ছায়া মানব
এ কে এম ফজলুল হক
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
ছয়
আমি আর ফরিদ পিছের সিটে। আমরা হাইওয়ে চার’শ এক থেকে চার’শ তে ঢুকলাম। ফরিদ বলে জন কেমন লাগছে ?
এই নস্ট্যালজিয়ায় ভুগছি। আমাদের একটা ক্যাডিলাক ছিল। আমরা তিন ভাই বোন আর বাবা কত গিয়েছি এ রাস্তা ধরে, কত ঝড় আর বৃষ্টির ভিতর। বরফের দিনে খুব কষ্ট হতো। শফিক ভাই বলে-
: তোমাদের ক্যাডিলাক ছিল ওহ নাইস । কোন মডেল?
: ব্রুগাম
: আচ্ছা তোমরা গ্রোসারি করতে কোথায় ?
: তুমি কি টরোন্টোর কথা বলছো; না হান্টসভিল ?
: হান্টসভিল।
: হান্টসভিলে আমরা গ্রোসারি করতাম বুলক’স গ্রোসারিতে। তখন তো আর অতো বেশী গ্রোসারি ও ছিল না, একটা কিংবা দুইটা। তবে বেশিরভাগ টরন্টো থেকেই কিনে আনতাম।
: তুমি বলছিলে তোমরা তিন ভাই বোন; আমিতো জানতাম; তোমরা দু’জন
: আরে না না; আমাদের ছোট একটা বোন ছিল, নাম আলিশা। ও আমার ছয় বছরের ছোট।
: ও আচ্ছা, ও এখন কোথায়?
বললো, ও কোথায় আমরা কেউ জানি না। একদিন স্কুলে গেছে, স্কুল থেকে আর ফেরেনি।
: বলো কি ?
: হা, এ ঘটনাটা আমাদের পরিবারের জন্য খুবই মর্মান্তিক।
: শফিক ভাই বলে ওহ হো, ভেরি স্যাড। এমনভাবে বললেন- যেন উনি অনেক কিছু জানেন। কথা টেনে নিয়ে বললেন, তা তোমরা পুলিশ খবর দাও নি কেন ?
: পুলিশ ও সারাদেশের মানুষ জানে এটা- আর তুমি বলছো পুলিশ! কত খুজাখুঁজি করলাম তারপরও কোথাও পেলাম না তাকে।
এমন সময় হঠাৎ গাড়ি ব্রেক করলো। ঝাঁকির মতো খেলাম সবাই। কি ব্যাপার? সামনের সব গাড়ি আস্তে আস্তে যাচ্ছে। শফিক ভাই খেয়াল করেন নি। আরেকটু হলে সামনের গাড়িতে লেগে যেত। সামনে তাকিয়ে দেখি বিশাল লাইন, এক লেইন দিয়ে গাড়ি যাচ্ছে। পাশেই দুই গাড়ি রাস্তায় – এক্সিডেন্ট করেছে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও এম্বুলেন্স সব এসে হাজির। গাড়ির ভাঙা কাঁচ, বাম্পার ছড়ানো ছিটানো, একটা গাড়ির এয়ার ব্যাগ ও বেরিয়ে গেছে – সাদা দেখা যাচ্ছে ভিতরে। একপাশে জটলা- পুলিশ কথা বলছে লোকদের সাথে। জন বললো ভাগ্যিস কিছু হয় নি। হওয়ার’ই কথা ছিল।
ঘটনাস্থল পেরিয়ে পেরিয়ে গাড়ি আবার চলতে শুরু করেছে। জন বলে দেখবে ওরিলিয়াতে আরেকটা এক্সিডেন্ট পাবে। ওরেলিয়া মানে টরন্টো থেকে হান্টসভিলের পথে আধা-আধি রাস্তা। শফিক ভাই বলে তুমি জানলে কি করে?
বলে ‘আমাদের ইনটুইশন অনেক ভালো’
: ভালো মানে ?
: আমরা নর্টন ফ্যামিলির মেম্বার। ব্রিটিশ হেরিট্যান্স। লং হিস্ট্রি আমাদের। এ ফ্যামিলি জাদুবিদ্যার জন্য বিখ্যাত ছিল। আমার দাদা অনেক ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারতো। তার নেশা ছিল উইচক্রাফট। বাবা অবশ্য প্রথম প্রথম ওসব পছন্দ করতো না। বলতো ‘জাদুবিদ্যা’ না ‘ভুয়া বিদ্যা’। শেষ বয়সে কি হলো জানি না, উনি ও এসবে ঝুঁকে পড়লেন।
: শফিক ভাই বলেন ‘হা এরকমই’। শেষ বয়সে বাবারা নস্টালজিক হয়ে উঠে। আমার বাবাও তাই; বুড়ো বয়সে- শুধু ছোটবেলার কথা। যে গল্পের কোন শেষ নেই। সব গল্পই তার বাবা মাকে নিয়ে। কত আর শুনা যায়, বল। ফাঁকফোকর খুঁজতাম কখন পালিয়ে যাওয়া যায়।
ওরেলিয়ার কাছাকাছি আমরা। জনের কথাই ঠিক- সামনে আরেকটা এক্সিডেন্ট। এ এক্সিডেন্ট অতি নগণ্য। শফিক ভাই বলে জন তোমার কথাই ঠিক, দশে দশ, তোমাকে কি খাওয়াবো বলো ?
