প্রবাসে পরহিতকর্ম -১৮

ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫

রীনা গুলশান ॥

(গত সংখ্যার পর)

আমি পৃথিবীর কোন শব্দই শুনতে পাচ্ছিলাম না। ট্রেনের শব্দও আমার কানে প্রবেশ করছিল না। অনেকটা যেন ধ্যনস্থ হয়ে পড়েছিলাম। যতটা শুনছিলাম, তার থেকে দেখছিলাম অনেক বেশী। দেখছিলাম, কিভাবে ছড়া একেকবার বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছিল। আবার কোন কোন সময় লালিম আভায় ভরে যাচ্ছিল, ওর নিটোল সুন্দর মুখাবয়বে।

ছড়া – সুন্দর বক্তাও বটে। অনেক কথা বলে, ক্যামন যেন ঘ্যান ঘ্যান স্বরে। স্বরে কোন উঠা নামা নাই। কিন্তু ছড়া কথা বলছিল – যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “একটি সাধারণ মেয়ের গল্প” কবিতাটি আবৃত্তি করছিল। ওর কন্ঠে কি কি দারুন অনুরেনন। মনে মনে ভাবছিলাম, ছড়াকে পরে জিজ্ঞাসা করবো , ছড়া তুমি আবৃত্তি করনা কেন?

ছড়া বলেই যাচ্ছিল : আন্টি উহ! ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম,… কি  আর বলবো? আড়াইটা থেকে ৪টা। তাও ড্রাইভার প্রায় দাবড়িয়ে এসছে। আর ঐ সময়টাতে আমরা বেড়িয়েছিলাম, কারণ তখন অফিস এবং স্কুল কলেজের ভিড় থাকে না।

পথে কবিতাপু অনেক দুষ্টুমি করছিল : কিরে, কে প্রথম কথা বলবে? কি বলবি? কিছু ঠিক করেছিস?? আমিতো লাল হয়ে যাচ্ছিলাম। কান দিয়ে গরম ভাপ বের হচ্ছিল। এদিকে কুল কুল করে ঘাম টুপটাপ ঝরে পড়ছিল শ্লিভেজ দিয়ে পেটের উপর। নাকের ডগা এত ঘামছিল যে কটা যে টিস্যু পেপার লেগেছে কি আর বলবো? তবু ভালও লাগছিল, আপুর দুষ্টুমি ভরা কথাগুলোও!! কারণ, আমার সময় অতিবাহিত করার একটা অজুহাত দরকার ছিল।

অবশেষে আমাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নিউমার্কেটের পেছনের গেটে এসে নামলাম। দূর থেকেই অবশ্য গোলাপ হাতে একটা অবয়ব দেখছিলাম। অবশেষে যখন নামলাম, দেখি গেটের ডাক দিকে একটু সরে একটি ছেলে নীল টি-সার্ট পরা (আমারই দেওয়া, আমেরিকান ঈগলের) হাতে ৭টি লাল গোলাপ এবং বাম হাতে আমার ছবিইতো মনে হচ্ছে! কি ব্যাপার? কিছুই বুঝছি না। আশেপাশে আর তো কাউকে দেখছিনা। ওরতো ছোট ভাইকে নিয়ে আসবার কথা, আশেপাশে কাউকে দেখছি না। নিশ্চই চূড়ান্ত মজা করছে। তন্ময়ের আবার দারুন মজা করার অভ্যাস আছে। কিন্তু জীবনের প্রথম সাক্ষাতে এটা কি ধরণের “ডার্টি জোক”!?

আর আমার সাথে আমার বড় বোন আছে। আমি হাজার হাজার মাইল পথ উড়ে এসেছি, শুধু এই মানুষটার জন্য। না হলে দেশে ধরতে গেলে আমার তেমন কেউ নেইও। দেশে আমার একটা উত্তেজনা অবশ্যই আছে। তবে এবারে এসেছি জাস্ট তন্ময়ের জন্য। হঠাৎ দেখি পাশে আর একটা ছেলে এসে দাড়ালো। এর বয়স কম। তবে ঐ ছেলেটার মতই দেখতে। আর যে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে, সে দেখি এবারে আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসছে আর আমার ছবি নাড়িয়ে দেখাচ্ছে। কবিতাপু আমার হাত ধরে, ওদের দিকে এগিয়ে গেল। কারণ আমার পুরো শরীর কাপছিল। ক্যান জানি, এক ধরণের উত্তেজনা আর এখন দারুন রাগ হচ্ছিল। আপুর সামনে তন্ময়ের এই ধরণের মজা অমি সহজভাবে নিতে পারছিলাম না। তবু এগিয়ে গেলাম। আপুই প্রথম ছালাম দিয়ে কথা বললো।

আমি কবিতা, তন্ময় কোথায়? আপনারা এখানে কি করছেন বুঝতে পারছি না… । এবার ঐ অল্প বয়সী ছেলেটি বললো, আমি কাউছার… ইনি আমার বড় ভাই তন্ময়… আমি বুঝতে পারছি না আপনারা কোন তন্ময়কে খোঁজ করছেন?

