চলে গেলেন ব্যারিস্টার রিজুয়ান রহমান

প্রবাসী কণ্ঠ, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ : কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশী কানাডিয়ান ব্যারিস্টার রিজুয়ান রহমান আর নেই। ইন্না লিল্লাহি … রাজিউন। গতকাল শনিবার দুপুর ২: ৩০ মিনিটে টরন্টোর প্রিন্সেস মারগারেট ক্যান্সার ইন্সটিটিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলাদেশী কমিউনিটির জনপ্রিয় এই ব্যারিস্টার।

মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে টরন্টোর বাংলাদেশী কমিউনিটিতে।

ব্যারিস্টার রিজুয়ান রহমান । ছবি: ফেসবুক

ব্যারিস্টার রিজুয়ান রহমান গত প্রায় পাঁচ বছর যাবত ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন। সাহসের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছিলেন এর বিরুদ্ধে। মাঝখানে অবস্থার কিছুটা উন্নতী হলেও সাম্প্রতিক সময়ে আবারও খারাপের দিকে যেতে থাকে তাঁর শারীরিক অবস্থা। আর গত প্রায় একমাস যাবত তাঁর অবস্থা বেশ খারাপের দিকে চলে গিয়েছিল। ভর্তি হতে হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হলো না। সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে তিনি শেষ বিদায় নিলেন।

উল্লেখ্য যে, প্রয়াত ব্যারিস্টার রিজুয়ান রহমান ছিলেন অন্টারিও’র এমপিপি ডলি বেগম এর স্বামী। ডলি বেগম বাঙ্গালী অধ্যুষিত টরন্টোর স্কারবরো সাউথওয়েস্ট রাইডিং থেকে এনডিপি’র প্রার্থী হয়ে পরপর দু’বার এমপিপি নির্বাচিত হন । ২০১৮ সালে অন্টারিও পার্লামেন্টের নির্বাচনে প্রথমবার জয়ী হয়ে ডলি বেগম প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য সৃষ্টি করেছিলেন এক ইতিহাস।

ইতিপূর্বে প্রবাসী কণ্ঠ ম্যাগাজিনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ডলি বেগম বলেছিলেন, ‘ দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার পর আমার স্বামী ব্যারিস্টার রিজাউন রহমান খুব খুশী হয়েছেন। তাছাড়া তিনি আমার নির্বাচনী প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আমাদের রাইডিং এসোসিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। সেই দিক থেকে আমি বলবো তিনি একটি বড় দায়িত্ব নিয়েছিলেন নির্বাচনের প্রচার কার্যে। ’

মৃত্যুর মাত্র সপ্তাহখানেক আগে হাসপাতালের বেডে শুয়ে ব্যারিস্টার রিজাউন তাঁর ফেসবুকে দেয়া এক স্টেটাসে বলেছিলেন, ‘ আজ পাঁচ দিন হয় হাসপাতালে আছি। অলস বিছানায় শুয়ে শুয়ে মনে হল, সময় থাকতে নাকি ক্ষমা চেয়ে রাখা উচিত। আমিও সবার কাছে ক্ষমা চাইছি। জ্ঞাতে অথবা অজ্ঞাতে যদি কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকি, আমাকে ক্ষমা করবেন। জীবনে এমনভাবে নিজেকে চালাতে চেয়েছি যাতে আমার ব্যবহারে মানুষ কষ্ট না পান, আমার হাতে কারো ন্যায্য হক নষ্ট না হয়। তাও ভুলত্রুটি হতেই পারে। আর এসব কিছুর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।’

আজ রোববার দুপুরে ব্যারিস্টার রিজাউনের জানাযা অনুষ্ঠিত হয় ড্যানফোর্থের বাংলা টাউনে অবস্থিত ডেন্টোনিয়া পার্কের ময়দানে। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী তাঁর জানাযায় অংশ নেন। জানাযা শেষে তাঁকে দাফন করা হয় রিচমন্ডে অবস্থিত টরন্টো মুসলিম কবরস্থানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *