কলমবাজি
সাইদুল হোসেন
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
The Magic Flying Carpet
মহান আল্লাহ তাঁর কুরআনে বলেছেন : “কেউ জানে না আগামীকাল সে কি অর্জন করবে। এবং কেউ জানে না কোন স্থানে সে মৃত্যু বরণ করবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, তিনি সকল বিষয়ে পূর্ণ খবর রাখেন।” (সূরা লুকমান (৩১), আয়াত ৩৪)
এই মৃত্যু প্রসংগে বহু বছর আগে কোন একটা ইসলামী কিতাবে এই গল্পটা পড়েছিলাম। সত্য না মিথ্যা জানি না, আমি যা পড়েছিলাম শুধু তাই জানাচ্ছি।
নবী সুলাইমান (আঃ)-কে তাঁর বিশাল-বিস্তৃত রাজ্যের দূর-দূরান্তে দ্রুত ভ্রমণে সাহায্য করার জন্য আল্লাহ তাঁকে একটা magic flying carpet দান করেছিলেন। অবশ্য কুরআনে একথাটার কোন উল্লেখ নেই। সেই magic flying carpet-টা নবী সুলাইমান (আঃ)-কে তাঁর আদেশে তাঁর রাজ্যের যে কোন প্রান্তে মূহুর্তের মাঝে উড়িয়ে নিয়ে যেতো, ফিরিয়ে আনতো। তাঁর রাজ্যের সব নাগরিকই এটা সম্পর্কে অবহিত ছিলো। Bible এর Old Testament থেকে জানা যায় যে নবী দাউদ (আঃ)-এর পুত্র নবী সুলাইমান (আঃ) খৃষ্টপূর্ব ৯৬৫ থেকে খৃষ্টপূর্ব ৯২৮, এই ৩৭ বছর বানী ইসরাঈলদের নবী এবং রাজা ছিলেন। জেরুজালেম (প্যালেস্টাইন) ছিল তাঁর রাজধানী।
গল্পে বর্ণিত ঘটনাটা ছিল এরকম :
একদিন একজন লোক এসে নবী সুলাইমান (আঃ)-কে বললো, “হে নবী, আমার বহুদিনের আকাংখা যে আপনার magic flying carpet -টাতে চড়ে আমি পাহাড়ের ঐদিকে কি আছে দেখতে যাবো। আমার প্রার্থনাটা মঞ্জুর করলে আমি আজীবন আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।”
লোকটার কথা শেষ হলে নবী সুলাইমান (আঃ) মৃদু হেসে বললেন, “আচ্ছা তুমি এটা নিয়ে যাও এবং তোমার বাসনা পূর্ণ কর।”
নবী কার্পেটটা লোকটার হাতে তুলে দিলেন। তৎক্ষণাৎ সে ওটাতে উঠে দাঁড়ালো, এবং কার্পেটটাও সাঁই করে আকাশে উড়ে পাহাড়টার অন্য পাশে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেল। উপস্থিত লোকজন সেই দৃশ্য দেখে চমৎকৃত।
অল্পক্ষণ পরই কার্পেটটা ফিরে এলো, কিন্তু সেই লোকটা নেই। লোকেরা অবাক হয়ে নবীর কাছে জানতে চাইলো সেই লোকটা ফিরে এলো না কেন।
নবী সুলাইমান (আঃ) সকলের দিকে তাকিয়ে হাসলেন এবং তারপর বললেন, “লোকটা পাহাড়ের ওপারে যাওয়ার পর মারা গেছে, তাই সে ফিরে আসেনি। ওখানে এই সময়ে লোকটার মৃত্যু আল্লাহ তার জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছিলেন এবং তার ওপারে যাওয়ার জন্য সে আমার magic carpet -এর সাহায্য নিতে আসবে সেটাও তিনিই নির্দিষ্ট করে রেখেছিলেন। লোকটা জানতো না সে কোথায় মরবে কিন্তু আল্লাহ তাকে ঠিক সেখানেই নিয়ে গেলেন যেখানে তিনি তার মৃত্যু লিখে রেখেছিলেন। আল্লাহর আদেশের তো নড়চড় হয় না।”
