কানাডা ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করল

প্রবাসী কন্ঠ ডেস্ক , ২২ জুন, ২০২৪: ইরানের `ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস’কে  ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে কানাডা। গত ২০ জুন কানাডার জননিরাপত্তা–বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লেব্লাঙ্ক এই ঘোষণা দেন। তিনি তাঁর সরকারের এই পদক্ষেপকে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি তাৎপর্যপূর্ণ হাতিয়ার বলে বর্ণনা করেন। খবর বিবিসির।

হিজাব না পরার ‘অপরাধে’ ইরানে মাশা আমীনি নামের এক তরুণীকে গ্রেফতার করার পর পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গোটা ইরানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ হয় ইরানের বাইরেও। ইস্তাম্বুলে এমনই এক বিক্ষোভের চিত্র। ছবি : গেটিইমেজ/ক্রিস ম্যাকগ্রাথ

ইরানে `ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডকে একটি অভিজাত বাহিনী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দেশটির সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই বাহিনীর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে এই বাহিনীর সদস্যদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আর শুধু ইরানে নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়েই আইআরজিসির প্রভাব রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, বিভিন্ন মিত্রদেশের সরকারসহ তেহরানপন্থী সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে তারা অর্থ, অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে।

ডমিনিক অভিযোগ করে বলেন, ইরানের শাসকগোষ্ঠী দেশে ও দেশের বাইরে ক্রমাগত মানবাধিকারের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করে যাচ্ছে বলে ।

কয়েক বছর ধরে কানাডার বিরোধী এমপিদের পাশাপাশি ইরানপ্রবাসীদের দাবির মুখে এই পদক্ষেপ নিল কানাডা সরকার।

উল্লেখ্য যে, কানাডায় সন্ত্রাসীদের তালিকায় আছে বেশ কিছু চরমপন্থী মুসলিম সংগঠনের নামও যার মধ্যে আছে আল-কায়দা, বোকো হারাম, হিজবুল্লাহ এবং ইসলামিক স্টেট। মুসলিম সংগঠন ছাড়াও সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় আছে চরম ডানপন্থী ‘ব্লাড এ্যান্ড অনার’ যেটি একটি আন্তর্জাতিক নব্য নাজী-পন্থী নেটওয়ার্ক এবং এর সশস্ত্র শাখা ‘কমবেট ১৮’। আরো আছে ইন্ডিয়ান মুজাহেদীন, লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলাম, প্যালেস্টাইন লিবারেশন ফ্রন্ট, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান, ওয়ার্ল্ড তামিল মুভমেন্ট। ‘পাবলিক সেফটি কানাডা’র ওয়েবসাইটে এরকম অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসী সংগঠনের নাম আছে।

হিজাব না পরার ‘অপরাধে’ ইরানে মাশা আমীনি নামের এক তরুণীকে গ্রেফতার করার পর পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গোটা ইরানে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ হয় ইরানের বাইরেও। ইস্তাম্বুলে এমনই এক বিক্ষোভের চিত্র। ছবি : গেটিইমেজ/ক্রিস ম্যাকগ্রাথ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *