আমার জীবনের নানা কথা

সাইদুল হোসেন

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

দু’টি বাংলাদেশী মুসলিম নারী

গতকাল দু’জন বাংলাদেশী ভিজিটর এসেছিল বাসায়, লাঞ্চ করে বহুক্ষণ গল্প করে রিলাক্স্ করে কিছু সময় কাটিয়ে গেল। দু’জনই মুসলিম। একজনের বয়স ৫০-এর উর্ধে, এক সন্তানের মা, বয়স ৯ বছর। স্বামী ক্রিশ্চিয়ান।

অপরজনের বয়স ৩৫ বা কিছুটা বেশী। ওর বাবামায়ের সংগে পরিচয় ছিল, সেই ১৯৯১-৯২ সনে। মা বেঁচে নেই। ৯০ বছর বয়স্ক বাবা Alzheimer patient, একটা নার্সিং হোমে আছেন।

মেয়েটি শিক্ষিতা। জন্মসূত্রে Canadian citizen কিন্তু থাকে সে London (UK), সেখানে একটা British Garments Buying Company-তে একজন buyer হিসাবে কাজ করে, তবে Hongkong, China, Vietnam, Japan ইত্যাদি দেশেই buying করে সে। দেশবিদেশ ঘুরতে ওর খুব ভালো লাগে।

খাওয়া-দাওয়া free-style, একমাত্র Pork ছাড়া বাকি সবই খায়। Allah-তে কোন faith নেই, সে একটা Higher Power/Super Power-এ বিশ্বাসী। নামায-রোযা করে না, কোন প্রয়োজনও বোধ করে না, নিজেকে একজন মুসলিম বলে দাবীও করে না। দু’জনই বাংলা চমৎকার বলে কিন্তু বাংলা বইপত্র পড়তে পারে না।  -ফেব্রুয়ারী ১১, ২০১৯

No Children,
You Are Blessed!

আমার home physiotherapy শুরু হয়েছিল ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখে, আজ সেটার সমাপ্তি ঘটল। Physiotherapist Christina Abadiano (Philippina) আজ বিকালে এসে সর্বশেষ exercises করিয়ে গেল (অবশ্য আমি ওদের দেখানো/ শেখানো সেই exerciseগুলো দৈনিক দু’বার করে যাচ্ছি।) নানা প্রশ্ন করে Christina আমার lower back pain and knee pain-এর বর্তমান অবস্থা জেনে নিয়ে অভিমত দিল যে progress of recovery is very satisfactory. নূতন কিছু সাজেশানও দিল।

Nice lady. Many thanks, Christina. যাওয়ার আগে ওর ব্যক্তিগত কিছু খবরও দিয়ে গেল।

গত এক মাস সে আমাকে বীবৎপরংব করাতে আসতে পারেনি (অন্য একজনকে পাঠিয়েছিল) কারণ ওর এক পাতানো grandma (৭৫ বছর বয়সের এক Philippina) ওর apartment building-এর সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে পড়ে মারা গেছে। সেই ব্যাপারে সে খুব ব্যস্ত ছিল। Sorry. Christinai.

বিয়ে হয়েছে ১৫ বছর আগে কিন্তু আজো কোন সন্তানাদি হয়নি। এনিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলে ওর স্বামী বাধা দেয়। বলে, সবই God-এর ইচ্ছা, অভিযোগ করো না।

মা বলে তোমার কোন সন্তান নেই, you are blessed.

নিঃসন্তান মা কি করে blessed হতে পারে? আমি প্রশ্ন করি। মা বলে, সন্তানের জন্য বহু দৈহিক ও মানসিক যাতনা সইতে হয় একজন নারীকে- pregnancy, child delivery, breast feeding, nursing, loss of sleep and comfort, financial burden, many other sacrifices.

স্কুলে/কলেজে/বাইরে গেলে সুস্থ অবস্থায় ঘরে ফিরে না আসা পর্যন্ত দুশ্চিন্তা; বড় হলে বিপথে গেল কিনা, কোন crime-এ জড়িয়ে পড়ল কিনা দুশ্চিন্তা। আবার সন্তান যদি অবাধ্য হয় তো আরো জ্বালা।

Christina, এসব বোঝা থেকে তুমি আজো মুক্ত আছ। তাছাড়া God-এর ইচ্ছা। তাই বলছি you are blessed.

