তাসের আড্ডা – ১৫

10 ফেব্রুয়ারী, 2018

শুজা রশীদ

ইদানীং একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। আগের মত তাসাড়ুরা পার্টিতে গিয়ে দলছুট হয়ে যে খেলতে লেগে যাবে তা নারী সমাজের কারণে আর হয়ে উঠছে না। কোন না কোন একটা ছুতা তুলে তারা চেষ্টা করে তাস খেলায় বাগড়া বাঁধাতে। জিজ্ঞেস করলে একেক জন একেক অজুহাত দেয়। রনির ধারণা পুরুষদের সাথে কোমর বেঁধে একটু ঝগড়া না করতে পারলে মহিলাদের আনন্দ হয় না।

এই শনিবার আবার সাইদের বাসায় তাসের আড্ডা বসেছে। পার্টি ফার্টি কিছু নয়। শুধু ছেলেদের তাস খেলা হবার কথা ছিল। কিন্তু এক দু’ জন করে স্ত্রীরাও এসে পড়েছে। ছেলেমেয়েরা একটু বড় হওয়ায় তাদেরকে আর টেনে হেঁচড়ে আনার যন্ত্রণা নেই।

আজ তাসের আড্ডায় আলাপ শুরু হয়েছিল জাস্টিন ট্রুডোকে নিয়ে। আগা খানের প্রাইভেট হেলিকপ্টারে চড়ে তার প্রাইভেট দ্বীপে গিয়ে সে ফেডারেল কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট রুল ভেঙেছে। কানাডার প্রাইম মিনিস্টারদের মধ্যে এটাই প্রথম।

কবীর ট্রূডোর খুবই ভক্ত। সে মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলল, “আরে ভাই, আপনারা সব কিছুতে শুধু ভুল ধরতে ওস্তাদ। আগা খান তার বাবার বিশেষ বন্ধু ছিল। তারা তো পারিবারিক বন্ধু। বন্ধুর দ্বীপে একটু বেড়াতে গেলে এতো কি সমস্যা?”

রনি বাঁকা গলায় বলল, “আগা খানের প্রতিষ্ঠানে কানাডার সরকার অনেক টাকা পয়সা অনুদান হিসাবে দেয়। কয়েক দিন আগেও ১৫ মিলিয়ন ডলার গেছে। আর ভুল তো আমরা ধরছি না, ধরেছে কানাডার ফেডারেল এথিক্স কমিশনার। জাস্টিনের হচ্ছে বড় বড় বাতচিৎ, কামের বেলায় অষ্টরম্ভা।”

লাল ভাই হাসতে হাসতে বলল, “আপনি তো বলবেনই। আপনি হলেন কঞ্জারভেটিভদের দলে। ট্রুডো মানুষ ভালো। দুই একটা ভুল তো যে কেউ করতে পারেই।”

রনি বলল, “লাল ভাই, কঞ্জারভেটিভ বলবেন না, বলবেন প্রগ্রেসিভ কঞ্জারভেটিভ।”

লাল ভাই কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল কিন্তু তার মুখের কথা মুখেই থেকে গেল। বেলা সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে ছুটে এলো। “দাঁড়াও, দাঁড়াও। তোমাদের কঞ্জারভেটিভ নেতার কান্ড দেখেছ? কচি কচি মেয়েদের পেছনে ছুটে বেড়ায়! ছিঃ ছিঃ।”

বলাই বাহুল্য সে পিসি পার্টির বিগত নেতা প্যাট্রিক ব্রাউনের কথা বলছে। তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগ তুলেছে দুই জন মহিলা।

রনি শ্রাগ করল। “একেবারে বেইজ্জতী করে দিয়ে গেল। তবে পার্টির জনপ্রিয়তার কোন ক্ষতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।”

বেলা বলল, “তোমরা পুরুষেরা এতো খারাপ কেন? মেয়ে দেখলেই জিভ ঝুলে পড়ে? ছি ছিঃ! একটার পর একটা কেলেংকারী বেরিয়ে আসছে, মুভি ইন্ডাস্ট্রি, পলিটিক্স, কর্পোরেট অফিসে, আদালতে – মেয়েদের কোথাও গিয়ে শান্তি নেই পুরুষদের জন্য।”

রুমা তার সাথে যোগ দিল। “এক্কেবারে ঠিক বলেছ। আশ্চর্য! একটার পর একটা। প্রথম প্রথম আমি তো মেয়েগুলোকেই দোষ দিচ্ছিলাম। ভাবছিলাম নিশ্চয় কোন একটা উদ্দেশ্য নিয়ে গেছে, কাজ হাসিল হয়ে গেছে এখন খুব নালিশ হচ্ছে। কিন্তু ব্যাপারটা তো তা নয়। ঐ অসভ্য পুরুষগুলো সবাই মিলে মেয়েদের দূর্বলতার সুযোগ নিচ্ছিল।”

