কানাডায় কি ভাবে আমি একজন গর্বিত তামিল নারী হয়ে উঠলাম

শ্বেতাঙ্গিনী হয়ে কেন জন্মায়নি সে প্রশ্ন এখন আর করি না নিজেকে

জুলাই ৬, ২০১৮

আরথী থিরুথনিকান

সূর্য তখন মধ্যগগনে। চারিদিকে উজ্জ্বল আলো। সেই আলোকচ্ছটার ঝলকানী জানালার কাচ ভেদ করে প্রবেশ করেছে আমাদের এলিমেন্টারী স্কুলের শ্রেণীকক্ষেও।

আমি চতুর্থ শ্রেণীর একজন ছাত্রী। মধ্যাহ্ন ভোজের সময় হওয়াতে আমি আমার খাবারের পাত্রটি নিয়ে বসেছি। গত রাতের বেচে যাওয়া কিছু খাবারে ভর্তি ছিল পাত্রটি। খাবারের আইটেমের মধ্য ছিল ভাত আর মশলাযুক্ত কয়েক পদের তরকারী। আমার মত অন্যসব এশিয়ান বালক-বালিকাদের খাবারের পাত্রে এই জাতীয় খাবার থাকাটা খুবই সাধারণ বিষয়। পাত্রের মুখটি খোলার সাথে সাথে মশলার তীব্র গন্ধ এসে নাকে লাগলো। আমি চারদিকে আড়চোখে একটু দেখে নিলাম। দ্রুত কয়েক চামচ খবার মুখে দিয়েই পাত্রের মুখটি বন্ধ করে দিলাম। আমার ভয় করছিল এই ভেবে যে সবাই আমার দিকে কটু দৃষ্টিতে তাকাবে। কিন্তু পাত্রের মুখটি বন্ধ করে দেওয়ার পরও আমার কাছে মনে হচ্ছিল শ্রেণী কক্ষের বাতাসে মশলাযুক্ত খাবারের তীব্র গন্ধ তখনো ভেসে বেড়াচ্ছে। কে জানে, কাল থেকে হয়তো সবাই আমাকে অন্য চোখে দেখবে। আমার পরিচিত হবে ‘গার্ল উইথ স্টিংকি লাঞ্চ’।

স্টিংকিক লাঞ্চ এর বিষয়টি তো ছিল আসলে আমার মত একজন সাউথ এশিয়ানের বেলায় হিমবাহের অগ্রভাগের মতো।

আর এটাই ছিলাম আমি, একজন দ্বিতীয় প্রজন্মের তামিল-কানাডিয়ান। আমার বাবা মা কানাডায় এসেছিলেন শ্রীলংকা থেকে। ঐ দেশটিতে তখন চলছিল চরম সহিংসতা, খুনাখুনি আর নৈরাজ্যতা। সেই সহিংসতা থেকে পালিয়ে তারা কানাডায় এসেছিলেন এক নতুন জীবনের সন্ধানে। তখন প্রাণে বাঁচার জন্য দেশ থেকে পালিয়ে আসা ছাড়া তাদের সামনে আর কোন পথ খোলা ছিল না। আসার সময় তারা সাথে নিয়ে আসতে পেরেছিলেন কাধে করে কিছু কাপর-চোপড় আর শৈশব থেকে শেখা তাদের নিজ সংস্কৃতি। কানাডার সংস্কৃতিকে গ্রহণ করার জন্য তাদের সময় লেগেছিল বেশ কয়েক বছর। কিন্তু এখনো তারা তাদের ফেলে আসা দেশের সংস্কৃতি ভুলতে পারেননি।

কানাডায় তামিল কানাডিয়ান তরুনীদের একটি নৃত্যপরিবেশনা। ছবি : টরন্টো.কম

আমি একজন তামিল মেয়ে হিসাবেই বড় হয়েছি। একই সাথে টরন্টোর পাশ্ববর্তী একটি শহর মার্কহামে বেড়ে উঠায় একজন কানাডীয় মেয়ে হিসাবেও বড় হয়েছি। আমার কাছে মনে হয় আমি যতটা তামিল হিসাবে লালিত-পালিত হয়েছি, তারচেয়ে বেশী লালিত-পালিত হয়েছিল কানাডীয় মেয়ে হিসাবে।

আমি যখন স্কুলে ভর্তি হই, তখন দ্রুতই অনুভব করি যে, আমি আমার অন্যান্য সহপাঠীদের মত না। তারা আমার মত মন্দিরে যায় না, আমার মত পোষাক পরে না। তারা হাত দিয়ে খাবার খায় না যেমনটা আমি আমার বাড়িতে খাই। তাদের গায়ের রঙ আমার মত শ্যামলা নয়। আমি সবদিক থেকে ভিন্ন যে কারণে আমি অন্যদের সঙ্গে খাপ খাইনা। আমি একজন তামিল। আমি আমাকে বিশ্রী ভাবতে আরম্ভ করি। আমি আমাকে বিচ্ছিন্ন ভাবতে আরম্ভ করি।

আমার এই ভিন্নতাগুলো যখনই আমার মনে এসে ভিড় জমাতো তখন আমি নিজেকে কোনভাবেই কানাডীয় ভাবতে পারতাম না। আমার মনের মধ্যে একটি বিষয় গেথে গিয়েছিল যে, কানাডিয়ান হতে হলে আমাকে আমার তামিল পরিচয়, তামিল সংস্কৃতি, তামিল ঐতিহ্যকে ভুলে যেতে হবে। আমাকে ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে তামিল পরিচয়ের সবকিছু।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছিল, আমি যতই আমার তামিল পরিচয়কে অস্বীকার করতে চাইছিলাম ততই সেই পরিচয় আমার পিছু লেগে থাকতো ছায়ার মতো। আমি বার বার তার কাছে পরাজিত হতে থাকলাম।

আমি দুর্বল হয়ে পড়ি। আমি সর্বান্তকরণে চাচ্ছিলাম একজন কানাডিয়ান মেয়ে হতে, তামিল মেয়ে নয়। কিন্তু তারপরও আমি আমার তামিল সংস্কৃতি বা ঐতিহ্য থেকে দূরে সরে আসতে পারছিলাম না। আমি কানাডীয় জীবনে আত্মীকরণ হতে চাচ্ছিলাম, একজন সত্যিকারের কানাডিয়ান হতে চেয়েছিলাম।

এই সময় আমার মধ্যে একটি প্রশ্নও জাগরিত হয়। প্রশ্নটি হলো, আমি কেন শ্বেতাঙ্গিনী হয়ে জন্ম নিলাম না?

আমি মনে করতাম – তুমি যদি শ্বেতাঙ্গ বা শ্বেতাঙ্গিনী হও তার অর্থ হলো, তুমি কানাডিয়ান। তুমি সকলের চেয়ে সেরা। সমাজে তোমার আবস্থান অনেক উঁচুতে। সমাজে তোমার গুরুত্ব অনেক বেশী।

শ্বেতাঙ্গদের প্রতি আমার বিশেষ এই ভক্তির কারণে স্কুলে আমি লিন্ডা কোরি নামের এক শ্বেতাঙ্গ সহপাঠীনির প্রভাবে প্রভাবান্বিত হয়ে পড়ি খুব বেশী রকমের। আমার চোখে লিন্ডা ছিল এক অপূর্ব সুন্দরী।

আমার দৃষ্টিতে তার চালচলন ছিল রাজকীয়। আমার মনে হতো তাকে টেক্কা দেওয়ার মত কেউ নেই আমার স্কুলে। তার সঙ্গে তুলনা করলে আমাকে মনে হতো ক্লাসরূমে কাদামাখানো একটি মুখ বসে আছে।

লিন্ডার রূপ, তার গায়ের রং আমাকে পীড়া দিতে আরম্ভ করলো। সারাক্ষণই আমার কাছে মনে হতো, কেন আমি শ্বেতাঙ্গিনী হয়ে জন্মালাম না? শ্বেতাঙ্গিনী হয়ে জন্মালেইতো আমিও লিন্ডার মতোই হতাম। আমার চালচলন, আমার ব্যক্তিত্ব আমার রূপ সবই লিন্ডার মতো হতো।

লিন্ডার সামনে আমি হীনমন্যতায় ভুগতে থাকলাম। লিন্ডা কোন ভুল করতে পারে না। সে যা করে বা যা বলে সেটাই সঠিক। আমার মনে এমন ধরণাই জন্ম নেয়। একবার সে আমার লাঞ্চ এর আইটেমগুলোর দিকে তীর্যক দৃষ্টিতে তাকিয়ে প্রশ্ন করেছিল এগুলো কি খাবার। আমি বিব্রত বোধ করছিলাম। বিড়বিড় করে বললাম, এগুলো আমাদের নিজস্ব কালচারের খাবার। লিন্ডা তাচ্ছিল্যের সুরে বললো, অদ্ভুত খাবার। একথা বলেই সে তার নিজের লাঞ্চ বক্স থেকে খাবার খুলে খেতে লাগলো। আমার কাছে এবারও মনে হলো লিন্ডা ঠিকই বলেছে। আমি অদ্ভুত ধরণের খাবারই খাচ্ছি। এই খাবারগুলো সামনে নিয়ে আমি খুবই বিব্রত বোধ করছিলাম তখন। আমি খাবার শেষ না করেই লাঞ্চ বক্স এর ঢাকনা লাগিয়ে তা ব্যাকপ্যাকে ঢুকিয়ে রাখি।

