২০২৫ সাল থেকে প্রতি বছর পাঁচ লাখ করে অভিবাসী গ্রহণের পরিকল্পনা কানাডার

বিশেষজ্ঞরা বলছেন চাকরীর বাজারে প্রবেশের জন্য এদের সহায়তার দরকার হবে

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক, ০১ নভেম্বর ২০২২ : কেন্দ্রীয় সরকার কানাডায় অভিবাসীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, ২০২৫ সালে পাঁচ লাখ লোক আনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। অভিবাসন মন্ত্রী সিন ফ্রেসার ১লা নভেম্বর নতুন লক্ষ্যমাত্রা প্রকাশ করে বলেন, কানাডার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ জরুরী। খবর দি কানাডিয়ান প্রেস এর।

এই ঘোষণা অভিবাসীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর ইঙ্গিত। কানাডায় আসা অভিবাসীর সংখ্যা গত বছরের চার লাখ পাঁচ হাজার থেকে বেড়ে আগামী বছর চার লাখ ৬৫ হাজারে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কানাডার শিল্প খাত গুরুতর শ্রমিক সঙ্কটে রয়েছে। সারা দেশে প্রায় ১০ লাখ চাকরির পদ শূন্য।

নতুন পরিকল্পনায় এমন অভিবাসীর সংখ্যা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হয়েছে যারা তাদের কর্মদক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আগামী তিন বছরে এদেশে আসবেন।

এই খবর প্রকাশ পেলো গত মাসে প্রকাশিত নতুন আদম শুমারির রিপোর্টে এই তথ্য উঠে আসার পর যে, অভিবাসী ও পারমানেন্ট রেসিডেন্টের সংখ্যা এখন মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ  – যা সর্বকালের সর্বোচ্চ।

কেন্দ্রীয় সরকার কানাডায় অভিবাসীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, ২০২৫ সালে পাঁচ লাখ লোক আনার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। । ছবি: সংগৃহীত

স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা জানায়, ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আসা সাম্প্রতিক কালের অভিবাসীরা গড় বয়সে কানাডার জনসংখ্যার চেয়ে তরুণতর এবং কানাডার শ্রমবাজারে অনেক চাকরির পদ পূরণের জন্য তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কানাডার শ্রমশক্তি প্রবৃদ্ধির পাঁচ ভাগের চার ভাগই হলো ২০১৬ থেকে ২০২১ এর মধ্যে আসা অভিবাসীরা। সাম্প্রতিক অভিবাসীদের বড় অংশকেই বেছে নেয়া হয় কানাডার অর্থনীতিতে তাদের অবদান রাখার সামর্থের জন্য।

সাম্প্রতিক অভিবাসীদের অর্ধেকেরও বেশি – অর্থাৎ ১৩ লাখের মধ্যে  সাত লাখ ৪৮ হাজার ১২০ জন কানাডায় আসেন ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে, অর্থনৈতিক ক্যাটাগরিতে।

শ্রমিক সঙ্কট

কানাডার বিজনেস কাউন্সিল  (বিসিসি) কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলেছে, কানাডাজুড়ে চাকরিদাতারা শূন্যপদ পূরণের জন্য লড়াই করছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিসি বলেছে, তারা চায়, অর্থনৈতিক ক্যাটাগরিতে আসা অভিবাসীর সংখ্যা যেন মোট অভিবাসীর অর্ধেকের চেয়ে কিছু বেশি থেকে ৬৫ শতাংশ বেশি হয়।

বিসিসির প্রেসিডেন্ট এবং সিইও গোল্ডি হায়দার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “প্রতিটি শূন্যপদ কানাডার অর্থনীতিতে অবদান রাখার ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির ঘাটতি এবং দেশের সামাজিক অবকাঠামোতে মদদ দেয়ার ক্ষেত্রে একজন লোকের কর কম থাকার প্রতিনিধিত্ব করে।”

বিসিসি জানায়, সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, শ্রমিক না পাওয়ায় তাদের সদস্যদের মধ্যে ৬৭ জনই নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন স্থগিত অথবা বাতিল করেছেন। আর ৩০ শতাংশ সদস্য তাদের কাজ কানাডার বাইরে স্থানান্তরে বাধ্য হয়েছেন।

