মনে আছে

সুনিকেত চৌধুরী

কাল রাতে তোমার বুকে রাখতে দাওনি আমার মাথা,
এই নিয়ে তিন দিন হলো আমার গন্ধ নাওনি তুমি,
অন্তরীণকাল সমাপ্তির এই তিরিশ দিনের মাথায়
তুমি আমায় মেসেজ দাওনি কোন
সারাটা দিন গতকাল !

মনে আছে,
মহামারী যখন তুঙ্গে তখন চলে গেল
বকুলের বড় বৌদি’, কাশেমের মেজ ভাই,
ও পাড়ার কলেজ পড়ুয়া উঠতি ক্রিকেট তারকা।
মনে আছে,
আমার চুলে বিলি কেটে বলেছিলে তুমি,
এ যাত্রায় বেঁচে যাই যদি, গুনে গুনে শোধ দেবো
বাকী আছে যত চুমু, যত বাকবাকুম!
যদি এড়াতে পারি ভেন্টিলেটর এই দফায়
বুক ভরে শুধুই নেবো তোমার রোমকূপ নিঃসৃত
এরোমা রাতভর বিরতিহীন !

মনে আছে,
ক্রান্তিকালের ঘন কালো রাতে
ভীত সন্ত্রস্ত জন প্রতিনিধি
আর নগরীর নগন্য নাগরিক
ভার্চুয়াল সমাবেশে জড়ো হয়েছিলো,
প্রেমিকার গায়ে গায়ে ঘেঁষে চেয়েছিলো
সাহস আর সান্তনা তাবৎ প্রেমিক প্রবর,
কাছে টেনে হাত ধরে শিশুদের
পৃথিবীর সব বাবা বলেছিলো,
এ যাত্রায় মিলে যদি যায় হিসেবের খাতাটা
যদি দেখা হয় নতুন ভোরের সূর্য্যটা,
কড়ায় -গন্ডায় শোধ করে দেবো
বাকী রয়ে গেছে প্রতিশ্রুতি যত
ভালোবাসার বকেয়া ঋণ যত!

মনে আছে,
তুমি আরো বলেছিলে,
সবাই মিলে এক সাথে
সমুদ্র স্নানে যাবে।

সুনিকেত চৌধুরী
টরন্টো