কানাডা বসবাসের জন্য অন্যতম সেরা দেশ, নতুন জরিপে তথ্য
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩ : কানাডা বসবাসের জন্য বিশে^র অন্যতম সেরা দেশ হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। শুধু সুইজারল্যান্ডের পরেই কানাডার অবস্থান। খবর র্যাচেল গুডম্যান -নাউটরন্টো.কম।
গত মাসে ইউএস নিউজ পরিচালিত সমীক্ষার ফলাফল নির্ধারণে একেকটি দেশ সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী মানুষের ধারণাভিত্তিক উপাত্ত ব্যবহার করা হয়।
৮৭টি দেশ নিয়ে করা ২০২৩ সালের এই বিশ্লেষণের জন্য বাণিজ্য, ভ্রমণ এবং বিনিয়োগ পরিচালনার সম্ভাবনা সম্পর্কিত ধারণার কিছু গুণগত বৈশিষ্ট্য পরিমাপ করা হয়।
গতবছর কানাডা ছিল তৃতীয় অবস্থানে। ২০২৩ সালে কানাডার পরের অবস্থানে রয়েছে সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মানি, নিউ জিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডস।
জরিপে জানা যায়, কানাডাকে বিশ্বজুড়ে সম্মানের চোখে দেখা হয়। জীবনযাত্রার মান সম্পর্কিত ক্যাটাগরিতে কানাডার স্কোর ৯২.৭। আর সামাজিক উদ্দেশ্যের (Social Purpose) জন্য ৯৩.৪। এটি অন্য সব শ্রেণীর মতই বেশ কিছু উপ-শ্রেণীর বিপরীতে পরিমাপ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রাণি-অধিকার, মানবাধিকার, পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা, জলবায়ু সম্পর্কিত লক্ষ্য, সামাজিক ন্যায়বিচার, জেন্ডার ও জাতিগত সমতা বিষয়ে অঙ্গীকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্পদের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার সুষম বণ্টন।
কানাডা ব্যবসায়িক উদ্যোগ ও ক্বরিৎকর্মশীলতার জন্যও উঁচু স্থান পেয়েছে, যা দেশটির অভিযোজনযোগ্যতা, গতিশীলতা, আধুনিকতা, প্রগতিশীলতা এবং সংবেদনশীল হওয়ার উপলব্ধ সক্ষমতার পরিমাপ করে।
প্রতিটি দেশের র্যাংকিং নির্ধারণের জন্য জরিপে “কোনও দেশকে বর্ণনা করার জন্য ব্যবহৃত শর্ত হিসাবে” নির্ধারিত ৭৩টি দেশীয় বৈশিষ্ট্যের একটি গুচ্ছ ব্যবহার করা হয়, “যেগুলি একটি আধুনিক দেশের সাফল্যের ক্ষেত্রেও প্রাসঙ্গিক।”
উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যগুলি পরে সারা বিশ্ব থেকে ১৭,০০০ এর বেশি লোককে নিয়ে পরিচালিত একটি সমীক্ষায় উপস্থাপন করা হয়; অংশগ্রহণকারীদের মূল্যায়ন করতে বলা হয় যে, তারা কোনও দেশের সংশ্লিষ্ট বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে যুক্ত কিনা।
৭৩টি বৈশিষ্ট্যের ওপর প্রতিটি দেশ স্কোর অর্জন করেছে। একটি দেশে কোনও নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য গড়ের চেয়ে যত বেশি বিদ্যমান বলে প্রতিভাত হয়েছে, ওই বৈশিষ্ট্যের জন্য দেশটির স্কোর তত বেশি হয়েছে।
বৈশিষ্ট্যগুলি ১০টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়: অ্যাডভেঞ্চার, ক্বরিৎকর্মশীলতা, সাংস্কৃতিক প্রভাব, ব্যবসায়িক উদ্যোগ, ঐতিহ্য, সঞ্চালন, ব্যবসার জন্য উদার নীতি, ক্ষমতা, জীবনমান এবং সামাজিক উদ্দেশ্য।
ইউএস নিউজ এবং ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট-এর মধ্যে পরামর্শ করে উপাত্ত সংগ্রহ ও উপস্থাপন করা হয়।
গবেষণাপদ্ধতি সম্পর্কিত তথ্য অনুযায়ী, “দেশগুলোর স্কোর ও র্যাংক নির্ধারণে ব্যবহৃত সমীক্ষার মডেলটি তৈরি করে বিশ্বব্যাপী বিপণন ও যোগাযোগ পরিষেবা কোম্পানি ডব্লিউপিপি (WPP) ও তার মালিকানাধীন ব্রান্ড অ্যানালিটিক টুল বিএভি (BAV) এবং পেনসিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির ওয়ারটন স্কুল (the Wharton School), বিশেষ করে এই স্কুলের প্রফেসার ডেভিড রিবস্টেইন।