অন্টারিও’র প্রধান হাইওয়েগুলোতে গাড়ি টো করার নতুন আইন চালু
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক ॥ ডিসেম্বর ১৩, ২০২১ : গ্রেটার টরন্টো এলাকায় গাড়ি টো করার নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে যাতে করে দুর্ঘটনাস্থল থেকে গাড়িসমূহ দ্রুত সরিয়ে নেয়া যায় এবং দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ির মালিকদের যদি টো ট্রাক এর প্রয়োজন হয় তবে তাদেরকে যেন অতিরিক্ত ফি প্রদানের হাত থেকে রক্ষা করা যায়।
অন্টারিও’র ৪০০ সিরিজের এক্সপ্রেস রোড বা হাইওয়েগুলোকে এখন ৪টি জোন বা অঞ্চল বিভক্ত করা হয়েছে যেখানে নির্দিষ্ট কিছু টো ট্রাক কোম্পানীকে তাদের কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেয়া হবে। খবর সিটিভি নিউজের। রিপোর্ট করেছেন প্যাট ফোরান।
এটি একটি ৪ বছরের পাইলট প্রকল্প। সরকার আশা করে যে এর মাধ্যমে টো ট্রাক কোম্পানীগুলোকে ঘিরে বিদ্যমান কিছু সমস্যার সমাধান হবে যার মধ্যে আছে পরস্পরের (টো ট্রাক কোম্পানীগুলোর মধ্যে) গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, গোলাগুলি, সহিংসতা এবং দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা।
৪০০ সিরিজের যে হাইওয়েগুলোর মধ্যে নতুন আইন কার্যকর হয়েছে সেগুলো হলো, ৪০১, ৪২৭, ৪০৯, ৪০০ এবং কুইন এলিজাবেথ ওয়ে।
শুধুমাত্র অনুমোদিত টো কোম্পানীর ট্রাকগুলোকে নির্দিষ্ট হাইওয়ে এলাকায় তাদের কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেয়ার কারণে গ্রাহক তথা দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ির মালিকরা হয়রানীর শিকার হবেন না বলে সরকার আশা করছে। টোইং বা স্টোরেজ এর জন্য অতিরিক্ত চার্জ বা ফি আদায়ের ঘটনাও প্রতিহত করা যাবে নতুন আইনের ফলে।
তবে নতুন এই আইন প্রণয়নের ফলে সব টো ট্রাকের আপারেটররা খুশী হতে পারেননি। কারণ এই আইন নির্দিষ্ট হাইওয়েগুলোতে তাদের প্রতিযোগিতাকে সীমিত করবে। গত জুন মাসে নতুন আইনের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশের জন্য টো ট্রাক অপারেটরদের একটি মিছিল হয়েছিল ৪০১ মহাসড়কে।
এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নতুন এই আইনের ফলে টো ট্রাক চালক এবং কোম্পানীগুলো প্রভাবিত হবে। এ কথা বলেছেন টোইং এসোসিয়েশন অব অন্টারিও’র প্রেসিডেন্ট মার্ক গ্রেভস। তিনি বলেন এটি একটি পরীক্ষা এবং পাইলট প্রজেক্ট। তাছাড়া টোইং কোম্পানীগুলো ঢেলে সাজানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। নতুন আইন সেটাই শুরু করছে।
টোইং এসোসিয়েশন অব অন্টারিও জনগণকে আরো ভালভাবে সুরক্ষিত করার জন্য টো ট্রাক অপারেটরদের প্রাদেশিক লাইসেন্স দেখতে চায়। পাশাপাশি টো ট্রাক অপারেটরদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রয়েছে তাও নিশ্চিত করতে চায়।
টোইং এসোসিয়েশন অব অন্টারিও’র প্রেসিডেন্ট বলেন, ফোর্ড সরকার এই ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচেছ এবং এই আইন তারই অংশ যা অন্য সরকারগুলো করেনি বা করতে পারেনি।
পাইলট প্রজেক্টের লক্ষ্যগুলো হলো টো অপারেটরদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং সরঞ্জাম রয়েছে তা নিশ্চিত করা এবং সেই সাথে যেখানে দুর্ঘটনা ঘটে সেখানে দ্রুত যানজট কমানো।
নতুন নিয়ম ড্রাইভারদের জন্য যুক্তিসঙ্গত টো রেট-ও নিশ্চিত করবে। টো ট্রাক অপারেটরদেরকে আইটেম অনুযায়ী ইনভয়েজ দাখিল করতে হবে যা সমস্ত খরচ দেখায় এবং ডেবিট বা ক্রেডিড কার্ড গ্রহণ করতে ইচ্ছুক হতে হবে।
আপনি যদি নির্দিষ্ট ঐ মহাসড়কগুলোতে দুর্ঘটনার শিকার হন বা আপনার গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে এবং আপনার জরুরী সহায়তার প্রয়োজন দেখা দেয় তবে অন্টারিও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ হলো ৯১১ এ কল করুন।
তবে দুর্ঘটনার পর আপনি যদি নিরাপদে মহাসড়কের কিনারে আপনার গাড়ি টেনে নিয়ে যেতে পারেন তাহলে ৯১১ এ কল না করে ৫১১ এ কল করতে পারেন একটি অনুমোদিত টো ট্রাক খুঁজে পেতে। আর যারা ঈঅঅ এর মেম্বার তাঁরা ঈঅঅ এর সেবা পেতে তাদের নম্বরেও কল করতে পারেন।