স্বল্প আয়ের মানুষ, ইমিগ্রেন্ট, আবশ্যকীয় শ্রমিকরা কোভিড-১৯ এ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : ১৯৯০-এর দশকে মৌসুমী কাজের অনিশ্চয়তা ভোগের পর কানাইয়া গান্ধী টরন্টো-এলাকার একটি কারখানায় চাকরি পান। এটি ছিল ভারত থেকে অভিবাসী হয়ে মাত্র এক দশক আগে কানাডায় আসা এক বিবাহিত তরুণের জন্য একটি আদর্শ পদক্ষেপ, যেখানে নিয়মিত ঘণ্টা হিসাবে বেতন, স্থায়ী কাজ এবং সংঘের নিরাপত্তা ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গান্ধী ক্রমেই একজন অভিজ্ঞ মেশিন অপারেটর হয়ে ওঠেন, যিনি বিমানবন্দর ও ক্রীড়াঙ্গনের জন্য শব্দনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (acoustic panels) বানান এবং অন্টারিওর ব্রাম্পটনে স্ত্রী ও দুই কন্যা নিয়ে সংসার করেন।

তবে তার এক মেয়ে রাধিকা বলেন, ওই কারখানাতেই তার বাবা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে তিনি অসুস্থ হবার পর রাধিকা তার বাবার কারখানার ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন, যিনি তাকে বলেছিলেন যে, কারখানার আরও অনেক অনেক কর্মী সংক্রমিত হচ্ছেন। ২০২১ সালের জানুয়ারির শুরুর দিকে একদিন বাড়িতে চিকিৎসাধীন বাবার অবস্থার অবনতি হলে এবং তার শ্বাস নিতে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিলে রাধিকা দ্রুত ৯১১ নম্বরে কল করতে বাধ্য হন।

প্রায় একমাস পর গান্ধী এক হাসপাতালে ৫৮ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন। তিনি প্রায় ২৬ বছর ধরে কারাখানার শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন।

পরিবারের ক্ষতির কথা স্মরণ করে রাধিকা বলেন, একজন আবশ্যকীয় কর্মী হওয়ায় তার বাবা ভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে ছিলেন, যেমনটা ছিলেন সেইসব বিপুল সংখ্যক কানাডীয় যারা মূলত অশ্বেতাঙ্গ, স্বল্প-আয়ের মহল্লার বাসিন্দা।

তিনি বলেন, “যে কেউ আপনাকে বলবে যে, অশ্বেতাঙ্গ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষ এখানে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বিপুল বৈষম্যের মুখোমুখি।”

এ বিষয়ে খোলাসা করে দেখানোর মত কোনও নতুন উপাত্ত  নেই, তবে কানাডীয় গবেষণা দলের প্রাপ্ত তথ্য প্রশংসনীয়, যাতে বলা হয়, মহামারির বেশিরভাগ সময়জুড়ে কোভিড-১৯ নির্দিষ্ট কিছু জনগোষ্ঠীর মানুষের ওপর সামঞ্জস্যহীনভাবে প্রভাব ফেলে।

কানাডার একটি গবেষক দল দেখতে পেয়েছে যে, স্বল্পআয়ের মানুষ, অশ্বেতাঙ্গ, নবাগত অভিবাসী, উচ্চ জনঘনত্বের আবাসন ও অবশ্যকীয় শ্রমিকদের বেশির ভাগের মধ্যে কোভিড-১৯ ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ হারে কেন্দ্রীভূত হয়। ছবি : প্রবাসী কণ্ঠ

‘অসমঞ্জসভাবে সংক্রমণ’ ঘটানোর দৃষ্টান্ত

সোমবার কানাডার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে (CMAJ) প্রকাশ করা হয়েছে রিভিউড সমীক্ষা। কোন কোন এলাকায় কোভিড-১৯ সবচেয়ে মারাত্মক আঘাত হেনেছে তা বোঝার জন্য এতে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ের কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষক দল কোভিড-১৯ এর অনুসন্ধানী উপাত্তগুলোকে ১৬টি সেন্সাস মেট্রোপলিটন এলাকার জনসংখ্যাগত ঘনত্বের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছে – যে এলাকাগুলোর মধ্যে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, ম্যানিটোবা, অন্টারিও ও কুইবেকের প্রধান শহর ও আশেপাশের এলাকা থাকতে পারে। এই চারটি প্রদেশেই কোভিড-১৯ এর প্রথম বছরে সংক্রমণ ছিল সবচেয়ে গুরুতর। (সমীক্ষায় দীর্ঘমেয়াদী সেবাদানের কেন্দ্রগুলোকে বাদ দেয়া হয়, পরিবর্তে বিভিন্ন কমিউনিটিতে কীভাবে রোগটির সংক্রমণ ঘটেছে তার ওপর জোর দেয়া হয়।)

গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, স্বল্প আয় ও অল্পশিক্ষিতদের মহল্লা এবং সেইসঙ্গে অশ্বেতাঙ্গ, সম্প্রতি আসা অভিবাসী, বেশি জনঘনত্বের আবাসন ও আবশ্যকীয় শ্রমিকদের অনেক বেশি সংখ্যকের মধ্যে কোভিড-১৯ অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ছড়িয়েছে।

গবেষণার প্রধান লেখক ম্যাথিউ মাহিউ-গিরক্স বলেন, “মাঠ পর্যায়ে এবং স্থানীয় জনস্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট থেকে যা পেয়েছি তাতে আমরা এমন কিছুই দেখবো বলে আশা করছিলাম।” মি. মাহিউ-গিরক্স হলেন, মন্ট্রিলের ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির মহামারি, জীবপরিসংখ্যান এবং পেশাগত স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

তিনি বলেন, “তবে এর ধারাবাহিকতা দেখাটা ছিল রীতিমত মর্মান্তিক।”

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় টরন্টোর সেন্সাস মেট্রোপলিটন এরিয়ার কথাÑ যার মধ্যে রয়েছে  ব্রাম্পটনের মত সন্নিহিত এলাকা যেখানে গান্ধী পরিবার বাস করেÑ আর এ ধরণের প্রায় ৩০ শতাংশ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এলাকায় সমীক্ষাকালীন সময়ের ৫০ শতাংশ কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঘটনা কেন্দ্রীভূত হয়েছিল।

একই রকম সংক্রমণ ঘটেছিল মন্ট্রিলে, যখন ভ্যাঙ্কুভার এলাকায়, সেখানে ৫০ শতাংশ সংক্রমণের ঘটনা ঘটে মাত্র এক-চতুর্থাংশ জনগণের মধ্যে।

ভ্যাঙ্কুভারের ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং মহামারি প্রস্তুতি বিষয়ক একটি গবেষণার প্রধান ড. শ্রীনিবাস মার্থি বলেন, “জাতীয় পর্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করে এমন উপাত্ত পাওয়া একটি চমৎকার বিষয় যা আমাদের সব বড় শহরে কী ঘটেছিল তার বিবরণ তুলে ধরে।” তিনি বলেন, স্বতন্ত্র ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে ও সাম্প্রতিক আদমশুমারির তথ্য উপাত্তের অপ্রতুলতাসহ জনসংখ্যাগত উপাত্তের সীমাবদ্ধতা সত্বেও এটি একটি অকপট সমীক্ষা।

কারখানা ও পণ্যাগারে সংক্রমণের বিষ্ফোরণ

মহামারির পুরো সময়ে বিভিন্ন সমীক্ষায় এই একইরকম অসাম্যের তথ্য উদঘাটন করেছে। অবশ্য স্বাস্থ্যসেবা খাতের কর্মী ও কমিউনিটি গ্রুপগুলো সংক্রমণের প্রবণতার ভিত্তিতে এই অসাম্যের বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।

দেশের বেশিরভাগ কাজকর্ম যখন দূর থেকে সম্পন্ন করা হচ্ছিলÑ নির্দিষ্ট করে বললে, লকডাউন এবং কঠোর বিধিনিষেধের সময়গুলিতেÑ তখনও আবশ্যকীয় শ্রমিকদেরকে তাদের কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত হতে হয়েছে যার ফলে তাদের ভাইরাসে সংক্রমিত হবার ঝুঁকি বেড়েছে।

