এক মায়ের আত্মকথা
রাশিদা আউয়াল
(প্রথম পর্ব)
শূন্য থেকে শুরু মায়ের জীবনি শূন্যতেই হলো শেষ।
আমি যে মায়েদের গল্প বা জীবনি তুলে ধরছি,তা সবই বাস্তব সত্য ঘটনা অবলম্বনে। আপনারা সবাই আপনাদের আসে পাশে একটু সজাগ দৃষ্টি রাখলেই দেখতে পাবেন এক কালের পরম সুখী মায়েদের নিদারুন অসহনীয় কষ্ট।
প্রতিটা ধর্মেই কিন্তু মাকে সর্বাচ্চ সন্মান দিতে বলেছেন। তবু হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টান সব জাতে সব ধর্মে একই কষ্ট মায়েদের ভাগ্যে লিখা থাকে।
মা একটি অস্ফুট শব্দ যা জন্ম থেকে আজ অবধি ডেকে আসছে। মায়ের কোনো বিকল্প নেই জেনেও মা’কে অবহেলিত অসন্মান করে আসছে এ সমাজের কিছু অবুঝ সন্তানেরা। এর খেসারত হয়তো তাদের দিতে হবে আগামীর দিনে। যা তারা এখন বুঝতে পারছে না। এ নিষ্ঠুর পৃথিবীতে আবার কারো কারো মা হবার সৌভাগ্য হয় না। তাদের কষ্টও আবার অনেকে বুঝতে পারে না বা বুঝতে চায় না। এ যুগের কঠিন বাস্তব নিষ্ঠুর নিয়তি বিধির লিখনও অনেক ক্ষেত্রে মায়েদের কষ্টে হার মানে।
আমাদের আশে পাশে অনেক কাছের মুরব্বী মায়েদের দু:খ কষ্ট সহ্য করা যায় না। তবু সামাজিকতার বন্ধনে বা দায়বদ্ধতায় অনেক ইচ্ছে থাকা সত্বেও মায়েদের জন্য কিছু করা যায় না।
আজ আমি এক অন্ধ মায়ের কথা লিখছি, যদি কেউ মন দিয়ে পড়েন,তবে চোখের পানি এক ফোঁটা হলেও ঝরবে। আজ কাল অনেক ছেলে মেয়েরা বিয়ের পর আলাদা হয়ে যায় বা একই বাড়িতে আলাদা থাকেন। তাতে কি? বদলে গেছে নিয়ম নীতি সবই ।
তাই এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মনে করে দেখুন ছেলে মেয়েরা যত বড় শিক্ষত বিত্তবান হোক না কেন? অসুস্থ হলেই ‘উফ মা’ শব্দটি মুখে আসবেই। এটা আমার ভাই বন্ধু সবাইকে দেখেছি, বয়স যতোই হোক না কেন? কখনো কোনো অসুখ বা বিপদ হলে মাকেই ডাকেন। হয়তো বলবেন- এতো সবার জানা কথা, এগুলো আবার লেখার কি আছে? একটু ভেবে দেখুন, আপনি আমি যদি চলমান ঘটনা গুলো লেখা-লেখি করি, যদি মাঝে মধ্য আলাপ আলোচনা করি, তাহলে হয়তো মুখে না বল্লেও অনেক ছেলে বউ, মেয়ে জামাই বা আমাদের ভাই বোনরা হয়তো মনের অজান্তে হলেও একটু শুধরাতে চেষ্টা করবে। আসুন না আমরা মিলে মিশে মায়েদের কষ্ট দূর করে, কান্না মুছে দু:খ ভুলিয়ে মুখে হাসি ফোঁটাতে চেষ্টা করি।
এই ঘটনা ইংরেজী ১৯৫০ সালের। এক মায়ের বাস্তব জীবনী।
এতো বছরের বাস্তব জীবনের কথা কি এই এক দুই পাতায় লিখে বোঝানো যাবে? নাহ! তবু মনের সাহস নিয়ে একটু চেষ্টা করছি। আর আপনাদের সকলের সহযোগিতা থাকলে নিশ্চই হবে।
শূন্য থেকে শুরু মায়ের জীবনী শূন্যতেই হলো শেষ। বিধির
লিখন, সরকারি কোয়াটার থেকে রাজ রাজত্ব ঘর-সংসার, সন্তান নাতি পুতি সবই ছিল অশেষ। কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও ব্যাঙ্কে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা থাকা সত্বেও অসুস্থ্য অবস্থায় মৃত্যুর সময় টাকার অভাবে খাবার কষ্ট ও চিকিৎসা করাতে পারেননি। বিত্তবান হয়েও অন্ধ অবস্থায় নিজের চোখের চিকিৎসা করাতে পারেন নি। উপযুক্ত সন্তান ও আত্বীয় স্বজন থাকার পরও অবহেলিত অসহায়, দিনের পর দিন চোখের পানি ঝরাতে ঝরাতে বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। ওনার সন্তানেরা আজ পৃথিবীর বুকে দেশ-বিদেশে ওনার টাকায় রাজত্ব করছেন।
এখন মূল কথায় আসছি। তখনকার সময় সমভ্রান্ত রক্ষনশীল বংশীয় এক ধার্মিক পরিবারের সংসার জীবনী থেকে শুরু করছি।
স্বামী স্ত্রীর একটি সরকারি কোয়াটার থেকে সংসার শুরু।সরকারি রেসন। হিসাব করে চলে অতি কষ্টে দিন অতি বাহিত করতে লাগলেন। একে একে চারজন ছেলে মেয়ে হয়ে গেলো। কিন্তু পদোন্নতি বেতন ভাতা আর কতই বা বাড়ল ?
