কাহিনী বিচিত্রা
সাইদুল হোসেন
Kill All Moslems!
অক্টোবর ৭, ২০১২ ও মার্চ ৩০, ২০১৩। ঐ দু’দিনই দেখলাম, আমাদের বিল্ডিংয়ের এলিভেটরের ভেতরে আয়না এবং দরজাতে কেউ একজন লিখে রেখে গেছে: Kill All Moslems.
দু’দিনই পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে ফোন করার সংগে সংগেই দু’জন অফিসার এসে আমাদের এপার্টমেন্টের দরজায় উপস্থিত। ফোন করার সময় আমার নাম, এপার্টমেন্ট নাম্বার ও ফোন নাম্বার উল্লেখ করেছিলাম। তাঁরা বললেন যে তাঁরা আমার complaint
পেয়ে investigate করতে এসেছেন। তারা দু’জন আমাকে কিছু প্রশ্ন করলেন, তারপর বললেন :
Please don’t worry. The guy who wrote it is an ignorant guy. We are on the alert.
তাঁরা আরো জানালেন : We have called the build management and advised them to erase the writings. We have photographed the inside of the elevator along with the writing.
আমাকে আশ্বস্ত করে তাঁরা বিদায় নিলেন। পুলিশ ডিপার্টমেন্টকে তাঁদের তৎপরতার জন্য ধন্যবাদ।
বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট লোক পাঠিয়ে ঝটপট সেই লেখাগুলো মুছে ফেলার ব্যবস্থা করেছিলেন।
Great-grandparents!
আনন্দ সংবাদ! আনন্দ সংবাদ!
আনন্দ সংবাদ এই জন্য যে আমি ও সাহারা great-grandparents
হয়েছি! আমার বয়স তখন ৮০, সাহারার ৬৯। সময়টা ২০১৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। তা সত্বেও আমরা ঐ সময় great-grandparents
হয়ে গেলাম! অবিশ্বাস্য!
এটা সম্ভব হয়েছে নাতনি রৌশনীর ছেলে হওয়ার কারণে। রৌশনী আমাদের বড় ছেলে রানার বড় মেয়ে, ওর বয়স এখন ২৬ বছর।
সাহারা সুসংবাদটা টরোন্টোতে বসবাসরত ওর এবং আমার সব আত্মীয়স্বজনকে জানিয়েছে। খবর শুনে ওর এক বৃদ্ধা ফুফু (যিনি তিন কন্যার মাতা) বললেন: Congratulations, Sahara!
আমি তোমার চেয়ে কত বড়, আমার তিন তিনটা বিবাহিতা কন্যা থাকা সত্বেও আমি আজো নানী-ই রয়ে গেলাম, আর তুমি আরো এক step এগিয়ে গিয়ে তোমার 4th generation-এর মুখ দেখে great-grandparent
হয়ে গেলে! আমি হেরে গেলাম! Congratulations!
সত্যিই তো! 4th generation মুখ দেখার সৌভাগ্য কজনের হয়? ৬৯ বছর বয়সে great-grandparent হয়ে আমার স্ত্রী ইতিহাস সৃষ্টি করলেন আমাদের পরিবারে।
* * *
আগষ্ট ২০১৬ এর ঘটনা। কিছুদিন আগে হাম্বার রিভার হসপিটালের এমপ্লয়ি আমার পরিচিত এক মহিলা তার বড় মেয়ের সদ্যোজাত ছেলেকে দেখে এসে উচ্ছসিত কণ্ঠে আমাকে বললো: Sayed, I have become a grandma! Unbelievable! A kind of strange feeling overwhelmed me when I was holding my newborn grandchild in my arms. What! My child’s child! Unreal!!