কথাগুলো শুনি আর মায়ের মুখের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি, আর ভাবি আমরা পাঁচটা ভাইবোনকে লালনপালন করতে গিয়ে আজীবন মা আমার কত কষ্টই না করেছেন! মাকে আমি নূতন দৃষ্টিতে দেখি। God, bless my mummy! -ফেব্রুয়ারী ২২, ২০১৯।

THE SANDS OF DEE

শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে স্মৃতির জানালাটা খুলে গেল, মনে পড়ে গেল সুদূর অতীতে মুখস্ত করা একটা ইংরেজী কবিতার প্রথম চারটি লাইন:

“O Mary, go and call the cattle home,
And call the cattle home,
And call the cattle home
Across the sands of Dee.”

অবাক হয়ে ভাবতে লাগলাম, সুদীর্ঘ ৭৩ বছর পর এই কবিতাটা আমার মনে পড়লো কেন? কোন যোগসূত্র খুঁজে বের করতে পারলাম না।

সন ১৯৪৬। আমার বয়স তখন ১৩ বছর। গ্রাম থেকে এসে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া শহরে ফুফুর বাড়িতে থেকে Collegiate High School-এ ক্লাস সেভেনে সবে ভর্তি হয়েছি। বয়সে ৭দিনের ছোট আমার এক ফুফাতো ভাই ফটিক আমার সহপাঠি একই ক্লাসে। ওর দু’টি বৈশিষ্ঠ্য ছিল- সে ছিল তোতলা কিন্তু গান গাইতে গেলে অথবা বাংলা-ইংরেজী কোন কবিতা আবৃত্তি করতে গেলে তোত্লামী থাকতো না, কোথাও হোঁচট না খেয়ে সাবলীল ভংগীতে গান গাইতে পারতো অথবা কবিতা আবৃত্তি করতে পারতো। ক্লাসে ছাত্র-শিক্ষক আমরা সবাই মিলে উপভোগ করতাম, করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানাতাম।

Charles Kingsley ’র রচিত THE SANDS OF DEE কবিতার ইলাস্ট্রেশন। ছবি: ইউটিউব

ক্লাসে English Paper-এ পাঠ্য একটা কবিতা আমাদেরকে মুগ্ধ করতো, বারবার আমরা সেটা আবৃত্তি করতাম। কবিতাটার নাম ছিল THE SANDS OF DEE.

মাত্র ৪টি stanza-র ছোট একটা কবিতা কিন্তু বর্ণিত ঘটনাটা ছিল বড়ই বিষাদময়, আমাদের মনটাকে দুঃখে ভারাক্রান্ত করতো। কিন্তু তা সত্বে সেটা ছিল আমাদের অতি প্রিয় কবিতা। ফটিক সেই কবিতাটা এতোই সুন্দর করে মনের আবেগ ঢেলে দিয়ে আবৃত্তি করতো যে মনে হতো যেন আমরা Dee সাগরের তীরে গরু-ছাগল তাড়ানো সেই Mary মেয়েটিকে স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছি যেখানে সাগরের ভয়ংকর ঢেউ ওকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে!

শূন্য ঘরে একাকি বসে আছি, হঠাৎ মনের পর্দায় ভেসে উঠলো সেই দৃশ্যটি, কানে বাজতে লাগলো ফটিকের আবৃত্তি: O Mary, go and call the cattle home…..

মানুষের মন এক অতি আশ্চর্য বস্তু বটে যার গতিবিধির কোন কিছুই আগে থেকে অনুমান করা সম্ভব নয়। তাই মনটা সেই সুদূর অতীতে ফিরে গেল, বয়সটা ৮৬ বছর থেকে কমে ১৩ বছরে ফিরে গেল, আমি মানসিকভাবে transported হয়ে গেলাম আমাদের অতীতের স্কুলের সেই ক্লাসে। কী আশ্চর্য অনুভূতি! কিন্তু কবিতার বাকি অংশটুকু তো ভুলে গেছি, কোথায় গেলে দেখা পাবো তার? ভাবতে ভাবতে সমাধান বের হলো একটা: আরে! নিকটস্থ পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে খোঁজ নিলে কেমন হয়?

