প্রবাসে পরহিতকর্ম -৮৯
ইউরোপের পথে পথে
রীনা গুলশান
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই বেশ ফুরফুরে লাগছিল। এবং সেই সাথে দারুন একটা এক্সসাইটমেন্ট কাজ করছিল মনের মধ্যে। আজ যেখানে যাবো, এখানে যাবার জন্যই অনেকটা আমার ইটালীতে আসা। আর কিছু না, কেবল একটা কৌতুহল। তছাড়া পৃথিবীর সব ধর্মকেই আমি সম্মান করি। এটি খ্রীষ্ট ধর্মের সব থেকে বড় পীঠস্থান। অনেকে তাদের তীর্থ স্থানও মনে করে থাকেন।
আজ আমরা চলেছি ভ্যাটিকান (Vatican) সিটিতে। মজার ব্যাপার, আমরা এটাকে সিটি বললেও স্থানীয়রা ভ্যাটিকান-কে আলাদা দেশ মনে করে। মাত্র ৪৪ হেক্টর এরিয়া নিয়ে এই ভ্যাটিকান সিটি।
খুব উৎসুক্য নিয়ে আমরা চলেছি। আমরা এই প্রথম একটি বাসে চড়লাম। যদিও ৫/৭ মিনিটের মধ্যে সেই কাঙ্খিত ‘স্টপেজ’ এ আমরা চলে এসেছি। দূর থেকে দেখলাম নীল জ্যাকেটে হাস্যময়ি ‘আনা’ দাঁড়িয়ে হাত নাড়ছে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করাবার জন্য। যথারীতি আমি বাস থেকে নামতেই ‘আনা’ আমাকে ‘হাগ’ করলো। খুব মিষ্টি একটা মেয়ে। বারবার করে বলছে, তুমি আমার মায়ের মত। আমাকে ধরে রিলাক্স হয়ে চলো।
যখন রাস্তার মোড় ঘুরলাম, দেখলাম সোজা বিশাল একটা এরিয়া। মাঝে আবার ভাগ ভাগ করে দিয়েছে কিছু প্লাস্টিকের ছোট ছোট পার্টিশন ওয়াল বোর্ড দিয়ে। কারণ সম্ভবত কেউ যেন গাড়ি নিয়ে ঢুকে না পড়ে। আনাকে দেখলাম মোড়টা ঘুরতেই বুকে ‘ক্রস’ করছে। বুঝলাম সে একজন রোমান ক্যাথলিক। আমিও অত্যন্ত উচ্ছাস প্রকাশ করলাম। কারণ আমাদের ধর্ম, অন্য ধর্মকে সম্মান করতে এবং সহিষ্ণুতা প্রকাশ করতে শিখিয়েছে।
অনেক মানুষকে দেখলাম জুতা ব্যাগে ঢুকিয়ে খালি পায়ে হাটছে। এই জন্য কথিত আছে, ভ্যাটিকান খ্রীষ্টান ধর্মালম্বীদের ‘মক্কা’। আমরা যেমন মক্কায় গেলে খালি পায়ে হাটি। প্রচুর মানুষ, বেশ শান্ত ভাবে সামনের দিকে হেটে চলেছে। রাস্তার ডান দিকে খুব সুন্দর জঙ্গল। তবে তা পরিচ্ছন্ন। ওর ভিতর দিয়েও চলা যায়। বাম দিকে বেশ কিছু দূর পর্যন্ত একটি নদী বয়ে, আবার উল্টো দিকে ঘুরে গেছে। ঐ নদীটার নাম মনে নাই। তবে ওর উপর খুব সুন্দর একটা ব্রীজ আছে। ঐ ব্রীজের শুরুতেই বাসের স্টপেজ।
ইটালীর রোম প্রভিন্সের মধ্যেই এই ‘ভ্যাটিকান সিটি’। গোটা ইটালীকেই রোমান ক্যাথলিকদের হেড কোয়ার্টার বলা হয়ে থাকে। এবং এটাকে রোমান ক্যাথলিক তথা খ্রীষ্ট ধর্মালম্বীদের যাজক শ্রেষ্ঠ ‘পোপ’দেরও দেশ বলা হয়ে থাকে। তাই প্রতি বছর হাজার হাজার রোমান ক্যাথলিক ইটালী তথা ভ্যাটিকান সিটিতে আসে।
ভ্যাটিকান সিটি আলাদা করে স্থাপিত হয়ে ১৯২৯ এর ১১ ফেব্রুয়ারীতে। এই শহরে লোক সংখ্যা ৮২৫ জন (২০১৯ সালের হিসাব)। তবে বছরের গোটা সময়ে প্রচুর দর্শক বা ট্যুরিস্ট এর সমাগম হয়। ৪৪ হেক্টর জমি নিয়ে এই ‘পোপ’ এর শহর। পোপের এই শহরকে এরা সম্পূর্ণ একটি দেশ বলে আখ্যায়িত করে। তার প্রমাণ স্বরূপ এদের সম্পূর্ণ নিজস্ব এটা পোস্ট অফিস আছে। যার টিকিটে ইটালী লেখা থাকে না। ভ্যাটিকান সিটি লেখা থাকে।
