একজন এলিজাবেথ হোমস এর বিস্ময়কর উত্থান এবং করুণ অধ:পতন
মোয়াজ্জেম খান মনসুর
চাঁদের দেশে হাটছিলেন। আমেরিকার বিস্ময়কর রমণী Elizabeth Holmes। রুপসী মেধাবী চৌকশ স্বপ্নচারীণি। পৃথিবী বিখ্যাত Stanford University, California University তে ক্যামিকেল ইঞ্জিনায়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা শেষ না করেই নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। বায়োটেকনোলজি কম্পানী THERANOS এর কর্ণধার CEO (চিফ এক্সিকিটিভ অফিসার) একজন টিন এইজ উদ্যোক্তা। ২০০৩ সালে মাত্র সতের বছর বয়সে শুরু হয় তার দু:সাহসিক কর্মকান্ড। তার কম্পানী উদ্ভাবন করবে এমন একটি যন্ত্র যার দ্বারা মাত্র কয়েক ফুটা রক্তের সেম্পল নিয়েই শনাক্ত করা যাবে রক্তে কলেস্টরেলের মাত্রা, ক্যন্সারসহ আরো প্রায় দুইশত চল্লিশটা রোগ। হোমসে’র অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ভাবনা শুনে স্টেনফোর্ডের মেডিকেল প্রফেসর Phyllis Gardner তাকে জানিয়েছিলেন এটা একটি অসম্ভব কাজ। এটা কখনো সার্থক হবে না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ ইঞ্জিনিয়ারিং Channing Robertson হোমসের সাথে উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। এই সুন্দরী চৌকশ আঠার বছর বয়সী ললনা ২০০৪ সালের মধ্যে তার কম্পানীর জন্য ৬ মিলিয়ন ডলার ফান্ড ব্যবস্থা করে ফেলেন। ২০১০ নাগাদ কম্পানীর ব্যবসায়িক মূলধন গিয়ে দাড়ায় ৯২ মিলিয়ন ডলার। হোমসের কম্পানী ২০২০ সালের মধ্যে ৯ বিলিয়ন ডলারের কম্পানী হয়ে যায়। যুক্তি তর্ক মেধা সমন্বয়ে অত্যন্ত অত্মপ্রত্যয়ী দুর্দান্ত সাহসী এবং প্রচন্ড ব্যবসায়ীমনা এই রমণীর ব্যবসার প্রথম ইনভেস্টর ছিলেন সিলিকেন ভেল্যীর ভেঞ্চার ক্যাপিটেলিস্ট Timothy Cook Draper যিনি হোমসে’র ব্যবসায়িক আইডিয়া শুনে ১ মিলিয়ন ডলারের চেক লিখে দেন। হোমসের Theranos কম্পানীর প্রথম ডিরেক্টর হলেন আমেরিকার Henry Kissinger কিংবদন্তী প্রাক্তন সেক্রেটারি অফ স্টেট, Goerg Shultz প্রাক্তন সেক্রেটারী অফ স্টেট, উইলিয়াম পেরী প্রাক্তন সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স, জেমস মেটিস ফিউচার প্রাক্তন সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স, গেরি রাফহেড প্রাক্তন ইউ এস নেভী রিয়ার এডমিরাল, বিল ফ্রিস্ট প্রাক্তন সিনেটর, সাম নাম প্রাক্তন সিনেটর, ডিক কোভাসেভিচ অয়েলস ফার্গোর সি ই ও, Riley Peart Bechtel (বিলিয়নার) বেচটেল কম্পানির কর্ণধার। Willam H Foage প্রাক্তন ডিরেক্টর CDC (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্টোল এন্ড প্রিভেন্সন)। ধনাঢ্য ওয়াল্টন পরিবার। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক সাক্ষাৎকারে তার ভূয়াষী প্রশংশা করেন। এখানেই থেমে নেই হোমস, সে পৃথিবীর অন্যতম ধনী বিলিয়নিয়ার এবং প্রভাশালী মিডিয়া টাইকুন Rupert Murdoac কে (আমেরিকা এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শতাধিক পত্রিকা/ টিভির মালিক। তার মালিকানায় আছে-ওয়াল স্ট্রিট জর্নাল, নিউইয়র্ক পোস্ট, বৃটেনের দা সান, টাইমস প্রভৃতি) ইনভেস্টর হিসেবে কম্পানীতে যুক্ত করেন। Oracle ফাউন্ডার Larry Ellison ইনভেস্টর হিসেবে যুক্ত হন। হোমস কম্পানীর বিনিয়োগকারীদের সাথে চুক্তি করে রাখেন যে, কম্পানীর উদ্ভাবনের গোপনীয়তা সর্ম্পকে সে জবাবদিহিতা করবেন না এবং তার কথাই কম্পানীতে শেষ কথা।
