বিষন্নতা একটি রোগ – আমি মেনে নিয়েছি, অনেক বড় বিসর্জন থেকে

এপ্রিল ৪, ২০১৭

ফারহানা পল্লব

আজ টরন্টোর বাতাস যেন একটু বেশী ভারী হয়ে আছে। কাল সারারাত আকাশ কেঁদেছে- প্রথমে তুষারপাত তারপর বৃষ্টি ধারায়। আর কেঁদেছে টরন্টোবাসী- সন্ধ্যে থেকে লোকে লোকারণ্য লিনা ভাবি আর আরিফ ভাইয়ের বাসা। শুধু লিনা ভাবী আর আরিফ ভাই বললে অনেক কিছুই বাকী রয়ে যায়। একটু পেছনের দিনগুলো থেকে শুরু করি-
সীমাদের কোন এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে প্রথম দেখি এই সুন্দর দম্পতিকে। সাথে ছিল সুন্দর একটি মেয়ে আর সুন্দর একটি ছেলে। আমার এখনো মনে আছে সেই দিনের সেই সাদা শার্ট আর কাল ভেস্ট পরা ফুটফুটে ছেলেটার কথা, আমার ছেলে আনন্দের থেকে মাত্র বছর দুয়েকের বড়। সেই প্রথম দেখা ফাহমিকে।
তারপর আমরা অনেকবার প্রতিবেশী ছিলাম- কখনো ডনমিলস, তারপর অরটন পার্ক, আর তারপর স্কারবোরো। লিনা ভাবির মেয়ে টুসিয়ার বিয়ে হল ধুমধাম করে, আমারা দুই পরিবার বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে গেলাম। আমার আজো মনে পড়ে তখন আমি একা আমার দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে হিমশিম খাচ্ছি, একবার দাওয়াত দিলাম ওদের গ্রুপকে- আরিফ ভাই আমাকে বললেন আপনাকে আপন বোনের মত জানি- সুতরাং যে কোন কাজে আমরা আপনাকে সাহায্য করব আপনি কিচ্ছু ভাববেন না। আরিফ ভাই নিতান্ত ভালো মানুষ হিসেবে বিশেষ পরচিত টরন্টো শহরে, উনি আমাকে আপনের মত কথাগুলো বলেছিলেন। শুধু মুখের বলা নয়, আজো আচার ব্যাবহারে উনি সেটা রক্ষা করে চলছেন। আমার সেই একাকিত্বের সময়টায় উনার সেই আশ্বাসের কথটুকু আজো আমার মনে গেঁথে আছে, উনাকে আমি নিজ ভাইয়ের মতই সম্মান করে আসছি সেই দিন থেকে। আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক গুলোর উত্থান পতন এই শহরে অহরহ চলছে-এইসবের মাঝেও আরিফ ভাই আর লিনা ভাবী সবসময় আমাদের সালামটা আগে দিয়েছেন, আমার মাকে মায়ের মত সম্মান করে গেছেন, আর ছেলে মেয়েকেতো কথাই নেই।
তেমনি সোনার ছেলে ফাহমি -বাবা মায়ের সুশিক্ষা, আর নিজের বিশাল একটা মন নিয়ে সে যা করেছে তাতেই দক্ষতা অর্জন করেছে। যখন আমাদের অনুষ্ঠানে সে নাচতো- মনে হয়েছে সে দক্ষ নৃত্য শিল্পী। রূপ আর গুণে অনন্য ফাহমি ছিল মেয়ে মহলেও জনপ্রিয়। পড়াশুনায় খুব ভাল ফলাফল করে লাইফ সাইন্সে টরণ্টো ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিল। গানও লিখা শুরু করেছিল, তাতেও সে অনেক নাম করেছে মূলধারায়। তারপর মাঝখানে অনেক দিন আমাদের পারিবারিক আসা যাওয়াটা ছিলো না। কি যেনো হয়েছিলো ফাহমির। শুনেছিলাম সে নাকি বিষন্নতায় ভুগছিলো।
গত ফেব্রুয়ারীতে আমি দেশে গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই প্রথম দুঃসংবাদটি পাই যে ফাহমিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সংবাদটি পেয়ে প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। সত্যতা যাচাই করে দেখি সত্যি সে নিঁখোজ। আমি দেশ থেকেই লিনা ভাবিকে ভাইবার-এ মেসেজ দিয় কোন সাড়া পাচ্ছিলাম না, তারপর দেশ থেকে ফিরে এসে, বেশ কয়দিন লেগে যায় মনে শক্তি সঞ্চয় করে ফোনে কথা বলতে। যখন ফোনে কথা বললাম, লীনা ভাবী কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন- “ভাবী আমার সব শেষ”। আমি সাধ্যমত সান্ত¡না দিলাম, কিচ্ছু হবে না ভাবী ওকে আমরা খুঁজে বেড় করবো, আপনারা ভাববেন না, আমরা ম্যাপ নিয়ে সঠিক প্ল্যান করে ওকে খুঁজে পাবো।