Note : এই লেখাটা তৈরী করার সময় Internet check করে দেখলাম যে এই The Magic Flying Carpet of King Solomon সম্পর্কিত বহু information and legends আরব দেশগুলোতে প্রচলিত রয়েছে যার reference the Bible (Old Testament) এও রয়েছে।
– অকটোবর ১৯, ২০২২
দমাদম মাস্ত কালান্দার
দমাদম মাস্ত কালান্দার,
দমাদম মাস্ত কালান্দার,
সিনধ্রি দা, সেওয়ার দা,
সোখি শাহ্বাজ কালান্দার
আলী দা পেহলা নামবার
দমাদম মাস্ত কালান্দার…
ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের অতি বিখ্যাত একটি সুফী গান। বাংলাদেশেও এই গানের ভক্তের অভাব নেই। গানটার একাধিক version-ও শোনা যায় যদিও সেগুলোতে কালান্দারের প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তির কোন কমতি নেই। সে যাহোক, কিন্তু এই কালান্দার ব্যক্তিটি কে? Internet-এ অনুসন্ধানের পর অনেক কিছুই জানতে পারলাম যার সংক্ষিপ্ত বিবরণটা এখানে তুলে ধরছি।
এই মাস্ত কালান্দার কে সেটা জানার জন্য Wikipedia এবং Google search করে জানতে পারলাম যে ইতিহাসে একে একে তিন জন কালান্দারের কথা জানা যায়।
১) হজরত লাল শাহবাজ কালান্দার
প্রথম কালান্দারের জন্ম স্থান ছিল ইরানের আজারবাইজানের মারান্দ্ নামক এক গ্রামে। জন্ম সাল ১১৭৮ খৃষ্টাব্দ। মাতাপিতার দেয়া নির্বাচিত নাম ছিল উসমান, পরিচয় ছিল উসমান মারন্দি নামে। মৃত্যু বাগদাদে ৭৩ বছর বয়সে ১২৫১ খৃষ্টাব্দে। সুফী তরিকা পন্থী ছিলেন। অতি সম্মানিত, জ্ঞানী ব্যক্তি, অগণিত ভক্ত। বহু দেশ ভ্রমণ করেছিলেন। সর্বদা বড় বাজপাখির (শাহবাজ পাখির) মত মুক্তবিহংগ ছিলেন, তাই ভক্তরা নাম দিয়েছিল ‘শাহবাজ’। শিক্ষকতা ছিল তার পেশা।
সর্বদা লাল রঙের পোশাক/আলখাল্লা পরে থাকতেন। তাই অপর পরিচয় “লাল”। আর “কালান্দার” অর্থ হলো যে ব্যক্তি জাগতিক সব রকম চাওয়াপাওয়ার প্রতি উদাসীন। জো শখ্স বিলকুল আযাদ হ্যায় দুনিয়াবি চাহাতোঁসে, নেহি কোই লেনাদেনা দুনিয়াসে, ওহিতো ক্বালান্দার।
কালান্দার কথাটার অপর অর্থ হলো আল্লাহর অতি প্রিয়জন হজরত আলী। এই উসমান মারানদি-ও আল্লাহর অতি প্রিয়জন ছিলেন। জনশ্রুতি অনুসারে স্বপ্নে এই দু’জনের দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছিল এবং হজরত আলী তাঁকে আশীর্বাদও করেছিলেন।
২) দ্বিতীয় কালান্দার ছিলেন বু আলী কালান্দার। জন্ম ইন্ডিয়ার পানিপথ নামক স্থানে ১২০৯ খৃষ্টাব্দে, মৃত্যু ১৩২৪ খৃষ্টাব্দে। শরফুদ্দীন পানিপথি নামেও পরিচিত ছিলেন। সুফী তরিকার অগ্রগণ্য ব্যক্তি ছিলেন।
৩) তৃতীয় কালান্দার ছিলেন বাবা বুল্লে শাহ কালান্দার। ইন্ডিয়ার তৎকালীন পাঞ্জাবের মুলতান সিন্ধ বাহাওয়ালপুরে “উচ্” নামক গ্রামে জন্ম ১৬৮০ খৃষ্টাব্দে। মৃত্যু ১৭৫৭ খৃঃ। তিনিও সুফী তরিকার অতি শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন।
