প্রবাসে পরহিতকর্ম -১৯

জানুয়ারী ১২, ২০১৬

রীনা গুলশান ॥

আমার বাসায় সাধারণত হঠাৎ করে কলিং বেল খুব কমই বাজে। আর রবিবারে যদি বাজে তবে সেটা নিমন্ত্রিতদের কেউ বাজায়। আজ হঠাৎ ৫টার দিকে অপ্রত্যাশিতভাবে কলিং বেলটি বেজে উঠলো। আমরা বাসায় ইউটিউবে বাংলা নাটক দেখছিলাম, জম্পেস করে। এ সময় কে এল? আমি জলদি মাথায় হিজাব চড়িয়ে দেখতে গেলাম। ওমা- মি. এন্ড মিসেস মোবাশ্বের সাহেব। বহুদিন পর। ইনিও ইঞ্জিনিয়ার। তবে আমার হাসবেন্ডের অনেক সিনিয়র। উনার কন্যা আমার হাসবেন্ডের ছাত্রী। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। নাম ডোনা। খুুউব মিষ্টি মেয়ে। এরা মাত্র ৩/৪ বছর হলো এসেছে। ডোনা ইউএফটি থেকে এরই মধ্যে এমএস- টাও শেষ করেছে।  আজ অবশ্য ডোনা  আসেনি। ডোনার আরেকটি ভাই আছে  –  ওর অনেক ছোট। মাত্র গ্রেড নাইনে পড়ে। নাম ইমতিয়াজ।

যাই হোক, চা নাস্তার আয়োজনে কিঞ্চিত ছুটাছুটি করলাম। চা পর্ব শেষ হলো। হঠাৎ দেখি মিসেস মোবাশ্বের (উনার নামটা মনে হয় পারভীন) তার পার্টস থেকে একটি খুউব কারুকার্য খচিত কার্ড (শুভ বিবাহেরই মনে হলো) বের করলো এবং  আমার হাসবেন্ডের হাতে দিল। আমিও পড়লাম। মনে মনে বেশ অবাক হলাম। প্রায়ই ফোনে কথা হয়, অথচ একবারও মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে কিছুই বলেনি। বরং আমি মাঝে মধ্যে বলেছি, ডোনার বিয়ের ব্যাপারে কিছু ভাবছেন কি না ইত্যাদি। ভাবী হাসতো আর বলতো… না ভাবী… ডোনাতো কিছু বলে না। জিজ্ঞেস করলে বলে- এত জলদী কি… দেরী আছে।

আর আজ হঠাৎ-ই একেবারে কার্ড হাতে হাজির! যাই হোক মনটা অনাবিল আনন্দে ভরে উঠলো। বিবাহযোগ্যা  কন্যাদের বিয়ে হয়ে গেলে আমার মনটা যাপরনাই আনন্দিত হয়। এরপর কার্ড পড়ে জানলাম ছেলে প্রাইভেট ইউনিভারসিটির এম.বি.এ। মনটা খুউব দমে গ্যালো। ডোনা এত ভাল ছাত্রী। কুয়েটিয়ান, তারপর ইউএফটি থেকে এমএস করেছে।  ভাল জবও পেয়ে গেছে। দেখতেও খুব মিষ্টি। অথচ ছেলে কি না প্রাইভেট…?? বাংলাদেশে এবারে যেয়ে তো ধাক্কা মত খেলাম। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে গজিয়ে উঠেছে  একেকটি বিশ্ববিদ্যালয়। একটি এপার্টমেন্ট সাইজের বিল্ডিং নিয়ে!! একি কিন্ডারগার্টেন?? এরা কি শিখবে? এখানেও অনেকেই আসছে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে… এমনকি তারা কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএস করবার চান্সই পায় না… স্পেসিফিক জব তো অনেক দূর অস্ত! সুতরাং আমাদের দুজনেরই মনটা খারাপ হয়ে রইল। যদিও মুখে তা প্রস্ফুটিত হলো না। তারপর ঢিমে তালে ছেলের বৃত্তান্ত নিলাম। ডোনার বাবা আবার খুবই ধর্মভীরু ধরণের। উনি বেশ সোজাসাপটা কথা বলে (মিথ্যা বলতেই জানে না)। মোবাশ্বের সাহেব হঠাৎ করেই সোজা সাপটা বলে দিল – ছেলে ডোনা নিজেই পছন্দ করেছে।

ওহ! তাই নাকি? খুবই ভাল… এতে মা বাবার কোন রিস্ক থাকে না। আমি সকৌতুকে বললাম।

হু! তা ঠিক… তবে মা-বাবা কখনো সন্তানের অমঙ্গলও চায় না।

সেটা ঠিক… তবে এটাও ঠিক যে এখনকার বাচ্চারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশী স্মার্ট।