* * *
একদিন হসপিটাল ক্লিনিকে আমার পেছনে বসা এক ক্যানাডিয়ানকে great-grandchildren নিয়ে আলোচনা করতে শুনলাম। চেয়ার ছেড়ে উঠে সেই বৃদ্ধকে উদ্দেশ করে বললাম ঃ স্যার, আমিও একজন great-grandparent. শুনে তিনি বললেন Congratulations! How many of them, sir?
বললাম : One.
তিনি বললেন: Only one? You are so junior to me! I have f-i-v-e great-grandchildren so far. I am 84 years old and it’s a great feeling that the family tree is spreading its branches as the time goes. God bless everybody.
* * *
অন্যদিকে আমার এক বন্ধু (বয়স ৬৬ বছর) ঘরে তাঁর ৩৬, ৩২, ২৬ বছর বয়সের তিন ছেলেমেয়ে থাকা সত্বেও আজ পর্যন্ত great-grandparent তো দূরের কথা grandparent-ই হতে পারেননি কারণ ওরা বিয়ে করতেই নারাজ! এ নিয়ে তিনি খুবই মনোকষ্টে আছেন।
একজন মাত্র স্ত্রী? তুমি তো হিন্দু!
আফ্রিকার নাইজিরিয়াতে কয়েক বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এক বাংলাদেশীর মুখে শোনা গল্প।
নাইজিরিয়ার মুসলিমগণ সুন্নী মুসলিমদের মালিকি মাজহাবের অনুসারী। ওরা এক সংগে একাধিক স্ত্রী ঘরে রাখা ইসলাম ধর্মের অংশ বলে বিবেচনা করে, তাই ওদেশের ঘরে ঘরে এক পুরুষের একাধিক স্ত্রী রয়েছে দেখতে পাওয়া যায়।
আমার ঘরে একজন মাত্র স্ত্রী যা ওদের কাছে একজন মুসলিম পরুষের ধর্মীয় কর্তব্যের অবহেলার শামিল বলে গণ্য হতো। অফিসের সহকর্মী নাইজিরিয়ান মুসলিমগণ (এমন কি নারীরাও এসে) আমাকে বারবার বলতো ঃ তুমি কুরআন পড়, নিজেকে একজন মুসলিম বলে দাবী কর অথচ আল্লাহর নির্দেশ মানো না। সেখানে এক সংগে চারটি স্ত্রীকে বিয়ে করার নির্দেশ রয়েছে। এক বিয়ে তো করে ইন্ডিয়ান হিন্দুরা। ওটা ওদের tradition. তোমার একজন মাত্র স্ত্রী। তুমি তো হিন্দু!
দু’টি শ্রীলংকান তামিল পরিবারের কাহিনী
(এক)
SRISKANTHA RAJAH বয়স ৭০, শ্রীলংকান। আজ সকালে তিনি তার স্ত্রীর frozen shoulder operation করাতে হসপিটালে নিয়ে এসেছিলেন। আমি Information Desk-এ কাজ করছিলাম, সেই সূত্রেই পরিচয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সেই ফাঁকে তিনি তার জীবনের কিছু কথা আমাকে বলে গেলেন। অতি সহজ-সরল প্রকৃতির মানুষ। তিনি জানালেন-
তার পাঁচ মেয়ে, সবাই বিবাহিত। ছেলে নেই তবে তার জন্য মনে কোন দুঃখ নেই কারণ তার পাঁচটি মেয়েজামাই-ই খুব চমৎকার স্বভাবের, শ্বশুর-শাশুড়ির প্রতি শ্রদ্ধাশীল, খুব কেয়ার নেয়। নাতি-নাতনির সংখ্যা ১৩।