আমি এত হতভম্ভ হয়ে পড়েছিলাম যে, কথাই বলতে পারছিলাম না। অনেক কষ্টে কাউসারকে আমার হাতের তন্ময়ের ছবি দেখালাম। আর কবিতাপু বললো:- আমরা এই তন্ময়ের জন্যই এসেছি।

তখন কাউসারও বোকা বোকা হয়ে ওর ভাইয়ের দিকে তাকালো এবং কাধ নাচালো খুউব অবাক হয়ে। এবার ঐ ছেলেটি এগিয়ে এসে সরাসরি আমাকে বললো –  ছড়া আমিই তন্ময়। প্লিজ আপনারা একটু ভিতরে চলুন। আমার একটু কথা আছে। ভেতরে একটা রেস্টুরেন্ট আছে, প্লিজ ওখানে একটু চলুন।

কবিতাপু কোন সিন ক্রিয়েট করতে চাইছিল না। আমার হাত ধরে টেনে ভিতরে নিয়ে গেল। ঐ রেস্টুরেন্টে গিয়ে ৪ জন বসলাম। তন্ময় কিছু খাবারের অর্ডার দিল। আমি  আসলে কিছুই দেখছিলামও না শুনছিলামও না। ক্যামন যে পাথর হয়ে বসে ছিলাম। এবারে তন্ময়ই কথা বলা শুরু করলো : –

ছড়া, আমিই তন্ময়!! গত ৪ বছর

ধরে আমরাই কথা বলছি।

আমি এবারে চোখে তুলে ভাল করে তাকালাম। এতক্ষনে নিজের ভিতরে একটা শক্তি সঞ্চয় করছিলাম। দেখলাম তন্ময়ের ঠিক বিপরীত দেখতে একটা মানুষ। এর উচ্চতা ৫ ফিট ৭/৮ ইঞ্চি হবে। আমার থেকে সর্টই লাগছিল। তন্ময় ৬ ফিট ২ ইঞ্চি লম্বা, ফর্সা। এ একদম কালো। চোখ দুটো খুবই ছোট ছোট। নাকটা গোল ধরণের। শুধু কন্ঠস্বরটাই একই রকম। তবু বলছি, এর  চেহারাটা আমাকে মোটেই বদার করছিল না। বদার করছিল ওর অস্তিত্ব।

আমি ভাবতেই পারছিলাম না, কোন মানুষ এ পর্যন্ত চিটিং করতে পারে। আমার গোটা শরীর আচ্ছন্ন ছিল দারুন আবসাদে এবং অসম্ভব অপমানে। এমন না যে, কবিতাপু সমস্ত ঘটনাটি দেখলো এবং হাসলো, তাও না। কবিতাপু আমার যতটা বোন, তার থেকে অনেক বেশী বন্ধু।

তন্ময় ক্রমাগত কথা বলে যাচ্ছিল। আমি একসময় শুধু এইটুকু বলেছিলাম….

আপনি এইরকম কেন করলেন? কিসের জন্য?

ওকে ছড়া, লেট মি এক্সপ্লেইন প্লিজ… আসলে আমি তখন সদ্য অস্ট্রেলিয়াতে পড়তে গেছি… আমার রূমমেট ছিল… ঐ ছেলেটা যার ছবি তোমার কাছে। ওর নাম সাদাত… ও পাকিস্তানী। আমার সাথে খুউব বন্ধুত্ব। ওর প্রচুর মেয়ে বন্ধু। রোজ সে এর সাথে ওর সাথে চ্যাটিং করে। আমারও খুব সখ হলো…কিন্তু আমার চেহারা তো ভাল না… তাই …সাদাতই আমাকে  বুদ্ধি দিল তার ছবি ব্যবহার করতে। আমি করলাম এবং প্রচুর সারা পেলাম। তার মধ্যে ছড়া তুমিই সব দিক দিয়ে বেস্ট ছিলে… তো আমি শুরু করলাম। আস্তে আস্তে ফান প্লে কখন যেন সিরিয়াস প্লেতে রূপ নিল নিজেই টের পাইনি। দিনে দিনে এমনভাবে জড়িয়ে পরলাম যে….।

কিন্তু ভাইয়া… তোমার পরে ছড়াকে বলে দেওয়া উচিৎ ছিল… এবারে তন্ময়ের ভাই কাউসার খুব বিরক্তির সাথে বললো। সমস্ত ঘটনাটি ওর চোখের সামনে হচ্ছিল। সে নিজেও খুবই অপমানিত বোধ করছিল। কাউসার ছড়ার এক বছরের সিনিয়র। সেও একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ে।

হঠাৎ ছড়া সরাসরি কাউসারকে বললো – তোমাকে দেখলাম টেক্সির ভাড়া মিটাতে। তোমাদের তো ৪/৫টা গাড়ী তাই না?

