রোমান্টিক সম্পর্কের নতুন ধারা কানাডায়
পরস্পরকে জানান দিয়েই অনেক জুটি জড়িয়ে পড়ছেন অন্যের সঙ্গে অবাধ প্রেম ও যৌনতায়
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক, মে ৮ ২০২৪ : দ্রুত না হলেও মানব সমাজে ক্রমশই পাল্টে যাচ্ছে রোমান্টিক সম্পর্কের ধারা। আগের দিনে প্রেম করা হতো অতি গোপনে। কিন্তু আজকাল প্রেম করা হয় প্রকাশ্যেই। কারোর কাছেই গোপন থাকে না কে কার সঙ্গে প্রেম করছেন। পাশ্চাত্য সমাজে তো আজকাল আবার পুরুষের সঙ্গে পুরুষের প্রেম বা নারীর সঙ্গে নারীর প্রেম আর লজ্জার কোন বিষয় নয়। গোপন তো নয়ই।
এর সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন আরেক যে ধারা শুরু হয়েছে তা হলো বন্ধনহীন রোমান্টিক সম্পর্ক বা Polyamory। অর্থাৎ একজন পুরুষ তার সঙ্গী বা প্রেমিকাকে জানান দিয়েই অন্য এক বা একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলছেন। আবার একজন নারীও তার সঙ্গী বা প্রেমিককে জানান দিয়েই অন্য এক বা একাধিক পুরুষের সঙ্গ রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে তুলছেন। জুটি বহির্ভূত নারী পুরুষের নতুন এই রোমান্টিক সম্পর্কের মধ্যে যৌনতাও অন্তর্ভূক্ত।
যারা এই ধরণের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন তাদের যুক্তি বা দর্শন হলো, ‘আপনার যদি একই সময়ে একাধিক বন্ধু থাকতে পারে, আপনি পরিবারের একাধিক সদস্যকে যদি সামানভাবে ভালবাসতে পারেন, তাহলে আপনি একই সময়ে একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে রোমান্টিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে সমস্যা কোথায়?’
গবেষণা বলছে কানাডায় এই ধরণের সম্পর্ক দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 2SLGBTQ+এ্যাডভোকেসী সংস্থা Egale Canada এর মতে Polyamory হলো একটি ইচ্ছাকৃত সম্পর্কের কাঠামো যেখানে প্রত্যেকেরই একাধিক রোমান্টিক পার্টনার থাকতে পারে। এবং এই জাতীয় সম্পর্কের সঙ্গে যারা জড়িত তারা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের সম্মতিক্রমে অন্যের সঙ্গে অবাধ মেলামেশা করে থাকেন। গোপনীয়তার কোন প্রয়োজনীতা নেই এই জাতীয় সম্পর্কে। এটি রোমান্টিক জগতে পারস্পরিক সম্মতিমূলক একটি `বহু সম্পর্কের’ রূপ। কানাডায় এই জাতীয় সম্পর্ক দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কথা জানিয়েছে Vanier Institute of the Family. এই প্রতিষ্ঠানটি কানাডায় জাতীয় স্বাধীন থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক হিসাবে পরিচিত এবং কানাডায় পরিবার ও পারিবারিক জীবন নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করে থাকে। গত ২০১৯ সালে ‘জার্নাল অব সেক্স রিসার্চ’ এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, কানাডায় প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন ব্যক্তি পারস্পরিক সম্মতি নিয়ে একাধিক রোমান্টিক পার্টনারের সঙ্গে অবাধে মেলামেশা করছেন। -তথ্যসূত্র : সিবিসি