কুইবেক এবং বাদবাকী কানাডায় ইসলামের গ্রহণযোগ্যতা কিছুটা হলেও বেড়েছে

কুইবেকে ইসলামকে ইতিবাচকভাবে দেখেন এমন লোকের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : কানাডাকে অনেক সময় বৈচিত্রময় সমাজের পরম আদর্শ হিসাবে মনে করা হয়। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ঘোষণা করেছেন যে, “বৈচিত্রই হলো কানাডার শক্তি।”

এঙ্গুস রেইড ইন্সটিটিউটের এক জরিপে ট্রুডোর ওই বক্তব্যের সমর্থনই কেবল পাওয়া গেছে তাই নয় বরং যখন বিশ্বাস এবং সমাজে ধর্মীয় প্রতীকের প্রত্যক্ষ ভূমিকার প্রশ্ন আসে তখন কিছু নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিও উঠে আসে।

অনেক বেশি সংখ্যক কানাডীয় যখন খ্রিস্টীয় ও বৌদ্ধ ধর্মের বিষয়ে ইতিবাচক ও অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করতে প্রস্তুত তখন অন্য কয়েকটি ধর্মের ব্যাপারে তারা জোরালো সন্দেহ পোষণ করেন। ইসলাম-ভীতি সম্পর্কিত আলাপ-আলোচনার বহুল প্রচলিত বর্তমান পরিবেশে প্রায় অর্ধেক কানাডীয় (৪৬%) খোদ ইসলামকেই অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে। ওই ধর্মের প্রতীক বোরখা ও নেকাবের প্রসঙ্গ উঠলে একইরকম নেতিবাচক মনোভাব দেখা যায়।

যদিও কানাডীয়রা অন্যান্য ধর্মের চেয়ে মুসলিম ধর্মকে গ্রহণযোগ্যতার দিক থেকে কমই পছন্দ করে তবুও এই জরিপ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবণতা উদ্ঘাটন করেছে যে, কুইবেক এবং বাদবাকী কানাডা উভয় ক্ষেত্রে ইসলামের গ্রহণযোগ্যতা কিছুটা হলেও বেড়েছে। আগের যেসব রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে সেগুলোর তুলনায় ইতিবাচক জনমত এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে। কুইবেকে ইসলামকে ইতিবাচকভাবে দেখেন এমন লোকের সংখ্যা গত চার বছরে দ্বিগুণ হয়েছে। এঙ্গুস রেইড ইন্সটিটিউটের জরিপের এই ফলাফলটি প্রকাশ করা  হয়েছিল ২০১৭ সালের এপ্রিলে।

টরন্টোর বাঙ্গালী অধ্যুষিত ড্যানফোর্থের ডেন্টোনিয়া পার্কে মুসলিমদের ঈদ জামাত। ছবি : ইউটিউব (ফুয়াদ চৌধুরী)

জরিপের প্রধান প্রধান উদ্ঘাটন:

*  প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন কানাডীয় নাগরিক মুসলিম নারীদের নেকাব পরার বিষয়টি সমর্থন করেন (৩২%), অথবা বোরখা পরার পক্ষে আছেন (২৯%), অন্যদিকে খ্রিস্টান নানদের পোশাক হ্যাবিট পরার বিষয়টি সমর্থন করেন অনেক বেশি সংখ্যক (৮৮%) কানাডীয়, ইহুদিদের টুপি কিপ্পাহ (৮৫%), শিখদের পাগড়ি (৭৭%) অথবা মুসলিম নারীদের হিজাব (৭৫%) লোক সমর্থন করেন।

*   কুইবেকের মানুষের মধ্যে যারা ইসলাম সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন বলে জানিয়েছেন তাদের সংখ্যা ২০০৯ সালের ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ওই একই সময়ের মধ্যে প্রদেশে অন্য চারটি ধর্ম শিখ, বৌদ্ধ, ইহুদি ও হিন্দু ধর্মের প্রতিও মানুষের গ্রহণযোগ্যতার বিস্তার ঘটেছে।

*   কানাডীয়দের প্রতি ১০ জনের মধ্যে আটজনেরও বেশি বলেন, তার সন্তান খ্রিস্টধর্ম পালন করে এমন যে কাউকে বিয়ে করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে, কিন্তু অন্য পাঁচটি ধর্মের মানুষকে বিয়ে করার প্রশ্নে ওই সংখ্যাটি দুই-তৃতীয়াংশেরও নিচে নেমে আসে।