কিছু খাওয়াতে হবে না শুধু আমার পেমেন্ট’টা বাড়িয়ে দিও ও বললো, আচ্ছা দিবো
এবার বলতো ‘তোমার বাবা কিভাবে মারা গেলো ?
এক্সাক্টলি বলতে পারবো না। আমরা তো তখন ইউ,এস,এ তে। হঠাৎ খবর পেলাম বাবা নেই। এস্টেট অ্যাডমিন খবর পাঠালো তার শেষকৃত্য কিভাবে হবে? আমরা দুই ভাই বললাম, তোমার যেভাবে ইচ্ছা ওভাবে করো। তারপর কি হয়েছে জানি না। কিছু দিন পর শুনি বাবার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। এটা নিয়ে সাংবাদিকরা অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করে। আমাদেরকে ফোন করে জিজ্ঞেস করে। আমরা কি করে বলবো, আমরাতো আর এখানে নেই তাই আর জবাব দেই নি। পরে সম্পত্তি বিক্রির সময় এসে দেখি সব ঠান্ডা।
হান্টসভিলে পোঁছালাম আমরা দুপুর দু’টায়। পৌঁছেই জনের হৈচৈ -ভীষণ। ‘আস্তাবলের দরজা খুলেছে কে ?’ আমরা তো কিছুই জানি না। বললাম
: এটা তো খোলাই ছিল।
: নো এটা সিল করা ছিল কাঠ দিয়ে। এবং এখানে একটা নোটিশ ছিল ‘প্রবেশ নিষেধ’। বাড়ি বিক্রির শর্তই ছিল এখানে কেউ ঢুকতে পারবে না।
: কই বাড়িওয়ালি তো আমাদের এ ধরনের কিছু বলেনি।
: আমি রিচেলকে খুন করে ফেলবো ‘সি ইজ এ ক্রিমিনাল । সে আমাদের চুক্তি ভঙ্গ করেছে’ । জনের দুই চোখে ক্রোদের শিখা। শফিক ভাই বলে,
: চলো দেখি কি হয়েছে ?
জন বলে ‘না তুমি আমাকে ছাড়ো, আমি তাকে দেখে নিবো।
: প্লিজ শান্ত হও জন। আগে খাওয়া দাওয়া করো। বিশ্রাম নাও। তারপর দেখা যাবে রিচেলকে কি করা যায়। জন বলে
‘না আমাকে এ দরজা এখনি বন্ধ করতে হবে। এ বলে সে আস্তাবলে সিটকিনি লাগিয়ে দেয়। তারপর দড়ি খুঁজতে থাকে বাঁধার জন্য। দড়ি তো আর পাওয়া যায় না। আমাদের বলে প্লিজ ‘তোমরা কেউ এটাতে ঢুকবে না। ফরিদ জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিলো- কেন ? শফিক ভাই চোখের ইশারা দিলেন। ফরিদ খামোশ হয়ে গেলো।
আমরা জিনিসপত্রসহ মূল ঘরে ঢুকলাম। জন আমাদেরকে ঘুরে ঘুরে ঘর দেখাচ্ছে। সর্ব উত্তরের এ ঘরটা ছিল লিভিং, তারপর তার আর বাবার পাশাপাশি, পরের ঘরটা ফ্যামিলি রুম, উল্টোদিকে কিচেন। কিচেনের পরে ফিলিপের আর আলিসার রুম।
জনদের মূল ঘরটা-উত্তর দক্ষিণে ও লম্বালম্বি ও পূর্বে লেক আর পশ্চিমে সদর রাস্তা ও একটা হাঁটাপথ সদর রাস্তা থেকে উত্তরের দরজায়; আরেকটা পশ্চিমের দরজা থেকে আস্তাবলের পাশ দিয়ে গিয়ে লেকের ঘাটে মিশেছে। জনের সাথে আমরা এবার ঘরের পেছনে গেলাম। সেখানে ওয়ার্ডরোব দেখিয়ে বললো বাবার ছিল এটা আর ছোট সেন্ডেলটা আলিশার মা মারার যাবার পর আমরা ইংল্যান্ডে বেড়াতে যাই নানির কাছে। নানি কিনে দিয়েছিলো। জন খৈ ফোটার মতো করে বলেই যাচ্ছে।
জনের খৈ ফুটছে আর এদিকে ক্ষুধায় আমাদের পেট জ্বলে যাচ্ছে। বললাম চলো খেয়ে ফেলি। জন বলে ‘হা চলো’, ঘরে এসে খেতে বসলাম। আমাদের জন্য ভাত মাছ ডিম আর জনের জন্য বার্গার। জন বার্গার খেয়ে বললো ‘তোমরা কি খাচ্ছ একটু খেয়ে দেখি’।
অবশ্যই। আমরা ভাত আর মাছ তুলে দিলাম তার প্লেটে।
সে জিজ্ঞেস করলো ‘এটা কি মাছ?’ আমরা বললাম ‘সিলভার সেমন’। সে বললো এ মাছের পিত্ত থলি কোথায় ?