রিটায়ার্ড লাইফ, আর্থিক কোন অনটন নেই। অবসর জীবনটা নাতি-নাতনিদের সংগ দিয়ে, ওদের বেবীসিটিং করে আনন্দেই কেটে যাচ্ছে। সারাটি জীবন সৎপথে থেকেছেন, জ্ঞানতঃ কোন অন্যায়-অবিচার করেননি। আবুধাবিতে বহু বছর কাজ করেছেন Switch Room Supervisor পদে সুনামের সংগে। কিছু আরবী ভাষা শিখেছেন।
জীবনে কোনদিন মদ স্পর্শ করেননি, সিগারেট খান না, ঘুষ খাননি, সব অসৎচরিত্রের কাজ ও সংগ থেকে দূরে থেকেছেন। পরিবারে কোন অশান্তি ঘটতে দেননি। সাধ্যমত গরীব-দুঃখীদের সাহায্য-সহায়তা করেছেন। Honesty is the best policy এই নীতিকে আঁকড়ে ধরে জীবনটা কাটিয়েছেন। পরিবারের, সমাজের লোকজন তাকে শ্রদ্ধা করে। সুখী জীবন।
সব শুনে খুব ভালো লাগলো। বিদায় নেয়ার আগে পকেট থেকে একটা চকলেট বের করে আমার দিকে বাড়িয়ে ধরে বললেন ঃ আমি আমার পকেটে সর্বদাই কিছু চকলেট-ক্যান্ডি রাখি এবং ছোটবড় সবাইকেই দিয়ে থাকি। আপনি এটা গ্রহণ করলে আমি খুব খুশী হবো।
– নিলাম। খুশী হয়ে তিনি বললেন: শোকরান।
আমি না চাইতেই তিনি তার নাম ও ফোন নাম্বারটা এক টুকরা কাগজে লিখে আমার সামনে রাখলেন। তারপর তামিল ভাষায় “ওয়ানাক্কাম” (Bye) বলে ধীর পায়ে বিদায় নিলেন।
(দুই)
সামান্য কিছু গ্রোসারিজ কেনার জন্য বাসার নিকটস্থ food Basics Supermarket-এ গিয়েছিলাম আজ বিকালে। সেখানে দেখা হলো বয়স্কা এক শ্রীলংকান মহিলার সংগে। আমি ওদের তামিল ভাষায় বললাম : ওয়ানাক্কাম। এপ্পেডি সুগম? (নমস্কার, কেমন আছেন?)
অবাক হয়ে মহিলা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে জবাব দিলেন : নাল্লা সুগম (আমি ভালো আছি।) তারপর প্রশ্ন করলেন (অবশ্য ইংরেজীতে) : আপনি কি ইন্ডিয়ান?
বললাম : না, আমি বাংলাদেশী। তবে তামিল সহকর্মীদের কাছ থেকে দু’চারটা তামিল কথা শিখেছি, বলতে পারি। শুনে তিনি বললেন : নানড্রি (ধন্যবাদ)।
তার শপিংকার্ট ভর্তি গ্রোসারিজ, আরো উঠাচ্ছেন। মুখ দেখে মনে হলো তিনি খুব ক্লান্ত, কাজের শেষে গ্রোসারির কাজটা সেরে নিচ্ছেন।
বললাম : অনেক গ্রোসারিজ কিনেছেন দেখছি। এখন ঘরে ফিরে গিয়ে তো আবার রান্নাও করতে হবে?
তিনি বললেন : হ্যাঁ, তা তো করতেই হবে। ডিনার সেরে আবার কাজেও যেতে হবে। আমার হাজব্যান্ডও যাবে।
জিজ্ঞাসা করলাম : রাতের বেলা আপনারা কি কাজ করেন? সিকিউরিটি জব?
তিনি বললেন : না, রেস্টুরান্টে ক্লিনিং জব। দিনেও আমরা কাজ করি, না করে উপায় নেই। তিনটা মেয়ে আমাদের, কোন পুত্র সন্তান নেই। তিনটাই ইউনিভার্সিটিতে পড়ে, বহু খরচ। ওদেরকে আমরা কোন জব করতে দিই না। বলেছি তোমরা মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা কর, graduation কর, qualified হও, নিজেদের পায়ে দাঁড়াও। খরচপত্র আমরা দু’জনে সামলাবো।
জানতে চাইলাম : মেয়েদের বয়স কত?