হু। ভাল হলেই ভাল।

তা ছেলেকে কি ডোনা কুয়েটে পড়াকালিনই জানতো? – হঠাৎ আমার হাসবেন্ডের দ্বিধান্বিত প্রশ্ন।

না না, ওদের পরিচয় এই দেড় বছরের মতন।

এবার মিসেস মোবাশ্বেরই

জবাব দিল… পরিচয় বলতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে…পরিচয় থেকেই গভীরতা… আমরা অবশ্য ডোনার মামাকে দিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। ঢাকার মধুবাগে ছেলের (এহসান) নিজেদের দোতালা বাড়ি আছে। বাবা সরকারী চাকরী করে। মা ব্যাংকের অফিসার। ছেলের দুই বোন আছে। দুই বোনেরই বিয়ে হয়ে গেছে।

Ÿাহ্! দারুন, একেবারে ঝাড়া হাত পা ছেলে…আমি এবার আন্তরিক স্বরে বললাম।

যদিও দেশেই বিবাহ হচ্ছে। তবুও নিজেদের  ক্লোজ সার্কেলে এখানে কার্ড দেবার রেয়াজ আছে। সবার আশীর্বাদ নিয়ে শুভ কার্য্যে পদযাত্রা আর কি!

তো, খুব আনন্দিত মনে শুভবিবাহের, শুভ আশীর্বাদ দিলাম। ওরা চলে গ্যালো। কি জানি ক্যানো… আমার দ্বিধান্বিত মনে একটু কাঁটার খচখচানি রয়েই গ্যালো। যদিও মুখে তা প্রকাশ করলাম না।  জুনের ২৫ তারিখে রওনা দিবে, জুলাইয়ের ১৮ তারিখে বিয়ে আর ১৬ তারিখে গাত্র হরিদ্রা।

ওরা চলে যাবার পর আমার হাসবেন্ড অবশ্য অনেক্ষন গজগজ করলো। আজকাল ছেলে-মেয়েদের কি যে হয়েছে। ইন্টারনেটে (ফেসবুক) প্রেম করে। আরে এটা একটা প্রেম হলো? দেখা নাই, শোনা নাই, জানা নাই, তবু প্রেম?? তাও আবার বিয়ে?? এটা ইয়ার্কী নাকি?? আমি তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলাম।

দ্যাখো, জামানা বদলে গেছে! এখনকার ছেলে-মেয়েরা যথেষ্ট স্মার্ট!! ক্যানো, আমাদের সময়ওতো টেলিফোনে বিয়ে হতো…  হতো না বল?

তা হতো… এবং তার মধ্যে অধিকাংশ বিয়েই টিকতো না।

সে তো জানাশোনা এমন কি ২০ বছর ধরে একজন অন্যজনকে চিনে এমন বিয়েও এক বছরের মাথায় ভেঙ্গে যায় (এটা আমাদের একটা খুব ক্লোজ বন্ধুদের মধ্যে একটি ঘটনা)। তুমি দ্যাখোনি? তাই আমার হাসবেন্ডের মনটা খারাপ হয়ে গেল। আমি আর কিছু না বলে শুধু বললাম, তুমি ডোনার শিক্ষক। থিং পজেটিভ এবং দোয়া কর তার জন্য।

এরপর বেশ কিছু দিন সময় অতিক্রান্ত হল। বোধ হয় আগস্টের মাঝামাঝি। আমি আমার অফিসের পাশে অবস্থিত ফুডকোটে একদিন দুপুরে লাঞ্চ করছি। হঠাৎ পিছন থেকে কারো মৃদু স্পর্শ – ওমা, এ যে দেখি পর্ণা!

ইটন সেন্টারে কাজ করার এই একটা সুবিধা, মোটামুটি সবার সাথে সবার দেখা হয়ে যায়। যতদূর জানতাম পর্ণা আলবার্টায় চাকরী পেয়ে চলে গেছে। ও আবার ডোনার বেস্ট ফ্রেন্ড। ডোনার মাধ্যমেই আমাদের মধ্য পরিচয় হয়েছিল। পর্ণা অবশ্য জন্মগত কানাডার। খুব ধারালো সুন্দর এবং উচ্চকিত। রাখডাক নেই। আমার বেশ ভালই লাগে। যদিও খুব এদেশীয় স্টাইলে পোষাক পরে। কিন্তু মিথ্যা বলে না। ওকে দেখে খুব ভাল লাগলো। হাক-ডাক করে বসালাম। এক দৌড়ে ওর জন্য চিজ পিজ্জা এনে দিলাম। কিন্তু বরাবরের উচ্চসিত, উচ্চকিত পর্ণা বেশ মৃয়মান। খেতে খেতে বললো, আন্টি ক্যামোন আছেন? ছেলেরা সব কে কোথায়? আমি সব জানালাম তাকে একে একে। তারপর বললাম, কি রে পর্ণা কারো সাথে গাঁটছড়া বাঁধিসনি?