গতকাল সকাল বেলা ঘর থেকে বের হলাম। পাবলিক লাইব্রেরীতে গিয়ে লাইব্রেরী এসিসটেন্ট এক মহিলাকে অনুরোধ জানালাম: তুমি কি একটু কষ্ট করে তোমার computer-এ Internet check করে The Sands of Dee কবিতাটা খুঁজে বের করে সেটার একটা copy আমাকে দিতে পারবে?

Sure, I can try, বলেই সে কাজে লেগে পড়লো এবং পাঁচ মিনিটের মাঝে কবিতাটার একটা Printout আমার দিকে হাসিমুখে বাড়িয়ে ধরলো, বললো, Here you go!

খুশী হয়ে তাকে Many thanks, lady. God bless you বলে জানতে চাইলাম: How much do I owe you for the service, m’am?

আগের মতোই হেসে বললো: Nothing at all. Your happiness is my service charge, sir!

খুশী মনে পাবলিক লাইব্রেরী থেকে বের হয়ে এলাম। কবিতাটা এরকম:

The Sands of Dee

by- Charles Kingsley (1819-1875)

“O Mary, go and call the cattle home,
And call the cattle home,
And call the cattle home
Across the sands of Dee;
The western wind was wild and dank with foam,
And all alone went she.

The western tide crept up along the sand,
And o’er and o’er the sand,
And round and round the sand,
As far as eye could see.
The rolling mist came down and hid the land:
And never home came she.

Oh! Is it weed, or fish, or floating hair-
A tress of golden hair,
A drowned maiden’s hair
Above the nets at sea?
Was never salmon yet that shone so fair
Among the stakes on Dee.Ó
They rowed her in across the rolling foam,
The cruel crawling foam,
The cruel hungry foam,
To her grave beside the sea:
But still the boatmen hear her call the cattle home
Across the sands of Dee.

মার্চ ১০, ২০১৯

বাংলা শুভ নববর্ষ!

আজ পহেলা বৈশাখ, ১৪২৬ সাল। গতকাল বাংলাদেশে মহাসমারোহে দিনটি পালিত হয়েছে Bangladesh TV-তে জমকালো অনুষ্ঠান দেখলাম, উপভোগ করলাম। আজ সকালে ব্রেকফাস্ট খেয়ে একে একে ৯ জনকে ফোন করে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালাম।

তবে মজার কথা হলো এই যে সারাদিন কেটে গেল আমাকে কেউ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফোন করলো না।

এপ্রিল ১৪, ২০১৯

আমার ছোট ভাইয়ের দেখা স্বপ্ন

আজ সকালে আমার ছোট ভাই আকবর (সে টরোন্টো সিটিতে নিজ বাড়িতে স্ত্রীপুত্রসহ বসবাস করে) ফোন করে জানালো যে সে গতরাতে বাবাকে স্বপ্নে দেখে তাঁকে আবেগের বশে জড়িয়ে ধরে hug দিতে গেলে তিনি কেমন যেন নির্লিপ্ত উদাসীন ভাব প্রদর্শন করলেন। এতে সে মনঃক্ষুন্ন। তাই জানতে চাইলো এমন আচরণের ব্যাখ্যা কি?

বললাম: স্বপ্নের ব্যাখ্যা তো আমি দিতে পারবো না তবে আমার যা মনে হচ্ছে তা হলো এই-

বাবা যখন মারা যান তখন তোমার বয়স ৬-৭ বছর হবে। মৃত্যুর পূর্বের তিনটা বছর বাবা throat cancer-এর অসীম যন্ত্রণা নিয়ে মৃত্যুর সংগে লড়াই করে বিছানায় শুয়ে দিন কাটিয়ে গেছেন। তিনি সুস্থ থাকলে তোমার সংগে আদরের যে সম্পর্কটা গড়ে উঠতো তা গড়ে উঠা সম্ভব হয়নি। আমার মনে হয় তার সেই নিষ্পৃহ ভাবটার কারণ এটাই হতে পারে।

আমার ব্যাখ্যা শুনে আকবর বললো: তা হতে পারে কারণ তোমার বিশ্লেষণে যুক্তি আছে। -এপ্রিল ২৫, ২০১৯

Good Food!