যেই ভাবা, সেই কাজ। আমি ভাবীর সাথে দিনক্ষণ ঠিক করে বসলাম- যারা আন্তরিক ভাবে হারানোর দিন থেকে উনাদের সাথে ছিলেন, তাদের সহযোগিতায় দল বেধে আমরা ম্যাপ নিয়ে বেড় হয়ে পড়লাম। অসোয়া-তে শুরু হলো নতুন করে এই অভিযান। উনাদের বন্ধু বান্ধবের আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ। সকলেই আমাদের পরিকল্পনা মেনে নিয়ে যেভাবে লীনা ভাবী চাইছে সেভাবেই সহযোগিতা করছে। ভীষণ আশাবাদী আমরা, পথে পথে চার্চ, শেল্টার, বীচ, সবখানে খুঁজে বেড়ালাম। যে চার্চে যখন গেছি, ওরা আমাদের হাত ধরে, আর ফাহমির পোষ্টার ধরে দোয়া করেছে।

ক্লান্ত হয়ে আমরা ঘরে ফিরেছি, কিন্তু লীনা ভাবী আর আরিফ ভাইর কোন ক্লান্তি ছিলো না- তারা মন্ত্রতাড়িতের মতো রাত দিন খুঁজে গেছেন। যে লেকের জলে ফাহমি ডুব দিয়ে ছিলো সেই লেকের পাড়ে গিয়ে ওরা ফাহমির নাম ধরে ডেকেছে, কিন্তু সাড়া মেলেনি। হয়তো এই দম্পত্তির আহাজারি সৃষ্টি কর্তার কাছেও দুঃসহ হয়ে পড়েছিলো, তাই তিনি অবশেষে ফাহমির মরদেহটি ভাসিয়ে দিলেন। আমি শেষ বারের মত তাকে দেখতে চাইনি- কারণ তার সরলতায় ভরা সুদর্শন মুখখানি আমি ধরে রাখতে চাই আমার স্মৃতিতে।
সেই সন্ধায় বাইরে ঝড় বইছে, একইসাথে তুষারপাত, আমরা যে যার নিরাপদ আস্তানায় ফিরে চলেছি, ঠিক তখনই দুঃসংবাদটি এলো- সেই ঝড়ের চাইতে বহুগুন শক্তি সেই দুঃসংবাদের। কান্না প্রতিরোধের বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেনি আমার মানসিক অবস্থা, অঝোড়ে চোখ বেয়ে অশ্রুধারা বয়ে চলেছে।
আমি রেডি হচ্ছি ফাহমিদের বাসায় যাওয়ার জন্য, ফোন করছি, সেই অশ্রুধারা কিন্তু বয়েই চলেছে। আমি আমার ছেলে মেয়েকে বললাম তোমরা চল। ছেলে ভীত, সে যেতে চাইলো না, মেয়ে পরমা বলল, মা তুমি ড্রাইভ করোনা, আমি নিয়ে যাচ্ছি। আমরা গেলাম সেই বাড়িতে, আমাদের আগেই সেখানে অনেক গাড়ির ভিড়। সোজা উপরে লিনা ভাবিকে বুকে জড়িয়ে রাখবো- এই উদ্দেশ্যে চলে গেলাম ফাহমিরই ঘরে। ঘর ভরা মানুষ, সবাই কাঁদছে, কেউ সশব্দে আর কেউ বা নিরবে। আমি অন্য একজনকে সরিয়ে লীনা ভাবির কাছে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম, গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে, শান্ত করতে চাইলাম, এক বোধশুন্য ধবধবে দেহ থেকে শুধু বিলাপ বের হচ্ছে, আমি সান্ত¡নার সকল বাক্য হারিয়ে ফেলে নিজেই ভেঙ্গে পড়লাম কান্নায়, এই যন্ত্রণা যেনো সৃষ্টি কর্তা আর কাউকে না দেন। এখানে সকল আশা, বেঁচে থাকার ইচ্ছা, সান্ত¡না সব কিছুই নিমেষে শেষ হয়ে যায়।