এবার “দমাদম মাস্ত কালান্দার” গানটি সম্পর্কে কিছু তথ্য।
১) গানটির মূল রচয়িতা ছিলেন ভারতবিখ্যাত এবং আজো অতি শ্রদ্ধেয় সংগীত শিল্পী আমীর খসরু (১২৫৩-১৩২৫ খৃঃ)। জন্ম পাতিয়ালা, মৃত্যু দিল্লী।
২) তৎপরবর্তী যুগে গানটাতে বারবার নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাই প্রচলিত আছে একাধিক version. বহু বিখ্যাত গায়ক ও গায়কদল নিজেদের পছন্দমত কথা যোগ দিয়ে গেয়েছেন।
৩) বর্তমানে প্রচলিত কথাগুলো পাঞ্জাবী ভাষায়, সুর দিয়েছিলেন পাকিস্তানী আশিক হুসেইন ১৯৫৬ সনে।
৪) তৎপর গানটির নূতন composer পাকিস্তানী নাজির আলীর arrangement অনুসারে Jabroo মুভিতে গায়িকা নূরজাহানের কণ্ঠে অভূতপূর্ব সাড়া জাগায় ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানে ১৯৬৯ সনে। বাংলাদেশের সুবিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লাও এই গানটির প্রচার-প্রসারে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন।
৫) এই গানটি গেয়েছেন অন্যান্যরাও যথা- ইনায়েৎ হুসেন ভাট্টি, ফজল হুসেন ভাট্টি, ওয়াদালি ব্রাদার্স, কাবুল বুখারি, নুরান সিস্টারস।
৬) Google search shows that – Dama Dam Mast Qalandar is a spiritual Sufi song written in the honour of most revered Sufi Saint of Sindh, Lal Shahbaz Qalandar (1177-1274 CE) of Sehwan Sharif. The original poem was initially written by the 13th century Sufi Poet Amir Khusrow (1253-1325 CE), then further modified by Bulleh Shah in the 18th century (1680-1757 CE). This Sufi song is dedicated to Lal Shahbaz Qalandar of Sindh (1177-1274 CE).
প্রশ্ন : উপরের তথ্য অনুসারে মনে হয় যে উসমান কালান্দার মারান্দি (১১৭৮-১২৫১ খৃঃ), (ইরানের আজারবাইজান) এবং ভারতের সিন্ধের লাল শাহবাজ কালান্দার (১১৭৭-১২৭৪ খৃঃ) একই ব্যক্তি। এ কি করে সম্ভব?
ইতিহাস যাই বলুক না কেন তার গানটা যে মানুষের হৃদয় জয় করেছে তাতে কোনই সন্দেহ নেই।
– অকটোবর ২২, ২০২২
বিবিধ প্রসংগ
(এক)
“FAIR TRADE?” নামে একটা বই পড়তে পড়তে সেটার ৮ পৃষ্ঠায় এই অতি মূল্যবান কথাগুলোর দেখা পেলাম।
What is Poverty?
- Poverty is hunger.
- Poverty is lack of shelter and clothing.
- Poverty is being sick and not being able to see a doctor.
- Poverty is not being able to go to school.
- Poverty is not having a job, fear for the future, and living one day at a time.
- Poverty is powerlessness, and lack of freedom.