পারিবারিক পুনর্মিলন ও শরণার্থীরা

দি কানাডিয়ান প্রেস  জানায়,কানাডা সরকার পারিবারিক পুনর্মিনীর সূত্রে আসা অভিবাসীর সংখ্যা সামান্য বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এই খাতে ২০২৩ সালে মোটামুটি এক লাখ ৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০২৫ সালে এক লাক ১৮ হাজার অভিবাসী আসার সুযোগ দেওয়া হতে পারে।

সরকার শরাণার্থী গ্রহণের পরিমাণও কিছুটা হ্রাস করবে। ২০২৩ সালে ৭৬ হাজারের মত শরণার্থী গ্রহণ করা হলেও ২০২৫ সালে গ্রহণ করা হতে পারে ৭৩ হাজারের কিছু কম। সংখ্যা কমানো হলেও জাতিসংঘ উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা এটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, তারা “শরণার্থী পুনর্বাসনে কানাডা সরকারের নেতৃত্বের” প্রশংসা করে।

কানাডায় ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি রেমা জামুস ইমসেই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “জাতিসংঘ উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থা শরণার্থী পুনর্বাসনে কানাডার অব্যাহত অঙ্গীকারকে স্বাগত জানায় দেশটির সার্বিক অভিবাসী বাড়ানোর পরিকল্পনার জন্য।”

তিনি  বলেন, “শরণার্থীদের দরকার পুনর্বাসনের মত জীবন রক্ষাকারী সমাধান, আর তারা কানাডার অর্থনীতি এবং সমাজ কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানও রাখছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন চাকরীর বাজারে প্রবেশের জন্য এদের সহায়তার দরকার হবে

এদিকে সিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়। কানাডায় সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিবাসী গ্রহণের পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় খাতের কর্মী আনার কথা বলা হয়েছে, তবে বিশেষজ্ঞ ও নিয়োগদাতারা বলছেন, নবাগতদের নতুন দেশে আসা ও উন্নতি করতে সহায়তা করতে আরও বেশি কিছু করার আছে।  প্রতিবেদনটি লিখেছেন জিওফ নিক্সন।

কেন্দ্রীয় সরকার এর মধ্যে ২০২৫ সালে পাঁচ লাখসহ আগামী তিন বছরে কানাডায় ১০ লাখ ৪৫ হাজার নবাগতকে পারমানেন্ট রেসিডেন্সি দিতে চায়।

কর্মী সঙ্কটের প্রেক্ষিতে কানাডা এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।

অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী সিন ফ্রেসার বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো নির্দিষ্ট খাতগুলোতে সবচেয়ে বেশি চাহিদা আছে এমন প্রার্থীদের নিয়ে আসা এবং মূল লক্ষ্য থাকবে চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়ে আসার দিকে। । ছবি : অন্টারিও হসপিটাল এসোসিয়েশন

টরন্টোর রথম্যান স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের শিল্প সম্পর্ক ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর ইমিরিটাস অনীল ভার্মা সিবিসিকে বলেন, “অভিবাসনের সুযোগ না থাকলে আমাদের শ্রমশক্তি বাড়বে না।”

সরকারের হেমন্তকালীন অর্থনৈতিক বিবরণ অনুযায়ী, “অভিবাসন হলো আমাদের কানাডীয় পরিচয়ের মূল বিষয়, পাশাপাশি এটি কানাডার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি।”

কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে, অভিবাসন জোরদার করা হলে তা শ্রমিকের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে। কানাডা হলো বয়োবৃদ্ধ জনসংখ্যার দেশ এবং রেকর্ড সংখ্যক মানুষ এখন অবসরে যাবার পরিকল্পনা করছেন।

সরকার ‘আরও বলিষ্ঠ’ হতে পারে

কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য হলো, ২০২৫ সালে কর্মদক্ষতা এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে যেসব অভিবাসী কানাডায় আসবেন তাদের মোটামুটি ৬০ শতাংশ হবেন অর্থনৈতিক শ্রেণীর।