তিনি জানালেন যে ওদের বয়স এখন যথাক্রমে ২৪, ২২, ১৯ বছর। আর পাঁচটি বছর যদি এমনি করে চালিয়ে যেতে পারি, ওরা ওদের পায়ে দাঁড়িয়ে যাবে। তখন আমরা স্বামীস্ত্রী দু’জনে বিশ্রাম নেবো। সেই দিনগুলোর অপেক্ষায় আছি।
আবার প্রশ্ন করলাম : ওদের বিয়েশাদী? পছন্দের কোন ছেলে আছে কি?
মহিলা গর্বের সংগে বললেন : আমার মেয়েরা খুবই সংযত চরিত্রের, ছেলেদের সংগে প্রেম-ভালোবাসা করার চেয়ে উচ্চশিক্ষার দিকে, নিজেদের কেরিয়ার গড়ার দিকে ওদের মনোযোগ বেশী। কোন সমস্যার সৃষ্টি করেনি ওদের কেউ আজ পর্যন্ত। ঘরের কাজে ওরা আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করে। God bless them!
মহিলার কাহিনীটা চমৎকার; সন্তানের জন্য স্যাক্রিফাইসের এক জীবন্ত দৃষ্টান্ত।
আপনাদের সকলের মংগল হোক। ওয়ানাক্কাম। বলে বিদায় নিলাম।
টরোন্টো বাংলা বইমেলা
প্রতি বছরের মত ২০১৫ সালেও টরোন্টো বাংলা বইমেলাতে আমার বইয়ের স্টল দিয়েছিলাম। মেলার উদ্যোক্তা জনাব শেখ সাদী আহমেদ আমার পূর্বপরিচিত। অতি সজ্জন এবং আমাকে তিনি যথেষ্ট শ্রদ্ধা করেন। বলতে গেলে তাঁরই আকর্ষণে আমি বছরের পর বছর বইমেলাতে যোগ দিই বই বিক্রি যা-ই হোক না কেন। গতকালের মেলার কিছু ঘটনা।
এক. মেলাতে (প্রথম) উত্তর আমেরিকা বাংলা কবিতা উৎসবে টরোন্টোনিবাসী বহু নারী ও পুরুষ কবির স্বরচিত কবিতা পাঠ শুনলাম। সুন্দর, আকর্ষণীয় নানা অভিব্যক্তির কবিতা। টরোন্টো শহরে যে এত কবি বাস করেন তা এই প্রথম জানলাম। তাঁরা আমাদের উত্তম উত্তম কবিতাগ্রন্থ উপহার দেবেন তাঁদের সাধনার, প্রতিভার ফসল হিসাবে অচিরেই, এই প্রত্যয় আমার মনে জন্মেছে।
দুই. মুস্তফা চৌধুরীর সংগে পরিচয় হলো। তাঁর বহু বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও গবেষণার ফসল “৭১-এর যুদ্ধশিশু অবিদিত ইতিহাস” এক বিরাট গ্রন্থ এবং বাংলাদেশের ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের এক মূল্যবান দলিল। বইটার একটা English VersionI প্রকাশ করেছেন জনাব চৌধুরী। নাম Picking up The Pieces 1971. War-Babies Odessey from Bangladesh to Canada. আমি বই দু’টির বহুল প্রচার কামনা করি।
তিন. এক মহিলা এসে আমার প্রকাশিত কবিতা গ্রন্থ ‘কবিতা অধরা’ এক কপি কিনলেন। অনুরোধ জানালেন autograph
দিতে। মহিলার নাম জানতে চাইলে তিনি তাঁর নামটা বললেন এবং বললেন : আমার নামের আগে ‘কবি’ লিখবেন, প্লীজ, কারণ আমি একজন কবি।
বিনা বাক্যব্যয়ে তাই লিখলাম এবং নীচে তারিখসহ আমার নামটা লিখে দিলাম। তিনি খুশী হয়ে তার বান্ধবীর ক্যামেরাতে আমার হাত থেকে বই নিচ্ছেন এই দৃশ্যটি বন্দী করে আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিলেন।
চার. দু’তিনটি পরিবার আমার বই দিয়ে সাজানো টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে ফটো উঠালেন এক এক করে তিনটি। সেলফোনে ফটো উঠাবার আগে ফটোগ্রাফার ভদ্রলোক তার সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো দলটিকে নির্দেশ দিলেন : “ভেটকি!” তিন তিন বারই তিনি এই নির্দেশ দিলেন : “ভেটকি!” তিনবারই গ্রুপের সবাই দাঁত বের করে হাসলো। সুতরাং আমার বোধগম্য হলো যে এই ভেটকি কথাটার অর্থ হলো : হাসো- Smile!
