অভিবাসীরা আরও বেশি বৈরিতার মুখোমুখি হচ্ছেন

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : ক্যালগারির ‘সেন্টার ফর নিউকামার্স’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, অভিবাসীদের প্রতি বিদ্বেষ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি অনলাইনে হচ্ছে এবং ব্যক্তিগতভাবেও হচ্ছে। খবর সিবিসি নিউজের। 

সেন্টার ফর নিউকামার্সের প্রোগ্রাম প্রধান কেলি আর্নস্ট বলেন অভিবাসীদের লক্ষ্য করে বিদ্বেষী মন্তব্য এবং অশোভন বার্তার ঢেউ মুছে ফেলার জন্য তার টিমকে এখন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে নিয়মিতভাবে। তিনি বলেন ‘আমরা গত এক বছর ধরেই বিদ্বেষী এই মন্তব্য ও বার্তাগুলো লক্ষ্য করছি যা ক্রমশই খারাপ থেকে আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।

ক্যালগারির ‘সেন্টার ফর নিউকামার্স’ এর কার্যালয়। ছবি : ডেন ম্যাকগ্রেভী /সিবিসি

সেন্টার ফর নিউকামার্স একটি অলাভজনক সংস্থা যা ক্যালগারিতে নতুন অভিবাসীদের জন্য সেটেলমেন্ট সার্ভিস এবং ল্যাঙ্গুয়েজ ট্রেনিং প্রদান করে থাকে। গত মাসে এই সংস্থাটি নবাগত মহিলাদের সমর্থনে একটি প্রমোটিং প্রোগ্রামের পোস্ট দেয় ফেসবুকে। এরপর তারা দুই শতাধিক মন্তব্য পায় ফেসবুকে যার সবগুলোই ছিল বিদ্বেষী এবং জঘন্য প্রকৃতির।

এই বৈরিতা কেবল যে অনলাইনেই ঘটছে তা নয়। আর্নস্ট বলেন, আমাদের কর্মীরা সংস্থাটির অফিসেও এ ধরনের মন্তব্যের মুখোমুখি হচ্ছেন সরাসরি। এখানে প্রতিদিন শত শত নতুন অভিবাসীদের স্বাগত জানানো হয় বিভিন্ন সেবা প্রদানের জন্য।

আর্নস্ট বলেন, অভিবাসন বিরোধী বক্তব্য বা মন্তব্যগুলো কেন্দ্রের কর্মসূচি প্রচারের পদ্ধতিতে প্রভাব বিস্তার করছে। তিনি উদ্বিগ্ন যে, দীর্ঘমেয়াদে এটি নবাগতদেরকে সংস্থার পরিষেবা গ্রহণ থেকে বিরত রাখতে পারে এবং স্বল্পমেয়াদে, তিনি তার সহকর্মী ও ক্লায়েন্টদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

যেকোনো অনিরাপদ পরিস্থিতি প্রতিরোধ করার জন্য এবং যেকোনো পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে দ্রুত পুলিশকে ডাকা নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রটি একটি স্বেচ্ছাসেবক নিরাপত্তা কর্মসূচি চালু করছে। ক্যালগারি পুলিশ জানায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারা ঐ সেন্টারের সঙ্গে কাজ করছে। পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, নতুন আসা অভিবাসীদের লক্ষ্য করে বিদ্বেষী অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এমনটা দেখা যাচ্ছে না। তবে তিনি স্বীকার করেন যে এই ঘটনাগুলো প্রায়শই অপ্রকাশিত থাকে।

উল্লেখ্য যে, সিবিসি নিউজের জন্য পরিচালিত একটি জরিপ অনুসারে দেখা গেছে, দেশজুড়ে ৫৪ শতাংশ নবাগত অভিবাসী তাদের জাতিগত ও সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় পটভূমির কারণে কিছুটা বৈষম্য এবং পক্ষপাতের সম্মুখীন হয়েছেন এমনটি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *