অন্টারিওতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শীঘ্রই বেতন যোগ করতে হবে
ন্যায্য মজুরির প্রবক্তারা বলছেন, এটি চমৎকার প্রথম পদক্ষেপ
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : অন্টারিও সরকার নতুন শ্রম আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এতে অন্যান্য পরিবর্তনের সঙ্গে চাকরিদাতাদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বেতন সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক করা হবে। কর্মসংস্থান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ একইসঙ্গে চাকরিপ্রার্থী ও নিয়োগদাতা উভয়ের জন্য ভালো। খবর পিট ইভান্স – সিবিসি নিউজ
অন্টারিওর শ্রম, অভিবাসন, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড পিসিনি প্রদেশের কর্মসংস্থান আইনে বেশ কিছু হালনাগাদকরণের ঘোষণা দিতে গিয়ে বলেন, “যে সময় অনেক কোম্পানি রেকর্ড মুনাফার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, তখন তারা কীভাবে কর্মীদের বেতন দেয় সে সম্পর্কে স্বচ্ছতার সঙ্গে জানানোই ন্যায়সঙ্গত।”
আইনের প্রধান একটি পরিবর্তন হতে পারে প্রদেশের নিয়োগদাতাদের জন্য যে কোনও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কাঙ্খিত পদের বিপরীতে বেতনকাঠামো অন্তর্ভুক্ত করা।
ব্রিটিশ কলম্বিয়া এবং প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড উভয়েই গত বছর অনুরূপ আইন পাস করেছে। আর অন্টারিও নিজে গত মঙ্গলবারের রূপরেখা দেয়া আইনের চেয়ে আরও জোরালো শর্তাবলী বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়েছিল সেই ২০১৮ সালে, কিন্তু তখনকার লেবার দলীয় সরকার নির্বাচনে হেরে গেলে সে আইনের মৃত্যু ঘটে।
চাকরিপ্রার্থীরা, যেমন কাওয়াল প্রিত কাউর বলেন, এটি ঠিক পথে যথার্থ পদক্ষেপ এবং দীর্ঘদিনের বিলম্বিত। তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন ডাক্তার যিনি নিজের দেশ ভারতে একটি মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসার ছিলেন। কিন্তু কানাডায় দুই বছর ধরে চেষ্টা করেও তিনি মেডিক্যাল বা শিক্ষাক্ষেত্রে কোনও স্থায়ী চাকরিতে ঢুকতে পারেননি।
এর পেছনে অনেক হতাশাজনক কারণ আছে বলে জানালেও তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ায় সবার জন্য একটি মৌলিক অগ্রগতি হবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বেতন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য অন্তর্ভুক্তির শর্ত।
বেতন-কাঠামো যোগ করা “নিশ্চিতভাবেই নিয়োগদাতা ও নিয়োগপ্রাপ্ত উভয়ের জন্য উপকারী হবে… কারণ এটি ওইসব চাকরিতে অযথা জটিলতা বাঁচিয়ে দেবে।”
গত বছর অন্টারিওতে অনলাইনে দেয়া সব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মধ্যে মাত্র ৩৭ শতাংশে বেতন সম্পর্কিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ক্রিস্টিনা ম্যাকডোগাল প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর জন্য লিডারশিপ রিক্রুটমেন্টের দায়িত্ব পালন করা নির্বাহী সন্ধানী প্রতিষ্ঠান আর্মেটিস কানাডার পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, যেসব কোম্পানির সঙ্গে তিনি কাজ করেন সাধারণভাবে সেগুলি স্বচ্ছতায় অত্যন্ত বিশ^াসী।
তাতে অবশ্য এটা বলা যায় না যে, এটা খুব সহজ হবে বা সবাই দুহাত বাড়িয়ে স্বাগত জানাবে। “ন্যায্যতার সাথে বেতন-ভাতা দেয়া হচ্ছে এটা নিশ্চিত করার দরকার আছে। এমন কিছু সংস্থা আছে যেগুলি, আমার মনে হয়, মনে করবে যে, এটির বাস্তবায়ন অসাচ্ছন্দ্যকর।”