ভালো থাকতে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়া উচিত : তবে অতি ভাল ভাল নয়
অনলাইন ডেস্ক : অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। যেমন অতিরিক্ত খাবার, অতিরিক্ত ঘুম, অতিরিক্ত কথা বলা। এ সবই মানব জীবনে নানা রকম সমস্যা তৈরী করে।
অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলাও এর ব্যতিক্রম নয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য-ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘হেনরি ফোর্ড হেল্থ’ এর পুষ্টিবিদ কেলি নোহল বলেন, “ভালো বিষয় যে সবসময় উপকার বয়ে আনে। তবে বেশি ভালো আবার ভালো না।” এ খবর জানায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

কেলি নোহল এরকমই কয়েকটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের উদাহরণ দিয়েছেন যার মধ্যে আছে :
বেশি ভিটামিন গ্রহণ করা : প্রতিদিন ‘মাল্টিভিটামিন’ ওষুধ সেবন করা আদৌ প্রয়োজন আছে কি-না, সেটা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এদের মধ্যে শক্তিশালী ভিটামিনগুলো আবার হিতে বিপরীত ঘটাতে পারে।
নোহল বলেন, “দৈনিক চাহিদার চারগুন ভিটামিন সেবন ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। কারণ দীর্ঘদিন প্রয়োজনের বেশি ভিটামিন গ্রহণ করলে কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধির ভারসাম্য নষ্ট হয়।”
অতিরিক্ত দাঁত ব্রাশ : দুবেলা ব্রাশ করা উপকারী। তবে কিছু মানুষ আছেন যারা প্রতিবেলা খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করেন, যা ক্ষতিকর। প্রয়োজনের বেশি দাঁত ব্রাশ করলে দাঁতের ‘এনামেল’য়ের আস্তর ক্ষয়ে যায়। মাড়ি ভেতরের দিকে ঢুকে যেতে পারে। দুই কারণেই দেখা দিতে পারে দাঁত ও মাড়ির রোগ। দাঁত মাজার ক্ষেত্রে সবসময় নরম ‘টুথব্রাশ’ ব্যবহার করা উচিত। আলতো চাপে ছোট ঘষায় দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
অতিরিক্ত ভোজ্য আঁশ গ্রহণ : অতিরিক্ত ভোজ্য আঁশ পেটে গ্যাস ও ফোলাভাব তৈরি করে। তাই আঁশ গ্রহণের মাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ধৈর্য্য রাখতে হবে। অল্প অল্প করে খাদ্যাভ্যাসে আঁশের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
অতিরিক্ত ব্যায়াম করা : শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে ওজন বাড়ে। আক্রান্ত হয় নানান রোগে। আবার সুঠাম, পেশিবহুল দেহ পাওয়ার লক্ষ্যে অনেকেই বাড়াবাড়ি করে ফেলেন।
প্রতিবার শরীরচর্চায় শরীরের ওপর যে ধকল যায় সেটা মেরামত করার জন্য শরীরকে সময় দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।