পারিবারিক সহিংসতা একটি কদর্য বাস্তবতা : রোধের উপায় কি?

জানুয়ারী ৭, ২০১৯

॥ খুরশিদ আলম ॥

কানাডায় ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়ে ৪৭৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে এই তথ্য জানা যায়। কানাডার আদিবাসী, ইমিগ্রেন্ট, রিফিউজি এবং দূরবর্তী উত্তরাঞ্চল ও গ্রামীণ জনপদে বসবাসকারী মহিলাগণ সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিতে রয়েছেন পরিবারিক সহিংসতার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করার ক্ষেত্রে। এরকম ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরাও। সিবিসি নিউজে প্রকাশিত ঐ রিপোর্ট থেকে আরো জানা যায়, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে পারিবারিক সহিংসতার শিকার ৮০%-ই মহিলা।

কানাডার মত এরকম একটি উন্নত দেশে পারিবারিক সহিংসতার চিত্র যদি এরকম হয় তবে অনুন্নত দেশগুলোর চিত্র কি হতে পারে? বিষয়টি নিশ্চিতভাবেই বিস্ময় সৃষ্টি করার মত।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সিবিসিতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট থেকে আরো জানা যায় যে, কানাডায় প্রতিদিন গড়ে ২৩০ জন ব্যক্তি পারিবারিক সহিংসতার শিকার হন। এটি পুলিশের খাতায় নথিবদ্ধ করা হিসাব। এর বাইরেও অরো অনেক ঘটনা থাকতে পারে। কারণ, দেখা গেছে কানাডায় পারিবারিক সহিংসতা যা ঘটে তার প্রায় শতকরা ৭০ ভাগই গোপন থেকে যায়। পরিবারের সম্ভ্রমহানির ভয়ে, লজ্জার কারণে বা আরো নির্যাতনের ভয়ে সহিংসতার যারা শিকার তারা চুপচাপ থেকে যান। এই প্রবণতা বেশী দেখা যায় ইমিগ্রেন্ট পরিবারগুলোর মধ্যে।

২০১৬ সালে পারিবারিক সহিংসতার প্রাপ্ত তথ্যগুলো ছিল এরকম :

– প্রতিদিন ২৩০ জন পারিবারিক সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।

– ২০১৪ সালে ৫৭,৮৩৫ জন বালিকা ও পুর্ণ বয়স্ক মহিলা পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

– প্রতি চার দিনে একজন করে মহিলা খুন হচ্ছেন পরিবারেরই কোন সদস্যের হাতে।

কানাডায় ৯ মিলিয়ন লোক অভিযোগ করেছেন তারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বয়স ১৫ পার হওয়ার আগে।

– গত ৫ বছর (২০১৬ সালের আগে) সময়ের মধ্যে ৭৬০,০০০ জন কানাডিয়ান অভিযোগ করেছেন তারা অস্বাস্থ্যকর দাম্পত্য বিরোধ, নির্যাতন বা সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

– ২০১৪ সালে কানাডার আদীবাসীদের মধ্যে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়ে খুন হবার যে মাত্রা লক্ষ্য করা গেছে তা অ-আদীবাসীদের তুলনায় ৬ গুণ বেশী। আরো লক্ষ্য করা গেছে যে, আদিবাসী মহিলাদের মধ্যে দাম্পত্য নির্যাতনের যে মাত্রা তা অ-আদীবাসীদের তুলনায় ৩ গুণ বেশী।

– কানাডায় প্রতিদিন ৮ জন করে প্রবীণ ব্যক্তি পারিবারিক সহিংসতার শিকার হচ্ছেন।

কানাডার ঐ সময়কার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডক্টর গ্রেগরী টেইলর ঐ সময় মন্তব্য করেছিলেন এই বলে যে, প্রাপ্ত তথ্যগুলো বিস্ময়কর!