সাইদ বলল, “সমস্যা হয়েছে অন্য জায়গায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেয়েরা নিজেরাই হয়ত না বুঝেই আস্কারা দিয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে সময়মত আপত্তি করে নি, হয় ভয়ে চুপ করে থেকেছে, কিংবা ভেবেছে আপত্তি করলে ভালোর চেয়ে মন্দই বেশী হবে। যার ফলে, যারা সুযোগসন্ধানী তারা সুযোগের সদ্ব্যবহার করে তাদেরকে সমানে হয়রানি করে গেছে। এই প্যাট্রিক ব্রাউনের ক্ষেত্রে যে দু’টি মেয়ে এগিয়ে এসেছে তাদের কথাই ধর। একজন যখন প্যাট্রিক ব্রাউনের অফিসে সামার স্টুডেন্টস হিসাবে কাজ করছিল তখন এই  যৌন হয়রানির ঘটনাটা ঘটে। কিন্তু সেটা নিয়ে মেয়েটা প্রথমে কাউকে তো কিছু বলেই নি বরং পরের বছর আবার ফিরে এসেছে তার অফিসে কাজ করতে। মেয়েটা তাহলে কি মেসেজ দিল? প্যাট্রিক ব্রাউন নিশ্চয় তেমন খারাপ কিছু করে নি। যদি করত, তাহলে মেয়েটা নিশ্চয় ফিরে আসত না। এটা তো এক ধরনের উৎসাহ দেয়া। এবং এখানেই হচ্ছে মেয়েদের ভুল।”

জিত বলল, “এই কারণেই তো সিবিসি রেডিও ব্রডকাস্টার জিয়ন গোমেশিকে কোর্টে নিয়ে গিয়েও কোন লাভ হল না। যে সব মেয়েদের সাথে সে অযাচিত ব্যাবহার করেছে তারা নিজেরাই যেঁচে পড়ে ওর সাথে বন্ধুত্ব বজায় রেখেছিল। যার ফলে এটা প্রমাণিত হয় নি যে গোমেশির ব্যাবহার বাস্তবিকই বিপদজনক ছিল।”

লতা বলল, “দেখেন জিত দা, মেয়েরা হচ্ছে মায়ের জাতি। তাদের মন টন একটু নরম হয়। মানুষকে তাড়াতাড়ি ক্ষমা করে দেয়। তাই বলে এইরকম সুযোগ নেবে?”

রনি বলল, “যতদিন না মেয়েরা ‘না’ বলা শিখবে – জোরে এবং পরিষ্কার গলায় – ততদিন এসব চলতেই থাকবে। কেউ যদি ভাবে আমার ক্যারিয়ারের জন্য আমি সব কিছু সহ্য করতে রাজী আছি, তাহলে এসব কোনদিন বন্ধ হবে না।”

বেলা বলল, “কিন্তু এই পুরুষ শাসিত সমাজে যদি পদে পদে মেয়েদেরকে এভাবে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয় তাহলে তাদের উপায়ই বা কি?”

জালাল এতক্ষন চুপচাপ শুনছিল। তার হাতে খুবই ভালো কার্ড এসেছে। এই সব আলাপ রেখে সে খেলার জন্যই বেশী আগ্রহী। কিন্তু এই পর্যায়ে মুখ খুলতেই হল। “সময়ের সাথে সাথে সবই হয়। একসময় মেয়েরা ভোট দিতে পারতো না, ভোটে দাঁড়াতে পারত না, এখন তো আর সেই সময় নেই। ধৈর্য ধারন করতে হবে। এই দেখেন আমাদের ফেডারেল গভর্নমেন্টের ক্যাবিনেটে ছেলে মেয়েদের সংখ্যা এখন অর্ধেক অর্ধেক।”

রনি বাঁকা গলায় বলল, “ট্রুডোর আরেক ঢং। মেয়েদের ভোট পাবার ধান্দা।”

সাইদ হেসে ফেলল, “তুমি শুধু ওর ভুল ধর। এতে খারাপটা কি হয়েছে?”