স্বামী স্ত্রী দুই পরিবারের সবাই মোটামুটি শিক্ষিত ও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তাই দু’জনারই ছেলে মেয়েদের নিয়ে স্বপ্ন ও উচ্চ আকাঙ্খা ছিল। কিন্তু ওনারা এ ব্যাপারে মোটেও সচেতন ছিলেন না বা চেষ্টা করেন নি। তখনকার দিনে ভাল অবস্থাবান ঘরের মেয়ের শুরু হল ভাগ্যের বিরম্বনা বা কষ্টের পথ চলা।
সাহেব সব সময়ই সদিচ্ছা পোষনকারী ও অত্যন্ত পরিশ্রমি ছিলেন। অনেক ধনী ও বড় হওয়ার ইচ্ছা তার ছোট বেলা থেকেই ছিল, শুধু সময় ও সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। তখনকার দিনে যে কোনো ব্যবসা বাণিজ্য করা কঠিন সাধ্য ছিল। ওনাদের শেষ বয়সের দিকে আমাদের পাশের বাড়িতে ওনাদের সাথে পরিচয়। তখন ওনার মুখে শোনা ও নিজের চোখে কিছুটা দেখা। তাই ‘মা’ বলে সম্বোধন করছি তাহলে লিখতে অনেক সহজ হবে।
বাবা চাকুরী ছেড়ে প্রথমে কনট্রাক্টরি থেকে কিছু পুঁজি করে ব্যবসা শুরু করলেন। নানান ধরনের ব্যবসা করতে গিয়ে পরিচয় হল এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ধনাঢ্য শিল্পপতির সাথে, বাবার সততা ও বিশ্বস্ততার সুবাদে তিনি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার পথ-ঘাট ও সুযোগ সুবিধা পেয়ে খুব সহজে অতি অল্প সময়ে উপরে উঠতে লাগলেন।
সেখান থেকে অনেক বড় ব্যবসায়ীদের সাথে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হতে লাগল আর বিভিন্ন ব্যবসার সুযোগ পেয়ে উনি প্রতিষ্ঠিত হতে লাগলেন।
ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে সব রাস্তা আপনা থেকে খুলে যায়। এরপর শুরু হল মায়ের সুখের জীবনের পথ চলা। বিশ্বস্ততার সাথে ব্যবসা চালিয়ে নিজের একটি কারখানা থেকে শুরু করে সকলের সহযোগিতায় অতি সহজেই ঢাকার বুকে নিজের বাড়ি গাড়ি করে ধনী ব্যক্তি হিসাবে পরিচিতি লাভ করলেন।
ছেলে মেয়েদের নামি দামি স্কুলে পড়াতে লাগলেন। নিজে খুব সৌখিন ছিলেন বলে, সামাজিকতা বজায় রেখে মার্জিত রুচি সম্মত পোশাকে নিজেকে যোগ্য প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসাবে সমাজে পরিচিত হতে লাগলেন।
শুরু হলো ১৯৭১ সালের মুক্তি যুদ্ধ। যুদ্ধের আগেই উনি অনেক বিষয় সম্পদের মালিক ছিলেন। যুদ্ধের সময় ওনারা বাড়ি ঘর ছেড়ে বেশ কিছু দিন গ্রামে ছিলেন। যুদ্ধে ওনাদের বাড়ি ঘর ও ব্যবসার অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। যুদ্ধের পর সব কিছু সামলে আবার নতুন করে ব্যবসা শুরু করলেন, ঔষধ কোম্পানি,আমদানি রফতানি আরো বহু রকম ব্যবসা বাণিজ্য সব কিছুতেই উন্নতি করতে লাগলেন।
তখন মায়ের সুখ আর ধরেনা। এর মাঝে চার ছেলে তিন মেয়ে সবাই বড় হয়ে উঠছে। বাবা তখন দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মাও তখন দু’হাত প্রসারিত করে দান-দক্ষিণা, গরিব দু:খী,আত্বীয়স্বজন সবাইকে সাহায্য সহযোগিতা করতে লাগলেন, আর্থিক অসচ্ছল মানুষের পাশে থেকে যার যা প্রয়োজন তা পূরন করতে লাগলেন।