পাঁচ. সম্পূর্ণ অপরিচিত এক বৃদ্ধ লোক এসে আমার টেবিলের সামনে রাখা চেয়ারটিতে বসলেন। তার হাতে একটা মোটা ফাইল ফোল্ডার। বললেন : আসসালামু আলাইকুম। ভাইসাব, আপনার কাছেই এলাম। আপনি তো ইসলাম ধর্ম নিয়ে বেশ কিছু বই লিখেছেন। পড়ার সুযোগ হয়েছে। চমৎকার সব বই। সেই জন্যেই আপনার কাছে এলাম। আমিও একটা বই লিখেছি ইসলাম ধর্মের উপর- সেই ফোল্ডার থেকে বেশ মোটা একটা হাতে লেখা পান্ডুলিপি বের করে আমার সামনে রেখে বললেন, এই সেই বই। দু’বছর ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছি একজন উপযুক্ত লোকের যিনি আমার এই বইটা edit করে দিতে পারেন যাতে সেটাকে পাবলিশ করতে পারি। খোঁজ-খবর নিয়েই আসলাম, আপনিই সেই ব্যক্তি যিনি আমার বইটা edit করার মত জ্ঞান রাখেন। আমার বইটা edit করে দেবেন, প্লীজ?
চমকে উঠলাম ভদ্রলোকের বক্তব্য শুনে এবং তার পান্ডুলিপির কলেবর দেখে। বিনীতভাবে তাকে বললাম ঃ আমাকে প্রশংসা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, কিন্তু আমার সময়ের বড় অভাব। আপনার বইটার editing -এর দায়িত্ব নিতে আমি অপারগ। দুঃখিত।
আমার কথা শুনে চেয়ার ছেড়ে উঠতে উঠতে ভদ্রলোক বললেন ঃ আমার কাজটা করে দিলে খুব ভালো হতো। ঊফরঃরহম-এর অভাবে আমার বইটা হয়তো কোনদিন পাবলিশই করতে পারবো না, আমার সকল শ্রম বৃথা যাবে। যাহোক, আসসালামু আলাইকুম বলে বিদায় নিলেন তিনি। আমিও হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম।
ছয়. এক হিজাবী মহিলা। নিকাবী নন। এক ছেলের মা। বইমেলাতে নিয়মিত আসেন, আমার টেবিলে এসে আমার লেখা বইগুলোর পাতা উল্টে দেখেন, আমার লেখার প্রচুর প্রশংসা করেন। আমাকে তিনি খুব শ্রদ্ধার চোখে দেখেন, এবং কখনো ব্যক্তিগত একটু আধটু খবরও দেন। মহিলা উচ্চ শিক্ষিতা।
তিনি এবার আমাকে জানালেন যে তার হিজাবকে কেন্দ্র করে সংসারে বড় অশান্তি চলছে।
সাইদুল হোসেন
মিসিসাগা