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পারিবারিক সহিংসতার যে রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ৪১৮ টি ঘটনায় হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন ৪৭৬ জন। এর মধ্যে ৩৭ জন শিশুও রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যারা হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে ৭৯% মহিলা। পুরুষরাও হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায়। তাদের সংখ্যা শতকরা ২১ জন।

উল্ল্লেখ্য যে, গত প্রায় দেড় দশকে এই টরন্টোতেই আমরা দেখেছি তিনজন বাঙ্গালী মহিলা তাদের স্বামীর হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৫ সালে। টরন্টোর ড্যানফোর্থ এলাকায় বেবী নামে এক মহিলা খুন হন তার স্বামীর হাতে যার সাথে তিনি ঘর করেছেন দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর। বেবীর স্বামী খুনের দায়ে ৮ বছর জেল খেটেছেন।

ঐ ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই ২০০৬ সালের ২৯ এপ্রিল মেহেরুননেসা মিতা নামের আরেক মহিলা নির্মমভাবে খুন হন তার স্বামীর হাতে। স্বামীর নাম সাব্বির মাহমুদ। তিনি নাকি মানসিক রোগে ভুগছিলেন। ঐ দিন ভোরে স্বামী সাব্বির ঘুমন্ত অবস্থায় মিতার বুকে দু-দুবার ছুরিকাঘাত করেন। প্রথমবার ছুরিটি আমূল বিদ্ধ হয়ে পিঠ পর্যন্ত পৌছে যায়। দ্বিতীয়বার ছুরিকাঘাত করলে সেটি বুকের ভিতর হাড়ের সাথে আটকে যায়। নির্মম এ হত্যাকান্ডটি ঘটেছে তাদের মেয়ের সামনেই। পুলিশ সাব্বিরের বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি মার্ডারের চার্জ আনে।

পরের ঘটনাটি ঘটেছে ২০০৮ সালের ২৮ আগস্ট। ঐদিন তাহমিনা ইয়াসমীন নামের এক মহিলার লাশ পাওয়া যায় টরন্টোর ডাউনটাউনেরর স্পাডাইনা ও ডানডাস স্ট্রিট ওয়েস্ট ইন্টারসেকশনের নিকটবর্তী এক এপার্টমেন্টের ওয়াশরুমে। ইয়াসমীনের গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো ছিল। তার স্বামী মিজান প্রথমে এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ডাক্তারী পরীক্ষায় পরে প্রমাণ হয়ে যে এটি ছিল হত্যাকান্ড। মিজান যখন ইয়াসমীনকে হত্যা করে বাসা থেকে পালিয়ে যায় তখন পাশের রূমেই একা শায়িত ছিল তাদের দশ দিন বয়সের শিশুপুত্র। মিজানের সাজা হয়েছে ১০ বছরের জেল।

টরন্টোর বাঙ্গালী কমিউনিটিতে খুনের ঘটনা এর বাইরেও দু-একটি ঘটেছে বলে শুনা যায়। তবে সেগুলোর সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই।

অন্টারিওর ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির Centre for Research & Education on Violence against Women & Children এর একাডেমিক ডিরেক্টর পিটার জেফ বলেন, কানাডায় পারিবারিক সহিংসতা একটি গুরুতর সমস্যা এবং এটি প্রায়শ প্রাণঘাতী হতে পারে। সিবিসি’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরো জানান, পারিবারিক সহিংসতায় প্রায় ৯০% ক্ষেত্রে আক্রমণকারীর ভূমিকায় থাকেন পুরুষ। তার মতে পারিবারিক সহিংসতা ও তার পরিণতি হিসাবে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে এমনটা অনেক সময় আগে থেকেই অন্দাজ করা যেতে পারে এবং প্রয়োজন মত ব্যবস্থা নিলে তা প্রতিহতও করা যায়। মারাত্মক প্রকৃতির সহিংসতা ও হত্যাকান্ড আকস্মিকভাবে ঘটেনা। এটি প্রতিহত করার জন্য যে সকল বিষয়ের উপর নজর রাখা জরুরী তা হলো, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সাম্প্রতিক বিচ্ছেদ, পারিবারিক সহিংসতার ইতিহাস, মৌখিক হুমকী প্রদান, মাদকাসক্তি বা বিষন্নতার প্রকোপ, সদম্ভ আচরণ ইত্যাদি। উল্ল্লেখ্য যে, কানাডায় বাঙ্গালী পরিবারগুলোতে সহিংসতা যা ঘটছে তা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তা থেকে যাচ্ছে লোকচক্ষুর অন্তরালে। পারিবারিক সুনাম ক্ষুন্ন হবে বা লোকে শুনলে কি বলবে ইত্যাদি কারণে নির্যাতনের কথা অনেকে চেপে যান। ভয়েরও ব্যপার আছে। আরো আছে কানাডিয়ান আইন-কানুন সঠিকভাবে না জানা। সংসার ভাঙ্গলে সন্তানদের ভবিষ্যত কি হবে এ জাতীয় ভাবনা থেকেও অনেকে নির্যাতন সহ্য করে চুপচাপ থাকেন। তবে নির্যাতন যখন সহ্যের সীমা অতিক্রম করে তখন বাধ্য হয়েই অনেকে পুলিশ ডাকেন বাড়িতে। ইতিপূর্বে জামিনে বেরিয়ে এসেছেন এমন একজন বাংলাদেশী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানিয়েছেন, স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগে বেশ কিছু বাংলাদেশী হাজতখানায় আটক রয়েছেন। উল্­ল্লেখ্য যে, নাম প্রকাশে অনিচছুক এই ব্যক্তি নিজেও হাজতবাস করে এসেছেন স্ত্রীকে হত্যার হুমকী দেয়ার কারণে।