কে বললো? আমাদের কোন গাড়ীই নেই। আমরা অত্যন্ত ছা-পোষা মানুষ। ভাইয়াকে আব্বা অনেক কষ্টে অস্ট্রেলিয়াতে পড়তে পাঠিয়েছিল। ২ সেমিস্টারের টাকা দিতে গিয়েই আব্বার জান শেষ। সেই জন্য ভাইয়াতো এখনও পাশই করতে পারেনি। কারণ সে এখন একটা ফাস্ট ফুডের দোকানে কার করে আর পড়ে। এমনকি আমাকেও টাকা পাঠায়। কারণ আমার টিউশন ফিও অনেক বেশী। হড়বড় করে কাউসার কথাগুলো বলে গেল।

এবারতো আমাদের দুই বোনেরই গলার মধ্যে মাছি যাবার মত অবস্থা। তখন কবিতাপুই বললো…

কিন্তু তোমার আব্বাতো ২/৩টা গার্মেন্টস এর মালিক, গুলশান ও বারিধারায় তোমাদের ৩/৪ টা বাড়ি…।

কি বলছেন এসব? আমার আব্বা অনেক বড় একটা ফার্মের সুপারভাইজার। বেতন অবশ্য ভালই পায়। আর আমাদের নিজেদের বাড়িও নাই। আমরা মালিবাগে ভাড়া বাড়িতে থাকি।

এবার কাউসারের বিস্মত হবার পালা। সে খুব অবাক হয়ে বার বার তার ভাইয়ের দিকে তাকাচ্ছিল। আর তন্ময় খুব অপ্রতিভ ভাবে বসেছিল।

নামটি কি আসলে তন্ময়, নাকি এটাও ভুয়া??- এবারে ছড়া তীর্যক ভাবে হেসে বললো।

নাহ.. ছড়া.. ভাইয়ার নাম তন্ময়।

ওহ! মানুষ কোন পর্যায় পর্যন্ত মিথ্যা বলতে পারে, আমি ভাবতেও পারছি না। বলতে বলতে অত্যন্ত রাগান্বিত ভাবে কবিতা উঠে দাড়ালো। বললো.. তন্ময়ের দিকে চেয়ে.. আসি তন্ময়… খাবারগুলো তোমরা খেয়ে নিও। তোমাদের বিষ্ময়কর প্রতারণায় আমাদের পেট এমনিতেই ভরে গেছে। কাউসার তোমাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই। তোমার এই সরলতা, অকপটতা এবং সত্যবাদিতা তোমাকে একদিন তোমার লক্ষ্যে পৌছে দেবে। এরপর তন্ময়ের দিকে চেয়ে বললো, আমি এখনই পুলিশে দিতে পারি। র‌্যাবের ডিআইজি আমার নিজের আত্মীয়। কিন্তু তোমার ভাইয়ের সত্যবাদিতার জন্য আমি তোমাকে ছেড়ে দিলাম।

এর পর কিভাবে যে বাড়িতে এসেছি দুই বোন। আমার লজ্জা, অপমান, হৃদয় ভাঙ্গা, কবিতাপুকে এতটাই স্পর্শ করেছিল যে , সে রীতিমত অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। এদিকে বিয়ে বাড়ি। আমার কথা আর কি বলবো আন্টি, গত চার বছরেও সেই কাটার খোঁচায় হৃদয় রক্তাক্ত হয়ে যাচ্ছে। আমি হৃদেয়ে বিষে এতটাই অসুস্থ হয়ে আছি যে অন্য কোন দিকে তাকাবার চিন্তাও করিনি।

আমি অচ্ছন্নতার মধ্যেও একটি প্রশ্ন করেছিলাম- তন্ময় কি পরবর্তীতে আবারও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল?