এদিকে সমস্যা হচ্ছে আমি বাড়িতে আমার মাকেও বলতে পারছিনা এ জাতীয় খাবার না দিতে। কারণ, আমি জানি মা এতে আহত হবেন মনে মনে।

হাইস্কুলে উঠে লিন্ডা চলে গেল অন্য স্কুলে। কিন্তু তার প্রভাবের কারণে আমার মধ্যে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছিল তা অব্যাহত ছিল আরো বেশ কিছুদিন।

তবে সৈভাগ্য এই যে, শেষ পর্যন্ত ‘শ্বেতাঙ্গ’ বিষয়ে আমার মোহ ভঙ্গ হতে শুরু করেছিল। আমি যখন হাই স্কুলে উঠি তখন থেকে আমি আমার নিজ সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন হতে শুরু করি। আমি আমার ঐতিহ্যের মর্ম উপলব্দি করতে শুরু করি। আমি যখন গ্রেড ৯ এর ছাত্রী তখন একদিন আমার মা আমাকে আহ্বান জানালেন তামিলদের একটি অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে কাজ করার জন্য। ঐ অনুষ্ঠানটি ছিল শ্রীলংকায় গৃহযুদ্ধের সময় যে সকল তামিল গেরিলা যোদ্ধা মারা যান তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে। আমি যখন গ্রেড ৫ এর ছাত্রী তখন থেকেই বাৎসরিক এই অনুষ্ঠানে আমার যাতায়ত ছিল বাবা-মায়ের সঙ্গে। এর ইতিহাসটাও আমার জানা ছিল। তবে এবারই প্রথম স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে আমার যাওয়া।

যুদ্ধটা ছিল শ্রীলংকার সরকারী মিলিটারী ও তামিল টাইগারদের মধ্যে। ঐ যুদ্ধের সময় প্রায় তিন লাখ তামিল শ্রীলংকা ছেড়ে ভারত ও কানাডায় চলে আসেন। আমার বাবা-মা’ও সেই পালিয়ে আসাদের দলে ছিলেন।

আমি আরো জানতাম তামিল গেরিলা যোদ্ধা, যারা যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শণ করতে আরো অনেকেই আসবেন অনুষ্ঠানে। এটি আমার সংস্কৃতির গভীরে গ্রোথিত হয়ে আছে। আমি আমার মাকে বললাম, মা আমি স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে কাজ করবো।

অনুষ্ঠানে যাওয়ার পর কয়েক হাজার তামিল জনতার উপস্থিতির বাইরেও আরো কি যেন দেখতে পেলাম। যারা যুদ্ধে আত্মেৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর চেয়েও আরো বেশী কি যেন

ছিল ঐ সমাবেশে। যোদ্ধা ছাড়াও গৃহযুদ্ধে আরো যে সকল মা, বাবা, ভাই, বোন প্রাণ হারিয়েছেন তারা সবাই নিঃস্বার্থভাবে জড়িয়ে গিয়েছিলেন যুদ্ধে সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য। তারা মানুষ ছিলেন, এই যেমন আমি। দেয়ালে আত্মোৎসর্গকৃত এই মানুষদের সারিবদ্ধ ছবি দেখে আমার মধ্যে এক নতুন উপলব্দি জাগলো- এই মানুগুলোর আত্মত্যাগকে ভুলে যাওয়া চলবে না।

আমি গত দশ বছর ধরেই এই অনুষ্ঠানে আসছিলাম। কিন্তু এবারই প্রথম আমি আমার চোখের সামনে দেখতে পেলাম যুদ্ধের দিনগুলোতে কি ছিল সত্য। আমি দেখতে পেলাম কেন তারা যুদ্ধ করেছিল। তারা যুদ্ধ করেছিল তাদের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য, তারা যুদ্ধ করেছিল দেশে থেকে যাওয়া তামিলদের নিরাপত্তার জন্য এবং তারা যুদ্ধ করেছিল আজকে এই

মার্কহামের অনুষ্ঠানে তামিল ইমিগ্রেন্ট ও উদ্বাস্তুদের জন্য। আমার মধ্যে তখন এক নতুন উপলব্দির জাগরণ ঘটলো। আমার কাছে তখন মনে হলো, একজন তালিম তরুনী হিসাবে আমি সত্যিই গর্বিত।

সেদিন মার্কহামের ঐ তামিলদের অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে কাজ করার পর আমি এতদিন নিজেকে যে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে আসছিলাম তা থেকে মুক্তি পেলাম। কেন আমি একজন শ্বেতাঙ্গীনি হয়ে জন্মালাম না, নিজেকে এই প্রশ্ন করা থেকে মুক্তি পেলাম। এবং আমার শিকড় যে তামিল সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, সেই সংস্কৃতির সঙ্গে পুনঃসংযোগ স্থাপনে মনোনিবেশ করলাম।