ওনারা এতিম বাচ্চাকে আলাদা ভাবে খরচ দিয়ে পড়াতেন। এমনি ভাবে আত্বীয়স্বজনদের সাথে হাসি আনন্দে শত ব্যস্ততার মাঝে সুখ শান্তিতে দিন কেটে যেতে লাগল।
এর মাঝে ঢাকা শহরে বিশাল বাড়ি সামনে পুকুর সবজি বাগান, গরুর খামার বাড়িতে সাত আট জন কাজের লোক দু’তিন জন ড্রাইভার। মায়ের তখন সুখ ই সুখ। গর্বে ভরা বুক। ভাবেনি কখনো আসবে আবার দু:খ। মা খুব চাইতেন, ওনার সন্তানেরা লেখা পড়ায় খুব ভাল করবে, ডাক্তার ইনজিনিয়র, নামি দামি মানুষ বা বাবার মত বড় ব্যবসায়ি হবে। সন্তানদের লেখা-পড়ার জন্য গৃহ শিক্ষক থেকে প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থাই করে রেখেছিলেন। তবে ওদের লেখা-পড়ার দায়িত্ব নিজে তদারকি করা বা শাসনে খুবই উদাসীন ছিলেন। ছেলে মেয়েরা যে বে-লাইনে বা বিপথে চলে যাচ্ছে এটা কখনো ওনাদের মাথায় বা চিন্তা ভাবনায় ছিল না।
ঐ বাড়ির দরজা তখন ধনী গরিব সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। ভদ্র মানুষের দুর্বলতা বুঝে সুযোগ নিতে দুষ্ট লোকের কখনো অভাব হয় না। এরা সব সময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। ঐ বাড়িতে তখন প্রতি বেলায় বিশ পঁচিশ জন লোক খেত, আপন পর বলে কোনো কথা ছিল না। বাসায় সব সময় শরগোল থাকার দরুন বাসায় লেখা পড়ার কোনো পরিবেশ ছিলনা। সে ব্যাপারে তাদের কোনো খেয়াল বা লক্ষ ছিল না।
বাবা থাকতেন ওনার ব্যবসা সম্পদ নিয়ে ব্যস্ত, আর মা থাকতেন নামাজ রোজা দান খয়রাত, ঘর সংসার ও মেহমানদারি নিয়ে ব্যস্ত। ওনাদের টাকায় কত ছেলে মেয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন। কত মানুষকে চাকুরী দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছেন। অথচ ওনাদের ছেলে মেয়েরা কেউ তেমন শিক্ষিত হতে পারেনি। ছেলে মেয়েদের কারো বাবার টাকায় বিলাসিতা বা শখ আহ্লাদ পূরন বা টাকা উড়ানোর সুযোগ হয়নি। তখন ওনারা ঢাকা শহরে বেস কয়েকটি বাড়ি ও ব্যবসায় অনেক উন্নতি করে টাকায় টাকা আর সামাজিক কাজ কর্ম অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যতি ব্যস্ত ছিলেন।
এদিকে ছেলে মেয়েরা বড় হয়েছে তাদের বিয়ের ব্যাপারও তেমন ভাবনা ছিল না। বাবা মা দু’জনই ভেবেছিলেন,বড় মেয়েটা অন্তত ডিগ্রি পাশ করার পর বিয়ের চিন্তা ভাবনা করবেন । কিন্তু ভাগ্যের
নির্মম পরিহাস, কিছু ভাবার আগেই বড় মেয়েটা নিজের পছন্দ মত ছেলেকে বিয়ে করে চলে গেলো।
প্রথম সন্তান, তার এই ব্যবহারে ওনারা খুবই মর্মাহত হলেন। কিন্তু সংসারে একবার ভাঙ্গন ধরলে, সে আর ঠেকানো যায় না।
