কানাডায় সীমান্ত পেরিয়ে আসা আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : আনুষ্ঠানিক সীমান্ত চৌকি এড়িয়ে কানাডায় আসা আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। ২০১৭ সাল থেকে সীমান্তপথে আসা আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। মহামারিজনিত বিধিনিষেধ উঠে যাবার পর বিশ্বের বিভিন্ন অংশে সংঘাত ও বিপর্যয়ের কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষ এখন চলাচল করতে পারছে। খবর রয়টার্স এর। রিপোর্ট করেছেন আন্না মেহলার পাপেরনি।

আনুষ্ঠানিক সীমান্ত চৌকি এড়িয়ে কানাডায় আসা আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। ছবি: গ্লোব এ্যান্ড মেইল

২০২২ সালের প্রথম আট মাসে কানাডার রয়েল মাউন্টেড পুলিশ  অবৈধ প্রবেশপথে কানাডায় আসা ২৩,৩৫৮ জন আশ্রয়প্রার্থীকে বাঁধা দিয়েছে। এই সংখ্যা ২০১৭ সালের পুরো বছরের সংখ্যার চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি। ওই বছর বিপুল সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীর সমাগমের কারণে কুইবেক-নিউইয়র্ক সীমান্তের কাছে রক্সহ্যাম সড়ক আন্তর্জাতিক সংবাদ শিরোনাম হয়েছিল।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশগুলো যখন বৈধ প্রবেশপথের ওপর প্রতিবন্ধকতা আরোপ করে তখন বাস্তুচ্যুত মানুষেরা ভিন্ন পথ অবলম্বন করবে, এই বৃদ্ধি হলো তারই লক্ষণ।

চলতি বছরের আরও আগের দিকে, কেন্দ্রীয় সরকার ১,৯২২ জন আশ্রয়প্রার্থীকে অন্টারিওতে নিয়ে আসে। এত মানুষের দায়িত্ব নিতে কুইবেক সরকারের অপারগতা প্রকাশের পর কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে জড়িত হয়।

আইনজীবী পিয়েরে-লুক বাউচার্ড বিষয়টি নিয়ে অসম্ভব রকমের ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। তিনি বলেন, এটি ছিল তার জীবনের ব্যস্ততম শরৎকাল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বাউচার্ড বলেন, তার হাতে প্রায় ১৪০টি উদ্বাস্তু বিষয়ক ফাইল আছে। প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি করে ফাইল করা হয়েছে। এসব পরিবার এসেছে ঘানা, কলম্বিয়া এবং শাদ থেকে শুরু করে ভেনিজুযেলার মত দেশ থেকেও।

বাউচার্ড তার মক্কেলদের ওয়ার্ক পারমিটের জন্য দীর্ঘকাল অপেক্ষা করে থাকার বিষয়ে  হতাশা ব্যক্ত করেন। এই পুরো সময় তাদের নির্ভর করতে হয় সামাজিক সহায়তার ওপর।