দেশজুড়েই কর্মস্থলে সংক্রমণের বিষ্ফোরণ ঘটার উদাহরণ রয়েছেÑ ২০২০ সালে টরন্টোর বাইরে আমাজনের একটি পণ্যাগারে মাসব্যাপী সংক্রমণে ৬০০ জনের বেশি মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়া থেকে শুরু করে আলবার্টার একটি কসাইখানায় ৯৫০ জন শ্রমিকের আক্রান্ত হবার দৃষ্টান্ত রয়েছে যাতে একজন শ্রমিকের বয়স্ক বাবাসহ তিন জনের মৃত্যু ঘটে।

এ বিষয়ে কর্মরত ব্যক্তিরা বিভিন্ন প্রজন্মের এবং অভিবাসী পরিবারগুলোতে সংক্রমণের উচ্চ হারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এ ধরণের পরিবারগুলো প্রায়শ জনবহুল আবাসন ব্যবস্থার মধ্যে বসবাস করে।

আর ২০২১ সালের মার্চ মাসে স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার প্রকাশিত উপাত্তে দেখা যায়, দেশের যেসব এলাকা প্রধানত শ্বেতাঙ্গরা বসবাস করে সেখানকার চেয়ে অশ্বেতাঙ্গ জনগণের আবাসিক এলাকাগুলোতে মৃত্যুহার ছিল দ্বিগুণেরও বেশি।

সিবিসি নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন এমন কিছু আবশ্যকীয় কর্মী (front-line workers) ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ বলেন, সিএমএজের সমীক্ষা স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত ও পূর্ববর্তী ওইসব সতর্কবার্তারই প্রতিধ্বনি করে।

টরন্টোর একটি সামাজিক সেবামূলক সংগঠন কেনসিংটন হেলথ-এর স্বাস্থ্যসমতা বিষয়ের প্রধান ডা. নাহিদ দোসানী বলেন, “কোভিড-১৯ আমাদের সবার ওপর সমানভাবে প্রভাব ফেলেনি। কাঠামোগতভাবে নাজুক হিসাবে গণ্য এমন পরিবেশে বসবাসকারী লোকেরা এই ভাইরাসে বেশি সংক্রমিত হয়েছে।”

“আমি আশা করি এই গবেষণাÑ এবং এই মহামারিতে ঘটা স্বাস্থ্যগত অসাম্য সম্পর্কিত যত আলোচনা আমরা করেছি Ñ সেগুলি আমাদের জন্য শিক্ষণীয় হবে এবং আমাদেরকে এমন অবস্থানে নিয়ে যাবে যেখানে আমরা ভবিষ্যতে এধরণের মহামারির মত যে কোনও পরস্থিতিতে কিছু মানুষ অন্যদের চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকবেন এটা জেনে তার প্রেক্ষিতে সাড়া দিতে পারবো।”

দোসানী নির্দিষ্ট কিছু কমিউনিটির জন্য বিশেষভাবে পরিকল্পিত সহায়তার প্রয়োজনের ওপর জোর দেন, যেমন, অধিক সংক্রমিত এলাকার জন্য টিকাদান কেন্দ্র ও তহবিল বরাদ্দ।

টরন্টো এলাকায় পালাক্রমে কাজ করেন এমন শ্রমিকদের জন্য কাজের শেষে টিকা নেওযার মত ক্লিনিক করা হয়েছিল। কর্মীরা বয়স্কদের আবাসন কোনও হাইরাইজ ভবনে টিকা নিয়ে আসতেন এবং স্থানীয় সংগঠনগুলোর কর্মীরা বিভিন্ন শিক্ষাসামগ্রী নানা ভাষায় তরজমা করতেন।

এদিকে মন্ট্রিলে গত বছরজুড়ে জনসংযোগকর্মীরা ঘরে ঘরে গিয়েছেন, বেশি সংখ্যক নবাগত অভিবাসী ও স্বল্পআয়ের পরিবার বাস করে এমন মহল্লাগুলোতে টিকা সম্পর্কিত তথ্য জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। তাই মন্ট্রিলে এই উপলব্ধি জন্মায় যে, জনগণের কাছে যাবার সবচেয়ে ভালো সময় হলো রাত। কারণ দিনের বেলা লোকেরা সচরাচর কাজেকর্মে বাইরে থাকে।

গুরুতর সংক্রমণের শিকার মহল্লাগুলোতে কোভিড-১৯ পরীক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগসহ আরও বেশি বিনিয়োগ ও সম্পদ বরাদ্দের প্রয়োজন রয়েছে। বলেন টরন্টোর উত্তর-পশ্চিমের জেন/ফিঞ্চ কমিউনিটি ও ফ্যামিলি সেন্টারের সমাজকল্যাণ বিষয়ক ব্যবস্থাপক ভিল কাস্টিলেজোস।