প্রথমে আমি বুঝতে পারছিলাম না ঠিক কোথা থেকে শুরু করবো। একদিন আমার মা আমাকে আমন্ত্রণ জানালেন ইয়র্ক সিনেমা হলে গিয়ে একটি তামিল মুভি দেখার জন্য। এইরকম প্রস্তাবে আমি আগে সাধারণত রাজী হতাম না। বরং উল্টো নানানরকম অভিযোগ করতাম এবং ঘেনঘেনানি শুরু করতাম। কিন্তু এবার তা করলাম না। মায়ের প্রস্তাবে রাজী হয়ে গেলাম এবং মুভি দেখতে গেলাম। মুভিটির বিষয়বস্তুু ছিল তামিল সংস্কৃতি ও ধর্ম যা আমাকে অনুপ্রাণিত করে আমার সংস্কৃতি ও ধর্মের প্রতি অনুরক্ত ও উৎসাহী হয়ে উঠতে। আমি গবেষণা করতে আরম্ভ করলাম তামিল প্রথা ও ঐতিহ্যের বৈজ্ঞানিক যুক্তি কি আছে তা নিয়ে। একসময় আমি এগুলো নিয়ে হাসি-ঠাট্রা বা উপহাস করতাম, অবজ্ঞাপূর্ণ ব্যঙ্গ করতাম।

গবেষণা এবং উপলব্দি আমাকে আমার তামিল ঐতিহ্যের প্রতি একাত্মবোধ সৃষ্টি করতে সহায়তা করে যেটা আমার আগে ছিল না। আমি বুঝতে পারি আমার মত দ্বিতীয় প্রজন্মের অনেক তামিল ছেলে-মেয়েদেরকে একটা কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তাদের শৈশব অতিক্রম করতে হয়। পরীক্ষাটা হলো, তারা নিজ সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিবে না কানাডিয়ান সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিবে। অথবা তারা কোন পরিচয়ে বড় হয়ে উঠবে।

আমরা খুব বেশী তামিল হতে চাই না। আবার এমনটাও চাই না যে আমরা আমাদের নিজ সংস্কৃতিতে একেবারে বাইরের কেউ হয়ে যাই। এই যেমন, তামিল ভাষায় কোন বস্তুর নাম কিভাবে উচ্চারণ করতে হয় সেটা বলতে না পারা। আমি নিজেই বহুবার অপ্রস্তুত হয়েছি এরকম করতে গিয়ে। আমার মত অনেক তামিল-কানাডিয়ান ছেলে-মেয়েদেরকে এই দুই সংস্কৃতির জালে আটকে পড়ে যুদ্ধ করতে হয়েছে এবং করতে হচ্ছে।

তামিল ভাষায় একটি কথায় আছে যে, ‘একতাই বল’। আমরা কে কতটা তামিল বা কে কতটা কানাডিয়ান সেটি প্রমাণ করার জন্য অযথা শক্তি ব্যয় না করে আমাদের আরো উদার হওয়া উচিৎ আমরা যে দ্বন্দ্ব বা সঙ্ঘাতের মধ্য দিয়ে সময় অতিক্রম করছি সে বিষয়ে।

পরিচয়ের এই দ্বন্দ্ব নিয়ে আমরা সবাই কমবেশী যুদ্ধ করছি এই এই যুদ্ধ অস্বাভাবিক কিছু নয়।

‘আমি কেন একজন শ্বেতাঙ্গিনী মেয়ে হয়ে জন্মালাম না’ এই লঘু প্রশ্ন এখন আমি আর আমাকে করি না। আমি এখন মুক্ত। কারণ আমি বুঝতে শিখেছি, আমি উপলব্দি করতে পেরেছি যে, কানাডিয়ান হওয়ার অর্থ ‘শ্বেতাঙ্গিনী’ হওয়ার চেয়ে আরো অনেক বেশী কিছু। কানাডিয়ান হওয়ার অর্থ এই নয় যে, একজনকে শ্বেতাঙ্গ বা শ্বেতাঙ্গিনী হতে হবে, তাকে কানাডিয়ান স্টাইলের খাবার গ্রহণ করতে হবে, মাসে দুইবার কটেজে গিয়ে সময় কাটাতে হবে।

কানাডিয়ান হওয়ার অর্থ হলো তোমাকে দুয়ালু হতে হবে এবং একে অপরকে গ্রহণ করার মানসিকতা থাকতে হবে। কানাডিয়া হওয়ার অর্থ হলো, তুমি নিজে যা তাই হওয়া। একজন তামিল তরুনী হিসাবে আমি যা, সেটিই আমার কানাডিয়ান পরিচয়।

সৌজন্যে : হাফিংটন পোস্ট