২০২২ সালে চার লাখ ৩৭ হাজার নতুন অভিবাসীকে স্বাগত জানিয়ে নতুন রেকর্ড করলো কানাডা

গত বছর চার লাখ ৩৭ হাজারের বেশি নতুন পারমানেন্ট রেসিডেন্ট কানাডায় এসেছেন, এক বছরে বরণ করা এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যা

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক॥ ০৩ জানুয়ারি ২০২৩: কানাডার অভিবাসন, উদ্বাস্তু ও নাগরিকত্ব দফতর (আইআরসিসি) ঘোষণা করেছে যে, ২০২২ সালে দেশটি পারমানেন্ট রেসিডেন্ট অন্তর্ভুক্তির রেকর্ড ছোঁয়া লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। খবর এডানা রবিটেইলি- সিআইসি নিউজ.কম। 

২০২২ সালে কানাডা পারমানেন্ট রেসিডেন্ট অন্তর্ভুক্তির রেকর্ড ছোঁয়া লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। ছবি: সাইটইমকানাডা

এক টুইট বার্তায় আইআরসিসি জানায়, কানাডা গত বছর চার লাখ ৩৭ হাজারের বেশি নতুন অভিবাসীকে স্বাগত জানিয়েছে। গত বছরের জন্য তাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল চার লাখ ৩১ হাজার ৬৪৫ জন। সর্বশেষ সংখ্যা তার চেয়ে বেশি এবং একইসঙ্গে এটি এক বছরে স্থায়ী বাসিন্দা বরণের সর্বকালের রেকর্ড। এর আগের রেকর্ড হয়েছিল ২০২১ সালে। সে বছর কানাডা চার লাখ পাঁচ হাজার নতুন অভিবাসীকে বরণ করে নেয়।

অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী সিন ফ্রেসার বলেন, “আজকের দিনটি কানাডার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে, এক বছরে নতুনদের স্বাগত জানানোর নতুন রেকর্ড স্থাপিত হলো আজ। এটি আমাদের দেশ ও এর জনগণের শক্তিমত্তা ও স্বতঃস্ফূর্ততার প্রমাণ। নবাগতরা শ্রমিকের ঘাটতি পূরণে, সমাজে নতুন পরিপ্রেক্ষিত ও মেধা সংযোজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং সামগ্রিকভাবে আমাদের সমাজকে সমৃদ্ধ করেন। ভবিষ্যত আমাদের জন্য কী রেখেছে তা দেখার জন্য আমি উদ্দীপিত এবং ২০২৩ সালে আরেকটি ঐতিহাসিক বছরের অপেক্ষা করছি, যেহেতু আমরা অব্যাহতভাবে নতুনদের স্বাগত জানাই।”

আইআরসিসি ২০২২ সালে তার সব ধরণের আবেদন থেকে ৫২ লাখ আবেদন প্রক্রিয়াকরণ করে। এর মধ্যে ছিল পারমানেন্ট রেসিডেন্সি, টেম্পোরারি রেসিডেন্সি ও নাগরিকত্বের আবেদন এবং এই সংখ্যাটি ২০২১ সালে প্রক্রিয়াকরণ করা আবেদনের চেয়ে দ্বিগুণ।

অভিবাসনের স্তর সম্পর্কিত পরিকল্পনা ২০২৩-২০২৫

বার্ষিক অভিবাসন স্তর পরিকল্পনায় কানাডার অন্তর্ভুক্তির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা আছে। ২০২২ সালের পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয় ওই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে, যা ছিল ২০২৩-২০২৫ সালের পরিকল্পনা প্রকাশের আগে সর্বকালের সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যমাত্রা।

কানাডার শ্রমশক্তির প্রবৃদ্ধির প্রায় ১০০ ভাগ অভিবাসনের ওপর নির্ভরশীল। দেশটিতে প্রায় ১০ লাখ চাকরির পদ খালি আছে এবং বুড়িয়ে যাওয়া শ্রমশক্তির কারণে দক্ষ শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে। অভিবাসীরা কানাডার অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যেহেতু আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৯০ লাখ কানাডীয় ৬৫ বছরে অর্থাৎ অবসর গ্রহণের বয়স পড়বেন। বুড়িয়ে যাওয়া জনসংখ্যার অর্থ হলো, কর্মী ও অবসরে যাওয়া মানুষের অনুপাত ৫০ বছর আগের ৭:১ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে ২:১-এ পৌঁছবে।

তার ওপর, কানাডার জনসংখ্যা বৃদ্ধির ৭৫% ভাগই অভিবাসনের ওপর নির্ভরশীল। কারণ দেশটির জন্মহার বিশ্বের সবচেয়ে কম জন্মহারের একটি, যেখানে প্রতিটি নারী মাত্র ১.৪ টি সন্তানের জন্ম দেন।