এই বাচ্চার মৃত্যু শুধু একটি জীবন নয় এ যেনো হাজারো বাবা মা আর তাদের সন্তানকে নাড়া দিয়ে গেলো। নাড়িয়ে দিলো প্রবাস জীবনের ভিত- সকলের চোখে প্রশ্নাতুর কান্না, তাহলে আমরা কোথায় ভুল করলাম? আমাদের এক সন্তান এভাবে অভিমান করে চলে গেলো? এই জন্য কি এই প্রবাসে আসা? ৮০% বাঙ্গালীর একই কথা- বাচ্চাদের জন্য দেশ ছেড়েছি। এদেশে এসে প্রফেশনাল মানুষগুলো যখন অড জব করেন- সবার একটাই সান্ত¡না, বাচ্চারা বড় হোক, ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে, ভাল উন্নত জীবন দেয়ার জন্য মা বাবার এই ত্যাগ। তারপর যদি সেই সন্তান অসুখে পড়ে জীবন হারায়, সেটা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু তেমনি এক ব্যাধি শুরু হল দ্বিতীয় প্রজন্মের মধ্যে- মানসিক ব্যাধি। যা কিনা আমরা বাংলাদেশ বা দক্ষিন এশীয় প্রবাসীরা একেবারেই ধারনা করতে পারি না। আমাদের দেশে অটিজমকে মেনে নিয়ে চিকিৎসা করানো যেখানে কঠিন বিষয়- সেখানে বিষন্নতা আমাদের কাছে কোনো রোগের মধ্যেই পড়ে না। যে দেশে অন্ন বস্ত্র আর মাথার উপরে ছাদ এই মৌলিক চাহিদা নিয়ে সংগ্রাম করে চলে মানুষ, সেদেশে মানসিক ব্যাধি কোন রোগের বিষয় বলে মনে করেন না অনেক।
কিন্তু বিদেশে এসে, আমরা উন্নত জীবনে বাচ্চাদের অভ্যস্ত করছি, কিন্তু পারিপার্শ্বিক সমস্যাগুলকে উপেক্ষা করে চলছি। সেই সমস্যাগুলো জমতে জমতে বাচ্চাদের মনে কি পাহাড়সম অভিমান, তারপর দূরত্ব, সেই থেকে বিপরীত চাপ,আর বিষন্নতার মত মারাত্মক রোগে গিয়ে শেষ হয় যার পরিনাম কি ভয়াবহ, তা শুধু আমাদের ফাহমিকে নয়, তার আগে পরে একই সময়ে আরো কয়েকজন যুবককে আত্মহত্যায় তাড়িত করেছে। ফাহমি আমাদের কোলের ছেলে- আমার ছেলে মেয়ের সাথেই বড় হয়েছে, এই শোক শুধু বাবা মা নয় আমাদের সকলকে আজীবন কাঁদাবে। কিন্তু আর কোন মায়ের কোল খালি করে এভাবে অসময়ে কোন সন্তান যেন চলে না যায়, আমাদেরকে তার জন্য আজ আর শুধু দোয়া নয়, সেই সাথে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধির ব্যাপারেও তৎপর হতে হবে। সৃষ্টি কর্তার উপর পুরো আস্থা রেখে আমাদেরকে সক্রিয় হয়ে উঠতে হবে এই মানসিক রোগের বিষয়ে। আমাদেরকে জানতে হবে এই রোগের কারণ, ধরণ ও তার পরিনতি। তারপর জানাতে হবে সকল বন্ধুবান্ধবদেরকেও। যেই বাচ্চার মাঝে এই রোগের পূর্বাভাস দেখা যায়- বিব্রতকর হলেও তাকে মানসিক চিকিৎসায় উৎসাহিত করা প্রয়োজন। মানসিক রোগ মানে পাগল হওয়া নয়, আর মানসিক চিকিৎসা মানেই কিন্তু ঔষধ খাওয়া নয়। আজকাল আধুনিক যুগে যে কনো চিকিৎসার প্রথম পদক্ষেপ হল পরামর্শ বা কাউন্সেলিং। আর যে কোন অসুখের বড় চিকিৎসা আমি মনে করি পারিবারিক বন্ধন আর একাত্বতা। একটি পরিবারকে ভালবাসাই যে কোন বিপদ, রোগ আর বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করতে পারে। অনেক দেরিতে হলেও আমি মেনে নিয়েছি বিষন্নতা একটি মানসিক রোগ, আর আমি পুরো বিশ্বাস করি কাউন্সিলিং আর ভালবাসা হল এই রোগের আসল চিকিৎসা। আমরা আজ এই প্রবাস জীবনের বিপর্যয়ের সময় আসুন একসাথে এই রোগমুক্তির কাজে যোগ দেই, আর আমাদের যুব সমাজ কে উদ্ধার করি। Mental health & Social support for Bangladeshi Community Canada   একটা ফেসবুক গ্রুপ- তারা আমাদেরকে সহযোগিতা করবে এই বিষয়ে।
