কানাডায় প্রতি পাঁচজনের মধ্যে তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ শৈশবে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হন

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : কানাডার ৪৫ থেকে ৮৫ বছর বয়সের প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের প্রতি পাচঁজনের মধ্যে প্রায় তিনজনই শৈশবে পীড়ন, অবহেলা, ঘনিষ্ঠজনের সহিংসতা বা অন্যান্য ঘরোয়া বৈরি পরিবেশের শিকার হয়েছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজনসহ বিভিন্ন গবেষকরা এমনটাই বলেছেন।

কানাডার মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নাল ওপেন-এ (CMAJ Open) প্রকাশিত গবেষণায় দেখা যায়, শৈশবে প্রতি চারজনের মধ্যে একজনেরও বেশি দৈহিক নির্যাতন, প্রতি পাঁচজনে একজন অন্তরঙ্গ সঙ্গীদের সহিংসতা ও আবেগগত পীড়নের শিকার হন।

গবেষণাপত্রের প্রধান রচয়িতা ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির দিব্য জোশি বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কানাডার জনগণের মধ্যে শৈশবে প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি হবার ঘটনা বেশ জোরালোভাবেই বিদ্যমান। ৪৫ থেকে ৮৫ বছর বয়সের মানুষেরা জীবনে অন্তত একবার এ ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন।”

গবেষক দল তাদের এই গবেষণার জন্য বয়সভিত্তিক জনসংখ্যার ওপর পরিচালিত কানাডার অনুদৈর্ঘ্য সমীক্ষার তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করেন। স্বাস্থ্য ও বার্ধক্যের ওপর  জনসংখ্যাভিত্তিক লঙ্গিচুডিনাল স্টাডি অন এজিং (CLSA) শীর্ষক এই বৃহত্তম জাতীয় সমীক্ষায় প্রায় ৪৫ হাজার অংশগ্রহণকারীর তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০১৫ ও ২০১৮ সালের মধ্যে পরিচালিত এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা টেলিফোনে প্রতিকূল শৈশবের ওপর নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্রের জবাব দেন এবং মুখোমুখি সাক্ষাৎকার দেন।

সব ধরণের অংশগ্রহণকারীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় প্রতিকূল শৈশবের অভিজ্ঞতার মধ্যে যেসব ধরণ সবচেয়ে বেশি বিদ্যমান সেগুলি হলো দৈহিক নির্যাতন, অন্তরঙ্গ সঙ্গীদের সহিংসতা ও আবেগগত পীড়ন।

গবেষকরা আরও দেখেছেন, জনসংখ্যার বিভিন্ন উপাদান যেমন বয়স, লিঙ্গ, আর্থ-সামাজিক মর্যাদা, শিক্ষা ও যৌন অভ্যাসের পার্থক্যের ভিত্তিতে শৈশবের বিরূপতার ওপর রিপোর্ট করার বিষয়টিও বিভিন্ন হয়ে থাকে।

৬৫ বছরের কম বয়সী মানুষ, নারী, স্বল্প শিক্ষিত, পরিবারের বার্ষিক আয় কম এবং অস্বাভাবিক যৌনতায় অভ্যস্ত নন এমন মানুষেরা এ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি রিপোর্ট করেন।

জোশি বলেন, “আমরা দেখতে পেয়েছি যে, বৈরি শৈশবের অভিজ্ঞতা জনসংখ্যার সব শ্রেণির মধ্যেই উচ্চ মাত্রায় বিদ্যমান, যদিও কোনও কোনও শ্রেণির লোকেরা অসম ও বৃহত্তর মাত্রায় বিরূপতার শিকার হয়েছে।”

-সূত্র : canindia.com