কানাডায় বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের উপাসনালয়গুলো কতটা নিরাপদ?

জুলাই ১৭, ২০১৯

খুরশিদ আলম

কানাডায় অবস্থিত বিভিন্ন মসজিদ এবং অন্যান্য ধর্মালম্বীদের উপাসনালয়গুলো এখন কতটা নিরাপদ? বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ এ দুটি মসজিদ এবং শ্রীলংকায় তিনটি গীর্জায় ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হবার পর? এ প্রশ্ন এখন অনেকেরই।

গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ সিটিতে অবস্থিত দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে ৫১ জন মুসল্লিকে হত্যা করেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রান্টন টারেন্ট। যারা হত্যার শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশীও আছেন। কিন্তু হামলাকারী ব্রেন্টন হ্যারিসন টারান্ট গত ১৩ জুন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। বিবিসির এক খবরে বলা হয়, ক্রাইস্টচার্চ কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাইকোর্টে হাজিরা দেন টারান্ট। তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ঘাতক। আদালতের বিচারক বলেছেন, ১৬ই অগাস্ট পরবর্তী শুনানির আগ পর্যন্ত  কুখ্যাত টারান্টের রিমান্ড চলবে। আগামী বছরের ৪ মে পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম চলবে।

বিচারে তার কি সাজা হবে সেটি আদালতের বিষয়। কিন্তু হত্যাকারী ব্রান্ট ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে যে ভীতি সৃষ্টি করে গেছেন তার থেকে মুক্তির উপায় কি?

কেউ মুখে স্বীকার করুন বা নাই করুন, মসজিদে বা গীর্জায় অথবা ইহুদীদের উপাসনালয়ে যারা প্রার্থনা করতে যান তারা মনে মনে নিশ্চই একটা আশংকার মধ্যে থাকেন সর্বদা। আশংকার বিষয়টি হলো, সন্ত্রাসীদের হাতে এর পরের শিকার কোন উপাসনালয় হবে?

টরন্টোর ড্যানফোর্থ এভিনিউতে অবস্থিত মদিনা মসজিদে পুলিশী প্রহরা। ছবি : টরন্টো সান

এ আশংকা যে অমূলক নয় তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার মাত্র এক মাস পরেই ইস্টার সানডে-তে সংঘঠিত শ্রীলংকার ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে। ঐ দিন শ্রীলংকা জুরে তিনটি গির্জা ও তিনিটি অভিজাত হোটেলে সন্ত্রসী হামলায় অন্তত ২৯০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০০ জন।

উপাসনালয়ে হামলার সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে গত জুন মাসের শেষের দিকে। এবিসি নিউজের এক খবরে বলা হয়, ফ্রান্সের পশ্চিমের শহর ব্রেস্টে গত ২৭ জুন বৃহস্পতিবার এক মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটেছে। অজ্ঞাত এক বন্দুকধারীর গুলিতে ওই মসজিদের ইমামসহ ২ জন আহত হয়েছেন। হামলার পর হামলাকারী নিজের ওপর গুলি চালিয়ে মারা যান। দেশটির পুলিশ এ তথ্য জানায়।

নিউজিল্যান্ডকে ভাবা হতো একটি শান্তির দেশ হিসাবে। শান্তির দেশ হিসাবে কানাডারও সুখ্যাতি রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনভাবে আমরা দেখলাম এই দুটি দেশেই ভয়াবহ হামলা হয়েছে মসজিদে।

কানাডায় মসজিদের উপর হামলা হয়েছিল ২০১৭ সালের ২৯ জানুয়ারী। ইসলামিক কালচারাল সেন্টার অব কুইবেকে মাগরিব নামাজ আদায়কালে আলেকজান্ডার বিসোনেট নামের এক যুবক মুসল্লিদের উপর ঐ দিন অতর্কিতে স্বয়ংক্রিয় বন্দুক হামলা চালান। বন্দুক হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ৬ জন মুসল্লি। হামলার ঘটনায় আহত হন আরো ১৯ জন।

আমরা দেখেছি ৯/১১ এর পর কানাডায় মুসলমানদের উপর এরকম নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলা আর হয়নি। একসাথে ঝরে গেল এতগুলো নিরাপরাধ প্রাণ!

কানাডায় মুসলমানদের উপর হামলার ঘটনা ইতিপূর্বেও ঘটেছে বেশ কিছু। এর মধ্যে আছে মসজিদ ভাঙ্গচূড়, আগুন লাগিয়ে দেয়া, আপত্তিকর দেয়ালচিত্র অঙ্কণ, মসজিদের দেয়ালের গায়ে বর্ণবাদী স্লোগান লিখে রাখা, মসজিদ প্রাঙ্গণে শুকরের কাটা মাথা নিক্ষেপ, হিজাব/নিকাব পরিহিতা মুসলমান মহিলাদের উপর হামলা, বর্ণবাদী মন্তব্য করা ইত্যাদি। তবে ঐ সমস্ত হামলায় কোন প্রাণহানি ঘটেনি।