ধর্মের প্রতি ইতিবাচকতা ও সন্দেহবাদিতা

কানাডার ধর্মীয় পটভূমি পাল্টে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালের আগে এদেশে অভিবাসী হয়ে আসা লোকেদের মধ্যে মাত্র ২.৯ শতাংশ বলতো যে তারা ইসলাম, হিন্দু, শিখ বা বৌদ্ধ ধর্মের কোনটিতে বিশ্বাস করেন। ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ওই সংখ্যাটা লাফিয়ে বেড়ে এখন এক-তৃতীয়াংশে (৩৩%) উন্নীত হয়েছে। এজন্যে, কানাডীয়রা তাদের দৈনন্দিন জীবনে ক্রমবর্ধমান হারে নানা ভিন্ন ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতের মুখোমুখি হচ্ছেন। যেহেতু ১৯৭১ সাল থেকেই কানাডার সরকারি নীতি হলো বহু সংস্কৃতিবাদ, সাম্প্রতিক গবেষণায় আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে, অনেকেই আশা করেন যে, নতুন অভিবাসীরা কানাডার জনজীবনের মূল ধারায় নিজেদেরকে সংহত করে নেওয়ার জন্য আরও বেশি কিছু করবেন।

পরিবর্তনশীল পরিবেশে দুই-তৃতীয়াংশ (৬৮%) কানাডীয় বলেন, তারা খ্রিস্ট ধর্মকে গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করেন, অন্যদিকে এর পরেই যে বৌদ্ধ ধর্মের অবস্থান, তাকে গ্রহণযোগ্য বলেন ১০ শতাংশ কম সংখ্যক মানুষ। আনুমানিক অর্ধেক সংখ্যক মানুষ ইহুদি ও হিন্দু ধর্মকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন। কিন্তু ইসলাম ও শিখ ধর্মের ক্ষেত্রে অনেক কম মানুষই ইতিবাচক মনোভাব দেখান।

অপেক্ষাকৃত বয়স্ক কানাডীয় যাদের বয়স ৫৫ বছরের বেশি তারা অপেক্ষাকৃত তরুণদের চেয়ে ইহুদি ও খ্রিস্টান উভয় ধর্মের প্রতিই ইতিবাচক। অন্যদিকে বয়স্কদের চেয়ে সহস্রাব্দের প্রজন্মের কাছে ইসলাম, বৌদ্ধ, শিখ ও হিন্দুধর্ম অপেক্ষাকৃত বেশি গ্রহণযোগ্য।

এই ধর্মগুলোর প্রতি কানাডীয়দের দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক আদর্শও উল্লেখযোগ্য উপাদান। কনজারভেটিভ দলের ভোটাররা খ্রিস্টধর্ম ও ইহুদি ধর্ম ছাড়া অন্যসব ধর্মের প্রতিই কম অনুরাগী। এদিকে, লিবারেল এবং এনডিপি সমর্থিত কানাডীয়দের ইসলাম ধর্মের প্রতি অনুকূল মনোভাব থাকার সম্ভাবনা প্রায় দ্বিগুণ।

 কুইবেক ও অবশিষ্ট কানাডার তুলনা

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধর্মীয় বৈচিত্রের বিষয়ে রক্ষণশীলতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো কুইবেক। কুইবেক সিটির একটি মসজিদে ২০১৭ সালের জানুয়ারীতে যে হামলা চালানো হয় তা এই দিকটি আবারও সামনে নিয়ে আসে। কিন্তু এই প্রদেশে মুসলিমবিরোধী উত্তেজনার এটিই প্রথম ঘটনা এমন নয়। এই চরম সহিংসতার ধারাবাহিকতায় এঙ্গুস রেইড ইন্সটিটিউটের জরিপে দেখা যায়, ওইসব ঘটনার কারণে কুইবেকে ইসলাম ও অন্য কয়েকটি ধর্মের প্রতি অনুকূল মনোভাব বেড়েছে।