ইটালী দেশটির শুরু থেকেই এটা ‘পোপ’দের দেশ ছিল। পোপদের একনায়কত্ব ছিল। কিন্তু বাধ সাধলো ১৮৭১ সালের এক রাজনৈতিক পরিবর্তন। ঐ সময় ইটালী বেশ কয়েকটি প্রভিন্সে ভাগ হয়। এবং সেই প্রভিন্সগুলো স্বায়ত্ব শাসন এর অধিকার পায়। বিষয়টি ধর্মযাজকদের কাছে পছন্দ হয়নি এবং মেনে নিতে খুবই কষ্ট হয় তাদের। কারণ ততদিনে ইটালী অন্যান্য দেশের মত একটি ইউনিফাইড কান্ট্রি হয়ে যায়। এ কারণে স্বভাবতই প্রত্যেকটি টেরিটোরির সমস্ত ‘ডিল’ এবং ক্ষমতা হারায় তারা। আর তখনই যাজকদের সিন্ধান্তেই এই ভ্যাটিকান সিটির উৎপত্তি ১৯২৯ সালে। এবং সেখানে পোপ’দের একচ্ছত্র আধিপত্য। একটি রাষ্ট্রের তথা রাষ্ট্রনায়কের যত রকমের ক্ষমতা বা কার্মকান্ড থাকে তার সবকিছুই এখানে পোপ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। যার জন্য আমাদের কাছে ভ্যাটিকান একটি শহর হলেও ইটালিয়নদের কাছে এটি একটি দেশ। এবং ভ্যাটিকান সিটিতে একটিই মাত্র ধর্ম, সেটা অবশ্যই ‘রোমান ক্যাথলিক’। এমনকি খ্রীষ্ট ধর্মের অন্যান্য অনুসারি বা শাখায় বিভক্তদের কোন জায়গা নেই এখানে।
ভ্যাটিকান সিটিতে অন্যান্য দেশের মত কোন সেনাবাহিনী নেই। তবে এখানে প্রচুর সিকিউরিটি গার্ড আছে যাদেরকে নোবেল গার্ড বলা হয়। মজার ব্যাপার, এদের ড্রেস কোড-ও সম্পূর্ণ আলাদা। এবং এদের ট্রেনিং-ও অন্যরকম ভাবে দেয়া হয়।
ইটালীতে যেহেতু প্রথম থেকেই পোপ’দের রাজত্ব ছিল সে কারণে পর্যায়ক্রমে এখানে ২৬০ জনেরও বেশী পোপ ক্ষমতায় এসেছেন। যাকে প্রথম পোপ বলা হয় তিনি হলেন সেন্ট পিটার (Saint Peter)। বর্তমান পোপকে আমরা সকলেই জানি, তিনি হলেন বিতর্কিত পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis)। বিতর্কিত এই জন্য যে, তিনি ২৬৬ তম পোপ। আর তিনিই প্রথম নন ইউরোপিয়ান। উনি জন্মসূত্রে একজন আমেরিকান। সাধারণ নিয়ম অনুসারে পোপরা বিবাহিত হন না বা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ২৬৬ জন পোপের মধ্যে ৪ জন পোপ বিবাহিত ছিলেন। কারণ এই ৪ জন পোপ ‘Holy orders’ এর আগেই লিগ্যালি ম্যারিড ছিলেন। মজার ব্যাপার, এই পোপদের সবাই ইউরোপিয়ান, আর একজন আমেরিকান।
পোপ হতে গেলে একজনকে চুড়ান্ত ধার্মিক হলেই চলবে না। এমনকি জন্মসূত্রে একজন রোমান ক্যাথলিক হলেও চলবে না। এটা সম্পূর্ণ ‘পোপাল’ ইলেকশনের মাধ্যমে হয়। এবং পোপাল ইলেকশনের জন্য ২০৩ জন সদস্য আছেন ৬৯ দেশের। এই ২০৩ জন সদস্য একজন সত্যিকারের পোপকে নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়োগ করেন। এবং প্রায় ১ বছর ধরে তাদের ‘পোপাল’ ট্রেনিং হয়ে থাকে। একজন পোপকে সরকার থেকে থাকার জন্য বাসা দেওয়া হয়। গাড়ী দেওয়া হয়। তাদের জন্য অবশ্যই সর্বদা দেহরক্ষীও থাকে। এছাড়া তাদের একটা মাসিক ভাতা দেওয়া হয়। সেটা অত্যন্ত কম। যেমন ২০০৭ সাল পর্যন্ত এটা ছিল ১৭৫০ ডলার। মূলত এটা তাদের জন্য একটা সম্মানি মাত্র।