কিন্তু কুইবেক সিটিতে যা ঘটে গেল তার জন্য কি কেউ প্রস্তুত ছিলেন? হয়তো ছিলেন বা এরকম একটি আশংকা হয়তো কারো কারো মনে ছিল। কিন্তু এতটা ভয়াবহ আক্রমণের ঘটনা ঘটে যাবে তা হয়তো কেউই ভাবেননি।

ঘটনার পর নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির এমপি চার্লি এঙ্গাস বলেছিলেন, “কুইবেকের এই হত্যাযজ্ঞ কানাডায় যে অসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পাচ্ছে তারই একটি সতর্কবাণী।”

অন্যদিকে ঘটনার পরপরই কানাডার শোকার্ত প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পার্লামেন্টে দাড়িয়ে বলেছিলেন, “কুইবেক সিটির ইসলামিক সেন্টারে পরিচালিত হামলায় যে ৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে তা সন্ত্রাসী ঘটনা। এই সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটানো হয়েছে কানাডার বিরুদ্ধে, কানাডিয়ানদের বিরুদ্ধে।” তিনি কানাডায় বসবাসরত ১০ লাখ  মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। কানাডার ৩৬ মিলিয়ন হৃদয় আপনাদের সঙ্গে সহমর্মী।” প্রধানমন্ত্রী কানাডিয়ানদেরকে ভীত না হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছিলেন।

কিন্তু এরকম একটি নৃশংস হত্যাযজ্ঞের পর কানাডিয়ান বিশেষ করে মুসলিম কানাডিয়ানরা কি ভীত না হয়ে থাকতে পারবেন? বিশিষ্ট ইমাম ও ইসলামিক সুপ্রীম কাউন্সিল অব কানাডার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট সৈয়দ সোহরাওয়ার্দী ঐ সময়ে বলেছিলেন, “আমি কানাডায় অবস্থিত মুসলিমদের মঙ্গল নিয়ে খুবই আতংকিত এবং বেশ উদ্বিগ্ন। আমি এখানকার মসজিদগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও বেশ উদ্বিগ্ন। আমি উদ্বিগ্ন আমাদের নারী-পুরুষ ও শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে।”

কদিন আগে আমার অনুজপ্রতিম এক প্রতিবেশী এমনি আতঙ্কের কথা বলছিলেন। তিনি সাধারণত জুমার দিন মসজিদে যান নামাজ পড়তে। কিন্তু মসজিদে অবস্থানকালে একটা অজানা আতঙ্ক তাকে তাড়িত করে। একই কথা আমি শুনেছি আরো কয়েকজন  মুসল্লির কাছে যারা মসজিদে নিয়মিত বা অনিয়মিতভাবে নামাজ পড়তে যান। কেউ কেউ অবশ্য বলেছেন, “আমি ভয় পাইনা। আল্লাহ-ই আমাদের রক্ষা করবেন।”

নিউজিল্যান্ডের ঘটনার পর কানাডা সরকার অবশ্য স্থানীয় মসজিদগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। মুসল্লিগণও অনুভব করছেন নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। গত রমজান মাস শুরুর আগে টরন্টোর মুসলিম নেতৃবৃন্দ মসজিদে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল মুসলিম অর্গানাইজেশন অব টরন্টোর প্রেসিডেন্ট ওমর ফারুক সিবিসি নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয়ে যে ভাবে হামলার ঘটনা ঘটছে তাতে কানাডায় আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে এবং একে অন্যর সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে।”

উল্লেখ্য যে, কানাডা সরকার মসজিদগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে Security Infrastructure Program এর মাধ্যমে কিছু আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। যে সকল মসজিদ নিরাপত্তার ঝুঁকিতে আছে বা অতীতে বিদ্বেষী হামলার শিকার হয়েছে সেই সব মসজিদ এর পক্ষ থেকে এই আর্থিক সহায়তা লাভের জন্য আবেদন করা যেতে পারে। টরন্টোর কয়েকটি মসজিদ কমিটি এই আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করেছে এবং ইতিমধ্যে তারা সেই আর্থিক সহায়তা পেয়েছে।

উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি সিটিভি’র এক খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালে কানাডায় ঘৃণাজনিত অপরাধ (হেইট ক্রাইম) ৪৭ শতাংশ বেড়েছে। মূলত মুসলিম, ইহুদি ও কৃষ্ণাঙ্গরা এই অপরাধের লক্ষ্যবস্তু। স্ট্যাটিসটিকস কানাডার হিসাবমতে ২০০৯ সালের পর থেকে এটি সর্বোচ্চ মাত্রার ঘৃণাজনিত অপরাধ। স্ট্যাটিসটিকস কানাডার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুসলমানদের লক্ষ্য করে ২০১৭ সালে ঘৃণাজনিত অপরাধ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ঘৃণাজনিত অপরাধ বৃদ্ধির এই ধারা ২০১৮ সালেও অব্যাহত আছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি। ন্যাশনাল কাউন্সিল অব কানাডিয়ান মুসলিমসের নির্বাহী পরিচালক ইহসান গার্দি বলেন, ঘৃণাজনিত অপরাধ বৃদ্ধির সংখ্যা দেখে তাঁরা মর্মাহত।

