কানাডায় প্রজনন সক্ষমতার হার ২০২০ সালে সর্বনিম্নে পৌঁছেছে

প্রবাসী কন্ঠ ডেস্ক, ৩১ মে ২০২২:  স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় নারীদের প্রজনন সক্ষমতার হার ২০১৯ সালে ছিল জনপ্রতি ১.৪৭ টি শিশু। ২০২০ সালে তা কমে ১.৪০ তে নেমেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, কানাডায় প্রজনন সক্ষমতা বা উর্বরতার হার ২০০৯ সাল থেকে ক্রমাগত কমছে। ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির সমাজবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক সুসান ম্যাকডেনিয়েল বলেন, ওটা উদ্বিগ্ন হবার মত কিছু নয়। খবর ডেনিয়েল ওটিস/সিটিভি নিউজ।

জনসংখ্যাগত পরিবর্তন নিয়ে গবেষণাকারী ম্যাকডেনিয়েল সিটিভি নিউজ.সিএ-কে বলেন, “বিশ্বব্যাপী জন্মহারের ফলশ্রুতিই হলো কানাডার বর্তমান প্রবণতার কারণ। এই প্রবণতা বেশ ভালো। বাচ্চা কম হলে সেটা মূলত বাচ্চাদের জন্যই ভালো। আর এটা সমাজ ও পৃথিবীসহ সব কিছুর জন্যই উত্তম।”

স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা বলছে, ২০০৭ সালের পর ২০২০ সালেও জন্মহার ছিল সবচেয়ে কম।

এদিকে, কানাডীয় মায়েদের সন্তান জন্ম দেয়ার গড় বয়সও সামান্য বেড়ে ৩১ দশমিক ৩০ বছরে দাঁড়িয়েছে। প্রজনন সক্ষমতার হার সবচেয়ে কম ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ও নোভা স্কশিয়ায় এবং সর্বোচ্চ নানুভেট ও সাসকাচুনে।

কানাডায় নারীদের প্রজনন সক্ষমতার হার ২০২০ সালে কমে ১.৪০ তে নেমেছে। ছবি: বিংদ্যাপেরেন্ট.কম

যদিও কানাডায় সামগ্রিকভাবে জন্মের সংখ্যা কমছে তবুও জনসংখ্যা এখনও বাড়ছে। ২০২১ সালের আদমশুমারিতে দেখা যায়, কানাডার জনসংখ্যা ৫ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়ে প্রায় তিন কোটি ৭০ লাখে পৌঁছেছে।

ম্যাকডেনিয়েল বলেন, “আদমশুমারিতে স্পষ্ট যে আমাদের সংখ্যা এখনও বাড়ছে। বাড়তি প্রজনন সক্ষমতা বা এর অবদানের জন্য নয় বরং আমাদের সংখ্যা বাড়ছে অভিবাসনের কারণে।”

স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী জনগণের অন্তত এক-চতুর্থাংশই তাদের প্রজনন সংক্রান্ত পরিকল্পনা পাল্টে ফেলেছে। তারা বলছে, সন্তান নেয়ার সময়টা তারা বাড়িয়ে নিতে চান।

ওয়াটারলু ইউনভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক আনা ফেরার সিটিভি নিউজ.সিএ-কে বলেন, “অর্থনৈতিক দুর্দশা বা সামাজিক অনিশ্চয়তার সময় জন্মহার কমে যাওয়ার ঘটনা বিরল নয়।”

ম্যাকডেনিয়েল বলেন, মহামারির কারণে একটি উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম ছাড়া সারা বিশ্বেই জন্মহার কমেছে। 

তিনি বলেন, “মহামারির সময় জার্মানিতে জন্মহার সামান্য বেড়েছে। এটা কেন ঘটলো সে সম্পর্কে মানুষের মধ্যে জল্পনা রয়েছে। আর তারা যে জবাব পেয়েছে তা হলো, জার্মানিতে শিশুদের জন্য ভালো সহায়ক ব্যবস্থা আছে।”