কানাডায় পেশা পাল্টানোর কথা ভাবছেন? কীভাবে করবেন দেখে নিন


প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : আপনার ক্যারিয়ার নতুন করে শুরু করতে চান। এটি কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ, তবে সাহায্যের জন্য এখানে আটটি টিপস তুলে ধরা হলো : –
অভিবাসীরা কেন তাদের ক্যারিয়ার পাল্টানোর কথা বিবেচনা করতে পারেন তার অনেক কারণ রয়েছে: নতুন একটি দেশে আসার ফলে নতুন করে শুরু করার সুযোগ আসতে পারে এবং আপনি সব সময়ই করতে চেয়েছেন এমন কিছু করার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। কিংবা হয়তো কাজের বাজার পুরোই পরিপূর্ণ থাকতে পারে অথবা কানাডায় যোগ্যতার মাপকাঠি অর্জন করা কঠিন হতে পারে যেজন্যে মনে হতে পারে নতুন কিছু করাই ভালো।
ক্যারিয়ার পাল্টানোর সময় নতুন আগ্রহের বিষয় খুঁজে নেওয়া, নতুন দক্ষতার জন্য শিক্ষা অর্জন করা এবং ধৈর্য রক্ষা করা ও জীবনের বৈচিত্র্য অনুধাবনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ, তাই বিষয়টিকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনও অবকাশ নেই।
অভিবাসীদের ক্যারিয়ার কাউন্সিলর হিসাবে ১০ বছরের বেশি সময়ের অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি নতুন ক্যারিয়ারে এসে কেউ সফল হয়েছেন, কেউ ব্যর্থ। তবে ক্যারিয়ার পাল্টানোর সময় কখনই পেরিয়ে যায় নাÑ আমি নিজেই এই কাজ করেছি।
যদি ক্যারিয়ার পাল্টানোর কথা ভাবেন তাহলে আপনার সহায়তার জন্য আটটি টিপস দেয়া হলো:

ক্যারিয়ার পাল্টানো একটি ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ। এটাকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনও অবকাশ নেই। ছবি: ওয়াটারলু ইউনিভার্সিটিরর ওয়েবসাইট

১. হোমওয়ার্ক করুন। অন্যরা আপনাকে যা বলছে তাতেই কেবল বিশ্বাস করে বসে থাকবেন না; বেঁচে থাকার জন্য আপনি কী করবেন সেটা অন্য কাউকে, তিনি যতো যোগ্যতাসম্পন্নই হোন না কেন, সিদ্ধান্ত নিতে দেবেন না। আপনার যারা পরামর্শক আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলুন, মার্কেটের প্রবণতা আবিষ্কার করুণ, তথ্য লাভের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিন এবং আপনি যে ক্ষেত্রে কাজ করার কথা ভাবছেন সেই ক্ষেত্রে কর্মরতদের সঙ্গে কথা বলুন।

২. আপনার মৌলিক মূল্যবোধ, আগ্রহের বিষয়, দক্ষতা এবং কোন সময় ও পরিবেশ আপনি সত্যিই উপভোগ করেন সেইসব বিষয়গুলি আবিষ্কারের জন্য কিছুটা সময় নিন। এই সব বিষয়গুলোই আপনাকে সূত্র দেবে আপনার নতুন ক্যারিয়ারের পথে কোথায় আলোকপাত করতে হবে।

৩. একজন ক্যারিয়ার কাউন্সেলর বা প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিন, কিন্তু তাকে আপনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ দেবেন না। ভালো প্রশিক্ষক আপনাকে বিভিন্ন অপশন খুঁজে বের করতে এবং নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নেওয়ার কাজে সহায়তা করবেন।

৪. পছন্দের নতুন ক্যারিয়ারের কিছু গদবাঁধা কাজ নিজে করুন। বিনা বেতনে বা সবেতনে অথবা খণ্ডকালীন কাজ করে নতুন ক্যারিয়ারটাকে আবিষ্কার করে নিন।

৫. পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রি অর্জনের জন্য নতুন করে স্কুলে ভর্তির (এবং শিক্ষাঋণ গ্রহণের) ঝুঁকি নেওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত কোর্স সম্পন্ন করা, সেমিনার ও সম্মেলনে অংশ নেয়ার মাধ্যমে নতুন ক্যারিয়াটিকে আরও ভালো করে বুঝে নিন।

৬. আপনার যেসব দক্ষতা স্থানান্তরযোগ্য সেগুলো সম্পর্কে চিন্তা করুন। অনেক সময় আপনার হয়তো নতুন করে স্কুলে ভর্তির প্রয়োজন পড়বে না কারণ আপনি হয়তো আগের চাকরিতে বা স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে অথবা শখের মাধ্যমে সেই দক্ষতা অর্জন করেছেন যা এখানে প্রযোজ্য হতে পারে। প্রয়োজন শুধু সেটা ঝালাই করে নেওয়ার।

৭. গণ্ডির বাইরে গিয়ে চিন্তা করুনÑ আজকের দিনে এমন অনেক চাকরি আছে যেগুলো ১০ বছর এমনকি পাঁচ বছর আগেও ছিলো না। এসব চাকরির অনেকগুলোতেই সমন্বিত দক্ষতা কাজে লাগানো হয় যেটা হয়তো আপনার আগে থেকেই আছে, সেটা শুধু ভিন্ন উপায়ে এবং ভিন্নতর ফলাফলের জন্য নতুন করে বিন্যস্ত করে নিতে হবে।

৮. মনে রাখবেন, নতুন ক্যারিয়ার শুরু করার পথটি খুবই চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আপনাকে হয়তো সেইসব লোকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হতে পারে যারা অপেক্ষাকৃত নবীন, যাদের বেশি দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে, আর আপনি দেরিতে শুরু করতে যাচ্ছেন। সুতরাং ভাবুন যে আপনি নতুন কী নিয়ে উপস্থিত হচ্ছেন এবং সেটি অর্জন করুন। -সৌজন্যে : সিলভিয়া ডি ব্লাসিও /কানাডিয়ানইমিগ্রেন্ট.সিএ