সংক্ষিপ্ত কিন্তু অতি বাস্তব বর্ণনা।
(দুই)
Learning the English Language
আমরা সাধারণভাবে জানি যে British English এবং American English সর্বতোভাবে এক নয়, বেশ ব্যবধান আছে, বিশেষতঃ বানানে (spelling-এ) এবং জিনিসপত্রের নামে। বড় কোন English dictionary খুললেই চোখে পড়ে British spelling এর পাশাপাশি American spelling -ও উল্লেখ করা হয়েছে।
আকষ্মিকভাবে মাত্র ৪৮ পৃষ্ঠার একটা ছোট বই [London, UK থেকে প্রকাশিত, 15th impression (2003)] আমার চোখে পড়ল আমাদের নিকটস্থ পাবলিক লাইব্রেরীতে, ওদের rejected books-এর shelf-এ। নাম মাত্র মূল্যে সেসব বই বিক্রি হচ্ছে। দু’টি বই মাত্র ৫০ সেন্ট দিয়ে কিনে আনলাম এবং পড়লাম। দু’টি বইই অতি চমৎকার। তবে এখানে আলোচ্য বইটি হচ্ছে-
AMERICAN ENGLISH
ENGLISH AMERICAN
Author: Anthea Bickerton
Publisher: ABSON BOOKS LONDON (UK)
ক্যানাডা এবং আমেরিকায় বসবাসরত বাংগালী পাঠকদের চোখ খুলে দেবে, it’s an eye-opener book, তাদের জ্ঞানের পরিধি অনেক বাড়িয়ে দেবে। বইটি পড়ে আমি খুবই খুশী। I feel very happy that I could collect this treasure from the trash heap!
(তিন)
Communication Networks
Boss: পৃথিবীর অতি শক্তিশালী দু’টি Communication Networks-এর নাম বলুন তো?
Employee: সে দু’টি হলো female and email, sir.
Boss: বুঝিয়ে বলুন।
Employee: দু’টিই নিমেষের মাঝে এদিকের সব খবর ওদিকে ছড়িয়ে দিতে পারে!
(চার)
কিছু মূল্যবান এবং ইন্টারেস্টিং বাতচিৎ
- Worrying doesn’t help.
It’s like a rocking chair. It’ll give you something to do but will not take you anywhere. - Coffee is a kind of magic you can drink. (Catherynne M. Valente)
- Respect is a really powerful magic too, you know. (Jefferson Smith)
- As Mo has said: writing stories is a kind of magic, too. (Cornelia Funke)
- Home is where happiness grows.
- Start each day In a happy way.
- We are no longer happy as soon as we wish to be happier. (Walter Savage Landor)
- World Peace.
Religious preachers have the responsibility for World Peace, to
- Preach for Peace
- Preach for Tolerance
- Pray for Comfort
- Pray for Healing
[Steve Rockwell, Vision TV, Toronto. Canada]
একটু ব্যতিক্রম
আমার এক ভাগ্নী স্বামী-পুত্র নিয়ে টরন্টো সিটিতে নিজেদের বাড়িতে বসবাস করে। স্বামী চাকরি করে, সে নিজেও চাকরি করে। আয়-রোজগার ভালো। দুই ছেলে কলেজে-স্কুলে পড়ে। সুখেই আছে। আমাদের সংগে যোগাযোগ রাখে।
এক ঈদের দিন বিকালে ওরা স্বামী-স্ত্রী বেড়াতে এলো। যথারীতি মামীর হাতের রান্না, পিঠা, হালুয়া ইত্যাদি খেয়ে কিছুক্ষণ গল্প-সল্প করে বিদায় নিলো। কিন্তু যাওয়ার আগে দিয়ে গেলো এক surprise!
ভাগ্নী ওর purse খুলে আমাকে দিল একশ’ ডলার, ওর মামীকে দিল দু’শ ডলার।
জিজ্ঞাসা করলাম, “এসব ডলার দিচ্ছিস কেন?”
