টরন্টোতে উদ্বোধন হলো বাংলাদেশী কমিউনিটির সর্ববৃহৎ ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁ লবঙ্গ

প্রবাসী কণ্ঠ : টরন্টোর বাংলাদেশী অধ্যুষিত ড্যানফোর্থে এবার যাত্রা শুরু করলো লবঙ্গ নামের নতুন ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁ। এটি টরন্টোর বাংলাদেশী কমিউনিটিতে প্রতিষ্ঠিত এযাবতকালের মধ্যে সর্ববৃহৎ রেস্তোরাঁ। এর ক্যাপাসিটি ১০০ জনের মত। এ কথা জানালেন লবঙ্গের স্বত্বাধিকারীদের একজন জনাব পারভেজ আহমেদ মোহিদ। তিনি কানাডা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এরও প্রেসিডেন্ট। গত ৩১ জানুয়ারী ৩৪৫৪ ড্যানফোর্থ এভিনিউতে এই রেস্তোরাঁটি উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনের দিনই কমিউনিটির বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে লবঙ্গ রেস্তোরাঁয় খাবার পরিবেশন করা হয়। খাবারের স্বাদ ও মানের প্রশংসা করেন সবাই। জনাব পারভেজ বলেন, লবঙ্গে কাজ করছেন একজন বাংলাদেশী সার্টিফাইড শেফ যার রয়েছে দীর্ঘদিনের কর্ম অভিজ্ঞতা।

লবঙ্গে যে সকল খাবার পরিবেশন করা হয় তার মধ্যে আছে কাচ্চি বিরিয়ানী, বীফ তেহারী, চিকেন পোলাও, বাটার চিকেন, মাটন রেজালা, বীফ রেজালা, তান্দুরী চিকেন, শিককাবাব, নান, ইলিশ পোলাওসহ আরো অনেক মজাদার আইটেম।

লবঙ্গের বেজমেন্টে পার্টির ব্যবস্থাও আছে। জনাব পারভেজ আরো জানান, লবঙ্গ রেস্তোরাঁয় বিয়ে, গায়ে হলুদ, পিকনিক, জন্মদিনসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের জন্য ক্যাটারিং এর ব্যবস্থাও আছে। খাবারের স্বাদ ও মান অক্ষুন্ন রাখার ব্যাপারে লবঙ্গ কর্তৃপক্ষ সদা সচেতন।

ড্যানফোর্থ রোড ও ড্যানফোর্থ এভিনিউ এর সংযোগস্থলে অবস্থিত লবঙ্গ ফাইন ডাইনিং রেস্তোরাঁর সামনে আছে কাস্টমার পার্কিং এর সুব্যবস্থা। লবঙ্গের তিন স্বত্বাধিকারীর মধ্যে অন্য দুজন হলেন কমিউনিটির অতি পরিচিত মুখ বাঙ্গালীদের প্রিয় ফ্যামিলি ফিজিশিয়ান ডা. আ স ম নুরুল্লাহ তরুণ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ডা. আফজাল হোসেন। তাঁরা সবাই প্রবাসী বাংলাদেশীদের আমন্ত্রণ জানান লবঙ্গে ঘুরে যাবার জন্য। লবঙ্গের খাবার ও আথিতেয়তা সবারই পছন্দ হবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কারণ এখানে সার্টিফায়েড ও প্রফেশনাল শেফ ছাড়াও আছে এক ঝাক তরুণ ও অভিজ্ঞ সেবাকর্মী। কাস্টমার সার্ভিসের ব্যাপারে লবঙ্গের টিম সর্বদাই সচেতন ও নিবেদিত। সাশ্রয়ী দাম সত্বেও খাবারের মান এখানে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। রেস্টুরেন্টের ভিতরের নন্দনিক ডিজানও কাস্টমারদের কাছে ভাল লাগবে।