আস্তে আস্তে আনা’র হাত ধরে হাটছিলাম। রাস্তার দুপাশে ছোট ছোট একতলা লম্বা ধরণের বাড়ী। এরপর যেন থেমে গেলো এবং সামনে একটা বিশাল খোলা চত্বর। কি পরিচ্ছন্ন। তার সেই খোলা প্রশস্ত জায়গার সামনেই থামা উঁচু করে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত গির্জা St. Peter’s Cathedral Basilica। খ্রীষ্ঠীয় জগতের বিখ্যাত এই গির্জা। দুটো ফুটবল মাঠের সমান জায়গা নিয়ে এর ব্যপ্তি। এবং এই গির্জার সীমানাটা একটা বেল্ট দিয়ে ঘেরা। যে বেল্টগুলো ইচ্ছা করলেই খোলা যায়। গির্জায় ঢোকার মাঝখানে ছোট একটা ঘর। যেটা ইনফরমেশন সেন্টার। ওরা ফ্রি ফ্লয়ার দেয়। ওটা পড়লে ভাল হয়। কোথায় কি আছে বোঝা যায়। না হলে, হারিয়ে যাবারও সম্ভাবনা আছে। এখন অনুমান করুন কত বড় এই সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা। এবং এই গির্জারও ডিজাইন করেছিলেন ‘মাইকেল এন্ধেলো’। আর তাকে সহায়তা করেছিল ব্রামান্ডে এবং রাফায়েল। এই গির্জা সত্যিকার অর্থেই ‘রেনেসা’ মাস্টারপিস।
এটি এতটাই অলংকৃত স্থান এবং অসাধারণ মহৎ সজ্জা দিয়ে ভরা যে, আপনি যখন ভেতরে প্রবেশ করবেন, আপনার প্রতিটি স্টেপ সেটা স্বীকার করবে। আর এটি এখন পর্যন্ত খ্রীষ্ট ধর্মালম্বীদের বৃহত্তম গির্জা হিসাবে বিবেচিত। অন্যদিকে সেন্ট পিটার্সের গম্বুজ এখনো সমগ্র বিশে^র সবচেয়ে উচু গম্বুজ বলে বিবেচিত। এই গির্জার পরিকল্পক ছিলেন পোপ নিকোলাস পঞ্চম। সেই ১৪৪৭ এ যেটা শুরু হয়েছিল সেটা পরিপূর্ণ ভাবে, বারে বারে ডিজাইন পরিবর্তন পরিবর্ধন করে আজকের এই রূপে এসেছে। ১৬৩৭ সালে বহু পরিবর্তনের পর বর্তমানের রূপটি দাঁড়িয়ে যায়।
সেন্ট পিটারের অভ্যন্তরটি ‘রেনেসাঁ’ এবং ‘বারোক’ শিল্পের অনেক মাস্টারপিসে ভরা। যার মধ্যে বিখ্যাত হলো মাইকেল এন্ধেলোর ‘পিটো’। প্রধান বেদীর উপরে বার্নিনির বালদাচিন, ক্রসিংয়ে সেন্ট লংগিনাসের মূর্তি, শহুরে সমাধি V111 এবং Ges apse এ সেন্ট পিটারের ক্যাথেড্রা।
ভেতরে প্রবেশের পর কিছুদূর পর ডান হাতে একটি কক্ষ আছে যেখানে যীশুর এবং এরকম আরো কিছু সুন্দর স্ট্যাচু আছে। ৮ তার সামনে দেখতে পাই মাটিতে হাত জোঁড় অথচ মাথা নত করে বেশ কিছু রোমান ক্যাথলিক ভক্ত প্রার্থনা করছিল। দর্শকদের এই যে প্রচুর মাতামাতি এবং ছবি তোলার হিড়িক, ওদের এতটুকুও বিচলিত করছে না। খুব ভাল লাগলো তাদের নিজস্ব ধর্মীয় চেতানায় একাগ্রতা দেখে।