২০১৩ সালে ড্রাগস্টোর জায়েন্ট Walgreens হোমসের কম্পানীর সাথে ১০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি বদ্ধ হয় এবং ৪০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে। এর ফলে ওয়ালগ্রিন্সের চল্লিশটি স্টোরে Theranos wellness center খোলা হয় রক্ত পরীক্ষার জন্য। গ্রোসারী স্টোর জায়েন্ট Safeway হোমসের কম্পানীতে ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে এবং তাদের ৯৬৯ স্টোর রিমডেলিং করে থেরানোসের
যন্ত্রের সাহায্যে রক্ত পরীক্ষা করার সেন্টার খোলে। স্টোর গুলোতে আসলে থেরানোসের কোন মেশিন বসানো হয়নি। রক্তের সেম্পল গুলো তারা থেরানোসের ল্যাবে (Palo Alto,Ca) পাঠিয়ে দিত।
২০১৫ সালে ঋড়ৎনবং পত্রিকায় আমেরিকার তিরিশ বছর বয়সী Youngest self made billioner হিসেবে প্রচ্ছদ কাহিনী ছাপা হয়। Theranos ২০০৩ সালে কম্পানী গঠন করা হলেও কম্পানীর উদ্ভাবন সম্পর্কে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কোন সংবাদ প্রকাশ করা হয়নি। কম্পানী থেকে বলা হত উদ্ভাবন সম্পর্কে চুড়ান্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে তারা কোন বেআইনি কাজ করছে না। চুড়ান্ত সফলতা না আসা পর্যন্ত এই কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে Steave Jobs এর আপেলের মতন বিশ^ চমক সৃষ্টি করবে। হোমসের দেওয়া কম্পানীর কর্মচারীদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা ছিল তারা যেন কম্পানীর উদ্ভাবন সম্পর্কে বাইরে কারো সাথে কোন ধরনের আলোচনা না করে। এমনকি তারা, এই কম্পানীতে চাকুরী করে সেটাও গোপন রাখতে কম্পানীর স্বার্থে। হোমস তার কম্পানীর তিন জন কর্মচারীকে কোর্টে তুলেছিল কম্পানীর গোপনীয়তা ভংগন করার অপরাধে। হোমস এই চুড়ান্ত নিছিদ্র গোপনীয়তার ধরনটি স্টিভ জবের আপেল থেকে নিয়েছিলেন।
থেরানোসের এলিজাবেথ হোমস আমেরিকার আকাশে তারা হয়ে ভাসছিল ২০১৫ সালের দিকে। FORBES, FORTUNE এবং INC ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ কাহিনী হিসেবে জায়গা করে নিয়েছিলেন এবং হোমস সংবাদে এসেছিলেন New Yorker ও Charlie Rose পত্রিকায় এবং তার বিভিন্ন টিভি টক শো’তে ছিল নিয়মিত অংশগ্রহন। ২০১৪ সালে TED MED (সানফ্রান্সিকোতে) বক্তৃতায় তার স্বপ্ন ছড়িয়ে দিয়ে রাতারাতি তারকা হয়ে উঠেছিলেন। মাত্র কয়েক ফুটা রক্তের সেম্পল থেকেই জানা যাবে কলেস্টোরল থেকে ক্যান্সার রোগ। রোগীর শরীর থেকে সুই ফুটিয়ে কয়েক সিরিঞ্জ রক্ত নেবার প্রয়োজন হবে না। -(মূল্য পরবে মাত্র ৪ ডলার। বর্তমান বাজারে শুধুমাত্র কলেস্টোরল পরিক্ষার জন্য খরচ হয় ৫০ ডলার)। স্পোক এন্ড পেনেল’সে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের এবং আলী বাবার কর্ণধার জ্যাক মে’র সাথে এক মঞ্চে উঠেছিলেন।
