গ্রোসারির ক্রেতারা মূল্যছাড় ও প্যাকেজ পাবার জন্য দোকান পাল্টাচ্ছে
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : নতুন এক সমীক্ষায় জানা গেছে অপেক্ষাতৃত কম দামে জিনিস পাবার জন্য তাদের নিয়মিত কেনাকাটার দোকান পাল্টাচ্ছেন। খবর পিটার জেপারলিং – সিটিভি নিউজ।
ডালহৌসির এগ্রি ফুড অ্যানালিটিক ল্যাব কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা গেছে, মুদিদ্রব্যের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ ক্রেতাই কম দাম পাবার আশায় দোকান পাল্টে পেলেছেন। রিপোর্টে দেখা যায়, দোকানে যাবার পর প্রায় ৬০ শতাংশ ক্রেতা ক্রমাগত শুধু মূল্যছাড় দেওয়া খাদ্যপণ্য খোঁজেন, তাদের কেনাকাটার তালিকার শীর্ষে রয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ অথবা ক্লিয়ারেন্স সেলের পণ্য।
বহু কানাডীয় মুদিদ্রব্যের উচ্চমূল্যের কারণে এখনও হিমশিম খাওয়ার পরিস্থিতিতে থাকার কারণে এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। নতুন আরেকটি বৃহত্তর সমীক্ষায় দেখা যায়, ৬৪ শতাংশ কানাডীয় মনে করেন, গ্রোসারির দোকানে মূল্যস্ফীতির হারের আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে।
পরিবারের জন্য কেনাকাটার সময়, প্রতিটি ডলার হিসাব করে ব্যয় করা হয়
স্টিটসভিলিতে নো ফ্রিল-এর একটি দোকানে গ্রোসারি পণ্য নেয়ার সময় ক্রেতা স্যাম নরউড বলেন, “হ্যাঁ, অবশ্যই, আমরা পণ্য বিক্রিতে ডিল ব্যবস্থার বিষয়টি ভাবি।”
তিনি বলেন, তার পরিবার প্রতি সপ্তাহে গ্রোসারি পণ্যের পেছনে ব্যয় করে প্রায় ৩০০ ডলার আর তিনি সেই দোকানেই যান যেখানে সাশ্রয় হয়।
নরউড বলেন, “আগে একটি দোকানেই যাওয়া হতো। কিন্তু এখন আমরা অবশ্যই আশেপাশের দোকানেও ঘুরে দেখি।”
ডালহৌসি ইউসিভার্সিটির খাদ্যবণ্টন ও নীতি বিষয়ক গবেষক ও প্রফেসার সিলভেইন শার্লেবোই বলেন, সমীক্ষার ফলাফরে তিনি মর্মাহত।
তিনি বলেন, “আসলে ৬০ শতাংশের বেশি কানাডীয় তাদের আগের দোকান পাল্টেছেন, কারণ সেখানে যথেষ্ট মূল্যছাড়ের ব্যবস্থা নেই। সংখ্যাটা বিরাট।”
“সুতরাং, এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে এই যে, যেসব মুদিপণ্য বিক্রেতা যথেষ্ট ছাড় দিচ্ছেন না ক্রেতারা সত্যিই তাদের ছেড়ে যাচ্ছেন। স্পষ্টতই ক্রেতারা কিছুটা প্রণোদনা আশা করেন।”
Loblaw সম্প্রতি তাদের দোকানগুলোতে পুরনো অথবা মেয়াদোত্তীর্ণ আইটেমগুলিতে মূল্যছাড়ের ৫০ শতাংশ উঠিয়ে দেয়, কিন্তু জনসাধারণের প্রতিক্রিয়ার কারণে কয়েকদিনের মধ্যে সেই নীতি বর্জন করে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, রিয়াল কানাডিয়ান সুপারস্টোর এবং নো ফ্রিলসসহ লবলো’র অধীন পরিচালিত শপগুলো মূল্যছাড়ের পণ্য ক্রেতাদের প্রধান গন্তব্য। এর পরেই আছে ওয়ালমার্ট, কস্টকো, মেট্রো/ফুডবেসিকস এবং জায়ান্ট টাইগার।
স্টিটসভিলির জিটির দোকানে কেনাকাটা করার সময় জনি সাবোরিন বলেন, “আমি জায়ান্ট টাইগার পছন্দ করি।”
“নিয়মিত দামের দোকানে মুরগি ও অন্য যেসব সামগ্রী আমি পাবো না। তাই আমি ক্যানের খাবার, ডিম, দুধ, ক্রিম ইত্যাদি এখান থেকে কিনি অপেক্ষাকৃত সুলভ দামে।”