কুইবেকে বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে ২০০৯, ২০১৩ ও ২০১৭ সালে জনমতের ভিন্নতার পরিসংখ্যান তুলনা করে দেখা যাচ্ছে, সেখানে উল্লেখযোগ্য একটি প্রবণতার উদ্ভব ঘটেছে। খ্রিষ্টধর্মের প্রতি অনুকূল বলে যারা উল্লেখ করেছিলেন তাদের সংখ্যা তিনটি পরিসংখ্যানেই প্রায় অভিন্ন দুই-তৃতীয়াংশে স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু ইসলামকে অনুকূলভাবে দেখেন এমন লোকের সংখ্যা ২০১৩ ও ২০১৭ সালের পরিসংখ্যানে দ্বিগুণ বেড়ে ১৬ থেকে ৩২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। খুব ঘনিষ্ঠভাবে দেখলে এটি সেই একই ১:৬ অনুপাতে রয়েছে যা ছিলো ২০০৯ সালে।

একইভাবে কুইবেকের বাসিন্দাদের মধ্যে খ্রিস্টধর্ম ছাড়া অন্য সব ধর্মের প্রতিই প্রতিকূল ধারণা পোষণ করেন এমনটা বলার মতো লোকের সংখ্যা কমে এসেছে।

তবে পুরো কানাডায় ইসলামের পক্ষে অনুকূল মনোভাবের যে বৃদ্ধি সেটা তেমন চমকপ্রদ নয়। তেমন উল্লেখযোগ্যও নয়। ২০১৩ সালে এঙ্গুস রেইড ফাউন্ডেশনের জরিপে দেখা গিয়েছিলো, মাত্র এক-চতুর্থাংশ কানাডীয় ওই ধর্মটির প্রতি অনুকূল মনোভাব পোষণ করেন। এটি ছিলো ২০০৯ সালের চেয়ে সাত পয়েন্ট কম। একই ধরণের মনোভাব পোষণকারীর সংখ্যা বর্তমানে ২০০৯ সালের চেয়ে সামান্য বেড়ে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনে দাঁড়িয়েছে (৩৪%) এবং কুইবেক ও সারা কানাডার মধ্যে যে আঞ্চলিক অসাম্য ছিলো সেটি দৃশ্যত দূর হয়ে যাচ্ছে।

আন্তধর্ম বিয়ের ব্যাপারে সাচ্ছন্দ্য বাড়ছে

পারিবারিক সংহতির অধিকতর সুদৃঢ় সম্ভাবনার কথা ভাবুন: কানাডীয়রা কেমন অনুভব করেন যদি তাদের একটি সন্তান ভিন্ন ধর্মের কাউকে বিয়ে করে? অনুকূলভাবে গ্রহণের দিক থেকে কানাডীয়দের মধ্যে স্পষ্ট অগ্রাধিকার লক্ষ্যণীয়। খুব সামান্য সংখ্যক মানুষ বলেছেন যে  তারা তাদের সন্তানের খিস্টানকে বিয়ে করা মেনে নেবেন না। কিন্তু শিখকে বিয়ে করলে মেনে নেবেন না এমন লোকের সংখ্যা প্রতি পাঁচজনে একজন। আর মুসলিমকে বিয়ে করার বিরোধী আরও বেশি, প্রতি তিনজনে একজন (৩২%)।

মজার ব্যাপার হলো, সম্ভবত একারণে যে, এই বিষয়ে যেহেতু বিশ্বাস ও ব্যক্তিগত সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতর পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে, সেজন্যে জরিপে অংশগ্রহণকারীরা একটি নির্দিষ্ট ধর্মের লোককে বিয়ে করলে মেনে নেবেন বলাটাই বেছে নেন, ওই ধর্মের প্রতি নিজের অনুকূল মনোভাব থাকা বা না থাকার প্রসঙ্গে যান না। এ থেকে বোঝা যায়, কানাডীয়দের অন্তত কিছু অংশ নিজেদের পরিবারে কোনও বিশেষ ধর্মের মানুষের অন্তর্ভুক্তির সময় ওই বিশেষ ধর্মটির প্রতি নিজেদের মনোভাবকে তেমন গুরুত্ব দেন না।

সাধারণভাবে এদেশে যেমনটা ঘটে সেটা বিশেষভাবে আলোকময়। ৪৪বছরের কম বয়সী কানাডীয়দের অনেক বড় অংশ বলেন যে, ইসলাম ধর্মাবলম্বী কাউকে বিয়ে করাটা তারা গ্রহণযোগ্য বলেই মনে করেন। আর ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এর অনুপাত হলো ৩:১ (৬২% গ্রহণযোগ্য, ১৮% অগ্রহণযোগ্য)। ৪৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সীরা এই প্রশ্নে সমভাবে বিভক্ত। কিন্তু ৬৫ বছরে বেশি বয়সীদের বেশিরভাগই এই প্রশ্নে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন।