কম্পানীর রিসার্চ টিমের ভিতর থেকে তাদের তৈরী যন্ত্র কাজ করছে না বলে হোমসকে জানানো হলেও সে তাদের মতামতের কোন মূল্যায়ন করছিল না।
Erika Cheung একজন নতুন ল্যাব রিসার্চার (University of Berkeley গ্র্যাজুয়েট- দুটি ডিগ্রি প্রাপ্ত ,মলিকুলার এবং সেল বায়োলজি এবং লিংগুইস্টিক) কম্পানীর ল্যাবে ব্লাড টেস্টিংয়ের ভীষণ অসংগতি নিয়ে কর্মী এবং উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। এরিকা কয়েকজন রোগীর রক্তের নমুনা পর পর তিন বার পরীক্ষার পর ফলাফল কয়েক মিনিটের ব্যবধানের তিন রকম পেয়েছেন বলে জানান। এরিকা এই সমস্যা নিয়ে CEO (চীফ অপারেটিং অফিসার) Sunny Balwany’র সাথে কথা বললে তিনি তাকে সাবধান করে দিয়েছেন। থেরানোসের মেশিন ‘EDISON’ নিয়ে চিন্তা না করে শুধুমাত্র তার কাজটি চালিয়ে যেতে। এরিকা’র মনে দিনে -দিনে সংশয় ও দ্বন্দ্ব জাগে এই কম্পানীর রক্ত পরীক্ষার উদভাবন যন্ত্রটি নিয়ে, যেটাকে সামনে রেখে হোমস রোগীদের জীবন নিয়ে খেলা করছে আর বিলিয়ন ডলার মুনাফা লুটে নিচ্ছে সবাইকে বোকা বানিয়ে।
দীর্ঘ সাত মাস নিজের সাথে যুদ্ধ করে Erika Cheung তার চাকুরীটা ছেড়ে দেন। চাকুরি ছেড়ে দেবার আগে এরিকা তার এক কলিগ Tyler Shultz সাথে থেরানোসের রক্ত পরীক্ষার যন্ত্রের জালিয়াতি এবং যন্ত্রটি কাজ যে করছেনা সে নিয়ে আলাপ করে। কাকতালীয় ভাবে তার কলিগ টেইলার সোলজ থেরানোসের বোর্ড ডিরেক্টর জর্জ সোলসের (প্রাক্তন সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স) গ্র্যান্ড ফাদার। এরিকা তার কলিগ টেইলার সোলজের সাথে তার দাদা জর্জ সোলসের সাথে ডিনারে যোগ দেয় এবং তাকে থেরানোসের যন্ত্র কাজ করে না বলে জানিয়েছেন। George Shultz এরিকাকে বলেছেন এই কম্পানীতে অনেক ধনাঢ্য নামী দামী ব্যক্তিরা বিনিয়োগ করেছেন এবং সবাই বিশ্বাস করে Theranos পৃথিবী বদলে দেবে। জর্জ সোলজ এরিকাকে বলেন, তুমি ওখানে কাজ না করে অন্য কোথাও কাজ কর। চাকুরী ছেড়ে দেবার পর কম্পানীর পক্ষ থেকে এরিকা’কে নানা ধরনের ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছিল। তখন এরিকা একজন আইনজীবির সাথে যোগাযোগ করলে সেই আইনজীবি তাকে FDA-তে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শ অনুযায়ী এরিকা FDA-তে থেরানোসের রক্ত পরীক্ষার মেশিন অকার্জকর এবং রক্ত সঠিক ভাবে রিডিং করতে পারে না এনিয়ে বিস্তারিত লেখা অভিযোগ পত্র পাঠিয়ে দেন। তখন মানসিকভাবে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, ভয় ভীতি শংকার ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল ২৭ বছরের তরুনী এরিকা ।
এমন সময় এরিকার সাথে সাংবাদিক John Carreyrou যোগাযোগ হয় এবং তাকে থেরানোসের জালিয়াতির বিস্তারিত খবর দেয় এরিকা।