নাহ্  আন্টি। যাও একটু চিন্তাভাবনা করেছিলাম… এখন আর আগামী ১০ বছরের মধ্যেও চিন্তা ভাবনা করবো না!

ক্যান রে? পর্ণার মুখে কি এই ধরণের কথা মানায়?

আন্টি, আপনি কিছু জানেন না? পর্ণার খুউব অবাক কন্ঠ!

কি ব্যাপার? বল তো? বেশ বেশ ঘাবড়ে যাওয়া কন্ঠে বললাম।

কেন ডোনার ব্যাপারে কিছু শোনেননি? আমি তো আলবার্টা থেকে ছুটে এলাম ডোনার জন্য। জানেন তো ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। ওর তো আন্টি নার্ভাস ব্রেকডাউন হয়ে গেছে।

কি বলছো এসব? ওর তো ১৮ জুন বিয়ে হলো। আমিতো আরো অপেক্ষা করছি কবে ডোনার জামাই আসবে আর মোবাশ্বের ভাবীরা একটা রিসেপশনের আয়োজন করবে!

না আন্টি, ডোনার তো বিয়েই হয়নি। পর্ণার ভেঙ্গে পড়া কন্ঠ।

আমি একদম নিশ্চুপ হয়ে গেলাম। প্রশ্ন করতেও ভয় পাচ্ছিলাম!

তখন পর্ণা নিজে থেকেই সব বলা শুরু করলো। সব ঠিকঠাক মতই চলছিল। হল তো আগেই বুক করা ছিল। বিমানবন্দরেই ছেলে পক্ষরা মোটামুটি সবাই এসেছিল। এর পর ডোনা আর এহসান দুজন মিলেই দু’দিকের সব শপিং করছিল। দু’পক্ষই খুব খুশী ছিল। ছেলে পক্ষরা ডোনার জন্য কুন্দনের গহনা কিনেছিল। তাই ডোনার আব্বু আম্মু ওর জন্য পুরো জরোয়া’র গহনা কিনেছিল। রুবী আর ডায়মন্ড। একটিই মেয়ে। আন্টি আর আঙ্কেল কোন কাঞ্জুসী  করেনি।

১৬ জুন খুব ধুমধাম করে গায়ে হলুদ হলো। ঢাকার বিখ্যাত অনেক গায়ক/গায়িকা এসেছিল। আমি আলবার্টায় বসে ফেসটাইমে দেখছিলাম ঘন্টা দুয়েক। ডোনা ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। কারণ শেষ মুহুর্তে আমি ছুটি ম্যানেজ করতে না পারায় বিয়েতে যেতে পারিনি। সে কারণে মনও খারাপ ছিল প্রচন্ড। ওরা দুজনে পাশাপাশি বসে খুব আনন্দিত ছিল। মাঝে মাধ্যে আমার সাথে মজা করছিল। গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে রাত ২টা পর্যন্ত সবাই খুব হৈ-চৈ করেছে। শেষে তো ডোনা এবং এহসানও খুব ডান্স করলো মিউজিকের তালে তালে।

১৮ তারিখে বিয়ে। ১৬ তারিখের ধকলে সব কাহিল ছিল। ১৭ তারিখেও মোটামুটি সবাই ক্লান্ত ছিল। কেউ ঘুমিয়ে কেউ বসে টিভি দেখছিল। এর মধ্যে হঠাৎ বেল বেজে উঠলো দুপুর ১টা দেড়টার দিকে। দরজা খুললো ডোনার মামা (মামার বাড়িতেই ওরা ছিল)। ৫/৭ জনের একটি ব্যাটেলিয়ান দরজার বাইরে দাড়িয়ে। তার মধ্যে একটি পরিচিত মুখও ছিল (এহসানের বন্ধু, হলুদেও এসেছিল)। দুজন বয়স্ক স্বামী স্ত্রীও ছিল। এবং খুবই সুন্দরী ডোনার বয়সী একটি মেয়ে। ওরা দরজার বাইরে থেকেই বললো- আমরা ডেনার সাথে দেখা করতে এসেছি। ওর মামা কিঞ্চিত অবাক হয়েই ডোনাকে

ডেকে পাঠালো।

ডোনা ঘুম থেকে উঠে খুউব বিরক্তি নিয়ে ড্রয়িং রুমে এলো। ডোনা অবাক হয়েই চেয়েছিল সবার দিকে। হঠাৎ যারা এসেছিল, তাদের মধ্য থেকে সুন্দরী  মেয়েটি দাড়িয়ে ডোনার দিকে তাকিয়ে কেঁদে ফেললো। ডোনার মুখে তখনো হলুদের দাগ। হাতে রাখী পরা। ডোনা অবাক হয়েই বললো- আমি আপনাদের চিনতে পারছি না।

মেয়েটি এবার কান্না থামিয়ে কথা বললো- আমি জিনিয়া। আমি এহসানের স্ত্রী!