এদিকে মেঝ মেয়ের বিয়েতে ওনারা তাদের সব শখ আহ্লাদ পূরন করে অনেক ধুম ধাম আনন্দ ফুর্তি করলেন। এই বিয়ের কথা আমার কিছুটা মনে আছে। এই বিয়ে উপলক্ষে পুরো এলাকা সাত দিন পর্যন্ত আলোক সজ্জায় সাজানো ছিল আর হলুদ এর দিন থেকে বিয়ে পর্যন্ত কত শত লোক যে একাধারে খাওয়ানো হয়েছিল তার কোনো হিসাব ছিল না।
সেদিন কে জানত, সেই মা-ই একদিন খাবারের কষ্ট করবেন। আর হাসপাতালের ফ্রি ওয়ার্ডে থেকে সরকারি খাবার না খেতে পেরে চোখের পানি ফেলবেন।
এর পরের ঘটনা গুলো কিছু বোঝার আগেই খুব দ্রুত ঘটে যাচ্ছিল। বাবা হজ্জ করে আসলেন। মায়ের আর হজ্জ করা হলো না। বাবা মায়ের নামে বাড়ি ঘর সম্পদ আলাদা ভাবে করে দিয়েছিলেন, আর বলছিলেন, আমি যদি না থাকি ‘হাতের মুঠ কখনো খুলবে না’। মুঠ খুল্লে কিন্তু কিচ্ছু থাকবে না। ফুল ও ফলের বাগান সাজিয়ে দিয়ে গেলাম রক্ষা করে খাবে। মনে রেখ তোমার সন্তানরা তোমাকে কখনো দেখবে না।
ওনাদের বড় ছেলে বাবার সাথে অভিমান করে পড়া শেষ না করে ইংলান্ড চলে গেলেন। মা বলতেন, বড় ছেলেটা চলে যাবার পর আর হজ্জ করে এসে বাবা মনের দিক থেকে অনেক দুর্বল হয়ে পরেছিলেন।
তাই বার বার বাবা ওনার মৃত্যুর কথা বলে, মাকে সাবধান করতে লাগলেন আর বোঝাতে লাগলেন ‘আমার সময় বেশী নেই’। সব চেয়ে আশ্চর্য হলো, মা বলতেন, বাবার নাকি তখন তেমন কোনো অসুখ ছিল না। তবু বাবা কেমন করে যেন সব বুঝতে পারছিলেন আর মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন। মা কখনো আঁচ করতে পারেন নি যে, বাবার প্রতিটা কথা ভবিষ্যতে সত্যে পরিনত হবে। আর বাবা না থাকলে ওনাকে এতো দু:খ কষ্ট পোহাতে হবে। মা কিছুতেই ভাবতে পারেন নি যে, নিজের পেটের সন্তান নিজের রক্ত স্বার্থের জন্য মাকে কোনো একদিন এতো কষ্ট দিবে, এতো নিষ্ঠুর আচরন করবে। তবে বাবা ঠিকই ই বুঝতে পেরেছিলেন আগামীর দিন কেমন হবে?
তাইতো বাবা মাকে শক্ত ও কঠিন করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সে সময় আর তিনি পেলেন না। তার কিছু দিন পরই বাবা হঠাৎ করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরলেন। বাস! আর কি, শুরু হলো ধন সম্পদ লুট পাটের খেলা।
মা ছিলেন খুব সরল সোজা, যে যা বলতেন তা ই বিশ্বাস করতেন।
বাবা প্রতিটা ছেলের নামে আলাদা বাড়ি ও ব্যবসা সব গুছিয়ে রেখে ছিলেন। কিন্তু কি লাভ? ছেলেরা বাবার সম্পদ রক্ষা করতে পারেনি আর নিজেরাও কিছুই করতে পারেনি।
বাবার মৃত্যুর পর বড় ছেলে দেশে এসে বাবার ব্যবসা চালাতে লাগলেন কিন্তু বাবার মত কর্মঠ ছিলনা বলে খুব সুবিধা করতে পারছিলেন না। বড় ছেলে ব্যবসায় শুধু লোকসান আর লোকসানই করতে লাগলেন।
এই শুরু হলো বাবার বিষয় সম্পদ বিক্রির পালা। ঢাকার বুকে সাত আট টা বাডি থেকে বড় ভাই প্রথমেই দু’টো বাড়ি আর ঢাকার বাহিরের ব্যবসা গুছিয়ে সব বিক্রি করে দিলেন। (চলবে)
রাশিদা আউয়াল। ব্র্যাম্পটন, ৯/৩/২০২১