কানাডার প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (CME) প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডেনিস ডার্বি সিবিসি নিউজকে বলেন, সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে সেজন্যে তার বণিক সমিতি “অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।”

“এটাই আমাদের প্রয়োজনীয় পরবর্তী প্রজন্ম পাবার উপায়।”

শিল্পখাতের নেতাদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি গ্রুপ বিজনেস কাউন্সিল অব কানাডাও (BCC) সরকারের উদ্যোগে সমর্থন দিচ্ছে, তবে তারা মনে করে অটোয়া তার অভিবাসনের লক্ষ্য নির্ধারণে ‘আরও বলিষ্ঠ’ হতে পারে।

কাউন্সিলের নীতি ও আইন সম্পর্কিত পরিচালক ট্রেভর নেইম্যান বলেন, “সরকার যেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে আমরা খুশি।

বিসিসি ও সিএমই উভয়েই আরও বেশি কর্মী দেশে আনা এবং অর্থনীতিতে জোগান দেয়ার বিষয়টি সমর্থন করে।

অভিবাসীর সংখ্যা যাই হোক ভার্মা উল্লেখ করেন যে, নতুন জীবন শুরু করার জন্য একটি নতুন দেশে যাওয়ার প্রক্রিয়া – চাকরি পাওয়া এসব রাতারাতি সম্ভব হয় না।

এর অর্থ হলো, এসব নবাগত কর্মীর যে প্রভাব শ্রমবাজারে পড়বে তার পুরোটাই তাৎক্ষণিকভাবে ঘটবে না। 

দক্ষ কর্মীর চাহিদা আছে অনেক ক্ষেত্রে

কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, তার অভিবাসন পরিকল্পনা স্বাস্থ্যসেবা, নির্মাণ বাণিজ্য, প্রস্তুতকারকের মত প্রধান খাতের ব্যবসায়ীসহ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিক্ষা ও গণিত (স্টেম- STEM) খাতেও চাহিদা অনুযায়ী জনবল পাবার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।  

অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী সিন ফ্রেসার বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো নির্দিষ্ট খাতগুলোতে সবচেয়ে বেশি চাহিদা আছে এমন প্রার্থীদের নিয়ে আসা।”

মন্ত্রী রয়টার্সকে বলেন, মূল লক্ষ্য থাকবে চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়ে আসার দিকে। যেসব প্রদেশ নবাগতদের কাগজপত্র দ্রুত স্বীকৃতি দেয়ার জন্য কাজ করবে সেখানেই এদের আসার সুযোগ দেয়া হবে। 

প্রস্তুতকারক খাত প্রসঙ্গে সিএমইর ডার্বি বলেন, এই খাতে দক্ষ ও সাধারণ শ্রমিকের উচ্চ চাহিদা আছে। সারা কানাডায় এ ধরণের ৮০ হাজারেরও বেশি পদ শূন্য রয়েছে।

কর্মী পাবার তীব্র প্রতিযোগিতা

বিসিসি বলেছে, এর সদস্যরা সঙ্কেত দিয়েছে যে, প্রয়োজনীয় জনবল পাবার জন্য অভিবাসনই মুখ্য বিষয়। বিসিসির সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ব্যাংক, খনি শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং অন্য বৃহৎ নিয়োগদাতারা।

বিসিসি চলতি বছরের প্রথম তিন মাস কালের মধ্যে একটি জরিপ করেছে। এতে সংস্থার ১৭০টি সদস্যের মধ্যে ৮০টি থেকেই বক্তব্য পাওয়া যায়। যারা জবাব দিয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন কোম্পানির সিইও এবং উচ্চপদস্থ পেশাদার ব্যবসায়ী ব্যক্তিরা।

উত্তরদাতাদের দুই-তৃতীয়াংশ বলেন, তারা সরাসরি অভিবাসনের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ করেন। অন্যদিকে বিসিস জানায়, অবশিষ্ট সদস্যরা এরই মধ্যে কানাডায় অবস্থানরত অভিবাসীদের মধ্য থেকে কর্মী নিয়োগ করেন।