হ্যা আন্টি… তা আর করেনি? এতটাই নির্লজ্জ… যে আমার ফেসবুকে এসব ঘটনার জন্য ইনডাইরেক্টলি বারবার স্ট্যাটাস দিচ্ছিল। তারপর তন্ময়কে ডিলিট করে দিয়েছি। এর পর ফোনে এসএমএস আসা শুরু করলো বন্যার মত। পরবর্তীতে আমাকে ভয় দেখাতো এই বলে যে সে আমার বাবাকে সব বলে দিবে এবং আমার ছবি ইন্টারনেটে বাজে ভাবে ছড়িয়ে দিবে। এরপর আমি অস্ট্রেলিয়ায় ঐ সাদাত নামের ছেলেটিকে ফোন করেছিলাম একদিন। (একদিন তন্ময়ই দিয়েছিল বাধ্য হয়ে সাদাতের ফোন নম্বর। কারণ, তার ফোন পানিতে পড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।) সাদাত খুব ভদ্র এবং বিনয়ী। তাকে গত ৪ বছরের সব ঘটনা খুলে বলেছি। এমনকি বাংলাদেশের

ঘটনাটিও। পরে তন্ময় যে আমাকে হুমকী-ধামকি দিচ্ছে তাও তাকে বললাম। সাদাত সব শুনে তাজ্জব হয়ে যায়। তারপর সে আমাকে বললো, “বহিনজি, মুঝেতো তন্ময় বলা… আপকো উসকো বারেমে সব কুছ পাতা হ্যায়…”

সব কুছ… কিয়া…? রিয়েলি??

তখন সাদাত বললো আরেক কাহিনী। সে জানালো, তন্ময় দ্বিতীয় বর্ষেই ফেল করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আউট হয়ে যায়। এরপর সে একটা ম্যাকডোনাল্ডে কাজ নেয় ফুলটাইম। আর স্টুডেন্ট ভিসা বজায় রাখার জন্য একটা কলেজে ভর্তি হয়। পার্টটাইম লেখাপড়া করে এবং সেটা অন্য সাবজেক্টে। এখন সে অন্য একটা এপার্টমেন্টে ৪/৫জন বাংলাদেশী যুবকের সঙ্গে বাস করে। সাদাত আরো জানালো, “তন্ময় আমাকে প্রায়ই বলতো, ভাল মাল বাগিয়েছি… ৯০ ভাগ পটে গেছে… এখন শুধু একবার বিয়েটা করলেই… কানাডা!”

সাদাত বলে, “বহিন জি, তুমি এক কাজ কর। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশী হাইকমিশনে ফোন করে সব বলে দাও। তাহলে ওর স্টুডেন্ট ভিসাই ক্যান্সেল হয়ে যাবে। এছাড়া আমিও ব্যাপারটা একটু ডিল করবো। আই হোপ, হি উইল নট ডিস্টর্ব ইউ এনিমোর।”

আমি সাদাতকে অনেক ধন্যবাদ দিয়েছি। এরপর তন্ময় আমাকে আর ডিস্টার্ব করেনি। আমি আমার বাড়ির ফোন নম্বর, সেল নম্বর সব পরিবর্তন করে ফেলেছি। মাঝে মাঝে মধ্যরাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। আর আমি তন্ময়ের ঐ কুৎসিত মানসিকতার অবয়বটা দেখতে পাই। ভয়ে বাকি রাত ঘুম আসে না। তারপর থেকে আন্টি আমার মাইগ্রেন পেইন শুরু হয়েছে। যখন হয় তখন ৩/৪ দিন থাকে এবং আমাকে একেবারে কাহিল করে দিয়ে যায়। ডাক্তার অনেক পরীক্ষা করেছে। কিছুই পায় না। ডাক্তার বলেছে খুব স্ট্রেস থেকে এরকম হচ্ছে।

এবারে এতক্ষনে ছড়ার দীঘল আাঁখি থেকে ফোটা ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো।

আমি ওকে কাঁদতে দিলাম। কাঁদুক। ছড়া কাঁদুক। এসব কান্নাইতো ছড়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ছড়াদের মত মেয়েদের প্রথম বয়সের এসব ভুল থেকেই তো শিক্ষা হবে। তবু… এসমস্ত ইন্টারনেট ফ্রড কেস ইদানিং এত বেশী ছড়িয়েছে যে চিন্তারও অতীত। বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা  নর্থ আমেরিকা অথবা ইউরোপে আসার জন্য যেন মরিয়া হয়ে গেছে। এরা পারে না এমন কোন কাজ নেই। তাই আমার মনে হয়, আমাদের বাবা-মা এমনকি ইয়ং জেনারেশনদেরও একটু সচেতন হওয়া দরকার। চট জলদি করে কউকে বিশ্বাস করা ঠিক না। এই তো সেদিন… কেয়ার মা ফোন দিল। তারপর প্রচুর কান্নাকাটি করলো….। না সেতো অন্য কাহিনী… শুধু এইটুকু বলবো… প্রেমের এই (ফ্রডদের) ফাঁদ পাতা ভুবনে, কে কোথায় ধরা পড়ে কে জানে?

রীনা গুলশান

কবি ও লেখক, টরন্টো