বললো, “আপনাদেরকে কিছু একটা গিফ্ট দিতে মন চাইলো, তাই দিলাম। আজীবন তো আপনারাই গিফ্ট দিলেন, পেয়েই আমি অভ্যস্থ, এবার একটু ব্যতিক্রম করলাম। আমার নিজের আয়ের ডলার, হাজব্যান্ডের নয়। মামীকে বেশী দিলাম কারণ মামী তো আমার মায়ের থেকে কম নয়, তিনি তো আমাকে তার নিজ সন্তানের মতই আজীবন আদর-স্নেহ করে যাচ্ছেন। এটা আমার পক্ষ থেকে ঈদ গিফ্ট। মনটাকে খুশী করলাম।”
ওর আন্তরিকতা আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করলো। হাসি মুখে, খুশী মনেই ভাগ্নীর দেয়া ঈদ গিফ্ট নিলাম।
আল্লাহ ওদের মংগল করুন।
– অকটোবর ২৪, ২০২২
কিছু টুকরো টুকরো ঘটনা
(এক)
No Good morning
একদিন সকাল বেলা আমাদের বিল্ডিংয়ের এলিভেটর থেকে বের হতেই লবীতে দেখা হলো এক বৃদ্ধের সংগে, তার walker-এ ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। বললাম, “Good morning!” শুনে তিনি মলিন মুখে বললেন, “No. Morning only. Nothing good left for me!”
শুনে মনে বড় কষ্ট পেলাম। দুঃখী মানুষ। যাহোক আর কথা না বাড়িয়ে আমি আমার কাজে চলে গেলাম।
(দুই)
HAPPY ½ BIRTHDAY!
একদিন একটা ইমেইল পেলাম আমার এক ভাগ্নীর কাছে থেকে। সে টরন্টোর বাইরে Whitby-তে স্বামী-পুত্র নিয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছে। প্রথম সন্তান, ছেলের মা, খুব খুশী। ইমেইলে দেখলাম, ছেলেকে জন্মদিনের পোশাকে সাজানো, চারদিকে নানা খেলনা ছড়ানো, টেবিলে Birthday Cake শোভা পাচ্ছে। দু’পাশে বসা ছেলের মা ও বাবা। উপরে বড় বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে : HAPPY ½ BIRTHDAY!
½ Birthday -টা আবার কি বস্তু?
ছেলের বয়স সেদিন মাত্র ৬ মাস পূর্ণ হয়েছে (আমার ওয়াইফ হিসাব করে বের করলেন।) তাই সেটা HAPPY ½ BIRTHDAY. আরো ৬ মাস পর ১২ মাস পূর্ণ হলে full birthday উৎসব করা হবে, মন্তব্য করলেন তিনি। বোঝলাম।
কত না নূতন নূতন প্রকাশভংগী মানুষের কল্পনাতে বিচরণ করে তা ভাবলে অবাক লাগে!
ভাগ্নীকে একটা Thank you ইমেইল পাঠিয়ে দিলাম।
(তিন)
মৃত স্বামীর জন্য
একদিন ভোর ছটায় টেলিফোন বেজে উঠলো। গভীর ঘুম ভেংগে গেলো আমরা স্বামীস্ত্রী দু’জনেরই। এত ভোরে টেলিফোন? কারো কোন বিপদ ঘটলো না তো?
ফোন উঠিয়ে হ্যালো বলতেই অপর প্রান্ত থেকে ভেসে এলো বহু বছরের পরিচিত এক মহিলার কণ্ঠ। তিনি বললেন, “আজ আমার হাজব্যান্ডের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ওর জন্য দু’আ করবেন। যান, এখন ঘুমাতে যান”, বলেই কানেকশানটা কেটে দিলেন।
ভেবে পেলাম না এটা এমনকি একটা emergency news ছিলো যা এতো ভোরে আমাদের ঘুম ভাংগিয়ে জানাতে হলো? খবরটা তো দিনের বেলাও দেয়া যেতো?
মানুষের মনের গতি বোঝা ভার!
(চলবে)
সাইদুল হোসেন। মিসিসাগা