পিত্ত থলি, সে কি আজব কথা, আমরা কিভাবে জানবো। আমরাতো আর মাছ কাটি নি।
বললো’ পিত্ত থলি নিয়ে আমাদের সাবধান থাকতে হয়। যে মাছের পিত্ত থলি ফেটে যায় সে মাছ আমরা খেতে পারি না বলে টুকরাটা সে বো’ন প্লেটে তুলে দিলো।
: কেন?
: এটা আমাদের রিচুয়াল। শফিক ভাই জিজ্ঞেস করে আর কি কি রিচুয়াল আছে?
: অনেক তো আছে, কোনটা জানতে চাও।
: এই যেমন উইচ হিলিং।
: উইচ হিলিং ইজ এ প্রসেস অফ মেডিটেশন উইথ সিম্বলস। আর শুনে কি করবে?
শফিক ভাই বলে তা ঠিক এবার বোলো তোমাদের সবার রিচুয়াল কি এক ?
: নাহ আমাদের যে কত ভাগ একেকজন একেকভাবে করে ।
খাওয়া শেষে আমরা জনকে ধরলাম তার কি ব্যবসা ছিল ফিলিপ কি করতো এসব বলতে। সে শুরু করলো আমি ফিলিপ বাবার সাথে কাঠের ব্যবসা করতাম। খুব ভালো চলছিল ব্যবসা। হঠাৎ বাবা শুরু করলো প্ল্যানচেট। তার এক বন্ধুর থেকে পাওয়া বোর্ড দিয়ে। সেও এখানকার লোক। সাউথ রিভারে তার বাড়ি। বাবা রাতের পর রাত বসে প্লেটচেট করতো। প্ল্যানচেট ছেড়ে ধরলো উইচক্রাফট.. উ.ই.চ. ক্রা.ফ.ট শব্দগুলো ক্রমশ জড়িয়ে যাচ্ছে। জনের মাথা ঝুঁকে যাচ্ছে নিচের দিকে। ঘুমে কাতর সে। আমরা বললাম ‘তুমি বরং শুয়ে পড়’। কিছুক্ষণের মধ্যে সে নাক ডাকতে শুরু করলো। আমরা জেগে বসে আছি। শফিক ভাইও ঘুমে ঢলে পড়লেন। দুজন অলরেডি ঘুমে তার ইফেক্ট আমাদের মধ্যেও চলছে – হালকা তন্দ্রার মতো পাচ্ছে। ফরিদ বললো- চলেন চা করে আনি। চা করে আনলাম। চা শেষ হলো। তারপরও ঘুম যাচ্ছে না; কি আর করা? এবার দাবা নিয়ে বসলাম। ফরিদ দাবায় যে এতো ভালো আমার জানা ছিল না। চালগুলো অতন্ত নির্ভুল। যদিও দাবায় আমার হাতেখড়ি ছোটকাল থেকে। আমার মেজো ভাই ছিল ভালো দাবাড়ু, তার থেকেই শেখা। তার বিখ্যাত দুটো ট্রিক্স ‘ডাবল এটাকের থেকে সাবধান আর রানীর দিকে হাত দিবানা সহসা। আমি দুই ট্রিক্স মাথায় রেখেই চলছি, নাহ ফরিদের সাথে আর পারা যাচ্ছে না। আমি হারলাম। খেলা থেকে উঠে দেখি কখন রাত হলো বলতে পারবো না। ও’রা দু’জন তখনও ঘুমাচ্ছে। ঘরের আবহ কেমন জানি বদলে যাচ্ছে। গুম.ম.ম.ম… এর মতো একটা শব্দ হচ্ছে ঘরে। ফরিদ বলে এসব কি? এমন সময় কড়াৎ করে শব্দ হলো। যেন ঘরের সিলিং ভেঙে পড়েছে। আমরা ভয়ে জড়োসড়। জন লাফ দিয়ে উঠে বলে, এই এসে গেছে; সে ব্যাগ থেকে বই, জাদুদন্ড বের করলো, সাথে কয়েকটা সিম্বল। শুরু হলো কি সব ভোজবাজি। তারপর অনেকক্ষণ চুপ – জন গভীর ধ্যানে মগ্ন ।