রনি বলল, “ব্যাপারটা আমার কাছে একটু এফারমেটিভ একশনের মত মনে হয়েছে। জোর করে সমান সমান করাটা কি ঠিক? এর ফলে পুরুষদের মধ্যে যারা হয়ত বেশী যোগ্য ছিল তারা অনেকে বাদ পড়ে গিয়ে থাকতে পারে। আমি মনে করি যোগ্যতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুধু নারী কিংবা পুরুষ বলে যোগ্যতা কম থাকা সত্বেও কারো কোন পদ পাওয়া উচিৎ নয়।”

প্রমীলা সাধারণত কথা বার্তা বেশি বলে না। কিন্তু এই পর্যায়ে সে বলল, “কিন্তু সেটাই তো হচ্ছে সব জায়গায়। মেয়েরা ভালো পদ পায় না, ছেলেদের সমান বেতন পায় না। এফারমেটিভ একশন তো আমরাও চাই না। কিন্তু মেয়েদের যোগ্যতার সঠিক মর্যাদা দেয়া উচিৎ নয়?”

জিত হা হা করে হাসল। “আরে, বেলা ভাবীকে দেখে তোমারও দেখি এখন মুখে কথা ফুটেছে।”

বেলা জোর গলায় বলল, “ফুটবেই তো। আর কতকাল মুখ বুজে থাকবে? মেয়েরা কর্মক্ষেত্রে গিয়ে একই কাজ করছে অথচ টাকা-পয়সা পাচ্ছে কম। এটা চিন্তা করা যায়?”

কবীর বলল, “ভাবী, আমরা আপনাদের শ্ত্রু নই। আমরা হলাম বন্ধু। আমাদের উপর খামাখা রেগে গিয়ে কি লাভ?”

রুমা বলল, “কে বন্ধু আর কে শ্ত্রু সেটা আগে থেকে বলার কোন উপায় নেই। আজিজ আনসারীকে দেখে তো মনে হয় ভাজা মাছটা উলটে খেতে জানেনা। অথচ ওর কান্ডটা দেখ।”

লাল ভাই বলল,”আজিজ আনসারিটা কে?”

সাইদ বলল, “আমেরিকান এক্টর। জাতীতে ভারতীয়। নেটফ্লিক্সের একটা নতুন সিটকমের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে খুব নাম করেছে। দুইটা এমি এওয়ার্ড এবং golden globe এর বেস্ট এক্টর হিসাবে পুরষ্কার পেয়েছে টেলিভিশন সিরিজ মিউজিক্যাল অথবা কমেডিতে ‘মাস্টার অব নান’ এর জন্য। কিন্তু ঐ পুরষ্কার পাওয়াই হয়েছে কাল।”

জালাল হাসতে হাসতে বলল, “শুধু পুরষ্কার পেলেও হয়ত কিছু হত না। কিন্তু মেয়েদের যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সমর্থন জানিয়ে কোটে ‘Time’s up’ এর পিন লাগিয়ে ধরা খেয়ে গেছে। মেয়েটার চোখে সে একটা হিপোক্রিট হিসাবে চিহ্নিত হয়ে গেছে। না হলে হয়ত মেয়েটা এগিয়েও আসত না। যাই হোক, আনসারী বেচারী একেবারেই ধরাশায়ী হয়ে গেছে।”

ইলা এতক্ষন চুপচাপ সবার কথা শুনছিল। সে এবার স্বামীর কথার প্রতিবাদ করে বলল, “বেচারী হবে কেন? একটা মেয়ে ডেটে এসেছে বলেই যে একেবারে বিছানায় চলে যাবে এই রকম যে ভাবতে পারে সে বেচারী হয় কি করে?  বদমাশ!”

বেলা একটু কেশে গলা পরিষ্কার করে বলল, “এই ক্ষেত্রে আমি পুরো দোষ আজিজ আনসারীকে দেব না। ঐ মেয়ে নিজে আগ বাড়িয়ে তার সাথে পরিচিত হয়েছে। ডেট করতে তার বাসায় চলে গেছে। যখন পরিস্থিতি শারীরিক দিকে গড়িয়েছে তখনও বিদায় নিয়ে চলে যেতে পারত কিংবা সরাসরি না বলতে পারতো, কিছুই করে নি। পরে যখন চলে যেতে চেয়েছে তখন তো তাকে আনসারী গাড়ী ডেকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছে। তাহলে এখন এটা নিয়ে হৈ চৈ করা কেন? সম্মান পেতে হলে নিজেদেরও তো কিছু করতে হবে। ডেটিং করতে গিয়ে কিছু একটা মনমত হল না, সেটা নিয়ে পরে মন খারাপ হল বলে একেবারে ঢাক ঢোল পিটিয়ে বলতে হবে? এই ধরনের ঘটনা আর একটা মেয়ের ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা, দুটা কি একই হয়?”

রনি বলল, “এইবার আমি তোমার সাথে একমত। এই ধরণের ব্যাপার নিয়ে বেশী মাতামাতি করলে দেখা যাবে বড় বড় ব্যাপারগুলো ধামাচাঁপা পড়ে যাচ্ছে। হার্ভে উইন্সটাইনের মত সিরিয়াল রেপিস্ট এর সাথে আজিজ আনসারীর তুলনা চলে?”