তিনি বলেন, “আমি কেবল আশা করি, এই সমীক্ষা আমাদের সমাজের এত দীর্ঘ সময়ের চাহিদা ও দাবিগুলির কিছুটা পূরণ করতে পারে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের মাধ্যমে তা সমাজের কাছে পৌঁছতে পারে।”

অমিক্রনের মত ভ্যারিয়েন্ট সমীক্ষার আওতায় আসেনি

সিএমএজের সমীক্ষার গবেষণার সময়কাল ছিল শুধুই মহামারির প্রথম বছর। তাই এতে ২০২১ থেকে ভাইরাসটির যে বিভিন্ন রূপান্তর ঘটেছে এবং মহামারির যে মারাত্মক রূপ দেখা গেছে তার সবগুলো এর আওতায় আসেনি।

সর্বসাম্প্রতিক অমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সারাদেশে নজীরবিহীন সংক্রমণের ঘটনা ঘটিয়েছে Ñ বহু কানাডীয়কে সংক্রমিত করেছে যারা দুই বছর ধরে এই ভাইরাসটিকে এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন।

কানাডার বেশিরভাগ জায়গায় এখন পিসিআর বা দ্রুত পরীক্ষার সুযোগ সীমিত হওয়ায় সমীক্ষার প্রধান লেখক মাহিউ-গিরক্স বলেন, অমিক্রন তরঙ্গে কোন কোন কমিউনিটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা জানার জন্য একই ধরণের বিশ্লেষণ করা কঠিন হবে। তবে তিনি ধারণা করেন, এ ধরণের তথ্য উদঘাটন হবে।

তিনি বলেন, “অমিক্রন অধিকতর সংক্রামক, আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এতে সংক্রমিত হচ্ছে, তবে উচ্চ জনঘনত্ব ও সেন্সাস এলাকায় যেখানে অধিক সংখ্যক আবশ্যকীয় কর্মী বসবাস করেন সেখানে এটির আরও বেশি দ্রুত ছড়ানোর কথা, কারণ এরা বেশি মানুষের সঙ্গে সংস্পর্শে আসেন।” তিনি বলেন, “যে জিনিসটি পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে পারে তা হলো আগে থেকে বিদ্যমান ইমিউনিটির অবস্থা।”

রাধিকা গান্ধী, যার বাবা কোভিড-১৯ রোগে মারা গেছেন, বলেন, প্রদেশটি যেভাবে বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে তাতে তিনি আশঙ্কা করেন যে, তার পরিবারের মত একই অবস্থা অন্য অনেক পরিবারে ঘটতে পারে।    

তিনি বলেন, “আমি ভয় পাচ্ছি, কোভিড আবারও বিপুলভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে, বারবার এটা ঘটতে পারে এবং দেখা যাবে প্রান্তিক অবস্থানে থাকা কমিউনিটিগুলি এর সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পড়ছে।”

এই মুহূর্তে একজন প্রশিক্ষণার্থী মহামারি বিশেষজ্ঞ রাধিকা বলেন, অংশত কোভিড-১৯ এর সঙ্গে তার বাবার লড়াই দেখে তিনি উদ্বুদ্ধ এবং আশা করেন যে, স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিদ্যমান অসাম্য দূর করার জন্য তিনি অব্যাহতভাবে কাজ করবেন। তিনি আরও বলেন, এরকম কোনও মহামারিতে কোন জনগোষ্ঠী সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সেটি উপলব্ধি করা সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সমাজের সদস্যদের সুরক্ষার প্রশ্ন যখন আসে তখন নীতি প্রণয়ন করা দরকার বিজ্ঞানের ভিত্তিতে।

রাধিকা বলেন, এই মহামারির সময় এবং তার পরও দুস্থ আবশ্যকীয় কর্মীদের সহায়তার জন্য মানুষের কাছে বাছাই করে সেবা সম্প্রসারণ, অসুস্থতার ছুটি, স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ এবং জীবন যাপনের উপযোগী মজুরিকাঠামো এগুলোই সবচেয়ে ভালো উপায়।

সূত্র : লরেন পেলি / সিবিসি নিউজ