পঞ্চাশ পেরিয়েও ফিট মালাইকা
অনলাইন ডেস্ক : কুড়িতেই বুড়ি। এরকম একটি প্রবাদ একসময় ছিল সবার মুখে মুখে। কিন্তু সেই দিন ফুরিয়ে গেছে অনেক দিন আগেই। বরং এখন ৪০ বছর বয়সেও তারুণ্যের দীপ্তি ছড়াচ্ছেন অনেকেই। তবে তার জন্য চাই সাধনা। সেই সাধনা করেন বলিউডের নায়িকা মালাইকা।

মনে রাখতে হবে আমাদের দৈনন্দিন কিছু অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস রূপের জলুসকে প্রতিহত করে। তার মধ্যে রোদে পোড়া অন্যতম। খুব বেশি রোদ আমাদের ত্বককে কুঁচকানো ও বার্ধক্যের ছাপ ফেলতে সাহায্য করে। ধূমপান, মদ্যপান, নিয়মিত গভীর রাত জাগা এবং অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাও ত্বকের জন্য ভালো নয়। এ ধরনের বার্ধক্যকে বাহ্যিক বার্ধক্য বলে, যা বাহ্যিক কারণে ঘটে। আসুন তাহলে দেখে নেই ৫১ বছর বয়সেও নিজেকে কিভাবে ফিট রেখেছেন বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা আরোরা। একইসঙ্গে ধরে রেখেছেন তারুণ্যও। এর পেছনের রহস্য জানতে চান অনেকেই। মূলত মালাইকা তার খাবার দাবাড়ের ব্যাপারে খুব সচেতন। পাশাপাশি নিয়মিত জিম করেন এ অভিনেত্রী।
সমকাল জানায় সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে মালাইকা জানিয়েছেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তার খাবারের তালিকায় কী কী থাকে। মালাইকা দিন শুরু করেন জুস দিয়ে। সকালে তিনি আপেল, বিটরুট ও গাজরের জুস খান।
মালাইকা জানান, তিনি ফল ও সবজির জুসে আদার রসও যোগ করেন। চিকিৎসকেরা জানান, আপেল, আদা, বিট ও গাজরের রসে রয়েছে এমন সব উপাদান, যা শরীরকে দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। সকালে ওই ফলের রস শরীরকে বাড়তি কাজের ক্ষমতাও দেয়।
দুপুর ১২টায় মালাইকাকে অ্যাভোকাডো টোস্ট খান। তবে মালাইকার টোস্টে পাউরুটি নেই। অ্যাভোকাডোরই দু’টি মোটা পরতের মাঝে ডিম অথবা চিকেন দিয়ে তৈরি টোস্ট খান তিনি।
দুপুর আড়াইটায় মালাইকার মেন্যুতে থাকে খিচুড়ি। হাতে বাটিভর্তি খিচুড়ি নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমার প্রিয় খাবার হল খিচুড়ি। দারুণ লাগে। অনেক সবজি, ডাল দিয়ে তৈরি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটা খাবার।’’
দুপুরের খাবার খাওয়ার আড়াই ঘণ্টা পরে ফল খান মালাইকা। ঠিক বিকেল ৫টায়। চেরি ও ব্লুবেরি খেতে খেতে মলাইকা বলেন, ‘‘বিকেল ৫টায় আমার ফল চাই। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরা চেরি আর ব্লুবেরি।’’