কানাডায় বাংলাদেশী পরিবারগুলোতে সহিংসতার ঘটনা ঘটে প্রধানত অর্থনৈতিক কারণে। এ কথা ইতিপূর্বে প্রবাসী কণ্ঠ ম্যাগাজিনে প্রদত্ত এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশী কানাডিয়ান ব্যরিস্টার কামরুল হাফিজ। তিনি আরো বলেছিলেন, বেকারত্ব এবং কানাডায় আসার পর সামাজিক অবস্থানের পরিবর্তনও পরিবারিক সহিংসতার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। যেমন, বাংলাদেশে একজন মানুষের সামাজিক অবস্থান হয়তো বেশ ভাল ছিল। কিন্তু কানাডায় আসার পর দেখা গেলো সে তেমন কোন ভাল চাকরি জোগাড় করতে পারলো না। এক্ষেত্রে অনেক সময় মানসিক অশান্তি হয়। আর এই মানসিক বিপর্যয়ের কারণে নির্যাতনের ঘটনা ঘটতে পারে।

সমস্যা হচ্ছে, যারা পারিবারিক সহিংসতার শিকার হন তারা নির্যাতন এড়াতে পরিবার থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না অধিকাংশ ক্ষেত্রে। আর যারা নতুন এসেছেন এ দেশে তারা এবং বিশেষ করে যারা নিজ দেশ থেকে পালিয়ে এসে এখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন সেই সব পরিবারের মহিলারা সবচেয়ে বেশী ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। তারা ভীত থাকেন এই ভেবে যে, নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গেলে হয়তো তাদের ইমিগ্রেশন স্ট্যটাস বিপন্ন হতে পারে। এরা ভয়ে পুলিশের কাছেও যান না নির্যাতের বিষয়টি জানাতে। কারণ, তারা সাধারণত এমন সব দেশ থেকে আসেন যেখানে পুলিশের কাছে নালিশ করা মানে বিপদ আরো বাড়ানো। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে এই বলে যে, “বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা! পুলিশে ছুঁলে ছত্রিশ!!” কিন্তু কানাডার বিভিন্ন প্রভিন্স ও সিটির পুলিশ যে সে রকম নয় সেই ধারণটা তাদের অনেকেরই নেই।

কানাডায় পারিবারিক সহিংসতায় শুধু যে নারীরাই নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন তা কিন্তু নয়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পারিবারিক সহিংসতার যে রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে পুরুষরাও হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় এবং তাদের সংখ্যা শতকরা ২১ জন।

কানাডিয়ান উইমেন্স হেলথ নেটওয়ার্ক এর মতে “পুরুষ নারী উভয়েই পরিবারে হিংস্রতা বা জুলুম চালানোর মতো সামর্থ্য রাখেন এবং এর প্রচুর নজির রয়েছে। নির্যাতনকারী এবং নির্যাতনের শিকার একটি পরিবারে যে কেউই হতে পারেন। এবং এর কোন সীমারেখা নেই। অর্থাৎ সব ধর্মে, সব সমাজে, সব বর্ণের মানুষের মধ্যেই এই সমস্যা বিদ্যমান। এমনকি সমলিঙ্গের পরিবারেও এই সমস্যা বিদ্যমান।”

নির্যাতিত পুরুষদের বাড়তি সমস্যা হলো, তারা নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ করেন না লোক লজ্জার ভয়ে। লোকে তাকে কাপুরুষ ভাববে বা তাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্রা করবে এরকম একটি ভয় বা আশংকার কারণে তারা চুপ থাকেন। এমনকি তারা যখন আঘাতের ফলে সৃষ্ট কোন ক্ষত চিহ্ন নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান চিকিৎসার জন্য তখনও বিষয়টি গোপন রাখেন। অর্থাৎ স্ত্রীর আঘাতে বা নির্যাতনের কারণে ক্ষতটি যে সৃষ্টি হয়েছে, সেটি প্রকাশ না করে অন্য একটি কারণ দেখান। মহিলারাও অনেক সময় একই পথ অনুসরণ করেন। স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের ফলে সৃষ্ট কোন ক্ষত নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে সত্য কথাটি বলেন না। ডাক্তারগণ অবশ্য টের পেয়ে যান যদি ক্ষতটি আঘাতের কারণে হয়ে থাকে। ইতিপূর্বে একটি প্রতিবেদন তৈরী করতে গিয়ে টরন্টোর এক বাংলাদেশী ডাক্তারের সঙ্গে আলাপকালে এই তথ্যটি জানতি পারি।

আমরা জানি, কানাডায় নির্যাতিত নারীদের সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচী রয়েছে। সেল্টার থেকে শুরু করে আর্থিক সহায়তা, কাউন্সিলিং ইত্যাদি সবই আছে। কিন্তু নির্যাতিত পুরুষদের জন্য কি সেই সুযোগ রয়েছে? না নেই। কেন নেই সেই বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিক কালে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। একটি দুটি সংগঠনও তৈরী হতে শুরু করেছে। তেমনি একটি সংগঠন কানাডিয়ান সেন্টার ফর মেল এ্যান্ড ফ্যামিলিজ। টরন্টো সান পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এই সংগঠনের বক্তব্য হলো, পারিবারিক সহিংসতার শিকার পুরুষরা উল্ল্লেখযোগ্যভাবে অবহেলিত কাউন্সিলিং সার্ভিস পাওয়ার ব্যাপারে। তারা ক্রাইসিস সেন্টার, ভিক্টিম সার্ভিসেস, এবং ডমেস্টিক এবিউজ সেল্টার জাতীয় সেবা থেকেও উল্ল্লেখযোগ্য মাত্রায় বঞ্চিত। ২০১৪ সালের স্ট্যাটিসটিকস কানাডার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানায় সেন্টার ফর মেল এ্যান্ড ফ্যামিলিজ নামের সংগঠনটি।

আসলে নির্যাতন নির্যাতনই। সেটি নারীর উপর চালানো হোক বা পুরুষের উপর চালানো হোক কিংবা শিশুদের উপর চালানো হোক তাতে নির্যাতনের যে ক্ষয়-ক্ষতি তা সবার ক্ষেত্রেই ঘটে।

পারিবারিক সহিংসতা সব দেশে, সব সমাজেই একটি গুরুতর ব্যাধি এবং একটি কদর্য বাস্তবতা। কোন দেশের কোন সরকারই কেবল আইন করে এবং পুলিশী সহায়তা এই সামাজিক বা পারিবারিক ব্যাধি সম্পূর্ণভাবে রোধ করতে পারবে না। উদ্যোগটা প্রথমে নিতে হবে পরিবার থেকেই। মনে রাখতে হবে, পরিবারে শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান কোন অলিক ধারণা নয়। এটি করা সম্ভব। প্রয়োজন শুধু নিজের স্বার্থটাকে বড় করে না দেখা এবং অপরের প্রতি যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শন করা। আর এটি পরিবারের সকলের এবং বিশেষ করে সন্তানদের স্বার্থেই করতে হবে।

খুরশিদ আলম

সম্পাদক ও প্রকাশক

প্রবাসী কণ্ঠ