আজ দুপুরে লাঞ্চটা বড় আনন্দে করা গেল। আমাদের 4th generation greatgrandsons আমাদের visit করতে এসেছিলো ওদের মা-বাবার সংগে। বড় নাতনি রোশনী (৩৩) আমাদের বড় ছেলে রানার বড় মেয়ে। ওর হাজব্যান্ড Nick হচ্ছে Italian. ওরা আমাদের বাসা থেকে বেশ দূরে Stoufville-এ নিজেদের বাড়িতে থাকে। রোশনীর দুই ছেলে- Isaac (৫) এবং Roman (২), দু’ভাই-ই বয়সের তুলনায় বেশ smart. বাড়তি আকর্ষণ হিসাবে উপস্থিত ছিল রোশনীর মা ছোটনও।

বাংলাদেশী পোলাও- কোর্মা পেট ভরে খেয়ে Romanসাহেব বললেন: Good food! সেকথা শুনে সাহারা (তার greatgrandma) দারুন খুশী, বললেন: এটা আমার রান্নার best compliment.  -এপ্রিল ২৭, ২০১৯

I am a Muslim too!

সকাল ১১টা। আমাদের residential building-এর পেছনের bus stop-এ আমার walker-এর seat-এ বসে বাসের অপেক্ষা করছি। এমন সময় লক্ষ্য করলাম যে একটি ঝকঝকে সাদা সুন্দরী যুবতি সিগারেট টেনে মুখ থেকে প্রচুর ধূয়াঁ ছাড়তে ছাড়তে আমার পাশে এসে দাঁড়ালো। বাস এসে গেল, আমরা দু’জনেই বাসে উঠলাম। কিছুক্ষণ পর আমার নামার stop-এ আমি নামলাম, সেই যুবতিটিও নামলো। আমি যে বাসে যাবো সেও সেই বাসেই যাবে।

যেখানে যেতে চাই সেই ঠিকানাটা আমার সম্পূর্ণ অজানা। তাই সেই মেয়েটিকে জিজ্ঞাসা করলাম: তুমি কি বলতে পারো এই ঠিকানাটা কতদূরে এবং সেখানে বাস থামে কিনা?

জানি না, বললো সে। But no problem, I will find out. বলেই সে তার সেল ফোনে check করা শুরু করলো। তারপর বললো: এই যে পেয়ে গেছি, খুব দূরে নয়, আমিও সেদিকেই যাচ্ছি। Don’t worry! তোমাকে আমি ঠিক জায়গাতে নামতে সাহায্য করবো।

তারপর আচমকা প্রশ্ন করলো: How is your Ramadan going?

একটু অবাক হয়েই বললাম: How did you know about Ramadan!

সে হাসিমুখে জবাব দিল: I am a Muslim too! Alhamdulillah!

বললাম: বলছ তুমি মুসলিম, তুমি জান যে এটা রামাদান মাস for fasting. অথচ একটু আগেই তোমাকে দেখলাম যে তুমি সিগারেট টেনে ধূয়াঁ ছাড়তে ছাড়তে বাস স্টপে এসে থামলে! এটা কেমন হলো? জবাবে ম্লান হেসে সে যা বললো তা এই-

I am a Muslim but my past life was not like a Muslim. I drifted away, mixed with bad company, acquired many bad habits like drinking, smoking, marijuana, etc. Many guys. One of them was a good Muslim. He pulled me out of the darkness. I have a daughter by him, she is a Muslim. He is not my husband though.
Now I am trying to rehabilitate myself. Struggling hard. Stopped other bad habits but smoking is hard to keep away from. What you saw a little while ago was not cigarette smoke, it was VAPE. I have been told that smoking Vape for a few weeks will help me to quit cigarette smoking altogether. I don’t know but I am trying.