নেইম্যান বলেন, বহু বছর ধরেই কানাডা অভিবাসনের মাধ্যমে প্রভূত উপকৃত হয়েছে এবং শ্রমিকের ঘাটতি পূরণে এটি এখনও অটোয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার।

তবে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশও শ্রমিক সঙ্কটের মুখে পড়ায় কানাডায় এখন শ্রমিকের জন্য আরও বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, “প্রাপ্ত উপকার ধরে রাখার জন্য কানাডার একই উদ্যোগ আরোও জোরদার করা দরকার।”

দৃশ্যত অটোয়া এসব কথায় কর্ণপাত করছে: হেমন্তকালীন অর্থনৈতিক বিবরণীতে সরকার বলেছে, বর্তমান চাপ এবং নতুনদের কানাডায় দ্রুত আগমনে বিদ্যমান বাধা ইত্যাদি দূর করতে অতিরিক্ত পাঁচ কোপি ডলার বরাদ্দ করবে।

মেধাবিদের খুঁজে পেতে দেশ যে প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে কানাডার অভিবাসন, উদ্বাস্তু ও নাগরিকত্ব বিভাগ বলেছে, নবাগতদের আকৃষ্ট করতে অন্য দেশগুলো কী করছে সে বিষয়ে তারা কোনওরকম “জল্পনা” করতে পারে না। 

সংস্থার পক্ষ থেকে সিবিসি নিউজকে এক ই-মেল বার্তায় জানানো হয়, “কানাডায় অভিবাসন কী পর্যায়ের হবে সেটি নীতিগত পছন্দের বিষয় যার সঙ্গে আমাদের অভিবাসন কর্মসূচি পরিচালনার ব্যয় এবং পরিকাঠামোর সক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরী।”

আগমনের পরের চ্যালেঞ্জ   

অন্টারিওর সাডবুরিতে টিচএনডু নামে ক্যারিয়ার কলসাল্টেন্সি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও শ্বেতা রেগমি দেখেছেন, অনেক নবাগত কানাডার চাকরির বাজারে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে কোনওরকম সাহায্য সহযোগিতা পান না।

ক্যারিয়ার ও চাকরির জন্য জীবনবৃত্তান্ত প্রণয়নে সনদধারী এক্সপার্ট শ্বেতা রেগমি বলেন, “চাকরি কীভাবে খুঁজতে হবে সে বিষয়ে নিজেকে শিক্ষিত করে তোলার ক্ষেত্রে ব্যবধান থেকে যায়।” শ্বেতা নিজেও দুই দশক আগে নিজের অভিবাসন যাত্রার সময় এ বিষয়ে সঙ্কটে পড়েছিলেন।

লোকদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি আছে, কিন্তু শ্বেতা বলেন, এগুলো অনেক সময় নবাগত চাকরিপ্রার্থীদের প্রয়োজনের সঙ্গে মেলে না।

সাধ্যের মধ্যে আবাসনের প্রশ্ন কিছুদিন আগে কানাডাজুড়ে স্থানীয় রাজনীতিকে প্রভাবিত করেছিল। কিন্তু এটি নতুন দেশে আসা লোকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

অভিবাসন মন্ত্রী ফ্রেসার রয়টার্সকে বলেন, নবাগতদের আবাসনের জন্য জায়গা নির্বাচন করে সেখানে তাদের স্থান সঙ্কুলানের মত  আবাসন সুবিধা নির্মাণে সহায়তার জন্য আরও দক্ষ নির্মাণকর্মী আনার ওপর মনোযোগ দেবে কানাডা।

অভিবাসন বিভাগ বলেছে, “স্থায়ীভাবে বসবাস, আবাসন ও সরকারী পরিষেবা খাতে যথেষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ কেবল নবাগতদের দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের জন্যই অতি গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং সব কানাডীয়র জন্য একইরকম সেবা নিশ্চিত করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।