২০১৫ সালে Newyorker পত্রিকায় এক সংবাদে হোমস তার উদ্ভাবন সর্ম্পকে রিপোর্টারকে খুব ভাল ব্যখ্যা দিতে পারেনি। সে সংবাদ পড়ে ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল পত্রিকার দুইবার পুলিৎজার পুরস্কার জেতা সাংবাদিক John Carreyrou অনুসন্ধানে নামেন। অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারেন থেরানোসের ল্যাবে তাদের মেশিনে রক্ত পরীক্ষার ফলাফলে একুরেসি নেই। এমনকি তারা বাজারের বিভিন্ন মেশিনে রক্ত পরীক্ষা করে নিজেদের নামে চালিয়ে দিচ্ছে। হোমসের কম্পানীর এই ভয়ংকর জালিয়াতির খবর আমেরিকার বিখ্যাত পত্রিকা নিউইর্ক টাইমসে ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশ হবার পর ঝড় উঠে আমেরিকার টেক ওয়ার্ল্ডে, প্রলয় শুরু হয় সিলিকেন ভ্যালীতে (কেলিফোর্নিয়ার ৫০ স্কয়ার মাইল এলাকা – মানব ইতিহাসে কোন জায়গা এমন অর্থ সম্পদ উপার্জন করতে পারেনি)।
হোমসের বোর্ড ডিরেক্টর কিংবদন্তি আইনিজীবি Davies Boies (যিনি বিল গেইটস এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোরের আইনজীবি ছিলেন) সম্পাদকের সাথে পাঁচ ঘন্টা ব্যাপী আলোচনার পরও খবর প্রকাশ বন্ধ করতে পারেনি। Hot Startup Theranos Has Struggled With Its Blood Test Technology শিরোনামে এক সংবাদ প্রকাশ করা হয় অক্টোবর ১৬,২০১৫ সালে। FDA অনুসন্ধানে Theranos এর রক্ত পরীক্ষার চরম অসংগতি ধরা পরে। Elizabeth Holms এর কম্পানীতে ঝড় উঠে। তার স্বর্গে আগুন লেগে যায়। তাকে CEO পদ থেকে অপসরণ করা হয়। ২০১৮ সালে ইউ এস সিকিউরিটি এন্ড একচেঞ্জ কমিশন থেরানোস এবং হোমসের বিরুদ্ধে ভয়ংকর জালিয়াতির মামলা করে। হোমস ৫০০,০০০ ডলার ফাইন দিয়ে এবং ১৮.৯ মিলিয়ন শেয়ার কম্পানীকে ফেরত দেয়। কোর্টের রায়ে হোমস আগামী দশ বছরের জন্য পাবলিক অফিস বা কম্পানীর বোর্ড ডিরেক্টরের পদে কাজ করতে পারবেনা। ২০১৮ সালে হোমসের বিরুদ্ধে মোট ১১টি কাউন্টসে মামলা হয়। ২০২১ সালের আগস্টে মামলার শুনানী শুরু হয়। ১৫ সপ্তাহ কাজ করে জুড়িবোর্ড বিচার কাজ শেষ করে। গত ৪ জানুয়ারী/২২ মামলার রায় ঘোষণা করে।জুড়িবোর্ড হোমসে’র বিরুদ্ধে ৪ মামলায় তাকে অভিযুক্ত করেন। Defraud Investors বিনিয়োগ কারীদের সাথে জালিয়াতি আর তিনটি হল Wire Fraud. এই চার মামলায় হোমসের ২০ বছর জেল হতে পারে এবং প্রতিটি মামলার জন্য ২৫০,০০০ ডলার করে ক্ষতিপুরণ দিতে হবে। হোমস এখন ৫০০,০০০ ডলারের জামিন নিয়ে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। কারণ তার কম্পানীর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং চীফ অপারেটর অফিসার Ramesh Sunny Balwani-র বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলার শুনানী শুরু হবে আসছে মার্চ মাসে। Elizabeth Holms এর দীর্ঘ এগার বছরের (সিক্রেট) বয় ফ্রেন্ড Ramesh Balwani যার বিরুদ্ধে হোমস মৌখিক এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন আদালতে। আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম একজন নারী বিলিয়নিয়ার জালিয়াতির অপরাধে দন্ডিত হয়েছেন। একজন প্রচন্ড উচ্চবিলাসী আত্মবিশ্বাসী মেধাবী চৌকশ লোভী নারী আমেরিকা’কে বিস্ময়কর উদ্ভাবনের স্বপ্ন দেখিয়ে আমেরিকা কাঁপিয়ে তারা হয়ে ভাসছিলেন। কিন্তু তার শঠতা আর জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া স্বপ্ন তাকে স্বর্গ থেকে নরকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
মোয়াজ্জেম খান মনসুর
১৯ শে জানুয়ারী,২০২২
টরন্টো কানাডা