কবীর বলল, “অনেকেই কিন্তু আজিজ আনসারীর উপর খুব ক্ষেপে গেছে। স্ক্রীন একটরস গিল্ড এওয়ার্ডে একই ক্যাটেগরিতে নমিনেশন পেয়েছিল। কিন্তু ওর নাম যখন বলা হল নমনিতদের একজন হিসাবে তখন কেউ তালি দেয় নি। অথচ golden globe এ তালির শেষ ছিল না।”

সাইদ বলল, “আরে, সিনেমা-টিভির জগতে কেউ কাউকে ক্ষেপাতে চায় না। এই মুহূর্তে সবার কোপ পড়েছে আনসারির উপর। কে চায় তালি দিয়ে সবার নজরে পড়তে। নেটফ্লিক্স পুরো ‘হাউজ অব কার্ডস’ সিরিজ বন্ধ করে দিল কেভিন স্পেসির যৌন হয়রানির অভিযোগ বেরিয়ে আসার পর। চিন্তা করতে পারো? ওদের নাকি ৩৯ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে।”

রুমা বলল, “করাই তো উচিৎ। অনেক হয়েছে এইসব। এইবার এই বদমায়েশগুলোকে ধরে ধরে এয়সা মার দেয়া দরকার না, যে পানি পাবে না।”

সবাই একযোগে হেসে উঠল।

জিত বলল,“আচ্ছা, এই প্রসঙ্গে কয়েকটা জোক মনে আসছে। শুনতে চাইলে বলি।”

জোক শুনতে কারো আপত্তি নেই।

জিত বলল, “ব্লন্ড মেয়েদের বোকামী নিয়ে অনেক জোক আছে। এটা হচ্ছে ব্লন্ড ম্যান জোক। এক মেয়ে তার ব্লন্ড প্রতিবেশী লোককে ফোন করে বলল ‘দেখ, তুমি আর তোমার বউ এরপর যখন বিছানায় যাবে, দয়া করে পর্দাটা টেনে দিও। গতকাল রাস্তা থেকে তোমাদেরকে দেখে সবাই হাসাহাসি করছিল’। এই কথা শুনে লোকটা হেসে বলল, ‘আরে, বোকার দল যত ইচ্ছা হাসুক। আমি তো গতকাল বাসাতেই ছিলাম না’।”

বুঝতে দুয়েক মুহূর্ত গেল। তারপর বেশ কিছু চাঁপা হাসি শোনা গেল। প্রমীলা বলল, “ছিঃ ছিঃ, এই রকম একটা বাজে জোক বলতে পারলে তুমি?”

জিত বল, “আচ্ছা, তাহলে আরেক টা ভালো জোক বলি। একটা ছেলে আর মেয়ে আলাপ করছে। মেয়েটা এক পর্যায়ে বলল, ‘মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে সব দিকে ভালো।’ সেই কথা শুনে ছেলেটা বলল, ‘তাই যদি হত তাহলে স্রষ্টা ছেলেদেরকে আগে বানাত না।’ মেয়েটা হেসে বলল, ‘আরে, ফাইনাল কপি বানানোর আগে একটা খসড়া করতে হয় না? ভুল্ভাল কিছু হলে ঠিক করার জন্য’।”

জালাল হাসতে হাসতে বলল, “আমি একটা জোক শুনেছি গতকাল। নারী পুরুষের ইকুয়ালিটির উপর। এক ইনভেস্টগেটিভ জার্নালিস্ট আফগানিস্থানে গেছে সেখানকার সমাজ ব্যাবস্থার উপর জ্ঞানার্জন করতে। গিয়ে দেখল সব মেয়েরা ছেলেদের দশ কদম পেছনে হাঁটছে। দেখে সে খুব অবাক হয়ে বলল, ‘কি ব্যাপার? ওরা পেছনে পেছনে হাঁটছে কেন?’ তার গাইড বলল, ‘এটাই এখানকার রীতি’। বছর খানেক পর জার্নালিস্ট আবার ফিরে এলো। এবার দেখল মেয়েরা আগে আগে হাঁটছে, ছেলেরা পেছনে। সে খুব অবাক হয়ে বলল, ‘আরে, পরিস্থিতি এতো পাল্টালো কি করে মাত্র এক বছরে?’ গাইড বলল, ‘গতবছরের যুদ্ধের সময় অনেক ল্যান্ড মাইন পোতা হয়েছিল এখানে’।”

শুজা রশীদ

কথা সাহিত্যিক, টরন্টো

www.shujarasheed.com