অনেক বছর আগে, যখন হাই স্কুলে পড়তো ফাহমি, তখন স্টুডেন্ট লীডারশীপ এর কোন এক নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিল সে। আমার কাছ থেকে সে ফ্লায়ার ছেপে নিয়েছিল। ওর মা লীনা ভাবি তখন দুষ্টামী করে বলেছিলেন, ভাবী আমার ছেলে আপনার মত নেতা হবে, দেখেন ওর কান্ড। আমি খুব গর্বের সাথে বলেছিলাম, আমাদের ছেলেই তো নেতৃত্ব দেবে, নেতৃত্ব সবাই পারে না। সে জিতেছিলো সেই নির্বাচনে। তারপর আমি শুনেছি সে যখন টরন্টো ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিল, সেখানেও বাংলাদেশী ছাত্র এসোসিয়েশনে যোগ দিয়েছিল আর সবার অত্যন্ত প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছিল।
তার পর আবার ফাহমির জন্য ফ্লায়ার ছাপালাম, তার নিখোঁজ সংবাদের, আমার বুকটা ভেঙ্গে গিয়েছিল, ফ্লায়ার বানানোর সময়। দেরি করেছি, সময় নিয়েছি, কারণ আমি ওর ছবি নিয়ে বসতে পারছিলাম না, ওর মা বাবা কে বলতে পারিনি সেকথা। মৃত্যু সংবাদের দিন আরিফ ভাই একটুও কাঁদতে পারছিলেন না, ট্রমাটাইস্ড ছিলেন। আমি উনার সামনে যেতে পারিনি। পরের দিন সকালে যখন উনার কাছে গেলাম উনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন এই বলে- ‘ভাবি, আর ফ্লায়ার ছাপাতে হবে না, আর ওকে খুঁজতে হবে না ভাবি। আমিও উনার পায়ের কাছে বসে হাঁটুতে মাথা ছুঁয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লাম, আর কোন সান্তনার ভাষা আমার জানা ছিলো না, কারণ আমি ভীষন জোড়ের সাথেই ওনাদের আশ্বাস দিয়েছিলাম, আমরা ফাহমিকে ফিরিয়ে আনবোই।
ফাহমি আজ স্মৃতি হয়ে গেলো- কিন্তু যে মায়া ভরা মনটা কখনো চায়নি মা বাবা তাকে নিয়ে চিন্তা করে কষ্ট পাক, সে-ই সবাইকে তার অসহ্য মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়ে, মুক্তি দিয়ে যেতে চেয়েছে। ছয় ফুটের উপরে দীর্ঘ সুঠাম দেহটা অনেক খানি নুইয়ে যখন আন্টি বলে জড়িয়ে ধরেছে, বুকটা ভরে গেছে, গর্বে, আনন্দে। ওর অসময়ে চলে যাওয়া আমাদেরকে কি বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে গেলো জানি না, তবে ফাহমির শূন্যতা আমাদের সকলকে আচ্ছন্ন করে রাখবে। বৃহস্পতিবার ওর মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে রবিবার দাফনের আগপর্যন্ত আমাদের প্রতিটা বন্ধু বান্ধবের বাড়ি- মরা বাড়িতে পরিনত হয়েছিল।
ফাহমি কি আমাদের সচেতন করার জন্যই এতবড় আত্মত্যাগ করে গেলো? ও অনেক কাকুতি মিনতি করেছে, রিহ্যাব এ না পাঠাতে, ঔষধ খেতেও চাইতো না- ওর অনেক কষ্ট হত। বছর দুয়েক আগে এক বিরাট গাড়ি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে আসে ফাহমি। গাড়ি শেষ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ও বেঁচে আসছিলো কোন মতে। তার পর থেকেই তার বিষন্নতা শুরু। সেই দুর্ঘটনায় কি মস্তিষ্কে কোন প্রতিক্রিয়া হয়েছিল কিনা কে জানে? সেই থেকে এত ভীতি ওকে তাড়া করে ফিরেছে। মানসিক চাপের কারণে ছেলেটার পড়াশুনায় বিঘ্ন ঘটেছে, যা মেনে নেয়া ফাহমির মত কৃতি ছাত্রের জন্য কষ্টকর ছিলো। খুব ধীরে এই মানসিক ব্যাধি ফাহমিকে ধবংস করে গেছে, কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই সব শেষ করে দিয়েছে।
ফারহানা পল্লব
টরন্টো