হোয়াট?? ডোনার মুখে আর কোন শব্দই এলো না। মেয়েটি আর কোন কথা বললো না। এবার তার বাবা-মা এবং অন্য বন্ধুরা কথা বলে উঠলো। ওরা বললো, এহসান আর জিনিয়া একই ভারসিটিতে পড়তো। এবং এদের বিয়ে হয়েছে প্রায় দুই বছর। জিনিয়া তার বাবা-মাকেও বলেনি যে তারা নিজেরাই বিয়ে করেছিল। জিনিয়া এহসানের এক বছরের জুনিয়র। হঠাৎ তিন মাস হলো জিনিয়া বুঝতে পেরেছে, সে মা হতে চলেছে। তখন উপায়ন্তর না দেখেই মা’কে সব বলেছে। অন্যদিকে এহসানকে ফোন করে সব বলেছে। এহসান সব শুনে বলেছে, বাচ্চাটাকে এবোর্ট করে দিতে। জিনিয়া রাজী হয়নি। এদিকে গত এক মাস থেকে এহসান যেন গায়েব হয়ে গেছে। কারণ তার ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে গিয়েছিল। সে আর ভারসিটিতে আসছিল না। ফোন এসএমএস কোথাউ কোন সাড়াশব্দ নাই। গতকাল হঠাৎ এহসানের প্রিয় বন্ধু  ঐ ছেলেটি নয়ন, ওর বাসায় গিয়ে হাজির জিনিয়া। নয়নকে সব বলেছে জিনিয়া। সে যে প্রেগনেন্ট সে খবরও। তখন নয়নের খুব খারাপ লেগেছে সব শুনে। নয়নও সব বলে দিয়েছে। ১৮ তারিখে এহসানের বিয়ে, গতকাল গায়ে হলুদ হয়েছে এসব তথ্যই নয়ন জিনিয়াকে জানিয়েছে। নয়ন যদিও এহসানের বেস্ট ফ্রেন্ড, কিন্তু সে শুধু জানতো তাদের এফেয়ার আছে। বিয়ে হয়েছে এই তথ্যটুকু সে

জানতো না। এহসান নয়নকে আরো বলেছিল জিনিয়ার সঙ্গে তার ব্রেকআপ হয়ে গেছে।

এর পরের ঘটনা খুব দ্রুত ঘটে গেল ডোনার সামনে। জিনিয়া বিয়ের কাগজও দেখালো। এমন কি সে যে প্রেগনেন্ট তার ডাক্তারের সার্টিফিকেটও দেখালো। এরপর ডোনার মামা এহসান এবং তার বাবা-মাকে ডেকে পাঠালো দ্রুত। এরা সবাই এলো। তবে এহসান এসে জিনিয়াকে দেখেই ফ্যাকাশে হয়ে গেল। তবু ২/৩ বার ‘সব মিথ্যা কথা, আমি ওকে চিনি না’ ইত্যাদি বলার চেষ্টা করলো। তারপর জিনিয়ারা সব কাগজপত্র দেখালো। তখন সব চুপ। এহসানের বাবা-মা অবশ্য হাউমাউ করে কাঁদলো এবং বললো, বিশ্বাস করেন আমরা এর কিছুই জানিনা। ডোনার বাবার পা ধরে ক্ষমা চাইলো। উনি পাথরের মত মুখ করে শুধু বললো -ক্ষমা চাইলে কি হবে। আমার মেয়ের জীবনে যা ঘটে গ্যালো সে সব কি ফিরে পাবে??

এরপর থেকেই ডোনা আর কথা বলছে না। কাঁদছেও না। ওরা খুব দ্রুত কানাডা ফিরে এলো। ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল। ডাক্তার বলেছে অতিরিক্ত স্ট্রেস থেকে এটি হয়েছে। আমি সব শুনে এবারে ১ মাসের ছুটি নিয়ে এসেছি আন্টি। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে চলেছি ওকে জাস্ট কথা বলানোর জন্য।

সব শুনে এবার পাথর হবার পালা আমার। মানুষেরা কেন এত দুঃখ পায়?? জীবনে ক্যানো বারবার এত পরীক্ষা দিতে হয় মানুষকে??

রীনা গুলশান, কবি ও লেখক।