শফিক ভাই এখন জা’গা। আমরা বসে আছি। হঠাৎ ফরিদ গিয়ে জানালার পাশে দাঁড়ালো। আমাকেও ডাকলো। বাইরের অন্ধকারে আবছা দেখা যাচ্ছে – হিমির মতো বয়সী সে হালকা সাদা পোশাকের মেয়েটি। একবার জানালার পাশে আসে আবার হারিয়ে যায়। যেন আকাশের কোন শুভ্র বিহঙ্গ, মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার কোন জড়তা নেই। কিছু সময় পর পর শব্দ হয় ঝড়ের মতো শো শো শব্দ। তারপর সব ঠান্ডা- এ করে করে রাত পার হলো। ভোরের আলো ফুটছে পূর্ব দিকে। এখন জনের ভোজবাজির শব্দ আর শুনা যাচ্ছে না। তাকে দেখি সিম্বল ধরে বসে আছে। চোখ অর্ধ নিমীলিত। আমি ভীষণ ক্লান্ত সারারাত না ঘুমানো আর শারীরিক প্রেষণায় শরীর ভেঙে আসছে। বললাম ভাই আমি ঘুমাবো। শফিক ভাই বলে তোমরা দুজনই শুয়ে পড়ো আমি জেগে আছি। আমি বিছনায় গা এলিয়ে দিলাম মুহূর্তে চোখ বন্ধ হয়ে এলো। মনে হলো গুলি মারলেও এখন আমি জাগবো না। এক সময় গভীর ঘুম।
ঘুমের ভিতর স্বপ্ন দেখছি -“এক বিরাট মাঠ। মাঠের মধ্যে ঘাস ,গাঢ় সবুজ। সে মাঠ ধরে আমি অজান্তেই হেটে যাচ্ছি, শেষ মাথায় এসে দেখি বড়ো একটা গরিলা ছোট একটা বাচ্চাকে আক্রমণ করছে। আমি বাঁচাতে গেলাম। গরিলা ছাড়লো না উল্টো আমাকে সহ আক্রমণ করলো। আমি অনেক কষ্টে বাচ্চাকে ছাড়িয়ে আনলাম। কিছুদূর গিয়ে আবার আমাকে আক্রমণ করলো। আমার পিঠ হাত ছিলে গেছে। হাত থেকে রক্ত ঝরছে। আমি আর রাখতে পারছি না। আমার হাত ছাড়িয়ে নিয়ে আবার দৌড়। বাচ্চাটার গা কামড়াচ্ছে। মাংস খুলে খুলে পড়ছে.. এমন সময় শফিক ভাইর ডাকে ঘুম ভাঙলো। বললো উঠো নাস্তা করবো। দেখি ফরিদকেও জাগাচ্ছেন। জিজ্ঞেস করলাম ‘জন কোথায়’ বললো ‘আস্তাবলে গেছে’। যাক যেখানে ইচ্ছা।
আমি উঠে হাত মুখ ধুতে বাথরুমে গেলাম। কেমন একটা পচা গন্ধ বাথরুমে। কিসের এ দুর্গন্ধ? প্রথমে ভাবলাম সিঙ্কের পাইপ থেকে। না সেখান থেকে না। তাহলে কমোড থেকে। না সেখানেও না, তাহলে কোত্থেকে? পরে সিঙ্কের নিচের কেবিনেট খুলে দেখি বাটি ভর্তি রক্ত, হালকা জমাট বাধা। গন্ধে নাড়িভুঁড়ি উল্টে আসছে। আমি শফিক ভাইকে ডাকলাম ‘এদিকে আসেন’। সাথে ফরিদও আসলো। ‘এ রক্ত কোত্থেকে আসলো’। বললো ‘আমরা তো জানি না’। অনেকক্ষণ পর জন এসে ঘরে ঢুকলো; আমরা জিজ্ঞেস করলাম ‘আচ্ছা বাথরুমে রক্ত আসলো কিভাবে? বললো আমি সাথে করে এনেছি, আমাদের উইচ হিলিং এ লাগে। জিজ্ঞেস করলাম ‘এটা কিসের রক্ত- মানুষের না পশুর’
বললো :মানুষের।
মানুষের রক্ত! আমরা সবাই মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে থাকলাম। বলে কি ? (চলবে)

লেখক পরিচিতি :
কানাডা প্রবাসী এ কে এম ফজলুল হক একজন সাবেক ব্যাংকার। অবসরে লেখালেখিও করেন। বর্তমানে টরন্টোর নিকটবর্তী পিকারিং এ পরিবার নিয়ে বাস করছেন।