আমি একটির পর একটি ওয়াল পেইন্ট অথবা ফ্রেম পেইন্ট দেখে চলেছি। কিছু কিছু ছবি দেখে রীতিমত বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম। এত সুন্দর। কি ভাবে এটা করেছে! ওখানে ব্যাসিলিকা’র যে বেদীটা আছে তার পেছনে যে ওয়াল পেইন্টটা রয়েছে তা দেখে সত্যি মাথা খরাপ হওয়ার মত। তারপর প্রতিটি ওয়ালের বিভিন্ন পেইন্ট এবং নকশা সত্যি মোহিত হবার মতো। সামনের চাতালে খুব মজার দুইটা জিনিশ দেখলাম- কবুতর এবং পোপ এর আবাসস্থলে যাবার দরোজায় সিউরিটি। কবুতর গুলো মনে হচ্ছে একদম মানুষের মত ঘুরে বেড়াচ্ছে ঐ চাতালে। একটুও ভয় পাচ্ছে না। অনেকে মাটিতে বসে পড়ে হাতে খাবার নিয়ে ধরে আছে। কবুতর গুলো ইচ্ছা হলে ঠোঁকর দিয়ে খাবার নিচ্ছে।
এরপর মজার ব্যাপার দেখলাম (আমি আগেই শুনেছিলাম) সিকুউরিটি, ওরা একজন থেকে অন্যজন চেঞ্জ হবে, কিন্তু দর্শকরা বুঝতে পারবে না। এবং চোখের পলক ফেলে না। আমি টানা এক ঘন্টারও বেশী ঐ সিকিউরিটি গার্ড দুজন এর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। ঠিক ৬টার (সন্ধ্যা) সময় ওদের একজনের থেকে অন্যজনের বদলী হবার সময়। আমি চোখ টান করে তাকিয়ে আছি, সত্যি অবাক কান্ড যে, বদল হলো, আমি টের পেলাম না। এবং যতটা কাছে যাবার পারমিশন আছে, তাকিয়ে আছি, ওদের ছবি তুলছি একাধিকবার, সত্যি এই লাল, নীল, হলুদ ড্রেস পরিহিত গার্ড-রা কিছুতেই পলক ফেললো না। এরা স্পেশাল প্রাপ্ত পোপদেরকে প্রটেক্ট করার জন্য। শুনেছি এদের বয়সও একদম বেধে দেওয়া। ১৭/১৮ থেকে ৩০ এর মধ্যে।
এরপর ভ্যাটিকান এর ভ্যাটিকানের নিজস্ব পোস্ট অফিসে গেলাম। দেখলাম প্রচুুর ভীড়। আমি বের হয়ে আসলাম। তবে রায়হান লেগে রইলো, ওখান থেকে সে পোস্ট কার্ড কিনে তার বউ ক্যাথেরীনকে চিঠি লিখলো। এবং বাচ্চাদের জন্য ওখানকার ভিউ কার্ড কিনলো।
পোস্ট অফিসের পর ভ্যাটিকান সিটির নিজস্ব মিউজিয়ামে গেলাম। ওখানেও প্রায় এক দেড় ঘন্ট ঘুরে ঘুরে দেখলাম।
মাঝে যখন ক্ষুধায় পেট চোঁ চোঁ করছে তখন আমরা চারজন এক কর্নারের বেঞ্চে বসে শহর থেকে নিয়ে আসা স্যান্ডউইচ খেলাম। গাইড ‘আনা’ আগেই বলে দিয়েছিল যে ভ্যাটিকান সিটিতে কোন রেস্টুরেন্ট নাই। যে সব স্ট্রিট ফুড পাওয়া যায় সেটা অসম্ভব দূরে যা কিনা ভ্যাটিকান সিটির বর্ডার ক্রস করে।
বেশ কিছুক্ষণ আগে সূর্য্য ডোবায় লালিম আভা ছড়িয়ে পড়লো। ইতিমধ্যে ১০/১২ জোড়া নব দম্পতি (বিবাহের ড্রেস পরিহিত অবস্থায়) এসেছিল এই গীর্জায়। এরা বিশ^াস করে বিবাহের সাথে সাথে এখানে এলে তারা আশীর্বাদ প্রাপ্ত হন। দেখতে ভালই লাগছিল এদের।
এবারে আমরা ফিরে যাবার মনস্থ করলাম। আস্তে আস্তে করে হেটে চললাম। ফিরবার সময় সাধারণত ক্লান্ত অনুভব করি। আজ করলাম না। বরং বেশ বিষাদ অনুভব করলাম, এই ভেবে যে, এই যে, আমার হাতটি ধরে আছে অতি যত্নে ‘আনা’ নামের মেয়েটি, হয়তো একে আর কখনো দেখতে পাবো না। এই অস্তগামী সূর্য্য, এই আকাশ, বাতাস আমি দেখবো, তবে অন্য রূপে, অন্য কোন খানে। আর বাসে উঠলাম না। গল্প করতে করতে হোটেলে ফিরে চলল্লাম। বিদায়ের সময় চলে এলো। আনা’র কাছ থেকে বিদায় নিলাম। আনা-ও খুব বিষন্ন হয়ে রইল। আমরাও হোটেলে ফিরে গেলাম।
বিদায় ‘রোম’। তোমাকে অনেক ভাল লাগলো। (চলবে)
রীনা গুলশান। টরন্টো।