কানাডায় আমাদের ছেলে-মেয়েরা বাংলা শিখতে পারছে, বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অন্যের কাছে তুলে ধরতে পারছে, এটা অনেক বড় পাওয়া
শিরীন আহমেদ : কভিড-১৯ এসে দৈনন্দিন মানবজীবনএ ছন্দপতন এসেছে। প্রতিটি দেশের সরকার এবং সুশীল সমাজ তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছে এই মহামারী মোকাবেলার। কানাডার কথা বলি। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডু-ও চেষ্টা করেছে এবং এখনো করছে। এর ভিতর বাচ্চাদের স্কুল এবং স্কুল বর্ষ শেষ নিয়ে বলি। বাচ্চাকে অনলাইন স্কুল অথবা ইন-পারসন দেওয়া হবে এই নিয়ে অভিভাবকবৃন্দ বেশ চিন্তিত ছিলেন। দুটি অপসনই খোলা ছিল অভিভাবকদের জন্য। যে যার সুবিধামতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এ ব্যাপারে। এর ভিতর International Languages – Elementary and African Heritage-TDSB এর অধীনে বাংলা ক্লাসেরও একটা বছর শেষ হলো। বছর শেষে কালচারাল প্রোগ্রামে বাচ্চারা অংশগ্রহণ করলো স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে।
এবার যারা অনলাইন ক্লাস করেছে, তাদের কালচারাল প্রোগ্রাম বাসায় বসে হলো। এই প্রোগ্রামে বাচ্চারা বাংলা নাচ, গান, কবিতা, গল্প, কৌতুক ইত্যাদি পারফর্ম করলো। কেউ কেউ আবার musical instrument বাজালো। সবকিছু মিলে বাচ্চাদের ভিতর বেশ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত ছিল। বলে রাখা ভালো অনেক দেশে Covid এর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখছে। পিতামাতা খুব উদ্বিগ্ন তাদের সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে। সেখানে যে দেশের দুটি প্রধান ভাষার কোনোটিই বাংলা নয়, সে দেশে আমাদের বাচ্চারা বাংলা শিখতে পারছে, বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য অন্যের কাছে তুলে ধরতে পারছে, এটা অনেক বড় পাওয়া। কোরোনার প্রভাবে মানবজীবনের এই ছন্দপতনের ভিতরও বাচ্চারা তাদের একটা শিক্ষাবর্ষ শেষ করলো এটা অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীর জন্য একটা বড় প্রাপ্তি। অনেক অভিভাবক মনে করেন কানাডা বলেই হয়তো বা এটা সম্ভব হয়েছে ।