ঘৃণাজনিত অপরাধের মাত্রা আসলে গোটা বিশ্বেই বৃদ্ধি পেয়েছে বিগত বছরগুলোতে। আর তার শিকার হচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নিরীহ মানুষগুলো। এই ঘৃণাজনিত অপরাধ বা বিদ্বেষী মনোভাব সৃষ্টির পিছনে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো। তারা তাদের হীনস্বার্থ উদ্ধারের জন্য গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুরে এক চরম অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রেখেছে। জন্ম দিচ্ছে একের পর এক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। একটির প্রয়োজন শেষ হলে তাকে কবর দিয়ে আরেকটির জন্ম দিচ্ছে।

গত বছর ডিসেম্বরে ‘গ্লোবাল রিসার্চ : সেন্টার ফর রিসার্চ অন গ্লোবালাইজেশন’ প্রকাশিত এক গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়, “বিশ্বব্যাপী আধিপত্য লড়াইয়ের মিশনে ১৯৪৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক ও সামরিক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নিহত হয়েছে ২ থেকে ৩ কোটিরও বেশি নিরীহ বেসামরিক মানুষ। টার্গেট করে একটার পর একটা দেশে যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া, পছন্দের সরকার বসাতে গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে দেশে দেশে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানো, বিশেষ বাহিনীর মাধ্যমে গোপন অভিযান এ সবই করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সারাবিশ্বে এভাবেই আধিপত্য কায়েম করে রেখেছে এই দেশটি।”

ঐ গবেষণা রিপোর্টে গত ৭৩ বছরে বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হত্যাযজ্ঞের এ চিত্র উঠে এসেছে। কয়েক বছর ধরে গবেষণা করে রিপোর্টটি প্রস্তুত করেছেন মার্কিন ইতিহাসবিদ জেমস এ লুকাস।

রিপোর্ট বলা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেয়া অবৈধ যুদ্ধ, সামরিক অভ্যুত্থান ও গোপন সামরিক অভিযানের ‘শিকার’ হয়েছে বিশ্বের অন্তত ৩৭টি দেশ বা জাতি। এর মধ্যে ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে আফগানিস্তানে ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ’। মার্কিন সেনাবাহিনী এখনও যুদ্ধ করছে সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়ায়। আর এসব যুদ্ধ ও সংঘাতে বিশাল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। মৃত্যুর পাশাপাশি ঘটেছে অগণিত আহত হওয়ার ঘটনা। বিমান হামলা আর অত্যাধুনিক সব অস্ত্রের আঘাতে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছে এসব মানুষ।”

ইতিহাসবিদ জেমস এ লুকাস আরো বলেন, “মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কখনই শীর্ষ পর্যায়ে ছিল না, বরং দেশ ও বিদেশে ব্যাপক হারে অপরাধ ও কুকর্ম করেছে।” তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র একটা আধুনিক সাম্রাজ্যবাদী, যা আগে ছিল ব্রিটেন।”

বিশ্বব্যাপী এখন যে হিংসা ও বিদ্বেষী তান্ডব চলছে, বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয়গুলোতে যেভাবে হামলা হচ্ছে এর সবকিছুর নেপথ্যে রয়েছে সাম্রাজ্যবাদীদের ঐ আধিপত্য কায়েম করার লড়াই। তাই একক কোন দেশের পক্ষে সম্ভব নয় হিংসা ও বিদ্বেষ বন্ধ করা। একটি দেশ যতই গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করুক, কখন কোন ফাঁকে সন্ত্রাসীরা উপাসনালয়ে বা অন্য কোন জনসমাবেশে হামলা চালাবে তা বলা কঠিন।

কানাডার পুলিশ এবং প্রশাসন তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। কিন্তু সেই সাথে প্রয়োজন জনগণেরও সচেতনতা। উপাসনালয়গুলোতে হাই রেজুলেশনের সিসি ক্যামেরা স্থাপন, লকডাউন প্রসেস উন্নত করাসহ প্রার্থনার সময় পাহারা দেয়ার জন্য কিছু স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরও প্রয়োজন। প্রয়োজনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি ভাবে জোরদার করা যায় সে ব্যাপারে পুলিশের পরামর্শও নেয়া যেতে পারে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য সরকার প্রতিটি উপাসনালয়ের জন্য (যে সকল উপাসনালয় যোগ্য বিবেচিত হবে) সর্Ÿোচ্চ এক লক্ষ ডলার অনুদান দিচ্ছে। এই অনুদানের জন্য আবেদন করা যেতে পারে। ফায়ার সেফটি কোড এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রার্থনা শুরুর আগে প্রার্থনালয়ের দরজা জানালা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে- জনগণের প্রাণের নিরাপত্তা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার এর দাবী রাখে।

খুরশিদ আলম

সম্পাদক ও প্রকাশক

প্রবাসী কণ্ঠ