কভিড-১৯ এর কারণে উচ্চ মৃত্যু ঝুঁকিতে কানাডার অভিবাসীরা
অত্যাবশ্যক কর্মক্ষেত্রে কাজ করা এবং ঘিঞ্জি বাসস্থানে বাস করা এর পিছনে ভূমিকা রাখছে
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : স্ট্যাটিসটিকস কানাডার নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, মহামারীর প্রথম তরঙ্গের সময় কানাডায় জন্মগ্রহণকারীদের তুলনায় অভিবাসীদের মধ্যে কভিড-১৯ এর কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশী ছিল। চলতি জুন মাসের ৯ তারিখে প্রকাশিত সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, অভিবাসীরা মূলত অপরিহার্য বা অত্যাবশ্যক কর্মক্ষেত্রে কাজ করে এবং স্বল্প আয়ের কারণে ঘিঞ্জি বাসস্থানে বাস করে যা সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে এবং এর ফলে উচ্চতর মৃত্যুর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেয় অভিবাসীদেরকে। কানাডায় কভিড-১৯ এর কারণে বয়স্কদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল অপ্রতিরোধ্যভাবে বেশী। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, কভিড-১৯ এর প্রথম তরঙ্গের সময় অভিবাসীদের মধ্যেও মৃত্যুর হার ছিল বেশী। খবর সিটিভি নিউজের। রিপোর্ট করেছেন ব্রুকলিন নিউস্টেটার।
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, কভিড-১৯ এর কারণে গত বছর মার্চ থেকে জুলাই এর মধ্যে যাদের মৃত্যু হয় তাঁদের মধ্যে ২৫% ছিলেন অভিবাসী। যদিও কানাডার মোট জনসংখ্যায় তাঁদের অবস্থান ২২% (আদমশুমারি রিপোর্ট -২০১৬)।
অন্যদিকে প্রথম তরঙ্গের সময় মোট মৃত্যুর যে হার ছিল তার মধ্যে অভিবাসীদের হার (যাদের বয়স ছিল ৬৫ এর নিচে) ছিল ৩০%। অথচ মোট জনসংখ্যার মধ্যে তাঁদের হার ২০%।
স্ট্যাটিসটিকস কানাডার গবেষণায় আরো দেখা গেছে, অভিবাসী পুরুষদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেশী ছিল। এই চিত্র দেখা গেছে অন্টারিও, কুইবেক এবং ব্রিটিশ কলম্বিয়ায়। তবে ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় মোট জনসংখ্যার ২৮% অভিবাসী হলেও সেখানে মোট মৃত্যুর ৪১% ঘটেছিল অভিবাসীদের মধ্যে। আর এই মৃত্যুর বেশীরভাগ ঘটেছে টরন্টো, মন্ট্রিয়ল ও ভেঙ্গুভারে।
কভিড-১৯ এর প্রথম তরঙ্গের সময় যে সকল অভিবাসী মৃত্যুবরণ করেছন তাঁদের বেশীর ভাগই কানাডায় এসেছিলেন ১৯৮০ সালের আগে এবং তাঁরা বয়স্ক ছিলেন। আর অভিবাসীদের মধ্য কভিড-১৯ এর কারণে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের ৯% কানাডায় এসেছিলেন ২০০০ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে। স্ট্যাটিসটিকস কানাডা আরো জানায়, কভিড-১৯ এ মৃত্যুবরণকারী অভিবাসীদের ১২% কানাডায় এসেছিলেন এশিয়া থেকে। তাছাড়া ভাষাগত দক্ষতার অভাব এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞানের অভাবও সম্ভবত কিছু সংখ্যক অভিবাসীর বেলায় সংক্রমণের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে।