্রীটি হঠাৎ মারা গেল। হৃদয়ে দারুণ আঘাত পেলেন লিংকন।
১৮৩৬ Total nervous breakdown-এ ছ’মাস ধরে শয্যাশায়ী রইলেন।
১৮৩৮ State legislature-এর speaker হতে চেষ্টা করলেন। হেরে গেলেন।
১৮৪০ Elector হতে চেষ্টা করলেন। পরাজিত হলেন।
১৮৪৩ Congress-এর member হওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করলেন। হারলেন।
১৮৪৬ আবার Congress-এর member হওয়ার চেষ্টা করলেন। এবার জিতলেন। Washington গেলেন, কিছু প্রশংসনীয় কাজ করলেন সেখানে।
১৮৪৮ Congress-এ re-election -এর প্রতিযোগিতায় হেরে গেলেন।
১৮৪৯ একজন land officer-এর পদের জন্য দরখাস্ত করলেন নিজেরই State-এ, দরখাস্তটা rejected হয়ে গেল।
১৮৫৪ United States-এর Senate-এ পদপ্রার্থী হলেন। হেরে গেলেন।
১৮৫৬ Vice-President পদে nomination-এর জন্য প্রার্থী হলেন। কিন্তু তাঁর নিজের পার্টিই তাঁকে reject করলো- তিনি vote পেলেন একশ’রও কম।
১৮৫৭ U.S.Senate-এ Senator হতে প্রতিযোগিতা করলেন। আবার হেরে গেলেন।
১৮৬০ United States of America’র President পদে elected হলেন।
একবার একটা Senator নির্বাচনে হেরে যাবার পর এব্রাহাম লিংকন বলেছিলেন, “এবার হেরেছি তো কি এমন হয়েছে? সামনের পথটা একটু অসমান এবং পিচ্ছিল ছিল। আমার একটা পা কিছুটা পিছলে গিয়েছিল মাত্র, আছাড় খেয়ে ধপাস করে মাটিতে তো পড়ে যাইনি! পরের বার আবার লড়াই হবে।”
Aknowledgement:
Copied and translated (pages 236-237) from: Chicken Soup for the Soul.
101 Stories To Open the Heart And Rekindle The Spirit, written and compiled by Jack Canfield and Mark Victor Hansen.
Publisher :Health Communications, Inc.
3201 S.W. 15th Street
Dearfield Beach,
Florida 33442-8190, USA (1993)
সাইদুল হোসেন
মিসিসাগা