আমাদের বাস এসে গেল, আমরা সেটাতে চড়ে বসলাম। আমার গন্তব্যস্থল এসে গেল, মেয়েটি আমাকে সেখানে বাস থেকে নামতে সাহায্য করলো। হাসিমুখে বললো: আসসালামু আলাইকুম। Take care. My name is Sara.

তারপর ডান হাতে একটা Missussauga Transit এর Senior’s bus ticket  আমার দিকে বাড়িয়ে দিলো, বললো, This is for you, sir. I am not a senior yet!

বাস থেকে নেমে নিকটেই একটা Diagnostic Centre-এ গিয়ে আমি আমার বাম হাতের X-ray এবং ultrasound test করিয়ে বাসায় ফিরে এলাম। -মে ১৬, ২০১৯

Elo the Master Builder

আমাদের বাসার রাস্তার ওপারে নিকটস্থ shopping plaza-টার বিভিন্ন স্টোরের সামনে প্রতিদিন একটা লোককে তার wheelchair-এ বসে অনবরত সিগারেট টানতে দেখি। বৃদ্ধ, physically handicapped, বেশ মোটা। White Canadian. আমাকে সেই plaza-টাতে বিভিন্ন কাজে প্রায় প্রতিদিনই যেতে হয়। সেখানে গেলেই লোকটার দেখা পাই, যদিও কোনদিন কোন কথা বলি না। তার আর একটা বৈশিষ্ঠ্য হলো হতদরিদ্র চেহারা-পোশাক হওয়া সত্বেও সে কখনো ভিক্ষা চায় না, বরং হাসিমুখে জিজ্ঞাসা করে: How are you? Everything OK? তবে কেউ তার প্রশ্নের জবাব দিলো কি দিলো না সেটা নিয়ে মোটেই মাথা ঘামায় না, আপনমনে সিগারেট টানতে থাকে। কাছে গেলে দুর্গন্ধ!

আজ বিকালে কোনাকাটার কাজ সেরে ফেরার পথে ভাবলাম ওর সংগে একটু কথা বলে দেখি তো! কাছে যেতেই মুখে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে জিজ্ঞাসা করলো: How are you? Everything OK?

হেসে বললাম: Everything OK. Thank you. তারপর জানতে চাইলাম প্রতিদিন কেন এখানে এমনভাবে বসে থাকো?

ঘরে কিছু তো করার নেই, তাই এখানে এসে মানুষের চলাফেরা দেখি, সময়টা কেটে যায়। আর সিগারেট টানি, পেলে beer-ও খাই। সস্তা Indian cigarette. তবে এতে আমার lung cancer হওয়ার কোন আশংকা নেই কারণ I am genetically not prone to lung cancer.

কি করে জানলে সেটা?

আমি জানলাম আমার মাবাবার জীবনের ইতিহাস থেকে। ওরা দু’জনেই খুব সিগারেট খেতেন, drink-ও করতেন। বাবা মারা গেলেন ৮৬ বছর বয়সে, মা গেলেন ৯৬ বছর বয়সে। দু’জনেরই মৃত্যু বার্ধক্যজনিত কারণে (age-related illness), lung cancer নয়। আমি সিগারেট খাচ্ছি আমার ১৪ বছর বয়স থেকে, আমার বয়স এখন ৭২ বছর। আজো কোন ডাক্তার আমাকে lung cancer এর ভয় দেখায়নি।

তোমার নাম কি?

ELO (ইলো) আমার নাম, মূলতঃ আমি একজন Dutch (Holland-এর লোক)। Dutch ভাষার নাম এটা।

অতীতে কি করতে? What was your profession in your working life?

আমি একজন builder, বলতে পারো master builder. জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল Saudi Arabia-র একজন Prince-এর জন্য এক এক করে মোট ২৬টা নানা ধরনের বিল্ডিং বানানো। – জুন ৮, ২০১৯

(চলবে)

সাইদুল হোসেন। মিসিসাগা