অন্টারিওতে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৩.৬%
এই ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলাতে গেলে বর্তমানে ঘন্টায় ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ২৬ ডলার
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : অন্টারিওতে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে ৩.৬%। এর জন্য কর্মজীবী মানুষের বর্তমান ন্যূনতম মজুরি হওয়া উচিত ঘন্টায় ২৬ ডলার। কিন্তু দেওয়া হচ্ছে ১৭.২০ ডলার। অর্থাৎ প্রায় ৮.৮০ ডলার কম বেতন দেওয়া হচ্ছে। ‘অন্টারিও লিভিং ওয়েজ নেটওয়ার্ক’ সম্প্রতি তাদের এই ক্যালকুলেশন প্রকাশ করে। সংস্থাটি গ্রেটার টরন্টো এরিয়া, অটোয়া, হ্যামিলটন, উইন্ডসর, ওয়াটারলুসহ অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় হিসাব করে এই ক্যালকুলেশন প্রকাশ করে। খবর নাউটরন্টো.কম এর।
সাধারণভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের জন্য মাতা পিতা ও দুই সন্তানের পরিবার, একক অভিভাবক এবং একক ব্যক্তির ন্যূনতম মজুরি কত হওয়া উচিত সেটিই তুলে ধরা হয়েছে লিভিং ওয়েজ নেটওয়ার্কের ক্যালকুলেশনে। ক্যালকুলেশনে টেক্স এবং বেনিফিটও ধরা হয়েছে।
‘অন্টারিও লিভিং ওয়েজ নেটওয়ার্ক’ এর কমিউনিকেশন ডিরেক্টর ক্রেগ পিকথর্ন নাউটরন্টো.কমকে বলেন, বাড়ি ভাড়া এবং খাবারের খরচ জীবনযাত্রা ব্যয়ের হার বৃদ্ধির পিছনে বড় ভূমিকা রেখেছে।
পিকথর্ন বিশ^াস করেন যে সকল প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের নায্য মজুরি দেয় না তাদের বিরুদ্ধে টরন্টোবাসীর কথা বলা প্রয়োজন। এছাড়া নেতৃবৃন্দের মধ্যে যারা স্বল্প আয়ের লোকদের পক্ষে কথা বলেন তাদের প্রতিও সমর্থন ব্যক্ত করা আবশ্যক।
পিকথর্ন আরও বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষজন সাশ্রয়ী ভাড়ায় এপার্টমেন্ট বা বাসা পাওয়ার আশায় টরন্টোর বাইরে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু সেখানেও এপার্টমেন্ট বা বাসা ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক।
‘অন্টারিও লিভিং ওয়েজ নেটওয়ার্ক’ অবশ্য ৮৬৭টি প্রতিষ্ঠানে কথা উল্লেখ করেছে যারা স্থানীয় জীবনযাত্রার ব্যয় এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মীদের মজুরি প্রদান করে থাকে। আর এগুলোর অর্ধেকই টরন্টোতে। লিভিং ওয়েজ নেটওয়ার্ক জানায় টরন্টো ভিত্তিক কিছু নিয়োগকর্তা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা তাদের কর্মীদের ঘন্টায় ২৫ ডলারের বেশি মজুরি দিয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- ইউনাইটেড ওয়ে, নোভা ড্যান্স, আর্ট মেট্রোপোল, এমা’স কান্ট্রি কিচেন, সুইটপিয়া’স ফ্লোরাল শপ, টরন্টো ফাউন্ডেশন, টরন্টো শাইন ক্লিনিং, দি পুলিশ ক্রেডিট ইউনিয়ন, দি সেন্টার ফর মাইন্ডফুলনেস স্টাডিস, ফ্যাক্টরী থিয়েটার এবং পার্কডেল ফুড প্যান্ট্রি।