আলবার্টা ও কুইবেকের অধিবাসীদের বেশিরভাগই তাদের সন্তানের ইসলাম ধর্মাবলম্বী কাউকে বিয়ে করার বিরোধী। উভয় প্রদেশেরই ৪১ শতাংশ এই ধারণাকে অগ্রহণযোগ্য বলেছেন। প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন এধরণের মনোভাবসম্পন্ন।

আটলান্টিক অঞ্চলের অধিবাসীরা উল্লেখিত ধর্মগুলোর বিষয়ে গড়ে অধিকতর সহনশীল। এই উদারতার মধ্যে সম্প্রতি আটলান্টিক কানাডায় বর্ধিত সংখ্যায় উদ্বাস্তুদের আনার লক্ষ্য নির্ধারণ নিয়ে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।

এই প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় কুইবেকে ইসলামের ব্যাপারে যে ইতিবাচক জনমত দেখা গেছে তার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। ইসলামের গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপারে জনমত দ্বিগুণ হলেও তাদের সন্তান কোনও মুসলমানকে বিয়ে করবে এই প্রশ্নে জনমত ২০০৯ সালের চেয়েও চার পয়েন্ট নিচে। এই প্রদেশে অন্য সব ধর্মের লোকদের বিয়ে করার বিষয়ে জনমতেরও অবনতি ঘটেছে।

জনজীবনে ধর্মীয় পোশাক ও প্রতীক

একটি ধর্ম নিরপেক্ষ সমাজে ধর্মীয় পোশাক ও প্রতীকের ব্যবহার নিয়ে কানাডায় বিতর্ক হয়েছে। নাগরিকত্ব প্রদান অনুষ্ঠানে শপথ গ্রহণকালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নেকাব পরার অধিকারের  বিষয়টি ২০১৫ সালের নির্বাচনে বিতর্কের বিষয় হয়ে ওঠে, যখন স্টিফেন হারপারের সরকার ওই অনুষ্ঠানে নেকাব পরা নিষিদ্ধ করার পর আপিলে পরাজিত হয়। নেকাবে মুখমণ্ডল ঢাকা থাকে এবং শুধু চোখ খোলা থাকে।

এই বিতর্ক একান্তভাবেই শুধু কানাডায় বিদ্যমান। ফ্রান্সের ৩০টিরও বেশি পৌরসভা ২০১৬ সালে বুরকিনি  (বোরখা) পরা নিষিদ্ধ করে। পরে অবশ্য একটি শীর্ষ প্রশাসনিক আদালত সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোর্ট জাস্টিস সম্প্রতি বিধান দিয়েছে যে, নিয়োগদাতা কর্মস্থলে কর্মচারীদের ধর্মীয় পোশাক বা প্রতীক পরার ওপর বৈধভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবেন যতক্ষণ পর্যন্ত সেই বিধান কোনও “রাজনৈতিক, দার্শনিক বা ধর্মীয় প্রতীকের বিষয়ে প্রযোজ্য হবে।”

কানাডীয়রা তাদের ক্ষেত্রে সম্ভবত কিছু কিছু ধর্মীয় পোশাক বা প্রতীক নিষিদ্ধ করতে চাইবে, তবে সবগুলো নয়। নেকাব এবং বোরখা হলো এমনই দুটি পোশাক কানাডীয়রা যার সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করেছেন। অনেক মুসলিম নারী এ পোশাক পরে থাকেন। তবে এক-তৃতীয়াংশ কানাডীয় উভয় পোশাকের পক্ষে।

ইহুদি ও খ্রিস্টানদের ধর্মীয় প্রতীক ক্রুসিফিক্স (ক্রস), নানদের হ্যাবিট, কিপ্পাহ এবং দাউদের তারকা সমর্থন করেন প্রতি ১০ জনের মধ্যে আট জনেরও বেশি মানুষ।

প্রতিটি বয়স গ্রুপের মানুষদের বড় অংশই ইহুদি-ক্রিস্টান ধর্মীয় প্রতীকের বাইরে অন্য সব প্রতীকের ব্যাপারে আপত্তির কথা জানিয়েছে। সহস্রাব্দের প্রজন্মের অর্ধেকই বিরোধিতা করেছে এমন প্রতীকের মধ্যে আছে নেকাব, বোরখা এবং কৃপাণ। বয়স্ক জনগোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গির তুলনায় এটি অনেক বেশি উদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *